২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরি করবে ইসরো

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের পর নজির গড়তে চলেছে ভারত৷ মহাকাশে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরি করে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হতে চলেছে ভারত৷ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যেই স্পেস স্টেশনটিকে মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই৷ ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন কার্যকর হতে পারে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন ইসরোর প্রধান৷ এই স্পেস স্টেশনটিকে নিম্ন কক্ষপথে অবস্থান করানো হবে৷ নাম রাখা হবে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’৷ স্পেস স্টেশনের ভিতরে দুই থেকে চার জন নভশ্চরের থাকার ব্যবস্থা করা হবে৷ এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিরুনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর উন্নিকৃষ্ণণ নায়ার জানান, ভারতের অন্যতম ভারী রকেট ‘বাহুবলী’ এবং লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ (এলভিএম-৩)-এর মাধ্যমে স্পেস স্টেশনের অংশগুলি মহাকাশে পাঠানো হবে৷ পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যে কক্ষপথ রয়েছে সেখানে স্থান পাবে ভারতের স্পেস স্টেশন৷ মহাকাশে ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’ এবং ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’ সংক্রান্ত নানা রকম গবেষণা করা হবে এই স্পেস স্টেশনে৷ এই স্পেস স্টেশনের ওজন ২০ হাজার কিলোগ্রাম থেকে চার লক্ষ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছে৷ স্পেস স্টেশনের জন্য উন্নত মানের ডকিং পোর্টও নির্মাণ করবে ইসরো৷ ভারতীয় মহাকাশচারীদের পৃথিবীর সীমানার বাইরে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে ইসরো৷ সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গগনযান’৷ চলতি বছরেই ‘গগনযান’ মহাকাশচারীদের নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিতে পারে৷ সেই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিন পরীক্ষা করে দেখেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেরলের তিরুনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে চার জন নভশ্চরের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ চার জনই ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) আধিকারিক৷ তাঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন অঙ্গদ প্রতাপ, গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন অজিত কৃষ্ণণ এবং গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন শুভাংশু শুক্ল৷ উইং কমান্ডার কিংবা গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন হিসাবে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন৷ বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের৷ মহাকাশের ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মানুষকে পাঠানোর যে পরিকল্পনা, তার অঙ্গ হিসাবে গত অক্টোবর মাসেই পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে মানববিহীন গগনযান পাঠায় ইসরো৷ গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে দ্বিতীয় ধাপে ‘ব্যোমমিত্রা’ বলে একটি রোবটকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো৷ সেই অভিযান সফল হলে ২০২৪-’২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করবে ইসরো৷