সংবাদ দর্পণ

আনন্দমার্গের নিষ্ঠাবান সাধক ও ত্যাগব্রতী কর্মী আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত পরলোকে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫ই এপ্রিল আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সর্বত্যাগী কর্মী আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে সকাল ৮টা ৫মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ তাঁর দেহত্যাগের খবরে মার্গীমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত আদর্শ পরায়ণ নিষ্ঠাবান কর্মী ছিলেন৷ তিনি নিজেকে মার্গের আদর্শের প্রচারে ও মার্গের বহুবিধ কাজে সম্পূর্ণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনি মার্গের সকলের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন৷

১৯৭৯ সালে তিনি লৌকিক পরিবার ত্যাগ করে বৃহৎ বিশ্বপরিবারের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী কর্মীরূপে যোগ দেন৷ সেই দিন থেকে মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন৷ সাম্প্রতিক তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন৷ টাটা মেডিকেল সেন্টারে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷

তিনি মার্গের বিভিন্ন বিভাগে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন৷ যখনই যে কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন দক্ষতার সঙ্গে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷ ভারতের বাহিরেও তিনি মার্গের আদর্শের প্রচারে কাজ করেছেন৷ শেষ কয়েকবছর তিন দিল্লী সেক্টরের ধর্মপ্রচার সেক্রেটারী ছিলেন৷ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন৷ তার মতো আদর্শবান শৃঙ্খলা পরায়ণ ও ত্যাগব্রতী কর্মীর অকাল প্রয়াণে মিশনের সকলেই শোকাহত৷

স্মরণসভা ঃ গত ৮ই এপ্রিল তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে শোকস্তব্ধ পরিবেশে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত সভায় সর্বত্যাগী কর্মী ছাড়াও বহু আনন্দমার্গী ভাই-বোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ সকাল ১০টায় শোকসভা শুরু হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত, বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর সন্ন্যাসী, দাদা দিদি ও মার্গী ভাই বোনেরা অনেকে বাসুদেবানন্দদার কর্মজীবনে স্মৃতি তর্পন করে শ্রদ্ধা জানান৷ শোকবিহ্বল ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্যে স্মরণসভা শেষ হয়৷ আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত, আচার্য বিশুদ্ধাত্মানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা প্রমুখ স্মৃতি তর্পন করেন৷

চুঁচুড়ায় মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা বৈশাখ ১৪৩২ চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষক রণজিৎ দাস (বাবাই)-এর নব নির্মিত বাসভবনে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য মতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ও বাবাই স্যারের আত্মীয় পরিজন সকাল থেকেই তাঁর গৃহে সমবেত হন৷

সকাল ৯-৩০ মিনিটে মার্গীয় বিধিতে গৃহ প্রবেশ করেন বাবাই স্যারের মাতা পিতা, আত্মীয় পরিজন ও মার্গী ভাইবোনেরা৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ এরপর সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২-৩০ মি পর্যন্ত প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিবেশনে অংশগ্রহণ করেন মার্গী ভাই বোনের কীর্ত্তন মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায় এর পর মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাবাই সার ও তার মা বাবা৷ এরপর প্রবীন আনন্দমার্গী স্নেহময় দত্ত বাংলা নববর্ষে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রচনা থেকে পাঠ করে শোণান৷ কীর্ত্তন ও নববর্ষ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন স্নেহময় দত্ত, স্কুলের শিক্ষক মানস মণ্ডল প্রমুখ৷

ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলনের পাশে কমলা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মাত্র চার মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অথচ এর মধ্যেই ট্রাম্প এবং তাঁর অন্যতম উপদেষ্টা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়েছেন আমেরিকার মানুষ৷ শনিবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা৷ নতুন এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘হ্যান্ডস অফ’! সেই ‘হ্যান্ডস অফ’ কর্মসূচিকে সরাসরি সমর্থন করেছেন আমেরিকার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও৷

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা৷ তাই প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প-প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি৷ রবিবার মাস্ককে কটাক্ষ করে কমলা নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আজ আমাদের দেশের প্রতিটি কোণে কোণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকানরা৷ সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ৷ বিক্ষোভকারী শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর এই সব ‘অনির্বাচিত ধনকুবেরদের’ কণ্ঠকে ছাপিয়ে যাক৷’’

