September 2023

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়--- পলিটিক্যাল এজেন্ডার বিষময় ফল

শিক্ষা ব্যবস্থার নিদারুণ পৈশাচিক চিত্রটি ফুটে উঠল তথাকথিত জড়বাদের আখড়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ আন্দোলনের নামে বাম বাঁদরামোর  নানা ছবি জনগণ দেখেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে৷ কিন্তু এবার নবাগত ছাত্র স্বপ্ণদীপ কুণ্ডুর ওপর র‌্যাগিং এর নামে যে পৈশাচিক অত্যাচার করেছে কিছু প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান ছাত্র তা চিন্তাশীল ও বিচার বোধ সম্পন্ন মানুষের মনে নানা প্রশ্ণ তুলেছে৷ অসচ্ছ্বল পরিবার থেকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য দুর গ্রাম থেকে বুকভরা আশা নিয়ে স্বপ্ণদীপ  যাদবপুরে এসেছিল৷ কিন্তু তারই সিনিয়র একদল ছাত্রের বিকৃত পৈশাচিক মানসিকতার বলি হতে হলো স্বপ্ণদীপকে৷ উচ্চতর ডিগ্রির জন্য যার

প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে দুর্নীতিমুক্ত ভারত ক্যাগের প্রতিবেদনে দুর্নীতির পাহাড়ে সরকার

প্রধানমন্ত্রী বড় গলায় বলেছিলেন না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা, কথায় কথায় দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ার কথাও বলে থাকেন৷ বিরোধীদের পেছনে বিশেষ করে ২০২১-এ শোচনীয় পরাজয়ের পর পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি ধরতে ইডি, সিবিআইয়ের একটা বড় অংশকেই পাঠিয়ে দিয়েছে৷

কোচবিহারে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১১, ১২, ১৩ই আগষ্ট কোচবিহার নিউটাউনে আনন্দমার্গ স্কুলে তিনদিনের প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রাউটিষ্ট কর্মীরা এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করেন৷ শিবিরে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ তিনি প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বের পঞ্চমৌলিক সিদ্ধান্ত, প্রাউট ও নব্যমানবতাবাদ ও সদ্‌বিপ্রের নেতৃত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তাঁর আলোচনায় জাগতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক তিনস্তরের সম্পদের যথার্থ উপযোগ ও যুক্তিসম্মত বন্টনের কথা বলা হয়---যাতে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণ হয়৷ আলোচনা শেষ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের  কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত জে

অর্থনৈতিক পরিকল্পনার আমূল পরিবর্তন আনতে হবে

প্রবীর সরকার

প্রধানমন্ত্রী ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে নিজের ও দলের প্রচার  করে গেলেন যার সারবত্তা নেই৷ নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি পালনের একটা দৃষ্টান্ত তাঁর দীর্ঘ ভাষণে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তাঁর ভাষণ অসার অসত্যের বাগাড়ম্বর মাত্র৷ আসলে দেশ পরিচালনা করা যদি সহজ হতো তাহলে কথাই ছিল না৷ সুগৃহকর্তা বা কর্ত্রী যদি না হয় তাহলে সে গৃহের কল্যাণ ও উন্নতি হয় না৷ ঠিক তেমনই রাষ্ট্রের প্রধান যদি সুশাসক না হয় তা হলে সেই রাষ্ট্র কখনোই উন্নতি করতে পারে না৷ আজ মনে পড়ে সেই অতীতের সুলতানী যুগের কথা৷ ভারত সম্রাট নাসিরুদ্দীনের বেগম রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেন তখন সম্রাটকে বেগম একজন দাসী রাখার প্রার্থনা জানান৷ তিনি ক

তন্ত্র ও অলৌকিক শক্তি

সৃষ্টিরহস্যের মূলে পৌঁছোবার জন্যে মানুষের যে এষণা তার থেকেই জন্ম হয়েছিল অধ্যাত্মবাদের৷ প্রকৃতির জগতে একদিকে বিভীষিকা আবার অন্যদিকে অনুপম সৌন্দর্য, তার পেছনে মূল কারণটা কী?

জীবনধারণের নূ্যনতম প্রয়োজনপূর্ত্তি ও ক্রয়ক্ষমতার ক্রমবৃদ্ধির নিশ্চিততা

প্রত্যেকটি মানুষকে বোঝাতে হবে যে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ প্রত্যেকের সাধারণ সম্পত্তি৷ সবারই একে ভোগ করার জন্মগত অধিকার রয়েছে৷ এ অধিকারে হস্তক্ষেপ করা কখনোই চলবে না৷ তাই প্রত্যেককেই জীবনযাত্রার নিম্নতম মান দিতেই হবে৷

মানুষের যা সর্বনিম্ন প্রয়োজন তার ব্যবস্থা সবাইকার জন্যেই করতে হবে৷ অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসগৃহ, শিক্ষা এগুলির ব্যবস্থা সবাইকার জন্যেই করা অবশ্য কর্ত্তব্য৷ যে যুগের যেটা সর্বনিম্ন প্রয়োজন সেটার ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে৷ জীবনধারণের জন্যে নূ্যনতম প্রয়োজন–পূর্ত্তির নিশ্চিততাই মৌল জনস্বার্থ৷

সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে অর্থনীতিকে কোন দিশা দেখাতে পারেনি৷ তাঁর ভাষণ ছিল আত্মপ্রচারের বাগাড়ম্বর৷ তার কথায় না ছিল সারবত্তা, না ছিল সত্যতা৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সুইসব্যাঙ্কের  কালোটাকা  বছরে দুকোটি  চাকরী না এসব নিয়ে  তাঁর ভাষণে একটি কথাও বার হয়নি৷ শুধু দেশ এগিয়ে চলেছে  জিডিপির হাত ধরে৷ ‘জিডিপি’‘জিডিপি’ করে নেতা মন্ত্রীরা দেশবাসীকে চমকে দিচ্ছে৷ সাধারণ দেশবাসী জিডিপি বৃদ্ধির ঠিক মানেও বোঝেন না, তাদের শুধু এইটুকু বোঝানো হয়, দেশের অত্যন্ত  দ্রুত উন্নয়ন হবে৷ জিডিপি বৃদ্ধি মানেই তো দেশের সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধি৷ দেশের কলকারখানা বাড়বে, কৃষিজ সম্পদ বাড়বে,খনিজ সম্পদ বাড়বে, পরিষেবা

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও প্রীতিলতা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সব শহীদ অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়ে ‘অগ্ণি আঁখরে আকাশের গায়’ নাম লিখে গেছেন  তাঁদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়৷ আজ আমি এমন একজন নারীর কথা বলবো যাঁর অসীম সাহস ও স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ ভারতের স্বাধীনতা আনয়নের পথ যথেষ্ট সুগম করেছিল৷

‘আমরা বাঙালী’র শ্রীঅরবিদের ১৫১তম জন্মদিবস পালন

গত ১৫ই আগষ্ট ঋষি অরবিন্দ ঘোষের ১৫১তম জন্মদিবস স্মরণ করল আমরা বাঙালী সংঘটন৷ সংঘটনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অরবিন্দ ঘোষের  প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার মধ্য দিয়ে স্মরণ সভার শুভারম্ভ হয়৷ উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস, কলকাতা জেলা সচিব হিতাংশু ব্যানার্জী,  সুশীল জানা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ মাল্যদানের পর অরবিন্দ ঘোষের স্মরণে বক্তারা বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ৷ প্রেসবার্র্ততে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তপোময় বিশ্বাস জানান, ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতা উদ্‌যাপনের ভীড়ে হারিয়ে গেছে সেই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মদিবস, যার অগ্ণিস্ফুলঙ্গের ধারা