সংবাদ দর্পণ

আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণের মহাযজ্ঞ: সবুজ স্বপ্ণের প্রস্তুতি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগরের সবুজায়নের শুভ সূচনা হয় ২০২১ সালে, অস্থি পাহাড়ে প্রথম বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে৷ সেই অভিযাত্রা প্রতিবছরই এগিয়ে চলেছে এক নতুন মাত্রায়৷ ২০২৪ সালে পঞ্চাশ হাজার চারাগাছ রোপিত হয়েছে, আর ২০২৫ সালে এক লক্ষ বৃক্ষরোপণের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য ইতোমধ্যে দেড় লক্ষ চারাগাছ প্রস্তুতির কাজ চলছে৷

*পরিকল্পনার অগ্রগতি ও কর্মধারা* ১) ইতোমধ্যে চারাগাছ রোপণের জন্য ৪০ একর জমি চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ ২) আনন্দনগরের জলবায়ুর উপযোগী বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন নার্সারি থেকে৷ বিশেষ করে, মধ্যপ্রদেশের রায়পুরের দীনদয়াল ভার্মা, এক নিবেদিত প্রাণ প্রকৃতিপ্রেমী আনন্দমার্গী, লালচন্দন, শ্বেতচন্দন, রামফল, সিন্দুরী, অমলতাস ও বাঁশের অনেক বীজ পাঠিয়েছেন৷ ৩) ৭৫,০০০ পলিব্যাগে বীজতলা প্রস্তুত হয়েছে আরও ৭৫,০০০ বীজতলা তৈরির কাজ চলছে৷ ৪) চারাগাছ রোপণের জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করতে হবে৷ ৫) চারাগাছগুলিকে জন্তু-জানোয়ার থেকে রক্ষা করতে কংক্রিট পিলার ও তারের বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ ৬) গাছ দ্রুত বৃদ্ধির জন্য গোবর, জৈব সার, সর্ষে ও নিম খোলের ব্যবস্থা করা হবে৷ ৭) দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে৷ ৮) প্রাথমিকভাবে বাইরের নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করতে প্রতি গাছে ৩০-৩৫ টাকা ব্যয় হত, কিন্তু নিজস্ব নার্সারি তৈরি করায় ব্যয় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে৷

এই বৃহৎ প্রকল্প শুধু বৃক্ষরোপণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ৷ আনন্দনগরের বুকে সবুজ অধ্যায় রচনার লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এই স্বপ্ণকে বাস্তবে রূপ দিতে৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে জন্মতিথি ও হাতে খড়ি উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৭ই মার্চ ২০২৫, চিৎমু গ্রামের নিবাসী ভ্রাতৃদ্বয়কনিষ্ঠ মিঠুন গরাঞ ও তাঁর স্ত্রী জ্যোতি গরাঞের একমাত্র কন্যা অরুণিমার দ্বিতীয় জন্মদিন আর মধ্যম মুকুল গরাঞ ও তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা গরাঞের একমাত্র পুত্র অর্ণবের তৃতীয় জন্মদিন, তৎসহ অর্ণবের হাতে খড়ি অনুষ্ঠান তাঁদের নিজ বাসভবনে আনন্দমার্গীয় চর্যাচর্য বিধি অনুসারে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যে উদ্‌যাপিত হয়৷

উৎসবের সূচনায় প্রভাত সঙ্গীত (আধ্যাত্মিক সংগীত) ও ‘‘বাবা নাম কেবলম নামকীর্তনের ভক্তিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ এরপর মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান ও স্বাধ্যায়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডল সুদৃঢ় হয়৷ জন্মতিথির তাৎপর্য ও তার অন্তর্নিহিত দর্শন ব্যাখ্যা করা হয়, যা উপস্থিত সকলকে ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করে৷

পরিশেষে, আশীর্বাদের রীতি অনুযায়ী, অরুণিমা ও অর্ণবের মঙ্গল কামনায় তাঁদের গুরুজনেরা শুভ তিলক অঙ্কন করেন ও পবিত্র ফুল-দুর্বার স্পর্শে আশীর্বাদ প্রদান করেন৷ অনুষ্ঠানটি প্রীতিভোজের মধ্য দিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয

 আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়ার আমতা নবনী ভবনে ৩০শে মার্চ অনুষ্ঠিত হল আমরা বাঙালির হাওড়া জেলা সম্মেলন৷ প্রথমে বিশিষ্ট অতিথি বর্গকে ডেকে নেওয়া হয় মঞ্চে৷ প্রত্যেকে একেকজন মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যার্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে একে একে আসন গ্রহণ করেন৷ প্রথমে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন শ্রী সুব্রত সাহা , বর্তমান সচিব রামচন্দ্র মান্নার পক্ষে বকুল চন্দ্র রায় বক্তব্যে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার কে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, মঞ্চে উপবিষ্ট সমতট সচিব শ্রীজয়ন্ত দাসকে শ্রদ্ধা ভালবাসা ও উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যকে শ্রদ্ধা ও অগ্রীম নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কাজ শুরু করেন৷ উল্লেখ করেন হাওড়ার একজন বিশিষ্ট আমরা বাঙালি কর্ম্মী ছিলেন অনিল বরন দাস তার নামে এই মঞ্চের নাম করন করা হয়েছে৷ এরপর যারা করনায় প্রান হারায় ও যে সমস্ত সমাজ কর্মী যেমন শৈলেন সরকার,সমর ভৌমিক প্রমুখের স্মরণে নিরাবতা পালন করা হয়৷(বিভিন্ন গ্রন্থ প্রণেতা)৷ এরপর হাওড়ার একজন আজীবন একনিষ্ঠ আমরা বাঙালির কর্মী শ্রীবেচুরাম বর মহোদয়কে মঞ্চে ডেকে উত্তরীয় পরিয়ে সর্ম্মধনা দেও য়া হয়৷ ওনার এক পুত্র, এক কন্যা বর্তমানে মিশনের সর্বত্যাগী কর্মী৷ এরপর বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমতট সচিব শ্রী জয়ন্ত দাস মহোদয় তিনি তার বক্তব্যে বলেন হাওড়ার সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে৷ এর পর বক্তব্য রাখেন গোপাশীল বাঙালি মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে তিনি বলেন মহিলাদের সমাজের কাজে এগিয়ে আসতে হবে৷ তারপর বক্তব্য রাখেন অর্নব কুন্ডু চৌধুরী৷ তিনি বলেন বয়স্করা তা আছেই তার সাথে যুবক, যুবতীদের ও সমাজের কাজে এগিয়ে আসতে হবে৷ অমর চ্যাটার্জী বলে আমি গত বিধানসভা নির্বাচনে যখন অংশগ্রহন করে ছিলাম তখন কত মানুষ আমাদের কাছে এসে আমাদের সহযোগিতা করেছিল এইরকম বহু মানুষ চাইছে তাদের পাশে আমাদের সহযোগিতা৷

ভারতী কুন্ডু বলেন আমি ছোট খাটো মানুষ আমরা যদি দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করে যে কোনো কাজে অংশ গ্রহন করি তাহলে যে কোনো কাজে আমরা সফল হব৷ সব শেষে সভাপতি সুব্রত সাহা তার প্রতিবেদনে বলেন এই সম্মেলন সঠিক ভাবে বকুলদার সুষ্ঠ এবং সুন্দর ব্যবস্থাপনায় এবং প্রত্যেকের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুন্দর হয়ে উঠেছে৷ ২৫৬ টা সমাজের মধ্যে এই একটি সমাজকে প্রাউট প্রবক্তা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তার জন্যই আমরা বাঙালি এবং সমাজ আন্দোলন আমাদের প্রত্যেকেই অংশগ্রহন করতে হবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে৷ ঘাবড়ালে চলবেনা কারণ পরম পুরুষ আমাদের সাথেই আছেন৷ তার স্বপ্ণকে সার্থক করে তুলতে হবে৷ এরজন্য প্রয়জন নোতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব৷ সভার সভাপতি হিসাবে অর্নব কুন্ডু চৌধুরীর নাম জেলা সচিব হিসাবে প্রস্তাব করলাম সঙ্গে সঙ্গে বকুল চন্দ্র রায় প্রস্তাব সমর্থন করেন৷ অর্নব ও মাইকধরে হলের প্রত্যেকের কাছে আবেদন করে বয়স্করা ছাড়াও যুবক যুবতীদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানায়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অমিয় পাত্র মহোদয়৷ এরপর বর্নাঢ্য শোভা যাত্রা সহকারে আমরা আমতা সি টি সি বাসষ্ট্যান্ডে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন সমতট সচিব জয়ন্ত দাস, গোপা শীল, অমর চ্যাটার্জী ও অর্নব কুন্ডু চৌধুরী৷ প্রত্যেকেই বাঙলা বাঙালি ও বাঙালী স্থানের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন শেষে আমরা বাঙালির জয়ধবনি দিয়ে পথসভা শেষ করা হয়৷

দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১২ই মার্চ ২০২৫, আচার‌্য বিষ্ণুকৃপানন্দ অবধূতজীর সহযোগিতায় উত্তর আনন্দনগরের পিরি গ্রামে ২৬টি দুঃস্থ আদিবাসী পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি আটা, ১ কেজি মুগডাল, ১ লিটার সর্ষের তেল ও ১ কেজি সয়াবিন বড়ি প্রদান করা হয়৷