উল্লেখ্য, ট্রাম্প যে ভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, তাতে ক্ষুব্ধ হাজার হাজার আমেরিকান৷ প্রতিবাদে শনিবার থেকে আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে মিছিল এবং সমাবেশ চলছে৷ বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষের সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী-সহ ৫০টি স্টেটের মোট ১৫০টিরও বেশি গোষ্ঠী দেশের ১,২০০ টিরও বেশি এলাকায় এই ‘হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভের আয়োজন করে৷ তবে সমাবেশগুলি শান্তিপূর্ণ ছিল, এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও গ্রেফতারির খবরও পাওয়া যায়নি৷

শনিবার থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন এবং ওয়াশিংটনের রাস্তায়৷ শয়ে শয়ে মানুষের মুখে একটাই কথা, ‘আমেরিকার কোনও রাজা নেই৷ আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না৷’ ট্রাম্পের পাশাপাশি টেসলা-কর্তা মাস্কের বিরুদ্ধেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷ শুধু আমেরিকাই নয়, বিক্ষোভ হয়েছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পর্তুগাল, মেক্সিকো এবং পুয়ের্র্তে রিকোয়৷

আমেরিকার প্রেসিডেন্টপদে বসেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প৷ এর মধ্যে বিবিধ প্রশাসনিক পদে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসী বিতাড়ন, তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং নতুন শুল্কনীতিও রয়েছে৷ এ সব নিয়েই ক্ষুব্ধ আমেরিকাবাসীদের একাংশ৷ সাম্প্রতিক কালে, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে ঘিরে দেশের বাইরেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ তবে এ সব সত্ত্বেও অবিচল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট৷

যন্ত্র ঘোড়া তৈরী করে ফের জাপানি প্রযুক্তির জয়জয়কার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ফের জাপানি প্রযুক্তির জয়জয়কার৷ এ বার যন্ত্র-ঘোড়া (রোবটিক হর্স) তৈরি করে গোটা দুনিয়াকে চমকে দিল ‘সূর্যোদয়ের দেশ’! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) জোরে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে সেটি৷ পাশাপাশি, এবড়ো খেবড়ো পাথুরে ভূমিতেও দুরন্ত গতিতে ছোটার ক্ষমতা রয়েছে তার৷ এ হেন যন্ত্র-ঘোড়া আগামী দিনে যাত্রী পরিবহণে রীতিমতো বিপ্লব আনবে বলে দাবি করেছে টোকিও৷

জাপানের জনপ্রিয় মোটর-সাইকেল নির্মাণকারী সংস্থা কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ৷ হাইড্রোজেন শক্তির চারপেয়ে বিশেষ ধরনের একটি যন্ত্র-ঘোড়া তৈরি করেছে তারা৷ রোবটিক হর্সটির নামকরণ করা হয়েছে কর্লিও৷ চলতি বছরের ‘ওসাকা-কানসাই এক্সপো’তে সংশ্লিষ্ট যন্ত্র-ঘোড়ার প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে কাওয়াসাকি৷ এর পরই কর্লিওকে ঘিরে দুনিয়া জুড়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়৷

নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যন্ত্র-ঘোড়াটির চারটি পা আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করতে সক্ষম৷ আর তাই যে কোনও ভূমিতে নিদর্িধায় চলাচল করতে পারবে এটি৷ গন্তব্যের দিকে ছোটার সময়ে একজন সওয়ারিকে পিঠে নিতে পারবে কার্লিও৷ এর মধ্যে রয়েছে ১৫০ সিসির হাইড্রোজেন ইঞ্জিন৷

কাওয়াসাকির তৈরি যন্ত্র-ঘোড়ার দেহ ধাতু এবং কার্বনের উপাদানে তৈরি৷ এর সামনের প্রান্তে একটি মাথার মতো ঢাল রয়েছে৷ বাইকের নান্দিকতাকে মাথায় রেখে কার্লিও নকশা আঁকা হয় বলে জানিয়েছে জাপানি নির্মাণকারী সংস্থা৷ কৃত্রিম মেধায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকায় আরোহীর শরীরের নাড়াচাড়ায় সাড়া দিতে পারে ওই যন্ত্র-ঘোড়া৷

