ইউ.জি.সি-এর ছাত্র স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বাঙালী ছাত্র/যুব সমাজ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় ছাত্র/ছাত্রা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে। রাজ্য ছাত্র সচিব শ্রী বিপ্লব দাস জানায়-ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীন রাজ্যের প্রতিটি সরকারী ডিগ্রী কলেজে ভর্তির জন্য জাতীয় স্তরের এন্ট্রান্সের পরীক্ষায় বসতে আবেদন করার জন্যে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সী গত ৬ ই এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারী করেছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের আশীর্বাদ পুষ্ট বিশ্ব বিদ্যালয় কমিশন ইউজিসি আচমকা দেশের ছাত্র/ছাত্রাদের স্বার্থবিরোধী এধরনের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত প্রথমবারের মতো গ্রহণ করল। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তর যেহেতু ইউজিসির গাইডলাইন লঙ্ঘন করতে পারবে না তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, এমবিবি বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনে থাকা এমবিবি কলেজ,বিবিএমসির মতো কলেজগুলিতে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে উল্লেখিত নিয়মনীতি চালু হবে। এখন প্রশ্ন হলো-ইউজিসির জাতীয় স্তরের কম্পিউটারাইজড ভিত্তিক এন্ট্রান্স পরীক্ষায় কাট অব মার্ক্স অর্জন করতে না পারে, তবে দ্বাদশে উত্তীর্ণ ছাত্র -ছাত্রারা কী কলেজে ভর্তি পারবে না - এমনকি দ্বাদশে ৮০/৯০ শতাংশ নম্বর পেলেও? উল্লেখিত জয়েন্ট এন্ট্রান্সের জন্যে কী ভবিষ্যতে অনেক ছাত্র-ছাত্রার উচ্চ শিক্ষার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে? বাঙালী ছাত্র/যুব সমাজ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি সঙ্গত কারণেই ছাত্র-ছাত্রার স্বার্থে পরিপন্থী উল্লেখিত সরকারী সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী। আমাদের দাবী- ১. রাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ সমস্ত ছাত্র -ছাত্রাদের কলেজ তথা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। কলেজে ভর্তির  ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা রাখা চলবে না। ২. প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ব বিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে সম্পূর্ণ অবৈতনিক করতে হবে। ৩. শিক্ষান্তে প্রতিটি বেকারের নিশ্চিত কর্মসংস্থানের গ্যারান্টি দিতে হবে। ৪. একাদশ-দ্বাদশ  শ্রেণীতে বাংলা ভাষাকে ঐচ্ছিকের পরিবর্তে আবশ্যিক  করতে হবে। ৫. সরকারী-বেসরকারী সমস্ত কাজে স্থানীয় ভাষা তথা বাংলার প্রচলন করতে হবে। ৬. অবিলম্বে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয় স্তরে বিষয় শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।