এছাড়াও, আনন্দমার্গ শিশুসদনের শিশুদের পুষ্টির কথা বিবেচনা করে ১০ কেজি মুগডাল, ১০ কেজি সয়াবিন বড়ি ও ২ কার্টুন বিস্কুট প্রদান করা হয়৷ এই মহতী উদ্যোগটি উপস্থিত সকলের মধ্যে আন্তরিকতার সঞ্চার ঘটায়৷

মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রেণেশাঁ আর্টিস্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ১ম বর্ষ প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা৷ মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে সকাল দশটায় শুরু হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন পর্ব৷ মহান দার্শনিক ঋষি শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন প্রবীণ রাওয়া সদস্য শ্রী অসিত কুমার দত্ত৷ মঞ্চে উপবিষ্ট সকলেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর অতিথি ও বিচারকগণ কে বরণ করে নেওয়া হয়৷ উদ্বোধনী প্রভাত সঙ্গীত ’সবারে করি আহ্বান’ পরিবেশন করেন দ্বৈত ভাবে ব্রজগোপাল সাহু ও প্রজ্ঞা পারমিতা পাত্র৷ প্রভাত সঙ্গীত বিষয়ে প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন সংস্থার সম্পাদক বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়৷ ৫৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে সেরা দশ হিসেবে বিবেচিত হয় - আয়ূষী রক্ষিত,কৌশিকী সরকার,কৌশানী সাহা, বিনীতা মাইতি, বিশাখা অধিকারী, মামনি পাখিরা, শারণ্য সেন, শ্রীময়ী সরকার,সৌম্যদীপ আদক ও সৌম্য বেরা৷ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পূর্বে ধৃতি পাল পরিবেশন করে ’মানুষ যেন মানুষের তরে’ এই প্রভাত সঙ্গীত টি৷ বিচারক হিসেবে উপস্থিত শ্রী অজিত মণ্ডল ও আনন্দ তপশীলা আচার্যা প্রতিযোগিতা ও প্রভাত সঙ্গীত বিষয়ে মূল্যবান কিছু কথা বলেন৷ সেরা দশ সহ সকল প্রতিযোগীর হাতে শংসাপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন অজিত মণ্ডল, পার্থসারথি পাল,আনন্দ তপশীলা আচার্যা, অসিত দত্ত, রঞ্জিত কুমার ঘোষ, শুভাশীষ সাহু, আশিস মণ্ডল, দিলীপ পাল ও কল্পনা গিরি৷ এছাড়া প্রতিযোগিতাটি সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে মমতা পাল, মনিকা দে, চয়নিকা সাহু, সোমা পাত্র, অসীম সাধু, দোলা মহাপাত্র, শিউলি দাস, মৌমিতা বাঁকুড়া, মনোরঞ্জন মণ্ডল ও সুব্রত মাইতির অবদান বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য৷

আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মহতপুর আনন্দমার্গস্কুলে ২৪শে ফেব্রুয়ারি পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ২৫শে ফেব্রুয়ারি অখণ্ড কীর্তন ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হল৷ গুরুকুল সচিব আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত এবং আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত যথাক্রমে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন৷ সভা পরিচালনা করেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী গৌর হরি পাল৷

এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য ইতিপূর্বে আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূতের উপস্থিতি ও সাহচর্যে ৭ই ফেব্রুয়ারি বাকুল্দা আনন্দমার্গ স্কুল এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি রঘুনাথবাড়ি আনন্দমার্গ স্কুলেও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে যথোচিত মর্যাদায় সুসম্পন্ন হয়েছে৷

আনন্দমার্গে বসন্তোৎসবের বর্ণিল উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪ই মার্চ ২০২৫, আনন্দমার্গে বসন্তোৎসব উদযাপিত হলো এক অপূর্ব ভক্তিময় পরিবেশে৷ দধীচি স্মৃতি হোষ্টেলে আয়োজিত এ উৎসবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টার অখণ্ড ’বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়, যা সমগ্র পরিবেশকে এক অনন্য ভাবগম্ভীরতায় ভরিয়ে তোলে৷

নাম-সংকীর্তন শেষে অনুষ্ঠিত হয় মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও বসন্তোৎসবের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা৷ ভক্তদের হৃদয়ে নবজাগরণ সৃষ্টি করে এই আলোচনা, যা বসন্তের নবপ্রাণ সঞ্চারের মতোই প্রেরণাদায়ক হয়ে ওঠে৷