বাইকের বিকল্প হিসাবে কার্লিওকে কাওয়াসাকি কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়৷ তবে আরোহীর স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এতে একাধিক ফিচার যুক্ত করেছে ওই জাপানি সংস্থা৷ তার মধ্যে রয়েছে হেড আপ ডিসপ্লে, হাইড্রোজেন জ্বালানি পরিমাপের মিটার, দিক নির্ণয় যন্ত্র এবং ওজন বণ্টনের যন্ত্র৷ এ ছাড়া রিয়েল টাইম তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম জাপানি কার্লিও৷

কাওয়াসাকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেস, যন্ত্র-ঘোড়ার প্রযুক্তিতে আরও কিছু রদবদল করা হবে৷ ২০৫০ সালের মধ্যে এটি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ কার্লিও দাম সম্পর্কে অবশ্য সংস্থার তরফে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি৷

দিল্লি-উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে তীব্র তাপপ্রবাহ, জারি হল হলুদ সতর্কতা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে আবারও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল ভারতের আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)৷ চলতি সপ্তাহে দেশের রাজধানী ও সংলগ্ণ রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে থাকতে পারে৷ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ চলবে৷

শুধু দিল্লিই নয়, তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে গুজরাত, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, লাদাখ এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু অংশেও৷ উল্লেখ্য, সোমবারও উত্তর ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যেই তীব্র তাপপ্রবাহ চলেছিল, যা চলতি মরসুমের প্রথম ব্যাপক তাপপ্রবাহের ঘটনা৷ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেশি রেকর্ড হয়েছে৷ রাজস্থান, সৌরাষ্ট্র এবং গুজরাতের কচ্ছের কিছু কিছু জায়গাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে৷

কোথায় তাপমাত্রা কত বেশি হবে, তা নিয়ে যেন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নেমেছে দেশের রাজধানীও৷ দিল্লির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়া কেন্দ্র সফদরজং, রিজ এবং আয়ানগরে সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছে! বৃহস্পতিবারের আগে পরিস্থিতির হেরফের হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই৷ সেই আবহে আবহাওয়া দফতরের তরফে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

সরকারি তথ্য বলছে, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি এবং লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে৷ পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের কিছু অংশেও অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে তাপমাত্রা৷ সাধারণত কোনও স্থানের সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৫ ডিগ্রি বেশি থাকলে এবং দিনের সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁলে, সেই পরিস্থিতিকে তাপপ্রবাহ বলে ঘোষণা করা হয়৷ তাই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছোতেই তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন৷

ধর্ম উপলক্ষ্য মাত্র --- লক্ষ্য বাঙালী জাতিসত্ত্বার বিনাশ ক্লেদাক্ত রাজনীতির মধ্যেই সাম্প্রদায়িকতার বীজ নিহিত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মুর্শিদাবাদের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ রাজনীতির কারবারিদের অপরাধীর কাঠগোড়ায় তোলেন৷ প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথাও তিনি বলেন৷ তিনি বলেন কেন্দ্রে বিজেপি সরকার কায়েম হবার পর থেকেই ধর্মমতকে হাতিয়ার করে বাঙলা দখলে তৎপর হয়েছে৷ কিন্তু রাজনৈতিক কৌশলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পেরে উঠছে না বিজেপি৷ ২০২১ ও ২০২৪ এর পরাজয়ের গ্লাণি ভুলতে পারছে না বিজেপি৷ তাই ২০২৬-এ বাঙলা দখলের জন্যে উন্মাদ হয়ে উঠেছে বিজেপি৷ নেতাদের কথাবার্তা অগণতান্ত্রিক সুলভ৷

