সংবাদ দর্পণ

দেশে জাল ওষুধের রমরমা বাড়ছে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গিয়েই ওষুধের উপরে ছাড় দিচ্ছেন বহু ব্যবসায়ী৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ তথা রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা ক্রমশ বাড়ছে৷ কিন্তু জাল ওষুধ চেনার উপায় ঠিক মতো জানা নেই সাধারণ মানুষ তো বটেই, এমনকি ওষুধ ব্যবসায়ীদেরও৷ গত শুক্রবার এমনই কথা স্বীকার করল ‘বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’ (বিসিডিএ)৷গুণগত মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার রাতেই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম৷ বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ব্যাচের ওষুধের তালিকা ও তথ্য সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর, পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের নির্দেশিকা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য ড্রাগ কন্েন্টালকে৷ যাতে কোথাও ওই সব ওষুধ ব্যবহার না হয়৷

‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্েন্টাল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও) সূত্রের খবর, গত তিন মাসে প্রায় ৩০০টি ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় ফেল করেছে৷ যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংস্থার তৈরি ওষুধও রয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ণ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও৷ নির্দেশ হয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল থেকে শুরু করে দোকানেও প্রকাশ্যে ঝোলাতে হবে অনুত্তীর্ণ সব ওষুধের তালিকা৷ তা রাখতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও৷ এর পরেও কোথাও ওই সব ওষুধ বেচাকেনা হচ্ছে কিনা, তাতে নজরদারি চালাতে দোকানে আচমকা পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্টোলকে৷ গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে৷ রাজ্যের যে সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি ওষুধ অনুত্তীর্ণের তালিকায় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব৷

বিসিডিএ-এর মুখপাত্র শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘জাল বা ভুয়ো ওষুধের সমস্যা গুরুতর৷ যা দেশের জনগণের স্বাস্থ্য এবং ওষুধ ব্যবসা, দু’টিরই ক্ষতি করছে৷ দ্রুত এর বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ করা প্রয়োজন৷’’ তাঁদের অভিযোগ, ৩৫ শতাংশ জাল ওষুধ তৈরি হয় এ দেশে৷ মিশর এবং চিনেও জাল ওষুধ তৈরির রমরমা কারবার চলে৷

১৯শে মার্চ নয়, ১৬ই মার্চ-এ ফিরছেন সুনিতারা---জানিয়েছে নাসা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নাসা বলছে, চলতি মাসেই পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা এবং বুচ৷ প্রথমে নাসার তরফে ১৯ মার্চ দিনটিকে বাছা হলেও সেই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ মার্চ ফিরবেন দুই নভশ্চর৷

অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ ন’মাসের অপেক্ষার৷ অবশেষে পৃথিবীতে ফিরতে চলেছেন মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর৷ সাংবাদিক বৈঠকে সুনীতাদের ফেরার তারিখ ঘোষণা করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ কী ভাবে, কোন মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা ফিরবেন, প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেই নীল-নকশাও৷

নাসা বলছে, চলতি মাসেই পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা এবং বুচ৷ প্রথমে নাসার তরফে ১৯ মার্চ দিনটিকে বাছা হলেও সেই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ মার্চ ফিরবেন দুই নভশ্চর৷ নাসার আইএসএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডানা ওয়েইগেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

গত মাসে সুনীতাদের ফেরানোর জন্য নির্ধারিত মহাকাশযান ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের তারিখ জানিয়েছিল নাসা৷ জানানো হয়েছিল, ১২ মার্চ সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ওই মহাকাশযান৷ তাতে থাকবেন আরও চার নভশ্চর৷ নাসার তরফে অ্যান ম্যাক্লেন এবং নিকোল আয়ার্স, জাপানের তরফে তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার তরফে কিরিল পেসকভ ক্রিউ ১০-এ চড়ে মহাকাশে যাবেন৷ তাঁদের গবেষণার কাজ বুঝিয়ে দিয়ে একই মহাকাশযানে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা৷

গত বছরের ৫ জুন মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ৷ মাত্র আট দিন পরেই তাঁদের ফিরে আসার কথা ছিল পৃথিবীতে৷ কিন্তু আট দিনের সফর যে ১০ মাসেরও বেশি দীর্ঘায়িত হবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি৷ যে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে সুনীতারা মহাকাশে গিয়েছিলেন, উৎক্ষেপণের কয়েক দিনের মাথায় তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে৷ তাই ওই মহাকাশযানে তাঁদের ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি আমেরিকার সংস্থা৷ ফলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই আটকে পড়েন দুই নভশ্চর৷ পরে সুনীতাদের ফেরানোর জন্য ইলনের সংস্থা স্পেসএক্সের সাহায্য নিয়েছে নাসা৷

