সংবাদ দর্পণ

বিরামহীন কর্মজীবন ত্যাগ করে পরলোকে পাড়ি দিলেন অবধূতিকা আনন্দপ্রজ্ঞা আচার্যা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 গত ১লা এপ্রিল আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবীন সন্ন্যাসিনী দিদি অবধূতিকা আনন্দপ্রজ্ঞা আচার্যা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় পরলোক গমন করেন৷ তাঁর অকস্মাৎ প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বের আনন্দমার্গীরা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন৷ তাঁর বিরামহীন কর্মজীবন সংঘের সকলস্তরের কর্মীদের কাছে দিদিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল৷

১৯৭১ সালে জানুয়ারী মাসে তিনি সংঘের সর্বত্যাগী কর্মী হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন৷ তিনি খুবই ভক্তিপ্রাণা, আদর্শ পরায়ণ ও সংঘের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন৷ সংঘের বিভিন্ন বিভাগের সর্র্বেচ্চ পদে থেকে দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কর্তব্য পালন করে গেছেন৷ নারীকল্যাণ বিভাগ, শিক্ষা ও ত্রাণ বিভাগ, মেডিকেল বিভাগ ও বহির্ভারতে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন৷ তাঁর প্রয়ানে সংঘ একজন নিষ্ঠাবান ও সদা তৎপর কর্মীকে হারাল৷

দিদি আনন্দ উত্তমা, কায়রো সেক্টর থেকে ঃ অত্যন্ত দুঃখজনক খবর, তিনি মিশনের জন্য এক অসাধারণ সম্পদ ছিলেন৷ আমার প্রথম সেক্টোরিয়াল উইমেন ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারী৷ টোকিও যাওয়ার পথে ব্যাংককে আমাদের দেখা হয়েছিল এবং আমরা একসাথে উড়ে গিয়েছিলাম, এয়ারপোর্টে দিদি এ. গৌরী আমাদের স্বাগত জানান৷ সেই সময় দিদিদের জাগৃতি ছিল তাকাদানববা নামে একটি এলাকায়৷ যখন আমরা স্টেশনে পৌঁছালাম এবং তিনি নামটা দেখলেন, তখন তাঁর মুখ এক বিশাল হাসিতে ভরে উঠলো৷ তিনি প্রায়ই বলতেন, ’আমরা তাকাদানোবাবাতে থাকি!’ ’বাবা’ শব্দের উপর জোর দিয়ে৷ তিনি আমাদের সেবা সম্পর্কে শিক্ষা দিতেন৷ তিনি আমাদের সারা রাত জাগিয়ে বাচ্চাদের হোম বা দিদিদের প্রকল্প বা এই মার্গী বা সেই মার্গীর জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগ ভর্তি জিনিসপত্র প্যাক করাতেন৷ আমরা অন্তত এক বা দুইজন দিদি তাঁর সাথে বিমানবন্দরে যেতাম, আমাদের প্রত্যেকের হাতে স্যুটকেস, প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং সব ধরনের লাগেজ থাকত, প্রায়শই যা ভেঙে যেত৷ তারপর আমরা এমন ভ্রমণকারীদের খুঁজে বের করতাম যাদের চেক-ইন ব্যাগেজ ছিল না এবং তাদের আমাদের এই জিনিসগুলো চেক-ইন করতে অনুরোধ করতাম৷ আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতাম যে তিনি ভারতে গিয়ে কীভাবে এই সব সামলাবেন? তিনি শুধু হেসে বলতেন, ‘বাবা সব করে দেবেন৷’ তিনি ছিলেন অক্লান্ত, প্রায় ঘুমাতেন না এবং আমাদের সবার মিলিত শক্তির চেয়েও বেশি শক্তি তাঁর ছিল৷ আর তিনি আমাদের ভক্তি সম্পর্কে শিক্ষা দিতেন৷ তাঁর কাছ থেকেই আমরা রাতে ঘুমানোর আগে বালিশে আঙুল দিয়ে বাবার নাম লেখা শিখেছি, যা আমি আজও করি৷ যখন আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হতো, তিনি বলতেন, ‘বাবার কাছে কাঁদো! তাঁর পায়ে নিজেকে সঁপে দাও, তাঁর পা আঁকড়ে ধরো এবং ছেড়ে দিও না!’ মজার ব্যাপার হলো, মাত্র দুই রাত আগে, আমি ঠিক এই কথাগুলোই একজন বোনকে বলছিলাম, তাকে বলছিলাম যে আমার প্রথম এসডব্লিউডব্লিউএস আমাদের সবসময় এই কথা বলতেন৷ তিনি ছিলেন আকারে ছোট একজন মানুষ, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি, তাঁর হৃদয় এবং তাঁর ভক্তি ছিল বিশাল৷ তিনি নিশ্চিতভাবেই তাঁর কোলে আছেন৷