মুর্শিদাবাদের মর্মান্তিক ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার রং লাগলেও পশ্চাতে আছে নোংরা রাজনীতির খেলা৷ নন্দীগ্রামে দেখেছিলাম চটি পরা পুলিশ, এখানেও চটি পরা বিএসএফ ও বহিরাগতের অনুপ্রবেশের খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে৷ এর থেকে একটা সত্য উঠে আসছে ঘটনার পিছনে সাম্প্রদায়িক ভাবাবেগ নয়, সংকীর্ণ রাজনৈতিক মতলব রয়েছে৷ দেশভাগের বলি বাঙালী সেদিনও উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় ক্লেদাক্ত রাজনীতির শিকার হয়েছিল৷ আজও কিছু অপগণ্ড বাঙালীর হাত ধরে উত্তর পশ্চিমের ক্লেদাক্ত রাজনীতি বাঙলায় অনুপ্রবেশ করছে৷ তিনি বলেন শ্যামাপ্রসাদের মত পণ্ডিত ব্যষ্টিও এই ক্লেদাক্ত রাজনীতি করতে গিয়ে সেই ক্লেদাক্ত রাজনীতিরই বলি হন৷ এই ক্লেদাক্ত রাজনীতির মধ্যেই নিহিত আছে সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত বীজ৷

স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বাঙলার খনিজ বনজ, কৃষিজ, জলজ সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি দেশীয় পুঁজিপতি ও সাম্রাজ্যবাদী শাসকের৷ তাই বাঙলার ভূ-খণ্ডকে টুকরো টুকরো করে বাঙালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে বাঙলাকে অবাধ লুণ্ন্ঠনের সূচনা করে যায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ৷ সেই পথই অনুসরণ করছে নেহেরু থেকে নরেন মোদি দিল্লির প্রতিটি সরকার৷ মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক ঘটনাও আলাদা কিছু নয়৷ যে ক্লেদাক্ত রাজনীতি স্বাধীনতার আগে জিন্‌হা গান্ধী, নেহেরু, পটেলের হাত ধরে শুরু হয়েছে৷ মুর্শীদাবাদের ঘটনা তারই পরিণতি৷ গণতান্ত্রিক পথে বাঙলা দখলে ব্যর্থ হয়ে সংকীর্ণ ধর্মমতকে আশ্রয় করে ক্লেদাক্ত রাজনীতির খেলায় নেমেছে কিছু উত্তর পশ্চিম ভারতীয় নেতা৷ প্রায় দু’বছর ধরে দাঙ্গায় জরাজীর্ণ মনিপুর নিয়ে যাদের মুখে একটা বুলি ফুটেনে তারাই মুর্শিদাবাদ নিয়ে ফুটানি মারছে৷

বাঙালী জাতির কথা ভাবলেও কষ্ট হয়৷ ১৯৪৬-এর ক্ষত এখনও দগদগ করছে, তবুও বাঙালীর শিক্ষা হচ্ছে না৷ রাজনীতির কারবারীদের উস্কানিতে আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে বার বার সংকীর্ণ ধর্মমতের ভাবাবেগে৷

রঙীন উৎসবে উদ্‌যাপিত হলো বাঙালীর বর্ষবরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রভাতফেরি, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রসনায় পঞ্চব্যঞ্জন দিয়ে উদ্‌যাপন হলো বাঙালীর বর্ষবরণ---১৪৩২৷ কোথাও কোথাও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে মিছিলে সামিল হয়েছে উভয় সম্প্রদায়ের বহু মানুষ৷ ১লা বৈশাখ সকাল থেকেই শহর থেকে গ্রামে বিভিন্ন ক্লাব, সংঘটন, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাঙলার নববর্ষকে বরণ করে নেয়৷ শোভাযাত্রা পথ পরিক্রমায় ছিল বাঙলার লোক সংস্কৃতির সমাহার৷

আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঃ---গত মঙ্গলবার ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন ১লা বৈশাখ কলিকাতায় আন্দমার্গের কেন্দ্রীয় জাগৃতি ভবনে ‘নববর্ষ বরণ’ অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করা হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে বাঙলা আমার দেশ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত৷ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে সর্বপ্রথম সকাল ৬-৩০টা থেকে ৯-৩০টা পর্যন্ত ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে সাধনা, স্বাধ্যায়,বর্ণার্ঘদান ইত্যাদি চলে৷ স্বাধ্যায়ে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচিত গ্রন্থ থেকে বাঙলার নববর্ষ প্রদত্ত প্রবচনটি পাঠ করেন শ্রদ্ধেয় আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত৷ অত:পর মার্গগুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সংঘের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার, এরপর সংঘের, প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারী ও অন্যান্য উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা৷