যদিও ইলনের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও বেশ কয়েক বার পিছিয়ে গিয়েছে সুনীতাদের ঘরে ফেরার দিন! প্রথমে কথা ছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের নিয়ে স্পেসএক্সের মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরবে৷ পরে জানা যায়, মার্চ মাসের আগে তাঁদের ফেরা হচ্ছে না৷ ঠিক হয়, মার্চ মাসের শেষের দিকে চার সদস্যের ক্রিউ-১০ মিশন মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে৷ তাতেই পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতা এবং বুচ৷ সেই আবহে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন স্পেসএক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ককে৷ তার পরেই তড়িঘড়ি এগিয়ে আনা হয় ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের দিন৷ উল্লেখ্য, সুনীতাদের ফেরাতে গত সেপ্ঢেম্বরে স্পেসএক্সের ক্রিউ-৯ মিশনে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন নাসার আরও দুই মহাকাশচারী নিক হেগ এবং আলেকজান্ডার গর্বুনভ৷ সুনীতাদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরাও৷

ধনিক শ্রেণীর বিকাশ সাফল্যের মাপকাঠি নয় মানুষের চাই আর্থিক স্বনির্ভরতা, সামাজিক নিরাপত্তা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন সভা সমিতিতে বড় গলা করে ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন৷ তিনি দাবী করেন দেশ এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি৷ খুব দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে৷

এই প্রসঙ্গে প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- তৃতীয় বৃহত্তম, পঞ্চম বৃহত্তম-এসব অর্থনীতির অসার তত্ত্ব কথা৷ এসব শুকনো কথায় চিঁড়ে ভেজেনা৷ গত দশ বছরে বিজেপি শাসনে দেশে শুধু ধনিক শ্রেণীর বিকাশ হয়েছে৷ নোটবন্দি জি.এস.টি করোনাকালে গরীব মানুষের আর্থিক অবস্থার হাল খারাপ হয়েছে৷ অথচ ওই বিপর্যয়কালেই ধনকুবেররা তাদের সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছে৷ কিসের ভিত্তিতে পঞ্চম বৃহত্তম, তৃতীয় বৃহত্তম নির্ধারণ করা হয় সে বিষয়ে সরকার জনগণের সামনে মুখ খোলে না৷

শ্রী খাঁ বলেন---জনগণ ওসব অর্থনীতির তত্ত্ব কথার কচকচানি শুনতে চায় না৷ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিষয়ে অচেতন সাধারণ মানুষের চাই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও সামাজিক নিরাপত্তা৷ দুটোই আজ বিপন্ন৷ অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে ধনীর সম্পদ ফুলে ফেঁপে উঠছে আর গরীব মানুষ আরও গরীব হচ্ছে৷ দারিদ্রতাই সামাজিক অস্থিরতার প্রধান কারণ৷ মানুষের অভাবই সমাজকে কলুষিত করছে৷ শ্রী খাঁর কথায় আজকের ভারতবর্ষে শাসন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, রাজনীতি সবকিছু পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে৷ দেশের সাধারণ নাগরিককে আর্থিক স্বনির্ভরতার আওতায় আনতে হলে আর্থিক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীত অর্থনীতিকে বাতিল করে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থায় ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে৷ প্রাউটের ব্লকভিত্তিক পরিকল্পনায় প্রতিটি ব্লকের স্থানীয় মানুষের ব্যবস্থানায় কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে এক সুসন্তুলিত আর্থিক ব্যবস্থা---যেখানে ১০০শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হবে৷ পুঁজিবাদী শোষনের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার এটাই একমাত্র পথ৷

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে বরাকের প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্য নিয়ে সরব হল আমরা বাঙালী দল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কর্মসংস্থানের অভাব বরাক উপত্যকার এক জ্বলন্ত সমস্যা৷ অথচ এরপরও বরাকের বিভিন্ন সরকারি অফিসে স্থানীয় প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে নিযুক্তি দিয়ে পাঠানো হচ্ছে৷ বরাকের প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে এবার সরব হল ‘আমরা বাঙালি’ দল৷

এক প্রেস বার্তায় আমরা বাঙালী দলের আসাম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন যে বিজেপি দল হিন্দু দরদী বলে সর্বদা নিজেদের জাহির করে৷ বরাকের চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে বহু বাঙালী হিন্দু রয়েছেন৷ তাঁরাও বঞ্চিত হচ্ছেন৷ তার প্রশ্ণ তাহলে বাঙালী হিন্দুদের কি হিন্দু বলে মনে করেনা আসামের বিজেপি সরকার?