এরপর সকলেই গুরুদেবের প্রতিকৃতিতে রঙ-আবীর নিবেদন করেন, পরম শ্রদ্ধা ও ভালবাসার অভিব্যক্তিতে৷ ছোটরা বড়দের চরণে আবীর অর্পণ করে প্রণাম জানায়, আর বড়রা তাদের স্নেহাশীর্বাদে সিক্ত করেন৷ এক ভ্রাতৃসুলভ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে পুরুষ ও মহিলারা পৃথকভাবে নিজেদের মধ্যে আবীর খেলায় মেতে ওঠেন, যা উৎসবের আনন্দকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে৷ শেষে সদস্যদের মিলিত আহার ও ভোজপর্বের মাধ্যমে এই আনন্দঘন উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটে, হৃদয়ে রেখে যায় একতার, ভক্তির ও সম্প্রীতির এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি৷

হাওড়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গার্লস প্রাউটিষ্টের হাওড়া জেলা শাখার উদ্যোগে গত ৮ই মার্চ হাওড়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়৷ গার্লস প্রাউটিষ্টের সদস্যারা মিছিল করে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ও বেশ কয়েক জায়গায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ পথ সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রীমতী ভারতী কুণ্ডু৷

রক্ষকই ভক্ষক

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

১৮ই মার্চ রাত্রি প্রায় ২টার সময় বাগুইআটি চিনার পার্কের এক ব্যবসায়ী প্রয়াত বিনোদ কুমার সিং-এর বাড়ীতে হানা দেয় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা৷ সাদা কাগজে সিজার লিস্ট বানিয়ে প্রচুর গয়না ও নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যায়৷ যাওয়ার সময়ে ওই আয়কর আধিকারিকরা বিনোদ সিং-এর কন্যা বিনীতাকে দিয়ে সাদা কাগজের সিজার লিস্টে সই করিয়ে নেয়৷ যাওয়ার সময় বলে যায়, তোমাকে আয়কর দপ্তরে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই৷ আয়কর দপ্তরই তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে৷

সকালে বিনোদ সিং-এর মেয়ে বিনীতা সিং আয়কর দপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন আয়কর দপ্তর কোন তল্লাশি করতে যায়নি৷ বিনীতা সিং সেখান থেকেই চলে যান বাগুইআটি থানায়৷ সেখানে অভিযোগ দায়ের করার সময় তিনি পুলিশকে জানায় হানা দাররা বিনীতার সৎমা আরতি সিং-এর গয়না টাকা পয়সায় হাত দেয়নি৷

পুলিশের সন্দেহ হয় আরতি সিং-এর ওপর৷ বাগুইআটি থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র তদন্ত করে আরতি সিং ও পাঁচ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স - (সি আই এস এফ)-এর পাঁচ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে৷ ধৃতদের মধ্যে সি.আই.এস.এফ-এর এক মহিলা কনস্টেবল আছে যিনি কিছুদিন আগেও আর জি কর হাসপাতালে পোষ্টিং ছিলেন৷ ওই মহিলা ছাড়াও ছিলেন সি আই এস এফের একজন ইন্সপেক্টর একজন হেড কনস্টেবল ও বাকী দুজন কনস্টেবল৷ সি আই এফ এফের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে৷ পাঁচ জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷

সি.আই.এস.এফ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন৷ সাধারণ মানুষের প্রশ্ণ যাদের হাতে মানুষকে নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তারাই যদি এই ধরণের জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?

পুলিশ জানিয়েছে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সৎমা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সি.আই.এস.এফের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷

চিকিৎসা গবেষনায় সেরা কলকাতা মেডিকেল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

চিকিৎসা ও গবেষনায় দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা আই,সি,এম, আর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ) কলকাতা মেডিকেল কলেজেকে পূর্ব ভারতে চিকিৎসা গবেষনায় সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে৷ দ্বিতীয় স্থানে কলকাতার পিজি হাসপাতাল৷ গোটা দেশের ৮০টি মেডিকেল কলেজে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ইয়ূনিট আছে৷ আই সি এম আর এই কাজে তত্ত্বাবধান করে ও সেই অনুযায়ী আর্থিক অনুদান দেয়৷ এই ৮০টি কলেজের মধ্যে বিশেষ স্কোরিং পদ্ধতিতে সেরা বাছাই করা হয়৷

১০-এর মধ্যে যারা ৮ বা তার বেশী পেয়েছে, এই রকম ১২টি কলেজ নির্বাচিত হয়৷ এই ১২টির মধ্যে পূর্ব ভারতের একমাত্র কলিকাতা মেডিকেল কলেজ আছে৷ পূর্ব ভারতে চিকিৎসা গবেষনার কাজে দ্বিতীয় স্থানে আছে পিজি হাসপাতাল৷