সংবাদ দর্পণ

আনন্দমার্গের নিষ্ঠাবান সাধক ও ত্যাগব্রতী কর্মী আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত পরলোকে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫ই এপ্রিল আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সর্বত্যাগী কর্মী আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে সকাল ৮টা ৫মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ তাঁর দেহত্যাগের খবরে মার্গীমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত আদর্শ পরায়ণ নিষ্ঠাবান কর্মী ছিলেন৷ তিনি নিজেকে মার্গের আদর্শের প্রচারে ও মার্গের বহুবিধ কাজে সম্পূর্ণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনি মার্গের সকলের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন৷

১৯৭৯ সালে তিনি লৌকিক পরিবার ত্যাগ করে বৃহৎ বিশ্বপরিবারের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী কর্মীরূপে যোগ দেন৷ সেই দিন থেকে মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন৷ সাম্প্রতিক তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন৷ টাটা মেডিকেল সেন্টারে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷

তিনি মার্গের বিভিন্ন বিভাগে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন৷ যখনই যে কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন দক্ষতার সঙ্গে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷ ভারতের বাহিরেও তিনি মার্গের আদর্শের প্রচারে কাজ করেছেন৷ শেষ কয়েকবছর তিন দিল্লী সেক্টরের ধর্মপ্রচার সেক্রেটারী ছিলেন৷ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন৷ তার মতো আদর্শবান শৃঙ্খলা পরায়ণ ও ত্যাগব্রতী কর্মীর অকাল প্রয়াণে মিশনের সকলেই শোকাহত৷

স্মরণসভা ঃ গত ৮ই এপ্রিল তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে শোকস্তব্ধ পরিবেশে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত সভায় সর্বত্যাগী কর্মী ছাড়াও বহু আনন্দমার্গী ভাই-বোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ সকাল ১০টায় শোকসভা শুরু হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত, বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর সন্ন্যাসী, দাদা দিদি ও মার্গী ভাই বোনেরা অনেকে বাসুদেবানন্দদার কর্মজীবনে স্মৃতি তর্পন করে শ্রদ্ধা জানান৷ শোকবিহ্বল ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্যে স্মরণসভা শেষ হয়৷ আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত, আচার্য বিশুদ্ধাত্মানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা প্রমুখ স্মৃতি তর্পন করেন৷

চুঁচুড়ায় মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা বৈশাখ ১৪৩২ চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষক রণজিৎ দাস (বাবাই)-এর নব নির্মিত বাসভবনে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য মতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ও বাবাই স্যারের আত্মীয় পরিজন সকাল থেকেই তাঁর গৃহে সমবেত হন৷

সকাল ৯-৩০ মিনিটে মার্গীয় বিধিতে গৃহ প্রবেশ করেন বাবাই স্যারের মাতা পিতা, আত্মীয় পরিজন ও মার্গী ভাইবোনেরা৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ এরপর সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২-৩০ মি পর্যন্ত প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিবেশনে অংশগ্রহণ করেন মার্গী ভাই বোনের কীর্ত্তন মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায় এর পর মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাবাই সার ও তার মা বাবা৷ এরপর প্রবীন আনন্দমার্গী স্নেহময় দত্ত বাংলা নববর্ষে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রচনা থেকে পাঠ করে শোণান৷ কীর্ত্তন ও নববর্ষ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন স্নেহময় দত্ত, স্কুলের শিক্ষক মানস মণ্ডল প্রমুখ৷

ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলনের পাশে কমলা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মাত্র চার মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অথচ এর মধ্যেই ট্রাম্প এবং তাঁর অন্যতম উপদেষ্টা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়েছেন আমেরিকার মানুষ৷ শনিবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা৷ নতুন এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘হ্যান্ডস অফ’! সেই ‘হ্যান্ডস অফ’ কর্মসূচিকে সরাসরি সমর্থন করেছেন আমেরিকার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও৷

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা৷ তাই প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প-প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি৷ রবিবার মাস্ককে কটাক্ষ করে কমলা নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আজ আমাদের দেশের প্রতিটি কোণে কোণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকানরা৷ সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ৷ বিক্ষোভকারী শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর এই সব ‘অনির্বাচিত ধনকুবেরদের’ কণ্ঠকে ছাপিয়ে যাক৷’’