পরবর্তী পর্যায়ে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে স্বাগত ভাষণ দেন সমাজ সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা, প্রাক্তন সমাজ সচিব বকুলচন্দ্র রায় প্রমুখ৷ এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ শ্রদ্ধেয় দাদা আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত, আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত,পৌলমী মণ্ডল প্রমুখ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ নরেন্দ্রপুর শিশু সদনের শিশুশিল্পীবৃন্দ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে কয়েকটি নৃত্য পরিবেশন করে৷

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর সংক্ষিপ্ত কীর্ত্তন, সাধনা ও গুরুপূজার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়৷ অত:পর প্রায় তিন শতাধিক ভক্তমন্ডলী দ্বিপ্রাহরিক মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন৷

 আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির’ পক্ষ থেকে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা, নমস্কার ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিনহা৷

নোড়াদহে অখণ্ড কীর্ত্তন ঃ এইদিন নববর্ষ উপলক্ষ্যে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ নোড়াদহে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সুভাষ বৈরাগীর বাসগৃহে সকাল ৬টা থেকে ছয় ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্ষবরণও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য সৌম্যসুন্দরানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্যা প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলার ভুক্তি প্রধান শ্রী সন্তোষ বিশ্বাস৷

পাইকারি বাজারে দাম কমলেও, খুচরা বাজারে এখনও নাজেহাল হচ্ছে মানুষ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ফের সরাসরি দাম কমল পাইকারি বাজারে৷ মার্চ মাসে সর্বনিম্ন হল পাইকারি মূল্য সূচক৷ মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মার্চ মাসে পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধির হার ২.০৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে৷ এই হার গত ছ’মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম বলে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷ দেশের পাইকারি মূল্যস্ফীতি মার্চ মাসে ২.০৫ এবং ফেব্রুয়ারিতে ২.৩৮ ছিল৷ পাইকারি মূল্য সূচকের (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা ডব্লিউপিআই) মুদ্রাস্ফীতির হার নামায় মিলেছে স্বস্তি৷ এর জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা৷ সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ বলছে, পাইকারি বাজারে দাম কমলেও, খুচরো বাজারে এখনও সে ভাবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না৷ বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দরে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ৷ ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে , ২০২৫ সালের মার্চ মাসে পাইকারি মূল্য সূচক বা ডব্লিউপিআই মুদ্রাস্ফীতি ২.১ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এই ফেব্রুয়ারিতে ২.৪ শতাংশ ছিল৷ মূলত খাদ্যের দামের হ্রাসের জেরেই মানুষের দৈনন্দিন খরচের বোঝা কিছুটা লাঘব হয়েছে বলে আজ প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে৷ মাসিক ভিত্তিতে সব্জির দাম ৪ শতাংশ কমেছে, যদিও আগের মাসের তুলনায় এই হ্রাসের গতি কিছুটা কম৷ পাইকারি মূল্য কমলেও সমস্ত খাদ্যপণ্য এই ধারা অনুসরণ করেনি৷ মাসিক ভিত্তিতে ভোজ্য তেলের দাম ১.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ অন্য দিকে, চিনির দাম ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ফলে যে সব খাদ্যে ভোজ্যতেল এবং চিনি প্রধান কাঁচামাল সেই সমস্ত খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে৷ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম হ্রাসের কারণে মার্চ মাসে জ্বালানির হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এ ছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী ধাতুর দাম বেড়েছে৷ সে কারণে এই ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যকে ব্যাহত করেছে এবং খরচ বাড়িয়েছে৷ তেলের দাম কমলেও, ধাতুর দাম বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতিকে কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷

দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে---নাসা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতা, এবং তাতে সফল হলে মোটা টাকার পুরস্কার ঘোষণা করল নাসা৷ চাইলে যে কেউই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন৷ পুরস্কারমূল্য ৩০ লক্ষ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৬ কোটি টাকা৷ তবে প্রতিযোগিতায় যে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কথা বলা হয়েছে, তা একটু অদ্ভুতই৷ সোজা কথায় নাসা মহাকাশে মানুষের বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তিগত সমাধান খুঁজছে৷ ‘লুনা রিসাইকেল চ্যালেঞ্জ’-এর অংশ হিসাবে, মহাকাশ সংস্থা জনসাধারণকে একটি প্রযুক্তি তৈরির জন্য আহ্বান জানিয়েছে৷ সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাঁদে থাকাকালীন বা দীর্ঘ মহাকাশের উড়ানের সময় নভশ্চরেরা তাঁদের মল, প্রস্রাব এবং বমি পুনর্ব্যবহার করবেন৷ এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ হল মহাকাশে বাড়তি আবর্জনা না বাড়িয়ে তাকে জল, শক্তি বা সারের মতো মূল্যবান সম্পদে রূপান্তরিত করার প্রযুক্তি তৈরি করা৷ ৫০ বছর আগের অ্যাপোলো অভিযানেরই ৯৬ ব্যাগ মানব বর্জ্য পড়ে রয়েছে চাঁদের মাটিতে৷ নাসার এই প্রতিযাগিতার লক্ষ্যই হল মহাকাশে ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলা না বাড়িয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপায় খুঁজে বার করা৷ যদি কোনও প্রযুক্তি নাসার অনুমোদন পেয়ে জয়লাভ করে, তবে সেটিকে ভবিষ্যতের অভিযানগুলিতে ব্যবহার করা হবে৷ এর মধ্যে চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ নাসার ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, তারা দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে৷ ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানে মানুষকে পাঠানোর সময় মহাকাশে কঠিন বর্জ্য-সহ বিভিন্ন বর্জ্যের পরিমাণ কমানো নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি৷ কী ভাবে মহাকাশে বর্জ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং পুনর্ব্যবহার করতে হয়, তার উপায় বার করতে চাইছে নাসা৷ এর ফলে খুব কম পরিমাণ বর্জ্য পুনরায় পৃথিবীতে ফেরত নিয়ে আসতে হবে৷ এই বিষয় নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে বলে নাসা জানিয়েছে৷ নাসা প্রথম দফার জমা হওয়া আবেদনপত্রগুলি পর্যালোচনা করছে এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য এর মধ্যে থেকে সেরাগুলিকে বেছে নেওয়ার কাজ চলছে৷

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু নির্মাণ করে চমকে দিল চিন

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

এক ঘণ্টার পথ পেরোতে লাগবে মাত্র এক মিনিট৷ এটির নাম হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ৷ আগামী জুন মাসের মধ্যেই যাতায়াত করার জন্য তৈরি হয়ে যাবে সেতুটি৷ যে রাস্তা অতিক্রম করতে এক ঘণ্টা সময় লাগত, ৩.২ কিমি দীর্ঘ এই সেতুর ব্যবহার করে তা এক মিনিটে পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা৷ সেতুটি তৈরি হয়েছে গুইঝৌ প্রদেশে৷ ২১ কোটি ৬০ লক্ষ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় ২২০০ কোটি টাকা) ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ২০০ মিটারেরও বেশি লম্বা৷ তিনটি আইফেল টাওয়ারের সম্মিলিত ওজনের সমান এই সেতুটি৷ মাত্র দু’মাসের মধ্যে সেতুর ইস্পাত কাঠামোগুলি বসানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর৷ এক সুবিশাল গিরিখাতের উপর নির্মিত সেই সেতুটির একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সমাজমাধ্যমে৷ কলিন রাগ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি প্রকাশিত হয়েছে৷ ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি৷ ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়োটি ৫০ লক্ষ বার দেখা হয়েছে সমাজমাধ্যমে৷ হাজার হাজার লাইক, কমেন্ট পড়েছে এই ভিডিয়োয়৷

চিনের এক রাজনীতিবিদ ঝাং শেংলিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চিন কতটা দক্ষ, তা এই প্রকল্পটি প্রমাণ করেছে৷ গুইঝোকে বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যপূরণে সফল হবে এই সেতুটি৷