বাংলা দেশের ইতিহাস মুছতে চাইছে ইউনুস সরকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন চিন উড়ে গেলেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস৷ ২০২৪ আগষ্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধ মুজিবর রহমান সহ ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সব স্মৃতি ধবংস করা শুরু হয়৷ বঙ্গবন্ধুর ধানমাণ্ডির বাড়িও ভাঙচুর করা হয়৷

৭১-এর ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টাকে একই সুরে নিন্দা করেছে আওয়ামি লিগ ও বাংলাদেশ জাতীয় দল (বি.এন.পি)৷ সেখ হাসিনা অন্তবর্তী সরকারকে হায়নার সঙ্গে তুলনা করে বলেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস মুছতে চাইছে৷ তবে এই কাজ যারা করছে তারা কোনদিন সফল হবে না৷

খালেদা জিয়ার বি.এন.পি দলও জানায় ৭১-এর ইতিহাস ভুলিয়ে দেবার চেষ্টায় লিপ্ত কিছু মানুষ৷ বি.এন.পি এই কাজ কোনভাবেই মানবে না৷ বি.এন.পি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন কিছু ব্যষ্টি গোষ্ঠী দেখাতে চাইছে ৭১-এ বাংলাদেশে কিছু ঘটেইনি৷ যারা সে সময় গণহত্যার সামিল ছিল তারাই আজ বেশী সুর চড়াচ্ছে৷ মুক্তি যুদ্ধের সময় গণহত্যায় জড়িত ঘাতকরাই ইতিহাস বিকৃত করতে চাইছে৷ তিনি দেশের ইতিহাস সংরক্ষণ ও নব প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ডাক দেন৷ আগামী বছর জুনের মধ্যে দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে বলে আশ্বাস দেন ইউনুস চিন যাওয়ার আগে৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়া জেলার মৌড়ীগ্রাম নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীশ্যামাপদ মণ্ডলের স্ত্রী বিজলী মণ্ডলের মাতৃদেবী শেফালী মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয় গত ২রা মার্চ মৌড়ীগ্রাম বাসভবনে৷ মৃত্যুর সময় শেফালী মণ্ডলের বয়স হয়ছিল ৮৫ বছর৷

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর ভাবগম্ভীর পরিবেশে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ উপস্থিত ছিলেন মহাব্রত ব্রহ্মচারী৷ ব্রহ্মচারীনি রঞ্জিতা আচার্যা অবধূতিকা আনন্দরসধ্যানা আচার্যা সুব্রত সাহা, বকুলচন্দ্র রায়, সুশান্ত শীল প্রমুখ৷

শ্রীমতী শেফালী মণ্ডল পুরুলিয়া জেলার হুড়ায় তাঁর পৈত্রিক বাসভবনে উপস্থিত থেকে স্থানীয় ৩০জন দুঃস্থ মহিলার হাতে শাড়ী একটি করে মিষ্টির প্যাকেট ও এক বোতল করে জল দেন৷

মহিলা স্বশক্তিকরণের প্রথম ব্যাচের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২০শে মার্চ ২০২৫, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্র্পেরেশন অনুমোদিত আনন্দনগর অ্যাপারেলস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-এর প্রথম ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে৷

এই ব্যাচের ৩৬ জন মহিলা প্রশিক্ষণার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন৷ প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থীকে ব্যবহারিক (প্র্যাকটিক্যাল), তাত্ত্বিক (থিওরি) ও মৌখিক (ভাইভা)এই তিনটি পর্যায়ের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে৷