উল্লেখ্য, ট্রাম্প যে ভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, তাতে ক্ষুব্ধ হাজার হাজার আমেরিকান৷ প্রতিবাদে শনিবার থেকে আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে মিছিল এবং সমাবেশ চলছে৷ বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষের সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী-সহ ৫০টি স্টেটের মোট ১৫০টিরও বেশি গোষ্ঠী দেশের ১,২০০ টিরও বেশি এলাকায় এই ‘হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভের আয়োজন করে৷ তবে সমাবেশগুলি শান্তিপূর্ণ ছিল, এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও গ্রেফতারির খবরও পাওয়া যায়নি৷

শনিবার থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন এবং ওয়াশিংটনের রাস্তায়৷ শয়ে শয়ে মানুষের মুখে একটাই কথা, ‘আমেরিকার কোনও রাজা নেই৷ আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না৷’ ট্রাম্পের পাশাপাশি টেসলা-কর্তা মাস্কের বিরুদ্ধেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷ শুধু আমেরিকাই নয়, বিক্ষোভ হয়েছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পর্তুগাল, মেক্সিকো এবং পুয়ের্র্তে রিকোয়৷

আমেরিকার প্রেসিডেন্টপদে বসেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প৷ এর মধ্যে বিবিধ প্রশাসনিক পদে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসী বিতাড়ন, তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং নতুন শুল্কনীতিও রয়েছে৷ এ সব নিয়েই ক্ষুব্ধ আমেরিকাবাসীদের একাংশ৷ সাম্প্রতিক কালে, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে ঘিরে দেশের বাইরেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ তবে এ সব সত্ত্বেও অবিচল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট৷

যন্ত্র ঘোড়া তৈরী করে ফের জাপানি প্রযুক্তির জয়জয়কার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ফের জাপানি প্রযুক্তির জয়জয়কার৷ এ বার যন্ত্র-ঘোড়া (রোবটিক হর্স) তৈরি করে গোটা দুনিয়াকে চমকে দিল ‘সূর্যোদয়ের দেশ’! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) জোরে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে সেটি৷ পাশাপাশি, এবড়ো খেবড়ো পাথুরে ভূমিতেও দুরন্ত গতিতে ছোটার ক্ষমতা রয়েছে তার৷ এ হেন যন্ত্র-ঘোড়া আগামী দিনে যাত্রী পরিবহণে রীতিমতো বিপ্লব আনবে বলে দাবি করেছে টোকিও৷

জাপানের জনপ্রিয় মোটর-সাইকেল নির্মাণকারী সংস্থা কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ৷ হাইড্রোজেন শক্তির চারপেয়ে বিশেষ ধরনের একটি যন্ত্র-ঘোড়া তৈরি করেছে তারা৷ রোবটিক হর্সটির নামকরণ করা হয়েছে কর্লিও৷ চলতি বছরের ‘ওসাকা-কানসাই এক্সপো’তে সংশ্লিষ্ট যন্ত্র-ঘোড়ার প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে কাওয়াসাকি৷ এর পরই কর্লিওকে ঘিরে দুনিয়া জুড়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়৷

নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যন্ত্র-ঘোড়াটির চারটি পা আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করতে সক্ষম৷ আর তাই যে কোনও ভূমিতে নিদর্িধায় চলাচল করতে পারবে এটি৷ গন্তব্যের দিকে ছোটার সময়ে একজন সওয়ারিকে পিঠে নিতে পারবে কার্লিও৷ এর মধ্যে রয়েছে ১৫০ সিসির হাইড্রোজেন ইঞ্জিন৷

কাওয়াসাকির তৈরি যন্ত্র-ঘোড়ার দেহ ধাতু এবং কার্বনের উপাদানে তৈরি৷ এর সামনের প্রান্তে একটি মাথার মতো ঢাল রয়েছে৷ বাইকের নান্দিকতাকে মাথায় রেখে কার্লিও নকশা আঁকা হয় বলে জানিয়েছে জাপানি নির্মাণকারী সংস্থা৷ কৃত্রিম মেধায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকায় আরোহীর শরীরের নাড়াচাড়ায় সাড়া দিতে পারে ওই যন্ত্র-ঘোড়া৷