সাধনবাবু এদিন বলেন বিগত যে একলক্ষ নিয়োগ হয়েছে তাঁতে বরাক থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা খুবই সীমিত বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এমনকি সম্প্রতি এডিআরই লিখিত পরীক্ষার যে ফল ঘোষিত হয়েছে তাতেও বরাক বঞ্চিত হয়েছে বলে তাদের জানিয়েছেন অনেক প্রার্থী৷ তিনি বলেন বরাকে মেধার অভাব নেই৷ যদি সত্যিই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়ে থাকে তবে প্রাপ্ত নম্বর সহ জেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করে নিজেদের স্বচ্ছতা প্রমাণ করুক সরকার৷ সাধন পুরকায়স্থ এদিন আরো বলেন যে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদ জেলাভিত্তিক সংরক্ষণের ব্যাপারে কোন আইনি বাধা নেই৷ এই মর্মে একটি প্রস্তাব আসাম বিধানসভায় গৃহীতও হয়েছিল৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী বরাকের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদ স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করে তার বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমান রাখুন৷ তিনি বলেন বরাকের রেজিস্ট্রিকৃত বেকারের সংখ্যা ছয় লক্ষ ছাড়িয়েছে৷ কাজেই সর্বাবস্থায় সরকারের সদর্থক ভূমিকা কাম্য৷ অন্যথা বিকল্প ভাবনা ছাড়া আর কোন পথ নেই বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি৷

সাধন পুরকায়স্থ এদিন বলেন যে কর্মসংস্থানের অভাবে উচ্চ শিক্ষিতরা এখানেই রিক্সা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন৷ স্বল্পশিক্ষিতরা সামান্য আয়ের জন্য বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বাইতে পাড়ি জমাচ্ছেন৷ তিনি বলেন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি না হলে এই উপত্যকার অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন পাঁচ গ্রামে মিথানল উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির যে প্রস্তাব এসেছে তা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিক সরকার৷ এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি স্তরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য একটি কমিটি গঠন করে সমীক্ষা চালানো প্রয়োজন৷ নবগঠিত বরাক উন্নয়ন বিভাগকে এদিন এই ব্যাপারে উদ্যোগী হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

গালর্স প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কলকাতা ঃ গত ৮ই মার্চ বিশ্বনারী দিবস উপলক্ষে গার্লস প্রাউটিষ্টের সদস্যাবৃন্দ ভি.আই.পি নগর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা রুবি, রাসবিহারী, যতিনদাস পার্ক হয়ে ধর্মতায় সমবেত হয়৷ সেখান থেকে নারী জাতির সমস্যা সমাধানের নানা দাবী সহ রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ উপস্থিত ছিলেন অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্র্য ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷

দুর্গাপুর ঃ গার্লস প্রাউটিষ্ট দুর্গাপুর শাখার আহ্বানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় মহিষ্কাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাবে৷ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ আসানশোল ইয়ূনিটের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দমুক্তিপ্রাণা আচার্যা, আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাস, মহিষ্কাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাব সব পেয়েছি আসর,শ্রুতি, স্বরলীপি, স্বরসপ্তক, শিল্প, সাহিত্য, কাব্যকথা সুরঝঙ্কার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট৷

