কত অজানারে

লেখক
জিজ্ঞাসু

আনন্দনগর থেকে সকাল বেলা বেরিয়ে ডিমডিহা পাহাড় ঘুরে আবার আনন্দনগর ফিরে আসতে, সুবোধদাদের বিকেল হয়ে গেছিল৷ তখনই প্রশ্ণ জাগলো মনে, আনন্দনগরই যদি এত বড় হয়, সে তুলনায় পুরুলিয়া জেলা কি বিশাল৷ আবার পুরুলিয়ার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ যেন ডোবার পাশে হ্রদ৷ বড়র যেন শেষ নেই৷ পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় ভারত কত বিশাল ভাবা যায় না৷ আবার পৃথিবীর তুলনায় ভারত যেন মহাসমুদ্রে একটা তুচ্ছ দ্বীপ৷ এখানেই শেষ নয়৷ আমাদের এই বিশাল পৃথিবী যার তিন ভাগই জল আর একভাগ স্থলে আছে প্রায় দু’শত দেশ৷ অজস্র ভাষা, অসংখ্য প্রাণী, ততোধিক ফল–ফুল, বনানীর মহা বৈচিত্র্যের মহামিলন ক্ষেত্র৷ বিজ্ঞান বলছে এত বিশাল এই পৃথিবী যার একদিকে দিন হলে বিপরীত দিকে রাত৷ এরকম তেরো লক্ষ (১৩,০০০০০) পৃথিবী আমাদের সূর্যের পেটের ভেতর ঢুকে যাবে৷ সূর্য তাহলে কি বিশাল এরপরও বিস্ময়ের বাকী আছে বন্ধু, বলা হচ্ছে মহাকাশে আমাদের সূর্য এক অতি নগন্য ছোট্ট তারা৷ আরো কত বড় তারা আছে তুলনাটা হবে, হিমালয় পর্বতমালার পাশে সূর্য যেন এক নুড়ি পাথর হ্যাঁ, এমন লক্ষ লক্ষ সূর্য তারা তাদের পরিবার নিয়ে চলে চলেছে, লক্ষ লক্ষ গ্যালাক্সি চলে চলেছে কোন দিগ্বিদিকে তা কেউ জানে না৷ এক দিন হয়তো জানবে৷ এইটুকু জানা গেছে যে কোটি কোটি বছর আগে নিরাকার অন্ধকার আকাশে হঠাৎই এক মহাবিস্ফোরণ থেকে জন্ম নিল পরমাণু থেকে মহাবিশ্ব, জাগতিক বস্তু ও অসংখ্য প্রাণী কি আশ্চর্য সবই ওই আকাশ থেকে যা তুলনাহীন ভাবে অনন্ত এইসব বিশালের ভাবনা নিলে মনটা বৃহৎ হবার সুযোগ পায়৷ এ বিষয়ে ঋষি বশিষ্ঠের সুন্দর কিছু কথা পরের বারে লেখার ইচ্ছে রইল৷