NSDC-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্র্পেরেশন কর্তৃক আনুষ্ঠানিক শংসাপত্র প্রদান করা হবে, যা তাঁদের দক্ষতা ও স্বনির্ভরতার পথ সুগম করবে৷ এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার প্রয়াস এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল৷

মোদির শাসনে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ঘরে-বাইরে সমালোচিত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারতবর্ষকে বলা হয় বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ব্যষ্টি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্মাচরণ৷ এইগুলি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু মোদির ভারতে এই মৌলিক অধিকারগুলো পদে পদে খর্ব করা হচ্ছে৷ এই নিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার৷

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষার প্রতিবেদনে ভারতকে স্বৈরতন্ত্রের পর্যায়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সুইডিশ ইনস্টিটিউট ভি-ডেম (ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসি)-এর সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতে নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও ভারত এখন স্বৈরাতান্ত্রিক পর্যায়ে রয়েছে৷ দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেও ব্যষ্টি স্বাধীনতা, আইনের শাসন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ এই সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুসারে উদার নৈতিক গণতন্ত্রের সূচকে ১৭৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০০ নম্বরে৷ ভারত এত পিছিয়ে থাকার কারণ বলা হয়েছে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা, ব্যষ্টিগত স্বাধীনতা ও সংখ্যা লঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ণ্ হচ্ছে৷ নির্বাচনী গণতন্ত্রে ভারত আরও কয়েক ধাপ নীচে নেমে ১০৫ নম্বর স্থানে হয়েছে৷ এক্ষেত্রে সূচকের মান ধরা হয়েছে---মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নির্বাচনে স্বচ্ছতা, সংঘটনের অধিকার বিষয়গুলি, এই সব বিষয়ে ভারত ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে৷

ভারতে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ্ হওয়ার আরও যে সব কারণ রয়েছে সেগুলি হল---মত প্রকাশ, সংবাদ মাধ্যম, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিরপেক্ষতা অভাবে ভারত পিছিয়ে পড়েছে৷ ভারতীয় সমাজে যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ক্ষমতা ও সম্পদের বন্টনেও বৈষম্য রয়েছে৷ ওই সমীক্ষার সূচকে ভারতের স্থান ১৩৪তম স্থানে৷ সমীক্ষায় পূর্ব ইয়ূরোপের কোন কোন দেশেও স্বৈরাচারী প্রবণতা বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে৷

কয়েকদিন আগে বাক্‌স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করায় গুজরাট সরকারের কঠোর সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত৷ কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপ গাড়ির একটি পোষ্টের বিরুদ্ধে এফ.আই.আর দায়ের করে গুজরাত পুলিশ৷ শীর্ষ আদালতের দারস্থ হন ইমরান৷ শীর্ষ আদালত গুজরাত পুলিশকে তীব্র সমালোচনা করে এফ আই আর খারিজ করে দেয়৷ শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় বাক স্বাধীনতা সুস্থ গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ ইচ্ছে মত কারো কন্ঠ রোধ করা যায় না৷ মতপ্রকাশের অধিকার সভ্য ও সুস্থ সমাজের অঙ্গ--- এছাড়া নিশ্চিন্ত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন সম্ভব নয়৷

সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি এ.এস. ওকা ও উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ জানায়--- স্বাধীনতার পর ৭৫ বছরের বেশী সময় পার হয়ে গেল এখন আমরা আমাদের মৌলিক নীতির প্রতি দুর্বল হতে পারি না৷ সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার ভার আদালত ও পুলিশের৷ এই অধিকারের মধ্যে বাক্‌স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ বিভিন্ন কথা বা লেখা আমাদের পছন্দ নাও হতে পারে, কিন্তু সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য৷ মোদি জমানায় বাকস্বাধীনতায় লাগাম বিরোধী কন্ঠরোধ নিয়ে শুধু দেশের মধ্যে নয়, বিদেশেও সমালোচিত হচ্ছে৷

চিৎমুতে অষ্টাদশতম বাৎসরিক নাম-সংকীর্ত্তনের মহোৎসব সম্পন্ন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৮-৯ মার্চ ২০২৫, চিৎমু আনন্দমার্গ সেন্ট্রাল জাগৃতিতে আয়োজিত হলো বাৎসরিক অষ্টাদশতম ২৪-ঘণ্টার অখণ্ড ’বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন৷ এ মহতী আয়োজনে প্রভাত সঙ্গীত, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণসেবার মতো পবিত্র কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল৷