অনুষ্ঠানের শুরুতেই গার্লস প্রাউটিষ্ট দুর্গাপুর ইয়ূনিটের সম্পাদিকা পাপিয়া ধীবর মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন৷ অবধূতিকা আনন্দমুক্তিপ্রাণা আচার্যা প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন৷ মঞ্চে চেয়ারপার্সন হিসেবে অবধূতিকা আনন্দ মুক্তিপ্রাণা আচার্যাকে বরণ করা হয়৷ এরপর আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাস, পাপিয়া ধীবর লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বাসুদেব ব্যানার্জী,সুনীল কুমার মাহাত, তপন কুমারসহ বিভিন্ন ব্যষ্টিবর্গকেও বরণ করে নেওয়া হয়৷ এরপর বিভিন্ন সংঘটনের শিল্পীবৃন্দ নৃত্য, কবিতা আবৃত্তৃি সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ এই অনুষ্ঠানে প্রভাতসঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি পরিবেশিত হয়৷ উপস্থিত সমস্ত শিল্পীদের গার্লস প্রাউটিষ্টদের পক্ষ থেকে উত্তরীয় শংসাপত্র, মেডেল মেমেন্টো ইত্যাদি দিয়ে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়৷ উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ মুক্তিপ্রাণা আচার্যা, জয়ন্ত দাস, পাপিয়া ধীবর, অরূপ মজুমদার সুশীল জানা, পরমা মণ্ডল৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপি চ্যাটার্জী৷

নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে সাড়ম্বরে উদ্‌যাপন হল প্রাউট প্রবক্তার শুভ পদার্পণ দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১১ই মার্চ মঙ্গলবার নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে সাড়ম্বরে পালিত হল প্রাউট প্রবক্তার শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে পরিচিত শুভ পদার্পণ দিবস৷ কলকাতা ও সংলগ্ণ জেলাগুলি থেকে আনন্দমার্গের অনুগামী ভক্তবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ এই উপলক্ষ্যে নোতুন পৃথিবী ভবন ও অনুষ্ঠানস্থলকে পুষ্পাদির দ্বারা সুন্দরভাবে সাজানো হয়৷ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রদত্ত প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান৷ সকাল ৯টাকা থেকে শুরু হয় সিদ্ধ অষ্টাক্ষরী মহামন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তন৷ বেলা বারোটায় কীর্ত্তন শেষে শুরু হয় সমবেত মিলিত সাধনা ও ধর্মশাস্ত্র পাঠ৷ এরপর শুরু হয় আলোচনা৷ মার্গের আদর্শের প্রচারে নোতুন পৃথিবী পত্রিকার প্রয়োজনীয়তা ও মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিশেষ গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত,আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ নোতুন পৃথিবী পত্রিকার ইতিহাস সম্বন্ধে আলোচনা করেন নোতুন পৃথিবীর প্রাক্তন সম্পাদক আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ এরপর বর্তমান সম্পাদক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত অনুষ্ঠান সফল করার জন্যে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নোতুন পৃথিবী পত্রিকার প্রচার ও প্রসারের সকলকে সক্রীয় ভূমিকা নিতে আহ্বান জানায়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনা করেন জয়দীপ হাজরা ও স্বপন সাহা, কালীপদ পোড়ে৷ কীর্ত্তন পরিবেশনায় ছিলেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, তনুশ্রী সরকার, হরলাল হাজারিকা প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন আচার্য প্রমথেষানন্দ অবধূত৷ অপরাহ্ণে পাঁচ শতাধিক স্থানীয় মানুষদের নারায়ণ সেবায় আপ্যায়ীত করা হয়৷

কৃষ্ণনগরে পালিত হল ‘নীলকন্ঠ দিবস’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২০০ শতাধিক ভক্তের অকুন্ঠ সহযোগিতায় কৃষ্ণনগর স্যাঁকড়া পাড়া আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গনে অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার উদ্যোগে সাড়ম্বরে পলিত হল ৫২তম ‘নীলকণ্ঠ দিবস’ প্রতাতসঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন নদীয়া জেলার রাওয়া শিল্পী শ্রীমতী কাজল সরকার৷ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র ‘বাবানাম কেবলম অখন্ড সংকীর্তন পরিচালনা করেন হরিপরি মন্ডল গোষ্ঠি নদীয়া জেলার সদস্য সদস্যবৃন্দ ---অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যান আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দমণিষা আচার্যা শ্রীমতী কাকলী মন্ডল শ্রীকৌশিক সরকার, শ্রীমতী তাপসী মুখার্জী প্রমুখ৷

নীলকন্ঠ দিবসের তাৎপর্য ও তার ঐতিহাসীক দিক নিয়ে মূল্যবান আলোচনায় অংশগ্রহন করেন-প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রীগৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য, ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, অবধূতিকা আনন্দদীপা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা, নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য নিয়ে স্বরচিত সুন্দর একটি কবিতা পাঠ করে সবাইকে মুগ্দ করেছেন মার্গীবোন শ্রীমতী তৃপ্তি বিশ্বাস৷ অনুষ্ঠানে ২০০ শতাধিক জনকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা৷