বাইকের বিকল্প হিসাবে কার্লিওকে কাওয়াসাকি কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়৷ তবে আরোহীর স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এতে একাধিক ফিচার যুক্ত করেছে ওই জাপানি সংস্থা৷ তার মধ্যে রয়েছে হেড আপ ডিসপ্লে, হাইড্রোজেন জ্বালানি পরিমাপের মিটার, দিক নির্ণয় যন্ত্র এবং ওজন বণ্টনের যন্ত্র৷ এ ছাড়া রিয়েল টাইম তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম জাপানি কার্লিও৷

কাওয়াসাকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেস, যন্ত্র-ঘোড়ার প্রযুক্তিতে আরও কিছু রদবদল করা হবে৷ ২০৫০ সালের মধ্যে এটি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ কার্লিও দাম সম্পর্কে অবশ্য সংস্থার তরফে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি৷

যোগ স্বাস্থ্য শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়ার খলিশানী কালীতলা বাসষ্ট্যান্ডে একটি ত্রিতল বাড়িতে সুশান্ত শীলের পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় এবং অভিজিৎ মাইতির সহযোগিতায় পি.এম.এস.এ এর ব্যানারে একটি যোগ স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ ওখানে মূখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য পূর্নদেবানন্দ অবধূত, আ: সুধাব্রতানন্দ অবধূত ও দিদি আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্য’, অনুষ্ঠানে যথাক্রমে বকুল চন্দ্র রায়, সুব্রত সাহা এবং অমিয় পাত্র মহোদয় গনকে সর্র্ম্মেধনা দেওয়া হয় ও অভিজিৎ মা ইতি কে পূরস্কৃত করা হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে ২ জন যোগের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন৷ সুন্দর নিরামিষ আহারের ব্যবস্থা ছিল৷ সারা দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে সুশান্ত শীল এডিএম এর ভূক্তি প্রধান ও পি.এম.এস.এ এর সম্পাদক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন৷

নব রায়নগরে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৩০শে মার্চ, রবিবার, নব নদীয়া জেলার নব রায়নগরের প্রবীণা আনন্দমার্গী শ্রীমতী শিপ্রা সরকার দিদির নিজ গৃহে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত-৬ ঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন শ্রীকৌশিক সরকার, শ্রীমতী প্রিয়া সরকার, কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত৷ শ্রীমতী কাকলি মন্ডল, কৃষ্ণনগর ডিটস এস এল তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা ও শ্রীসজল রায় এর পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ অখন্ড সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ মৃদঙ্গ সঙ্গতে ছিলেন, শ্রীবিবেকজ্যোতি সরকার, শ্রীমান চিরদীপ সরকার প্রমুখ৷ নদীয়া জেলা ও তৎপার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও বহু ভক্তজন সকাল থেকেই কীর্তন অঙ্গনে উপস্থিত হয়ে কীর্তনে অংশ গ্রহন করেন৷ অখন্ড কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজার পরে স্বাধ্যায় করেন---নবরায়নগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ মধুমণিষা আচার্যা৷ কীর্তন মহিমার ওপর মূল্যবান আলোকপাত করেন আনন্দমার্গের প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ কীর্তনানুষ্ঠান শেষে শতধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন শ্রীমতী শিপ্রা সরকার৷

আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণের মহাযজ্ঞ: সবুজ স্বপ্ণের প্রস্তুতি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগরের সবুজায়নের শুভ সূচনা হয় ২০২১ সালে, অস্থি পাহাড়ে প্রথম বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে৷ সেই অভিযাত্রা প্রতিবছরই এগিয়ে চলেছে এক নতুন মাত্রায়৷ ২০২৪ সালে পঞ্চাশ হাজার চারাগাছ রোপিত হয়েছে, আর ২০২৫ সালে এক লক্ষ বৃক্ষরোপণের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য ইতোমধ্যে দেড় লক্ষ চারাগাছ প্রস্তুতির কাজ চলছে৷

