স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

যোগ ও স্বাস্থ্য

 যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি! কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই ট্টবলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

দধি ও ঘোলপান

যে ক্রমি (ব্যাকটিরিয়া) দুধকে দইয়ে রূপান্তরিত করে দধ্যম্লের (দম্বল বা জোড়ন) সাহায্যে সে ক্রমি স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের শত্রু নয়৷ তবে (দইয়ে) সেই ক্রমির মৃতদেহের প্রাচুর্য ঘটলে তখন তা মানুষের পক্ষে শত্রু হলেও হতে পারে৷ পচা দইয়ে সাধারণতঃ এই ধরনের ব্যাপার ঘটে৷ তাই দইয়ে দুর্গন্ধ দেখা দিলে তা কিছুতেই ভক্ষণ করা উচিত নয়৷ দই তাজা অবস্থায় থাকলে এই ধরণের ক্রমির মৃতদেহ কম থাকে৷ দধিতে (তো মিষ্ট দধিই হোক আর অম্ল দধিই হোক) লবণ সংযোগ করলে মৃত ক্রমির বিরুদ্ধাচারণ কিছুটা প্রতিহত হয়৷ তাই ‘‘দধি লবণেন সহ ভক্ষয়েৎ৷’’

স্থূলতা

লক্ষণ ঃ মানুষের শরীরের পক্ষে মেদ একটি অত্যাবশ্যক ধাতু৷ মেদ না থাকলে অস্থি ও মাংসের স্বাভাবিক ক্রিয়াশীলতা এই মুহূর্ত্ত অব্যাহত থাকতে পারে না৷ কিন্তু এই মেদ যখন প্রয়োজনের মাত্রা ছাড়িয়ে বৃদ্ধি পায়, তখন তার ফলে সমস্ত শরীর যন্ত্রই অপটু হয়ে পড়ে৷ এই অবস্থার নাম মেদবৃদ্ধি বা স্থূলতা৷

চশমা কেন প্রয়োজন

ডাঃ আলমগির

কোন কারণে দৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে যদি কম হয়, কিন্তু দৃশ্যমান কোনও গঠনগত পরিবর্তন বা কোনও রোগ যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে সে দৃষ্টির উন্নয়ন সম্ভব৷ তখন একে রিফ্রাকটিভ এরর বা পাওয়ার জনিত দৃষ্টি স্বল্পতা বলা হয়৷ এটি সাধারণত চার ধরনের হয়৷

গরল ও কাউর (একজিমা)

লক্ষণ ঃ ক্ষত থেকে রসস্রবণ, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও দপদপানির ভাব, প্রতি বৎসরই রোগের পুনরুদয়, রোগজনিত শারীরিক দুর্বলতা ও মধ্যে মধ্যে জ্বর, সময় সময় রোগের অতি প্রকোপের ফলে দেহের অস্থি পর্যন্ত বেরিয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ৷

শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ ও জ্বররোগে তুলসী ও মধুর প্রয়োগ

তুলসীর পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বিশ্বে এক শতাধিক প্রজাতির তুলসী বা চ্ত্রব্দন্প্ত বর্গীয় গাছ রয়েছে৷ তুলসী জন্মায় আইবেরিয়ায় (স্পেন ও পর্তুগাল) সবচেয়ে বেশী৷ ৰাঙ্গালীস্তানের মাটি, জল, আবহাওয়া তুলসীর পক্ষে খুবই উপযোগী৷ শুধু ৰাঙ্গালীস্তান নয়, সমগ্র ভারতের প্রতি গৃহেই তুলসীর গাছ রাখার বিধি, এর ঔষধীয় গুণের কথা ভেবেই৷ সমগ্র তুলসী বর্গীয় গাছের একটা নিজস্ব বর্ণ–গন্ধ আছে৷ যদিও সকল রকম স্বভাবের তুলসীর ৰীজ অনেকটা এক ধরনের ও তুলসী বর্গের মূল গন্ধ সবাইতে আছে, তবুও সবাইকারই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে নিজস্ব গন্ধও আছে৷ যে কয়েক প্রজাতির তুলসী ৰাংলার একেবারে স্থানীয় অর্থাৎ ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়, তাদের মধ্যে রাধাতুলসী ও

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

কাঁটাল

 ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি নাম-করা ফল৷ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘কণ্টকীফলম’ থেকে অর্থাৎ যে ফলের গায়ে কাঁটা আছে৷ ফল শব্দে ‘ল’ অন্তস্থ ল (lra)৷ তাই স্বাভাবিক নিয়মে ‘কাঁটাল’-এর ‘ল’ অন্তঃস্থ ‘ল’ ‘হওয়া’ উচিত কিন্তু আসলে তা নয়৷উত্তর ভারতের সব কয়টি ভাষাতেই একে আদি ‘ল’-এর মত উচ্চারণ করা হয়৷ তাই লেখবার সময় আদি ‘ল’(la) দিয়ে লেখাই সঙ্গত৷ যা সংস্কৃত তৎসম নয় ও যার উচ্চারণও আদি ‘ল’ (la)-এর মত তাকে জোর করে অন্তঃস্থ-‘ল’ (lra) ব্যবহার করতে যাৰ কেন? তবে অনেকে ভূল করে কাঁটালকে ‘কাঁঠাল’ লেখেন৷ ৰাংলা ভাষায় কিন্তু এই ভুল বানান ‘কাঁঠাল’ লেখার প্রথা অনেকদিনের ‘পুরোনো’ ৰাংলা হেঁয়ালিতে আছে---

নিয়মিত ব্যায়ামে লিভার ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব

বিশেষ প্রতিনিধি

 নিয়মিত ও সময়মত ব্যায়াম করলে লিভারের ক্যানসারের প্রতিরোধের সম্ভাবনা বাড়ে৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা করে এর ফল পাওয়া গেছে৷ হেপাটোসেলুলার কারকিনোমা (এইচ সি সি) বা লিভার ক্যানসারের প্রতিরোধ করার জন্যে কিছু রোগীকে পরীক্ষামূলকভাবে আসন করানোর ফলে রোগীরা চমৎকার ফল পেয়েছেন৷ গবেষকরা বলেছেন এটা তাদের মধ্যে দারুণ আশা জাগিয়েছে৷ উল্লেখ্য এইচ সি সি লিভার কোষে ক্যানসার হতে সহায়তা করে৷ আর লিভার ক্যানসার এমন এক রোগ যাতে সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ মারা যায়৷ এইচ সি সি পুরুষের শরীরে ক্যানসার বিস্তারের পঞ্চম সাধারণ কারণ হিসেবে পরিচিত, মেয়েদের বেলায় সাধারণত অষ্টম কারণ৷ গবেষণার শ