বিশ্বের বিষরাশি কন্ঠে নিয়ে অমর হয়েছ গুণে আপনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী মানব ইতিহাসে এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন৷ এই দিনেই তৎকালীন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধীর ভারত সরকার মিথ্যে মামলায় অভিযুক্ত করে পটনার বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ওপর তীব্র বিষ প্রয়োগ করে৷ শ্রীসরকার তাঁর দৈববলে, ঐশ্বরিক ক্ষমতায় সেই বিষ হজম করে কন্ঠে ধারন করে নীলকন্ঠী হয়ে ভূলুণ্ঠিত মানবতার রক্ষা করেন৷

কেন এই বর্বরতা? শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক তত্ত্ব ‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’ সংক্ষেপে প্রাউট ... এই দর্শনের অভ্যুত্থান স্বৈরাচারী শোষণবাদী কর্র্পেরেট ও তাদের সাগরেদ শাসক ও রাজনৈতিকদলগুলোর মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সঞ্চার করে৷ এই অবস্থায় তারা চায় প্রাউট ও তার প্রবক্তাকে পৃথিবীর বুক থেকে চিরবিদায় করতে৷ কিন্তু প্রকৃতির নিয়মের বাইরে যে তিনি .... মানব কল্যাণ যাঁর সংকল্প তাঁকে মারতে পারে এমন বিষ পৃথিবীতে নেই৷ সেই মারাত্মক বিষ কে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার কন্ঠে ধারণ করেছেন এবং এর প্রতিবাদে দীর্ঘ ৫ বছরেরও অধিক সময় অনশন করে পরবর্তীতে নিজেকে নির্র্দেষ প্রমাণ করে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পাপ শক্তির বিরুদ্ধে লাগাতার সংগ্রামের প্রেরণাদাতা ও পথপ্রদর্শক হয়েছেন৷ আজ তাঁর সংঘটন ও শত সহস্র সর্বক্ষণের কর্মী ও গৃহী কর্মীরা বিশ্বজুড়ে বিশাল সেবাকার্য চালাচ্ছে৷ পাপশক্তি আজও বাধা দিচ্ছে কিন্তু শ্রীসরকারের আশীর্বাদ, প্রেরণা সেই বাধা ছিঁড়ে দূর্দান্ত গতিতে এগুতে সাহায্য করছে৷ এই ১২ই ফেব্রুয়ারী, প্রাউটের উপর আধারিত, বিপ্লবের মূর্ত প্রতীক ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভাবগম্ভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নীলকন্ঠ দিবস স্মরণ করছি৷

১২ই ফেব্রুয়ারী আনন্দমার্গে নীলকণ্ঠ দিবস উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অর্থ ও ক্ষমতার প্রলোভন যখন কাজ হয়নি তখন অপপ্রচার-কুৎসা, ভয় দেখানো, সংগঠিতভাবে মিশনের কর্মীদের ওপর আক্রমণ ও হত্যা করা, মিথ্যা মামলায় জেলবন্দী করে রাখা ইত্যাদি শতচেষ্টা করেও যখন দেখা গেছে আনন্দমার্গের গতিকে স্তদ্ধ করা যাচ্ছে না৷ তখন স্থির হয় আনন্দমার্গের শ্রষ্ঠাকেই যদি পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলা যায় তাহলেই আনন্দমার্গের ধবংস সম্ভব৷ এই ভেবে পাপীরা জেলবন্দী আনন্দমূতর্িজীকে ১২ই ফেব্রুয়ারি’’৭৩ সালে ওষুধের নাম করে পটনা বাঁকিপুর সেন্ট্রাল জেলের ডাক্তার রহমতুল্লাহকে দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিষ প্রয়োগ করে৷ বিষপ্রয়োগে আনন্দমুর্ত্তিজীর শরীরে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু পাপীদের উদ্দেশ্য তাতেও সিদ্ধ হয়নি৷ এই জঘন্যতম ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের দাবীতে সারা বিশ্বে ব্যপক আন্দোলন সংঘটিত হয়৷ আনন্দমূর্ত্তিজী নিজেও তৎকালীন বিহারের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি লেখেন তদন্ত কমিশন নিয়োগের জন্য কিন্তু কেউ কোন কর্ণপাত করেনি৷ যখন কিছুই হচ্ছে না তখন আনন্দমূর্ত্তিজী নিজেই বিষপ্রয়োগের প্রতিবাদে ১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল থেকে জেলের মধ্যেই অনশন শুরু করেন ও টানা পাঁচ বছর চার মাস দুই দিন চলতে থাকে, যতদিন না তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন৷ অবশেষে পটনা হাইকোর্টের রায়ে আনন্দমূর্ত্তিজীর বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়৷ তিনি ও তাঁর চার শিষ্যগণ নিঃশর্তভাবে জেল থেকে মুক্তি পান৷ ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট জেল থেকে বেরিয়ে তিনি দীর্ঘ অনশন ভঙ্গ করেন৷

