বিশিষ্ট প্রাউট তাত্ত্বিক শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---একের পর এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে এই সরকার৷ সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়ই এল.আই.সি কে বেসরকারী হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ এই সরকারই ফলাও করে আত্মনির্ভরতার কথা প্রচার করে, সব কা সাথ সব কা বিকাশের কথা বলে৷ অথচ কাজের বেলায় সম্পূর্ণ বিপরীত পথে চলে৷ পুঁজিপতিদের তোষণ করে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি তাদের হাতে তুলে দিয়ে সকল মানুষের আর্থিক বিকাশ কিভাবে সম্ভব? এর কোনো সদ্ত্তোর প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী কারো কাছেই নেই৷ প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতির পর্বত চূড়ায় ওঠার গল্প শোণায় জনগণকে, কিন্তু ছুটছেন সাগর পাণে অতলে তলীয় যাওয়ার জন্য৷ সব কা সাথ, সব কা বিকাশ কথার অর্থ হল জনগণের আর্থিক মুক্তি৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীত অর্থনীতিতে যা এক অলীক কল্পনা৷ আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হলে, প্রথম শর্তই হচ্ছে প্রতিটি মানুষের জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান,শিক্ষা ও চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে হবে৷ তার জন্য প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে৷ যা কেন্দ্রীত অর্থনীতি ব্যবস্থায় কোনমতেই সম্ভব নয়৷ তাই আত্মনির্ভর ও সবার বিকাশ করতে হলে সবার আগে দেশকে কেন্দ্রীত অর্থনীতির অস্বাস্থ্যকর প্রভাব থেকে মুক্ত করতে হবে৷ কিন্তু দেশ চালাচ্ছে একদল কায়েমী স্বার্থবাদীরা, যারা পুঁজিপতিদের নির্দেশে চলতে বাধ্য৷ তাই প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে আত্মনির্ভরতার কথা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র৷ দেশকে আত্মনির্ভর করতে হলে এই কেন্দ্রীত আর্থিক কাঠামো ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে প্রাউটের পথে বিকেন্দ্রিত অর্থ ব্যবস্থা চালু করতে হবে৷ যে সরকার কেন্দ্রীত অর্থনীতির ধারক বাহক পুঁজিপতিদের হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয় তার দ্বারা আত্মনির্ভর দেশ গড়া কখনই সম্ভব নয়৷ একমাত্রই প্রাউটিষ্টদের পক্ষেই আত্মনির্ভর দেশ গড়া সম্ভব৷ তাই প্রাউটিষ্টদের উচিত---‘‘কেন্দ্রীত অর্থনীতি নিপাত যাক,বিকেন্দ্রীত অর্থ ব্যবস্থা চালু করতে হবে৷ শোষণের অবসান হোক’’ এই শ্লোগান তুলে আন্দোলনে নামা৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়