January 2022

অনবদ্য স্বর্গীয় পরিবেশে সমাপ্ত হল ছয়দিন ব্যাপী মহাপ্রয়াণ দিবস কীর্ত্তন

’’কীর্ত্তনে আর বাউলের গানে আমরা দিয়েছি খুলি মনের গোপনে নিভৃত ভূবনে দ্বার ছিল যতগুলি’’৷

কীর্ত্তনই একমাত্র মাধ্যম যা মনকে সহজেই বিস্তৃত করে  দেয়, উদার করে দেয়, সংকীর্ণতা মুক্ত করে দেয়৷ তাই কীর্ত্তনীয়ার কাছে মানুষে মানুষে কোন ভেদ নেই৷ মানব জীবনের জাগতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই ত্রিবিধ  দুঃখের আত্যন্তিকি নিবৃত্তির একমাত্র উপায় হ’ল সাধনা৷ তাই মানুষের  জীবনে সাধনা অতি প্রয়োজনীয় আর এই সাধনায় সর্বাধিক সাহায্য করে কীর্ত্তন৷ মানুষ যখন স্পষ্টভাষায় উচ্চারণ করে কীর্ত্তন করে তখন তাঁর সমস্ত শরীর প্রাণ আত্মা পবিত্র হয়৷

নিজস্ব সংবাদদাতাঅতিবৃষ্টি পেট্রোপণ্যের  লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে গৃহস্থের হেঁসেলে হাহাকার

বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পেট্রোলজাত জ্বালানি একটি অতি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য৷ দেশের অর্থনীতির উঠা-নামার মান অনেকটাই নির্ভর করে  জ্বালানির ওপর৷ ২০১৫ সালে নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল পেট্রোলজাত জ্বালানির দাম ৫০ টাকার নীচে থাকবে৷ কেউ কেউ  প্রচারে এমনও বলেছিল--- ৩৫টাকা পেট্রোল চাও তো বিজেপিকে ভোট দাও৷ সেই পেট্রোল ডিজেল একশ’ টাকা পার করেছে৷ ৪৫০ টাকার গ্যাস হাজার টাকার কাছাকাছি চলে গেছে৷ কেন্দ্র সরকারের কোন হেল-দোল নেই৷ বরং নিয়মিত দাম বাড়িয়ে চলেছে৷

ব্রহ্মপুত্র উপতক্যায় বাংলা ফলকে কালি লেপনের প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

ব্রহ্মপুত্র উপতক্যায় বাঙলা, হিন্দি নামফলকে কালি লেপন বা নামিয়ে দেবার হুমকি  অসাংবিধানিক, সরকারকে দুস্কৃতীদের  বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে---আমরা বাঙালি

ব্রহ্মপুত্র উপতক্যার মাকুমে সম্প্রতি বাঙলা ও হিন্দি ভাষীদের প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে লাচিত সেনা নামক এক সংঘটনের সদস্যরা সমস্ত নামফলক অসমিয়া ভাষায় পরিবর্তিত করতে হবে বলে ফতোয়া জারি করেছে ও অন্যথা তাঁরা দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়েছে৷ এমনকি কোথাও বাংলা পত্র পত্রিকা বিক্রি করা যাবে না বলেও তাঁরা ফতোয়া দিয়েছে৷ এসবের পরিপ্রেক্ষিতে  দুস্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবার দাবিতে এবার সরব হল ‘‘আমরা বাঙালী’’ সংঘটন৷

বিজ্ঞানের চর্চা আধ্যাত্মিক অনুশীলন দুইয়ের সমন্বয়ে সভ্যতা বাঁচবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সকাল বেলায় প্রাত্যহিক সাধন ভজন শেষে  হাতের কাছে খবরের কাগজ না পেলে মনটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা হয়ে যায়৷ অথচ হাতের মুঠোয় ধরে থাকা যন্ত্রটার স্ক্রিন স্পর্শ করলেই চোখের সামনে দুনিয়ার খবর ভেসে ওঠে৷ তবু খবরের কাগজে চোখ না পড়লে মনের তৃপ্তি মেটে না৷ পাশের গুরু ভাইটি বলল --- দাদা এও এক প্রকার সংস্কার, বদ অভ্যাস, এর থেকে মুক্ত হওয়া উচিত৷ বিজ্ঞান কত এগিয়েছে, সামান্য আঙ্গুলের ছোঁয়ায় ছোট্ট স্ক্রিনটায় ভেসে ওঠে দুনিয়ার খবর৷ আর আপনি এখনও খবরের কাগজে পড়ে আছেন৷ দেখবেন কদিন পরেই এইসব খবরের কাগজ ব্যাকডেটেড হয়ে যাবে৷

শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন

শাস্ত্রীয় নির্র্দেশ অনুযায়ী মানুষের উন্নতির জন্যে তিনটি তত্ত্ব আবশ্যক৷ তিনটি তত্ত্ব কী?–না, শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন৷ প্রথমে দেখা যাক্–শাস্ত্র বলতে কী ৰোঝায়? ‘‘শাসনাৎ তারয়েৎ যস্তু সঃ শাস্ত্রঃ পরিকীর্ত্তিতাঃ৷ ’’এখানে ‘শাসন’ মানে হচ্ছে–অনুশাসন৷ শাসন ও অনুশাসন একই জিনিস৷ ইংরেজীতে ‘অনুশাসন’ বলতে ৰোঝায়–Discipline, Code of discipline.

সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখে বলছেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সবার উন্নয়নই তাঁর তথা তাঁর পার্টির লক্ষ্য৷ এই শ্লোগান দিয়েই তিনি ক্ষমতায় এসেছেন৷  জনগণ তাঁর কথার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে যে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ ছিল জনগণ সেই অতীতের ঘটনাকে আমল দেননি৷

ভারতীয় রাজনীতির করচা

হরিগোপাল দেবনাথ

ভারতীয় প্রাচীন শাস্ত্রে রাজনীতির সংজ্ঞা নির্দেশ করতে গিয়ে বলা হয়েছে নীতিনাং রাজঃ ইত্যর্থে রাজনীতিরঃ’৷ অর্থাৎ মানুষের জীবনে অনুসরনীয় ও পালনীয় নীতিসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ (রাজঃ) নীতিটাই হচ্ছে রাজনীতি৷ আবার নীতিঃ শব্দটির বুৎপত্তিগত মানে করলে দাঁড়াচ্ছে নী-ধাতুর সঙ্গে ক্তিন-প্রত্যয় যুক্ত হয়ে প্রথমা বিভক্তির একবচনে হচ্ছে নীতিঃ৷ নী-ধাতুর মানে---যে এগিয়ে নিয়ে চলে বা পথ দেখিয়ে চলে (ইংরেজী---টু লীড)৷ তাহলে রাজনীতিটা হল সেই নীতি বা আদর্শধারা তথা শ্রেষ্ঠ পন্থা যার মাধ্যমে মানুষের  বৈয়ষ্টিক তথা সমষ্টিগত বা সামূহিক জীবনে খণ্ডতা থেকে পূর্ণতার পথে, অসম্পূর্ণতা থেকে সম্পূর্ণতার পানে, অন্ধকার থেকে আলোর পানে এগি

সুষ্ঠু অর্থনীতি ছাড়া মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়

জহরলাল সাহা

আজকের সারা দুনিয়া জুড়ে চলছে ---সভ্যতার সঙ্কট৷ সে সঙ্কট কোথায় নেই? শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই চলছে চরম সঙ্কট৷ আলোচনার  এ ক্ষুদ্র পরিসরে হয়তঃ সব সংকটের কথা বলা যাবে না৷ কিন্তু সবার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে যে সংকট যা সকল সংকটের মূল কারণ তা নিয়ে প্রথম আলোচনা করা উচিত বলে মনে করি৷

গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড পরিকল্পনা ও এন.আর.সি প্রয়োগ রুখতে ত্রিপুরার সমস্ত বাঙালী ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন

গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল
বাঙালী জাতিসত্ত্বা আজ এক চরম বিপদের সম্মুখীন৷ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রপথিক বাঙালীরাই স্বাধীনোত্তর ভারতে দেশভাগের বলি৷ দেশের অগ্রগতির অন্যতম কাণ্ডারী হল বাঙালী৷ অথচ দুর্ভাগ্য হল শোষণ, বঞ্চনা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামী বাঙালীকে ইংরেজরা যেমন কোনদিন সহ্য করতে পারেনি তেমনি পশ্চিমী বেনিয়া প্রভাবিত দেশীয় নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রের শাসকবর্গও বাঙালীকে সহ্য করতে পারছেনা৷ তাই স্বাধীনদেশে বাঙালীর প্রতি বঞ্চনার ইতিহাস দীর্ঘ৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও দেশভাগের বলি উদ্বাস্তু বাঙালীদের পুনর্বাসন সমস্যার আজও সমাধান হয়নি৷ বাঙালীর প্রতি বঞ্চনার এখানেই শেষ নয়৷ অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে নিজেদের চেষ্টায় বাঙালীরা