আনন্দনগরের অন্যতম বৃহৎ এই নাম-সংকীর্তনে যোগ দিতে দূর-দূরান্ত থেকে স্থানীয় ভক্ত বাসিন্দারা, যারা দূরস্থলে কর্মরত, তারা কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে আসেন৷ স্থানীয় কন্যারা, যাদের বিবাহ দূরস্থ স্থানে হয়েছে, তারা শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে নাম-সংকীর্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ এ মহতী অনুষ্ঠান কেবল ভক্তির আবহই সৃষ্টি করেনি, বরং পারস্পরিক মিলন ও সৌহার্দ্যের এক অনন্য উপলক্ষ হয়ে উঠেছে, যেখানে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের সঙ্গে পুনর্মিলনের আনন্দ ধরা দিয়েছে৷ এক কথায়, এ কীর্তন পরিণত হয়েছে এক মহামিলনোৎসবে৷

নামকরণ ও অন্নপ্রাশন উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৭ই মার্চ ২০২৫, চিৎমু নিবাসী শ্রী নিত্যানন্দ গরাঞ ও শ্রীমতী সবিতা গরাঞ-এর একমাত্র পুত্র তাপস গরাঞ ও পুত্রবধূ সিউটি গরাঞ-এর প্রথম পুত্রসন্তানের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন উৎসব তাঁদের নিজ বাসভবনে আনন্দমার্গীয় চর্যাচর্য বিধান অনুসারে পরিপূর্ণ ভাবগাম্ভীর্য্যে সম্পন্ন হয়৷ এই শুভ উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা এবং প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়৷ নবজাতকের নামকরণ করা হয় ‘শুভ্রদীপ’, যার অর্থ শুভ্র আলোর দীপশিখা এক পবিত্র ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক৷

নদীয়া জেলায় ব্লক লেবেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৫শোর্ধ সদস্যা সদস্যের উপস্থিতিতে ২২শে মার্চ ২০২৫ শনিবার বেলা ১০টা থেকে সারাদিন ব্যাপী চাকদহ ব্লকের সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো শিমুরালী আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সেমিনারে ভূক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস জেলা শিক্ষা সচিব শ্রী অনিলবিশ্বাস সহ নদীয়া ভুক্তি কমিটির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন৷ প্রশিক্ষক ছিলেন কৃষ্ণনগর ডিট এস --এল তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা ও বিশিষ্ঠ শিক্ষাব্রতী ও প্রাবন্ধিক শ্রীমনোরঞ্জন বিশ্বাস৷ সমগ্র সেমিনারটি পরিচালনা করেন নদীয়া ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷ সেমিনার অর্গানাইজার ছিলেন ডাঃ বিবেকজ্যোতি সরকার ও শ্রীমতী কাজল সরকার৷

মার্গ বিধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১লা মার্চ’’২৫ চিৎমু নিবাসী শ্রীমতী মালতি গরাঞ আমাদের ত্যাগ করে অজানার দেশে পাড়ি দিয়েছেন৷ ১০ই মার্চ তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় আনন্দমার্গে চর‌্যাচর‌্য বিধানুযায়ী শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিন ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান,স্বাধ্যায় শেষে আনন্দমার্গ শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়৷

ডিমডিহায় যোগ সাধনা শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৫-১৬ মার্চ ২০২৫, আনন্দনগরের ‘বি’ ডিট লেভেলের যোগ সাধনা শিবির ডিমডিহা আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়৷ শনিবার, শিবিরার্থী মার্গীরা সেখানে সমবেত হন, গভীর সাধনা ও আত্মশুদ্ধির পরিবেশে নিজেদের নিমগ্ণ করেন৷ সাধনানুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ষোড়শ বিধির শুদ্ধ পালনের গুরুত্ব, যা প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জীবনে অন্তর্নিহিত নীতি ও শৃঙ্খলার স্পষ্টতা আনয়ন করে৷ সারা শিবির জুড়ে ছিল একাগ্রতা, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শানুগতার এক অনন্য সমাহার৷