 আনন্দমার্গের ইতিহাসে ১২ই ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘নীলকণ্ঠ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়৷ কৌশিকী আনন্দনগর ‘মধুমুর্চনা’ মার্গগুরু বাসভবনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য ও নারায়ণসেবার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ,ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, অসম সহ বাঙালীস্তানের বিভিন্ন স্থানে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ তথা ‘বাংলা ভাষা শহীদ দিবস’ পালন করা হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের কলিকাতা, উত্তর চবিবশ পরগনা, হুগলী, হাওড়া, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি জেলার বিভিন্ন স্থানে, ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর, বোকারো ও ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা, খোয়াই সহ অন্যান্য স্থানে এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালন করা হয় ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়৷কলিকাতায় মূল অনুষ্ঠানটি শ্যামবাজারে পাঁচ মাথার মোড়ের সন্নিকটে উদযাপিত হয়৷ সন্নিহিত জেলা ও কলিকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠান স্থলে এসে মিলিত হয়৷ কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব শ্রীতপোময় বিশ্বাস, হিতাংশু ব্যানার্জী, প্রণতি পাল, স্বপন মন্ডল, স্বপন দে, জয়ন্ত দাশ, সুদীপ বিশ্বাস, সুবোধ রঞ্জন কর,শুভজিত পাল ও অন্যান্য আমরা বাঙালী নেতা নেত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের সাকচী নেতাজী সুভাষ ময়দান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলা শাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে এসে উপস্থিত হয় ও জেলাশাসককে ‘আমরা বাঙালী’র দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ পরবর্তী পর্যায়ে শোভাযাত্রা সাকচী গোল চক্কর চত্বরে এসে পৌঁছায় ও সেখানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আমরা বাঙালী সদস্য সদস্যাগণ এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ আমরা বাঙালী সংঘটনের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা সহ মোহন লাল অধিকারী, সুশীল কুমার মাহাতো, আশিস নাগ চৌধুরী,নারায়ণ সেন, অঙ্গদ মাহাতো, সুনীল মাহাতো, দেবাশীষ মন্ডল,রেখা মাহাতো ও অন্যান্য নেতা নেত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷ এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের বোকারো শহরে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়৷ এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী মনোতোষ মন্ডল ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷

ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা, খোয়াই ও অন্যান্য স্থানে এই দিনটি পালিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী অশোক কুমার দাস, গৌরীশঙ্কর নন্দী, কেশব মজুমদার, রাজ্য সচিব শ্রী গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল, গৌতম ঘোষ, বিধান দাস, রামকৃষ্ণ দেবনাথ, সীমন্তি দেব, গীতাঞ্জলি দাস ও অন্যান্য নেতা নেত্রী উপস্থিত ছিলেন৷

বিভিন্ন সভায় ‘আমরা বাঙালী’র নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে এই দিনের তাৎপর্য, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ, আদর্শ ও মাতৃভাষা বাংলার সম্মান রক্ষায় মরণপণ সংগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে যে বাঙালী জাতির অবদান সবচেয়ে বেশী, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন সকলের থেকে বেশি,স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে সেই বাঙালী, বাঙলা আর বাংলা ভাষার উপর আঘাত এসেছে সবচেয়ে বেশী--- বঞ্চনা, নির্যাতন, অবদমন চলেছে যৎপরোনাস্তি৷ এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে বক্তাগণ সকল বাঙালীকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানান৷

হাওড়ায় ভাষা দিবস --- হাওড়া জেলার বাগনান রেলস্টেশনে আমরা বাঙালী জেলা কমিটির পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করা হয়৷ স্টেশনের সম্মুখে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রীবকুলচন্দ্র রায়, সুশান্ত শীল প্রমুখ৷