বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

খ্রীষ্টান জব চার্ণকের হিন্দুস্ত্রী

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সেই ইংরেজ আমলের কথা৷ ১৭৮০ খ্রীষ্টাব্দের একটি সংবাদপত্র থেকে জানা যায়, ইংরেজরা এদেশীয় মেয়েদেরই রক্ষিতা হিসাবে রাখতো৷ ইউরোপীয় মেয়েদের রক্ষিতা করে রাখা সাহেব সমাজে ছিল নিষিদ্ধ৷

কিন্তু এই রক্ষিতাদের সাথে অনেক সাহেব ভালাবাসা ও বিবাহসূত্রে, আবদ্ধ হয়ে পারিবারিক সম্পর্কও গড়ে তুলেছিলেন৷ এদেশীয় হিন্দুরমনী বিয়ে করে রক্ষিতা নয়, তাদের রীতিমতো স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন৷

ধর্মমত ও ধনতন্ত্রকে আশ্রয় করে দেশ বাঁচবে না

প্রাউটিষ্ট

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও দেশের মানুষ আর্থিক স্বনির্ভরতা পেলেন না৷ পুঁজিবাদ আশ্রিত রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ মানুষের আর্থিক বিকাশের লক্ষ্যে কোন বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে না৷ যে দলই যখনই শাসন ক্ষমতায় আসে পুঁজিবাদের স্বার্থ ও সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের উর্দ্ধে সব শ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণের কথা ভাবতে পারবে না৷ পুঁজিবাদের তোষণ ও দলীয় স্বার্থসিদ্ধিই শাসনের দিকদর্শন বলে সবদলই মেনে নিয়েছে৷

অসমে বাঙালীকে ভাতে মারার ষড়যন্ত্র

পত্রিকা প্রিতিনিধি

মার নয়, দাঙ্গা নয়, ভাতে-কাপড়ে মরার জন্য প্রস্তুত থাকুক বাঙালি, আর তা না হলে অন্যথা পালিয়ে যাক৷আমরা বুঝেও বুঝতে চাইছি না, এর পরিণতি ভয়ংকর৷ এবার স্বেচ্ছায় শরণার্থী হয়ে আবার পালাবার সময় আসছে৷ বাঙালি হিন্দু বলে নিস্তার হবে বলে আমার মনে হয়না৷

আসুর আন্দোলন ছিল রাস্তায় নেমে, উগ্র, বর্বর, জঘন্য৷ তারা আইন নিজেদের মতো করে চালিত করতো৷ আমজনতা ও প্রশাসনের পূর্ব সমর্থন ছিল৷ আক্রমণকারীরা ও এক শ্রেণির অসমিয়া বুদ্ধিজীবী প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন৷

বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের সন্দেহ দূর করা চাই

প্রাউটিষ্ট

একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় প্রকাশ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া জারি থাকলেও ভারত এখন স্বৈরাতান্ত্রিক পর্যায়ে আছে৷ ভারতীয় গণতন্ত্রের তিনটি মূলস্তম্ভ বিচার বিভাগ, সংবাদ মাধ্যম ও নির্বাচন কমিশন, এই তিনটি স্তম্ভই আজ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত৷

রামায়ণ পুরাণের শ্রীরামচন্দ্রকে যে কেউ ভগবান মানতে পারেন, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে শাসককে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি মেনেই চলতে হবে

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষ নাকি সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে জগতের মানুষকে অধ্যাত্মবাদ ও মানবতাবাদের পীঠস্থান হিসাবে শিক্ষাদান করে আসছে৷ কিন্তু এই অত্যাধুনিক যুগে এসে দেখা যাচ্ছে এদেশের যারা দণ্ডমুণ্ডের কর্র্ত্ত হয়ে শাসনে এসেছে তাদের অনেকেরই তো সামান্যতম সৌজন্যবোধটুকু নেই যেটা অল্প বয়স্কশিশুদের আছে! তাহলে এই গুরুত্বপদে এলো তারা কি করে ? তাদের যারা এনেছে তারাই বা কেমন! তাই বলতেই হয় এই দেশের দলতান্ত্রিক শাসকগুলোই হলো সেই ধান্দাবাজ, মিথ্যাচারী, প্রকৃত মনুষ্য পদবাচ্যের মধ্যে আসে কী? তাই দেশ ও দলের কল্যাণে জনগণকেই তাদের বিতাড়িত করতে হবে! নচেৎ সর্বনাশ হবে দেশটারই৷

গণতন্ত্রের বেদীতে দানবীয় হুংকার

মনোজ দেব

ভারতবর্ষ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ৷ এ কথা গর্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়৷ কিন্তু এক শ্রেণীর নেতাদের আচরণে কথাবার্র্তয় দানবীয় স্বৈরাতন্ত্রের ছাপ৷ স্বাধীনতার পূর্বে এই লক্ষ্মণ দেখা দিয়েছিল জাতীয় কংগ্রেসের গান্ধী গোষ্ঠীর মধ্যে৷ গান্ধী সুভাষ দ্বন্দ্বের সময় গান্ধী গোষ্ঠী গান্ধীকে হিটলার স্ট্যালিনের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন৷ হিটলার স্ট্যালিন দুজনেই ছিলেন স্বৈরাচারী একনায়ক তান্ত্রিক৷ সেই স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ পরাধীন ভারতে সেদিনই প্রস্ফুটিত হয়েছিল৷ তারই পরিনামে সুভাষচন্দ্রের কংগ্রেস ত্যাগ, দেশত্যাগ, দেশভাগ ও স্বাধীনতার প্রহসন৷

প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ মানে না

পথিক বর

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়৷

আবার সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ কোথাও কোথাও ধর্মের নামে শিশুবলি পর্যন্ত হচ্ছে কিন্তু এগুলির কোনটাই প্রকৃত ধর্ম নয়৷ কোনরকম যুক্তিহীন, অমানবিক কার্যকলাপের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ থাকতে পারে না৷

আজকের সমস্যাসংকুল পৃথিবীতে শান্তি রক্ষার দায় ইউ.এন.ও-এরই

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের কথা একদিকে বাংলাদেশ ও অন্যদিকে সিরিয়া দুটো দেশেই অন্তবর্ত্তীকালীন সরকার৷ দুটো দেশের বর্তমান অবস্থাটা একেবারেই সঙ্গীন! অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় নারীজাতির প্রতি যে নিষ্ঠুরতম অত্যাচার চলছে সেটা পশুর রাজ্যেও হয় না! সিরিয়ায় দুর্দিনে ২০০০-এর অধিক মৃত্যু হয়েছে৷ তাদের মধ্যে মাতৃজাতির সংখ্যাই বেশী৷ কি লজ্জার কথা তাঁদের উলঙ্গ করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে! মৃতদেহগুলি রাস্তায় পড়ে আছে! এ কেমন সভ্যদেশ! অন্য দিকে বাংলাদেশেও সেই মাতৃজাতির উপর চরম পাশবিক অত্যাচার চলছে!

ধর্মমতের গণ্ডীবদ্ধ জীবন অতিক্রম করে মানুষ কবে মানুষ হবে

প্রাউটিষ্ট

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের জালে জড়িয়ে আঁতুড় ঘর থেকে শশ্মানঘাট পর্যন্ত শোষনের জাল বোনা হয়েছে৷ অপ্রয়োজনীয় সামাজিক আচরণের বোঝাকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়৷

ভারতে বাঙালী কি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

‘‘আমরা পৃথিবীর- পৃথিবী আমাদের দেশ---আরো ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোট গ্রহটা আছে, সেই পৃথিবীর এক কোণে ৰাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ .....