সংবাদ দর্পণ

ধনতন্ত্র মার্কসবাদ মানব কল্যাণে ব্যর্থ - প্রাউটই মানবতার আর্থিক মুক্তির পথ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত একমাসের অধিক সময় ধরে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের উপর আলোচনা শুরু হয়েছে দিল্লী সেক্টরে রিজিয়নগুলিতে৷ প্রথম ডায়োসিস স্তরের আলোচনা শেষে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ডায়াসিস স্তরের আলোচনা, পরবর্তী স্তর গুলিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ আনন্দমার্গ দর্শনে সামাজিক আধ্যাত্মিক বিষয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত৷ তাই সেমিনারগুলিতে আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিষয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়৷

এবার সেমিনারে প্রাউট অর্থনীতির বিষয় ছিল---‘প্রাউটের অর্থনীতি-ব্যবস্থার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য৷ প্রাউটের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনায় প্রশিক্ষকগণ বলেন---জড় বিজ্ঞানে পৃথিবী অনেকটাই এগিয়েছে৷ মানুষ আজ গ্রহে গ্রহান্তরে ছুটে চলেছে৷ তবুও বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের জীবন ধারণের প্রাথমিক প্রয়োজনটুকুও পূর্তি হলো না তাই প্রাউট প্রবক্তা বলেছেন---‘‘এই প্রয়োজন মেটাবার জন্যেই একদিন অবস্থার চাপে পড়ে ‘প্রাউট’ দর্শন তৈরী করতে বাধ্য হয়েছি৷’’

বাস্তবিক অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসা জীবন যাপনের এই প্রাথমিক তথা নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্ত্তি না হলে মানবজাতির সামগ্রিকভাবে উন্নতি সম্ভব নয়৷ অর্থনীতি সম্পর্কে প্রাউট প্রবক্তা বলেছেন---‘আজ অর্থনীতি বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একে অধিকতর বাস্তব মুখী হতে হবে৷ ---অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷’’

বিশ্বে এযাবৎ প্রচলিত কোন তত্ত্বই বিশেষ করে ধনতন্ত্র ও কম্যুনিজম মানবজাতির সামগ্রিক কল্যাণের পথ দেখাতে পারেনি৷ ব্যষ্টি কেন্দ্রীয় অর্থনীতি ধনতন্ত্রের উদ্দেশ্যই মুনাফা লোটা৷ অধিক শ্রম-কম মজুরি দিয়ে উৎপাদন করাটাই লক্ষ্য৷ ফলে শ্রমিকরা শোষিত হয়৷ এককথায় ধনতন্ত্র শোষণের হাতিয়ার৷ মার্কস ধনতন্ত্রের অমানবিক শোষণ দেখেই সাম্যবাদী অর্থনীতির প্রবর্তন করেন৷ কিন্তু মানুষকে শোষণমুক্ত করতে সাম্যবাদ ব্যর্থ হয়েছে এর প্রধান কারণ মার্কসের শোষণের সঙ্গা নির্ধারণে ত্রুটি থেকে গেছে৷ তাই কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্রগুলোয় মার্কসের শোষণতত্ত্বকে পরিত্যাগ করেছিল৷ মার্কসের সমাজতন্ত্র অলীক কল্পনাই থেকে গেছে৷ তাই আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবক্তা বাধ্য হয়েছেন তাঁর প্রবর্ত্তিত আনন্দমার্গ দর্শনে অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউটকে অন্তর্ভুক্ত করতে৷

মার্কস শোষনকে শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখেছেন৷ কিন্তু ধনতান্ত্রিক শোষক গোষ্ঠী অর্থনৈতিক শোষণের সঙ্গে মানুষের দৈহিক মানসিক ও আত্মিক বিকাশকেও স্তম্ভিত করে দেয়৷ প্রাউট শোষণকে অনেক ব্যাপক দৃষ্টিকোন থেকে দেখেছে ও সেইভাবেই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরী করেছে৷ তাই প্রাউটের আর্থিক ব্যবস্থা রূপায়ন হলে মানুষ শুধু আর্থিক মুক্তিই পাবে না, মানসিক আধ্যাত্মিক শোষণ থেকেও মুক্ত হবে৷ তাই একমাত্র প্রাউটের পথেই মানব সমাজের সার্বিক কল্যাণ সম্ভব৷ সেমিনার গুলো থেকে বর্তমান নিদারুণ আর্থিক দুরাবস্থা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে চিন্তাশীল ও বিচারবোধ সম্পন্ন মানুষকে আহ্বান জানানো হয় মানবজাতির সামগ্রিক কল্যাণে প্রাউটকে জেনে বুঝে ও তার বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়ার৷

আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধানুযায়ী শিশুর নামকরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪ই ফেব্রুয়ারী’২৫ চিৎমু নিবাসী ঘনশ্যাম ও সত্যবতী টুডুর প্রথম পুত্র সন্তানের পর দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধানুযায়ী নামকরণ ও অন্নপ্রাশন নিজগৃহে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় শেষে নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করার পর সকলে মিলে নবাগতা শিশুর নাম রাখা হয় অরুণিমা৷ প্রীতিভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি করা হয়৷

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৫ই ফেব্রুয়ারী’২৫ মহিলা শাখা পরিচালিত উমানিবাস (খটঙ্গা) আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ শিশুরা খুব আনন্দ উপভোগ করে৷

দধীচি দিবসে নিপীড়িত মানবতার মুক্তির শপথ গ্রহণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫ই মার্চ ছিল দধীচি দিবস৷ পুরুলিয়ার আনন্দনগরে --- আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় হতদরিদ্র মানুষগুলোর জন্যে গড়ে উঠেছিল নানা সেবাকেন্দ্র, স্কুল, শিশুসদন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রভৃতি৷ সর্বহারার দল কমিউনিষ্টরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল৷ মানুষ যদি এত উন্নয়নের ছোঁয়া পায় তাহলে সর্বহারা দলের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে৷

সময়টা ছিল ১৯৬৭ সাল৷ রাজ্যে তখন যুক্তফ্রন্ট সরকার৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু৷ শাসকদলের মদতেই চিরাচরিত কম্যুনিষ্ট প্রথায় আনন্দমার্গে বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে ওই অঞ্চলের হতদরিদ্র সহজ সরল কিছু আদিবাসী মানুষকে আনন্দমার্গের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুললো৷ ক্ষেত্র প্রস্তুত করে ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গ আশ্রম আক্রমণ করে কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনী যার নেতৃত্বে ছিল কম্যুনিষ্ট পার্টির জেলার নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)৷ কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে সেদিন নিহত হন আনন্দমার্গের পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী কর্মী, তারা হলেন--- আচার্য অভেদানন্দ অবধূত, আচার্য সচ্চিদানন্দ অবধূত, আচার্য অবোধ কুমার ব্রহ্মচারী আচার্য প্রবোধ কুমার ব্রহ্মচারী ও আচার্য ভরত কুমার ব্রহ্মচারী৷

কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনীর চক্রান্ত ব্যর্থ করে আনন্দমার্গ আজ সারা বিশ্বে তার বিজয় রথের পতাকা উড়িয়ে এগিয়ে চলেছে৷ আর সেই কম্যুনিষ্টরা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় পৃথিবী গ্রহ থেকেই লুপ্ত হতে চলেছে৷

সেই দিন থেকে ৫ই মার্চ আনন্দমার্গ বিশ্বের সকল ইয়ূনিটে দধীচি দিবস পালন করে৷ পুরানের কাহিনী অনুযায়ী দধীচি মুনি আসুরিক শক্তির বিনাশ করতে আত্মত্যাগ করেছিলেন৷ কম্যুনিষ্ট অসুরদের প্রতিহত করতে সেদিন আনন্দমার্গের পাঁচজন সন্ন্যাসী আত্মত্যাগ করেন৷

এই দিন মূল অনুষ্ঠানটি হয় সেদিনের ঘটনাস্থল আনন্দনগরে৷ সেখানে সকাল থেকে পাওয়ার হাউসে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্তন ও ঈশ্বর প্রণিধানের পর শোভাযাত্রা করে দধীচি হিলে সমবেত হন৷ সেখানে দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের মহান আত্মত্যাগ স্মরণ করে সমাজকে অশুভশক্তি থেকে মুক্ত করার শপথ গ্রহণ করেন উপস্থিত সকলে৷ এরপর সন্ধ্যায় উপবাস ভঙ্গ করে সকলে মিলিত আহার করেন৷ এছাড়া কলিকাতা কেন্দ্রীয় আশ্রম সহ বিশ্বের সমস্ত ইয়ূনিটে দধীচি দিবস পালন করা হয়৷ এইদিন সারাদিন আনন্দমার্গীরা উপবাসে থাকেন ও সন্ধ্যায় ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে সমাজ থেকে পাপশক্তি বিনাশের শপথ গ্রহণ করে৷

অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৬ই ফেব্রুয়ারী’২৫ বাবা স্মৃতি শৌধে মাসিক তিন ঘণ্টা অখণ্ড নামসংকীর্ত্তন ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপূজা, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহার ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

উমানিবাস আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২০শে মার্চ ২০২৫, উমানিবাস (খটঙ্গা) মহিলা বিভাগের অন্তর্গত আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মহা উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে৷ এদিন গ্রামের শিশু-কিশোরদের নৃত্য, সঙ্গীত, ছড়া, কবিতা আবৃত্তি ও ‘‘যার যেমন ধর্ম, তার তেমন বক্তব্য’’ শীর্ষক বিশেষ পরিবেশনা সকলকে মুগ্দ করেছে৷ সেই সন্ধ্যায় আনন্দ, সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অপূর্ব সম্মিলন হয়েছিল৷

মোদির বিকশিত ভারতের প্রচার অসার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সোস্যাল মিডিয়া থেকে মাঠে ময়দানে প্রচারে মোদির ভারত এখন উন্নয়নের চূড়ায়৷ কেউ বলছে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এখন সুপার পাওয়ার৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এই প্রচারকে চুপসে দিল একটি প্রতিবেদন৷ উন্নয়নের বিভিন্নক্ষেত্রে মোদির ভারত অনেক পিছনে৷ সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যাণ্ড এনভারমেন্ট-এর স্টেট্‌ অব স্টেটস্‌ আর উই অন ট্র্যাক টু অ্যাচিভ সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস্‌ ২০৩০-এর একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে৷ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন---ক্ষুধা ও অপুষ্টি কমিয়ে আনা, সুস্বাস্থ্য,পানীয় জল ও নিকাশি পরিসেবা, আন্ডারওয়েট, লিঙ্গ সাম্য, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে উন্নয়নের মাপকাঠিতে ভারত ১৬৭টি দেশের মধ্যে ১০৯ নম্বর স্থানে আছে৷ ১৬টি সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস্‌-এর ভিত্তিতে তৈরী প্রতিবেদনে জানা যায় ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণে ভারত আশানুরূপ ফল পায়নি৷ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে ৩২.১ শতাংশের ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম, অন্তসত্ত্বা নারীদের ৫২.২ শতাংশ অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন৷ উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯.৬৬ শতাংশ, কিন্তু সেখানে মোট কর্মসংস্থানের মাত্র ১১.৪২ শতাংশ হয়েছে৷ পরিষেবার ক্ষেত্রেং ৫২.৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার অনেক নীচে মাত্র ২৭.৭৫ শতাংশ৷ উদ্ভাবন সূচকে ভারতের কপালে জুটেছে ১০০ এর মধ্যে ৩৬.৪ শতাংশ৷ সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও ভারত অনেক পিছনে৷ প্রতি এক লক্ষের মধ্যে ৩৭টি শি অপরাধের শিকার হয়, ১০ লক্ষের মধ্যে চার জন মানব পাচারের শিকার৷ এই প্রতিবেদন মোদি সরকারের প্রচারের বেলুন চুপসে দিয়েছে৷

আনন্দমার্গ কলেজ পর্যন্ত পথশ্রী-৩ প্রকল্পের সঙ্গে অসম্পূর্ণ কালভার্টটি সম্পূর্ণ করে প্রকল্পটির সঙ্গে সংযুক্ত করার আবেদন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গ কলেজ পর্যন্ত পথশ্রী-৩ প্রকল্পের সঙ্গে অসম্পূর্ণ কালভার্টটি সম্পূর্ণ করে প্রকল্পটির সঙ্গে সংযুক্ত করার আবেদন পথশ্রী-৩ প্রকল্পের অধীনে শালগ্রাম মেইন রোড থেকে রাজু মাঝির বাড়ি হয়ে আনন্দমার্গ কলেজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য পুরুলিয়া জেলা পরিষদ ৮৪,৯৮,৫৯৭ টাকা বরাদ্দ করেছে৷ কিন্তু প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার শ্রী সন্তোষ দত্ত কলেজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্থানীয় জনগণ ও ছাত্রছাত্রাদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷

এ বিষয়ে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থন সহকারে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা, পুরুলিয়া ডিভিশন-এর নিকট আনন্দমার্গ কলেজ পর্যন্ত রাস্তাটি সম্পূর্ণ করার জন্য আবেদন জানানো হয়৷ ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মহোদয় প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার আশ্বাস দিলেও তিনি জানান যে, অসম্পূর্ণ কালভার্টটির নির্মাণ কাজ জেলা পরিষদ কর্তৃক সম্পাদিত হয়েছে৷ তাই গ্রামীন উন্নয়ন সংস্থা এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে না ও জেলা পরিষদকে বিষয়টি জানাতে হবে৷ ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার, পুরুলিয়া-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিতভাবে ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার, জেলা পরিষদ, পুরুলিয়া ও অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পরিষদ, পুরুলিয়া-এর নিকট আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন৷ সেই অনুসারে, আজ ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে রেক্টর মাষ্টার আনন্দনগর আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থন সহকারে অসম্পূর্ণ কালভার্টটি সম্পূর্ণ করার জন্য আবেদন জমা দেওয়া হলো৷ কালভার্টটি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে স্থানীয় জনগণ ও ছাত্রছাত্রাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে আর তাদের ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হবে না৷ আশা করা যায়, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে ও প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করে স্থানীয় মানুষের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে৷

