প্রবন্ধ

শান্তি ও অহিংসার পীঠস্থান ভারত বর্তমানে বিশ্বশান্তি সূচকে নিম্নগামী দেশ

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের ও লজ্জার কথা, তা হ’ল ভারতের মত বিরাট দেশ যে দেশ শান্তি ও অহিংসার বাণী বিশ্বকে আজীবন শুনিয়ে এসেছে সেই দেশ আজ বিশ্বশান্তি সূচকে নিম্নগামী, গত ১৬ই জুন ফাদারস্ ডে তে দিল্লী থেকে প্রকাশিত হয় এই সংবাদ৷ ইণ্টার ন্যাশনাল থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রকাশিত সংবাদের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে আসে৷ গ্লোবাল পিস্ ইনডেকস্ জানিয়েছে ভারতের অভ্যন্তরে হিংসা বাড়ছে৷ --- ভারতীয় সমাজে দ্বন্দ্ব, হিংসা ও অশান্তি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত৷ দেশের সীমান্তে রক্তপাতের পরিমাণ বেড়েই চলেছে, রিপোর্টে জানা গেছে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ ভুটান প্রথম ২০টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ গত ১২ বছরে ৪৩ ধাপ এগিয়ে প্রথম ২০তে ঢুকে পড়েছে ভুটান৷

কৃত্রিম হিন্দিভাষা নয়, সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক হোক

সুকুমার সরকার

‘‘হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্তান’’---এই শ্লোগানই প্রমাণ করে যে সংঘ পরিবার ও সংঘ পরিবারের বিজেপি মোটেই ভারতীয় সনাতন আদর্শে আদর্শায়িত নয়৷ শ্লোগানের এই তিনটি শব্দই মুসলমানদের দান৷ আরব মুসলমানেরাই তাদের ভাষার উচ্চারণে প্রাচীন সিন্ধু অববাহিকার মানুষদের হিন্দু বলে অবিহিত করেছে, সমগ্র দেশকে তারাই হিন্দুস্তান বলেছেন৷ সুতরাং হিন্দু বা হিন্দুস্তান আজ যতটা জাতি বা ধর্মমত বাচক, তার চেয়ে বেশি দেশ বাচক৷ সেই দেশ বাচকতায় ভারতে বসবাসকারী সকল মানুষই হিন্দু৷

‘‘জয় বাংলা’’-বাংলার জয়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদদের লোকসভায় শপথ গ্রহণের সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত অধিকাংশ সাংসদ বাংলায় শপথ গ্রহণ করেন ও শপথের আগে বা পরে তাঁরা বিভিন্ন জয়ধবনিসূচক শব্দবন্ধও উচ্চারণ করেন৷ যদিও নিয়মানুযায়ী শপথের জন্যে নির্দিষ্ট বয়ানের অতিরিক্ত শব্দবন্ধগুলি সংসদের রেকর্ডে নথিবদ্ধ হয় না, তথাপি ওই জয়ধবনিগুলির মাধ্যমে বক্তার মানসিক অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশটি অবশ্যই লক্ষ্যণীয়৷ ওইসকল শব্দবন্ধগুলিতে যেমন পৌরাঢ়ণিক দেব-দেবী বা ধর্মীয় সম্প্রদায়গত জয়ধবনি ও ভারতমাতার নামে জয়ধবনি ছিল, ঠিক তেমনি ছিল জয়হিন্দ,বন্দেমাতরম্, জয় বাংলাও৷ কার্য-কারণ পরম্পরা যা-ই হোক না কেন, সংসদকক্ষে বাংলার নামে জয়ধবনি বড় একটা

মোদি কি দেশকে স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের পথে দেশকে নিয়ে যেতে চান?

মনোজ দেব

দ্বিতীয়বার বিপুল সংখ্যাধিক্যে ক্ষমতায় বসে প্রধানমন্ত্রী আবার আবাজ তুলেছেন এক জাতি, এক নির্বাচন৷ একটা কথা জেনে রাখা ভাল---বিপুল সংখ্যা হলেও বিপুল জনসমর্থন ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রায় এই নির্বাচনের ফল নয়৷ দীর্ঘকালীন ভোট, বিপুল পরিমাণ অর্থের ছড়াছড়ি, তারপর নির্বাচন কমিশনের ভেতর থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে৷ প্রযুক্তিগত কারচুপিরও অভিযোগ উঠছে৷ এই নিয়ে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও পক্ষই বিরোধীদের কথায় কর্ণপাত করেননি৷ মোদি জমানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিলেন তার সহ বিচারপতিরা৷

যোগ একদিবসের জন্যে নয়   সমগ্র জীবনের সুদৃঢ় ভিত্তি

মোহন সরকার

যোগ একটা দিবসের জন্যে নয়৷ যোগ সমস্ত দিবসের জন্যে---যোগ সারা জীবনের জন্যে৷

যোগ কী?

