বিজনসেতু থেকে বগটুই---পাপ পুঞ্জীভূত আকার ধারণ করেছে - ৩০শে এপ্রিল বিচারের  দাবীতে বিজনসেতুতে  সমাবেশ  

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

করোনার কারণে দুবছর পর ৩০শে এপ্রিল বিজনসেতুতে আনন্দমার্গের পূর্র্ণঙ্গরূপে সভা হচ্ছে৷ ১৯৮২ সালের ৩০শে এপিল সেদিনের শাসক সিপিএমের ঘাতক বাহিনী আনন্দমার্গের ১৭ জন সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনীকে নির্মমভাবে হত্যা করে৷ তারপর থেকে প্রতিবছরই আনন্দমার্গীরা ন্যায় বিচারের দাবীতে ৩০শে এপ্রিল বিজনসেতুতে সভা করে৷

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত জানান করোনার কারণে গত দুবছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান  হয়েছে৷ কিন্তু এবছর করোনার  প্রকোপ কমে যাওয়ায়  ও বিধি নিষেধ শিথিল হওয়ায় বিজন সেতুতে পূর্ণাঙ্গরূপে সভা অনুষ্ঠিত  হবে৷ তিনি জানান দুপুর দুটা থেকে দুটা ত্রিশ মিনিটের মধ্যে, দেশপ্রিয় পার্ক থেকে মিছিল শুরু হবে৷ মিছিল বিজনসেতুতে পৌঁছানোর পর প্রথমে দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান হবে৷ এরপর শুরু হবে প্রতিবাদ সভা৷ সভায় বক্তাদের  কন্ঠে  মূল দাবী থাকবে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার ও লালা কমিশনের  তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ৷

আচার্য কৃষ্ণেশ্বরানন্দ অবধূত জানান---রাজ্যে শাসক দলের   পরিবর্তন এলে  আমরা বিজন সেতুর  হত্যার প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বার করতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের দাবী জানিয়ে ছিলাম৷ আমাদের দাবী মেনে রাজ্য সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেন৷ বিচারপতি  অমিতাভ লালার নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠিত হয়৷ ২০১৯ সালের সেপ্ঢেম্বর সেই তদন্তের প্রতিবেদন রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরে জমা পড়ে৷ কিন্তু  আজও সেই প্রতিবেদন বিধানসভায় পেশ করা হয়নে৷ কারণ অজ্ঞাত৷ ইতিমধ্যে বিচারপতি লালার জীবন অবসান হয়৷ আচার্য কৃষ্ণেশ্বরানন্দ অবধূতও দাবী করেন লালা কমিশনের  প্রতিবেদন প্রকাশের৷