পশ্চিম মেদিনীপুরে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত নেড়াদেউল আনন্দমার্গ স্কুলে ৩৫৯তম ২৪ঘন্টা ব্যাপী বাবা নাম কেবলম কীর্তন অনুষ্ঠিত হল ৪ঠা ও ৫ই ফেব্রুয়ারি৷ মেদিনীপুর ডায়োসিসে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর যাবৎ প্রতি মাসের ৪,৫ তারিখ এই কীর্তন অনুষ্ঠান চলছে৷ এখানে কীর্তন অনুষ্ঠানে স্থানীয় আনন্দমার্গী সহ বহু গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন৷ মেদিনীপুর শহর থেকেও অনেক মার্গী দাদা দিদি কীর্তন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন৷ ডায়োসিস সচিব আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ বিভুকণা আচার্যা কীর্তন পরিচালনা করেন৷ কীর্তন শেষে মিলিত আহারে অংশ নেন প্রায় ছয় শতাধিক গ্রামবাসী৷ নেড়াদেউল আনন্দ মার্গ স্কুলের টিচার ইন চার্জ শ্রী দুর্গা প্রসাদ ঘটক সহ সকল শিক্ষক এই অনুষ্ঠানটিকে সফল করে তুলতে যথেষ্ট পরিশ্রম করেন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ভুক্তি প্রধান শ্রী শুভাশীষ সাহু জানান কীর্তন অনুষ্ঠানের শুভ প্রভাব এলাকায় পড়ে৷ ৮ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষ আনন্দমার্গ আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাধনা পদ্ধতি গ্রহণ করেন৷

২০২৬-এর মধ্যে চালু হতে চলেছে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাওয়ার উড়ন্ত সমুদ্রযান

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

কলকাতা থেকে চেন্নাই যেতে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা, ভাড়াও নামমাত্র, ৬০০ টাকা৷ শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি৷ আইআইটি মাদ্রাজের ইনকিউবেশন সেলের সহায়তায় একটি স্টার্ট-আপ সংস্থা একটি উড়ন্ত সমুদ্রযানের নকশা তৈরি করে ফেলেছে৷ সেই যানে চড়ার স্বপ্ণ খুব শীঘ্রই বাস্তব হবে বলে দাবি করেছে ওয়াটারফ্লাই টেকনোলজিস নামের সংস্থাটি৷ শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা এই সমুদ্রযানের ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ তাঁর এই পোস্টটি সমাজমাধ্যমে নজর কেড়েছে ও ভাইরাল হয়েছে৷ তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘‘প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নতুন প্রযুক্তিগত উদ্যোগের খবর পাওয়া যায়৷ এই গাড়ির নকশাটি অসাধারণ!’’

স্টার্ট-আপ সংস্থাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হর্ষ রাজেশ জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই বৈদ্যুতিক যান তৈরি করে যাত্রাপথকে দ্রুততর ও খরচসাশ্রয়ী করার চেষ্টা করছেন৷ তিনি আরও জানান, অভিনব এই উড়ন্ত সমুদ্রযানে কলকাতা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত ১,৬০০ কিলোমিটার পথ মাত্র ৬০০ টাকায় যাওয়া যাবে, যা ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণির বাতানুকূল টিকিটের চেয়ে সস্তা হবে৷ যানটি সমুদ্রের জলের খুব কাছ দিয়ে উড়বে৷ এর ফলে ডানার ঘর্ষণ কমবে ও কম গতিবেগে উড়তে পারবে বলে স্টার্ট-আপের আর এক প্রতিষ্ঠাতা কেশব চৌধরি জানিয়েছেন৷

একটি সাধারণ এয়ারবাস বা বোয়িং বিমান কলকাতা থেকে চেন্নাই যেতে আড়াই থেকে তিন টন এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল (এটিএফ) খরচ করে৷ খরচ পড়ে প্রতি কিলোলিটারে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা৷ তবে, নতুন এই উড়ন্ত সমুদ্রযান এই খরচ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমাতে পারে, যার ফলে টিকিটের দাম কম হবে বলে আশা করেছেন এই সংস্থার কর্তারা৷

যদিও এই প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ সংস্থার পক্ষ থেকে কেবলমাত্র এটির নকশা উপস্থাপন করা হয়েছে৷ ১০০ কেজি ওজনের প্রথম ‘প্রোটোটাইপ’টি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রস্তুত হওয়ার আশা করছে সংস্থা৷ ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এক টনের একটি যান উড়ানের জন্য তৈরি হবে বলে জানানো হয়েছে৷ সংস্থাটি ২০২৬ সালের মধ্যে একটি ২০ আসনের যান তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে৷ সেই উড়ন্ত সমুদ্রযান চেন্নাই থেকে কলকাতা যাতায়াত করতে সক্ষম হবে৷