*পরিকল্পনার অগ্রগতি ও কর্মধারা* ১) ইতোমধ্যে চারাগাছ রোপণের জন্য ৪০ একর জমি চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ ২) আনন্দনগরের জলবায়ুর উপযোগী বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন নার্সারি থেকে৷ বিশেষ করে, মধ্যপ্রদেশের রায়পুরের দীনদয়াল ভার্মা, এক নিবেদিত প্রাণ প্রকৃতিপ্রেমী আনন্দমার্গী, লালচন্দন, শ্বেতচন্দন, রামফল, সিন্দুরী, অমলতাস ও বাঁশের অনেক বীজ পাঠিয়েছেন৷ ৩) ৭৫,০০০ পলিব্যাগে বীজতলা প্রস্তুত হয়েছে আরও ৭৫,০০০ বীজতলা তৈরির কাজ চলছে৷ ৪) চারাগাছ রোপণের জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করতে হবে৷ ৫) চারাগাছগুলিকে জন্তু-জানোয়ার থেকে রক্ষা করতে কংক্রিট পিলার ও তারের বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ ৬) গাছ দ্রুত বৃদ্ধির জন্য গোবর, জৈব সার, সর্ষে ও নিম খোলের ব্যবস্থা করা হবে৷ ৭) দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে৷ ৮) প্রাথমিকভাবে বাইরের নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করতে প্রতি গাছে ৩০-৩৫ টাকা ব্যয় হত, কিন্তু নিজস্ব নার্সারি তৈরি করায় ব্যয় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে৷

এই বৃহৎ প্রকল্প শুধু বৃক্ষরোপণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ৷ আনন্দনগরের বুকে সবুজ অধ্যায় রচনার লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এই স্বপ্ণকে বাস্তবে রূপ দিতে৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে জন্মতিথি ও হাতে খড়ি উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৭ই মার্চ ২০২৫, চিৎমু গ্রামের নিবাসী ভ্রাতৃদ্বয়কনিষ্ঠ মিঠুন গরাঞ ও তাঁর স্ত্রী জ্যোতি গরাঞের একমাত্র কন্যা অরুণিমার দ্বিতীয় জন্মদিন আর মধ্যম মুকুল গরাঞ ও তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা গরাঞের একমাত্র পুত্র অর্ণবের তৃতীয় জন্মদিন, তৎসহ অর্ণবের হাতে খড়ি অনুষ্ঠান তাঁদের নিজ বাসভবনে আনন্দমার্গীয় চর্যাচর্য বিধি অনুসারে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যে উদ্‌যাপিত হয়৷

উৎসবের সূচনায় প্রভাত সঙ্গীত (আধ্যাত্মিক সংগীত) ও ‘‘বাবা নাম কেবলম নামকীর্তনের ভক্তিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ এরপর মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান ও স্বাধ্যায়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডল সুদৃঢ় হয়৷ জন্মতিথির তাৎপর্য ও তার অন্তর্নিহিত দর্শন ব্যাখ্যা করা হয়, যা উপস্থিত সকলকে ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করে৷

পরিশেষে, আশীর্বাদের রীতি অনুযায়ী, অরুণিমা ও অর্ণবের মঙ্গল কামনায় তাঁদের গুরুজনেরা শুভ তিলক অঙ্কন করেন ও পবিত্র ফুল-দুর্বার স্পর্শে আশীর্বাদ প্রদান করেন৷ অনুষ্ঠানটি প্রীতিভোজের মধ্য দিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয

 আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়ার আমতা নবনী ভবনে ৩০শে মার্চ অনুষ্ঠিত হল আমরা বাঙালির হাওড়া জেলা সম্মেলন৷ প্রথমে বিশিষ্ট অতিথি বর্গকে ডেকে নেওয়া হয় মঞ্চে৷ প্রত্যেকে একেকজন মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যার্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে একে একে আসন গ্রহণ করেন৷ প্রথমে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন শ্রী সুব্রত সাহা , বর্তমান সচিব রামচন্দ্র মান্নার পক্ষে বকুল চন্দ্র রায় বক্তব্যে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার কে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, মঞ্চে উপবিষ্ট সমতট সচিব শ্রীজয়ন্ত দাসকে শ্রদ্ধা ভালবাসা ও উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যকে শ্রদ্ধা ও অগ্রীম নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কাজ শুরু করেন৷ উল্লেখ করেন হাওড়ার একজন বিশিষ্ট আমরা বাঙালি কর্ম্মী ছিলেন অনিল বরন দাস তার নামে এই মঞ্চের নাম করন করা হয়েছে৷ এরপর যারা করনায় প্রান হারায় ও যে সমস্ত সমাজ কর্মী যেমন শৈলেন সরকার,সমর ভৌমিক প্রমুখের স্মরণে নিরাবতা পালন করা হয়৷(বিভিন্ন গ্রন্থ প্রণেতা)৷ এরপর হাওড়ার একজন আজীবন একনিষ্ঠ আমরা বাঙালির কর্মী শ্রীবেচুরাম বর মহোদয়কে মঞ্চে ডেকে উত্তরীয় পরিয়ে সর্ম্মধনা দেও য়া হয়৷ ওনার এক পুত্র, এক কন্যা বর্তমানে মিশনের সর্বত্যাগী কর্মী৷ এরপর বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমতট সচিব শ্রী জয়ন্ত দাস মহোদয় তিনি তার বক্তব্যে বলেন হাওড়ার সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে৷ এর পর বক্তব্য রাখেন গোপাশীল বাঙালি মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে তিনি বলেন মহিলাদের সমাজের কাজে এগিয়ে আসতে হবে৷ তারপর বক্তব্য রাখেন অর্নব কুন্ডু চৌধুরী৷ তিনি বলেন বয়স্করা তা আছেই তার সাথে যুবক, যুবতীদের ও সমাজের কাজে এগিয়ে আসতে হবে৷ অমর চ্যাটার্জী বলে আমি গত বিধানসভা নির্বাচনে যখন অংশগ্রহন করে ছিলাম তখন কত মানুষ আমাদের কাছে এসে আমাদের সহযোগিতা করেছিল এইরকম বহু মানুষ চাইছে তাদের পাশে আমাদের সহযোগিতা৷