 জীবনের অপূর্ণতা থেকে আনবার জন্যে জীবনে যা করণীয় তারই শিক্ষার নাম যোগ৷ একটা চারাগাছকে  বিজ্ঞান সম্মতভাবে বলি পরিচর্যা করা অর্থাৎ ঠিক নিয়ম মেনে জল, সার দেওয়া, বেড়া দেওয়া, ইত্যাদির মাধ্যমে চারাগাছটিকে বিকশিত করে পত্রে ফুল ফলে ভরিয়ে তোলার বিজ্ঞানই হ’ল যোগ৷

‘যোগা’ নয়, ‘যোগ’

রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার ও জনগণকে  বিশেষভাবে সচেষ্ট হতে হবে

মুশাফির

আজ ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শোষিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত রাজ্য হল, এই ভারতের পূর্বদিকে অবস্থিত পশ্চিমবাংলা৷ কেন্দ্র চিরকালই এই রাজ্যকে শোষিত ও বঞ্চিত করে আসছে৷ যেহেতু পশ্চিমবাঙলা প্রায় ৪১ বছর বিরোধীদলের শাসনে,  তাই কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করে রাজ্যকে  প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত করে আসছে৷  বিশেষ করে দীর্ঘ ৩৪ বছর বাম শাসনের অবসানের পর যে তৃণমূল কংগ্রেস শাসনে এসেছে, সেই রাজ্য সরকারকে বিজেপি নানা ভাবে আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করে আসছে৷ এই কারণে  তৃণমূল কঠোর আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে, সেটা সারা পশ্চিমবাঙলার জনগণ উপলদ্ধি করেন৷ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শিক্ষক, শিক্ষাক্ষেত্রের অন্যান্য  কর্মচারী তথা সরকা

নির্বাচন পরবর্তী সমীক্ষা ঃ কী পেল বাঙলা ও বাঙালী

সুকুমার সরকার

উনিশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গেল৷  প্রচণ্ড মোদি ঝড়ে আঞ্চলিক  দলগুলি সহ বৃহত্তর বিরোধী দলগুলিও খড় কুটোর মতো উড়ে গেছে৷ বাঙলা ও বাঙালির ভাগ্যাকাশেও নেমে এসেছে এক পরিবর্তনের ইঙ্গিত ! এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত বাঙলা ও বাঙালির জন্যে কতটা ইতিবাচক ও কতটা নেতিবাচক তার হিসেব যদি বাঙালিরা না করে ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে৷  

যোগদিবস ও যোগসাধনা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

আধ্যাত্মিকতার ঐতিহ্যমন্ডিত মৈত্রী, সম্প্রীতি, শান্তি ও মিলনের ক্ষেত্র আমাদের দেশ এই ভারতবর্ষ যোগসাধনার পীঠস্থান হিসেবে সমগ্র বিশ্বে  স্বীকৃত ও বন্দিত৷ অতিপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতবর্ষের মুনিঋষিগণ  বহু সাধনার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক,  মানসিক ও  আধ্যাত্মিক স্তরের সর্বাত্মক উন্নতিকল্পে নানাবিধ প্রক্রিয়া-পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ও গুরু-শিষ্য পরম্পরায় সেই শিক্ষা কালক্রমে সাধারণ মানুষের কল্যাণে প্রসারিত হয়েছে৷ সুদীর্ঘ সাধনার অভিজ্ঞতায় তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন যে আধ্যাত্মিক সাধনার পথে অগ্রগতি আনতে হলে শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক স্বচ্ছতা একান্ত প্রয়োজন৷ মানুষের শরীরে যে সকল গ্রন্থি-উপগ্রন্থি রয়েছে সেগুলি থেক

বহু ভাষাভাষী রাষ্ট্র ভারত যেখানে বহুত্ববাদকে মান্যতা দিতে হবে সেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে হিন্দী ভাষা নিয়ে বাড়াবাড়িটা বিসদৃশ

প্রভাত খাঁ

দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে বিজেপি তথা এন.ডি.এ৷ সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ হ’ল কীভাবে সারা ভারতে যে ভয়ঙ্কর বেকার সমস্যায় কোটি কোটি শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকার হয়ে জীবন যন্ত্রণা ভোগ করছেন তার কিছুটা সমাধানের চেষ্টা করা৷ তা না করে সেই হিন্দীভাষাকে কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কচি কচি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রবেশ করানো যায় তার জন্য পাঠ্যবিষয়ে হিন্দীকে বাধ্যতামূলক করতে কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ এ ব্যাপারে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন কমিটির তৈরী জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া পেশ করার প্রস্তাব করা হয় লোকসভায়৷ ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে মাতৃভাষা, ইংরেজী ও হিন্দী ভাষাকে বাধ্যত

বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থরক্ষার তাগিদে আপামর বাঙালীকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

সুজলা, সুফলা, শস্যশ্যামলা বাংলার মাটি, জল, পরিবেশ, জলবায়ু, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বাঙালী জাতির বৈশিষ্ট্যে এক অভিনব স্বকীয়তা প্রদান করেছে৷ বাঙালী একাধারে অতি ভাবপ্রবণ, সহজ-সরল জীবনে অভ্যস্ত,সহনশীল, অতিথি বৎসল---আবার প্রয়োজনে এই বাঙালীই অস্ত্র হাতে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ভীষণ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতেও সমান দক্ষ৷ বাঙালির ঐতিহ্য আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা, মিলন,মৈত্রী ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্বল৷ ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, স্বদেশপ্রেম, সর্বক্ষেত্রেই বাঙালীর অবদান পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেছে৷ এই বাংলাতেই জন্মেছেন মহাপ্রভু চৈতন্যদেব, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ,ঋষি