ভারতী কুন্ডু বলেন আমি ছোট খাটো মানুষ আমরা যদি দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করে যে কোনো কাজে অংশ গ্রহন করি তাহলে যে কোনো কাজে আমরা সফল হব৷ সব শেষে সভাপতি সুব্রত সাহা তার প্রতিবেদনে বলেন এই সম্মেলন সঠিক ভাবে বকুলদার সুষ্ঠ এবং সুন্দর ব্যবস্থাপনায় এবং প্রত্যেকের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুন্দর হয়ে উঠেছে৷ ২৫৬ টা সমাজের মধ্যে এই একটি সমাজকে প্রাউট প্রবক্তা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তার জন্যই আমরা বাঙালি এবং সমাজ আন্দোলন আমাদের প্রত্যেকেই অংশগ্রহন করতে হবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে৷ ঘাবড়ালে চলবেনা কারণ পরম পুরুষ আমাদের সাথেই আছেন৷ তার স্বপ্ণকে সার্থক করে তুলতে হবে৷ এরজন্য প্রয়জন নোতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব৷ সভার সভাপতি হিসাবে অর্নব কুন্ডু চৌধুরীর নাম জেলা সচিব হিসাবে প্রস্তাব করলাম সঙ্গে সঙ্গে বকুল চন্দ্র রায় প্রস্তাব সমর্থন করেন৷ অর্নব ও মাইকধরে হলের প্রত্যেকের কাছে আবেদন করে বয়স্করা ছাড়াও যুবক যুবতীদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানায়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অমিয় পাত্র মহোদয়৷ এরপর বর্নাঢ্য শোভা যাত্রা সহকারে আমরা আমতা সি টি সি বাসষ্ট্যান্ডে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন সমতট সচিব জয়ন্ত দাস, গোপা শীল, অমর চ্যাটার্জী ও অর্নব কুন্ডু চৌধুরী৷ প্রত্যেকেই বাঙলা বাঙালি ও বাঙালী স্থানের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন শেষে আমরা বাঙালির জয়ধবনি দিয়ে পথসভা শেষ করা হয়৷

দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১২ই মার্চ ২০২৫, আচার‌্য বিষ্ণুকৃপানন্দ অবধূতজীর সহযোগিতায় উত্তর আনন্দনগরের পিরি গ্রামে ২৬টি দুঃস্থ আদিবাসী পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি আটা, ১ কেজি মুগডাল, ১ লিটার সর্ষের তেল ও ১ কেজি সয়াবিন বড়ি প্রদান করা হয়৷

এছাড়াও, আনন্দমার্গ শিশুসদনের শিশুদের পুষ্টির কথা বিবেচনা করে ১০ কেজি মুগডাল, ১০ কেজি সয়াবিন বড়ি ও ২ কার্টুন বিস্কুট প্রদান করা হয়৷ এই মহতী উদ্যোগটি উপস্থিত সকলের মধ্যে আন্তরিকতার সঞ্চার ঘটায়৷