বিকাশমান অর্থনীতির বেহাল দশা ক্ষয়িষ্ণুতার পথে ভারতের অর্থনীতি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪০ কোটি নাগরিকের দেশ ভারতের জাতীয় সম্পদের ৮০ শতাংশের নিয়ন্ত্রক মাত্র দশ লক্ষ ধনিক শ্রেণী৷ এরাই অর্থনীতির সমৃদ্ধির ভুল তথ্য দিচ্ছে জনগণের সামনে৷ এই রকমই মন্তব্য বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের ২৪শে এপ্রিল প্রকাশিত একটি নিবন্ধে৷ ‘হাউ ইন্ডিয়াজ ইকনমি হ্যজ রিয়েলি ফেয়ারড আন্ডার মোদি’ শিরনামে নিবন্ধে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে ভারতের দাবীকেও নস্যাৎ করা হয়েছে৷ নিবন্ধে বলা হয়েছে ভারতে ৮ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির দাবী নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মোদির প্রাক্তন অর্থনৈতিক পরামর্শ দাতারাই৷ যে পদ্ধতিতে জিডিপির হিসাব হচ্ছে সেই পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ণ তুলেছে ওই নিবন্ধে৷

আই এম এফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর কৃষ্ণমূর্ত্তি সুব্রহ্মণ বলেছিলেন ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ হবে৷ তাঁর এই দাবীকে নস্যাৎ করে দিয়ে আইএমএফের মুখপাত্র জুলি কোজ্যাক বলেন---কৃষ্ণমূর্ত্তি ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির যে দাবী করেছেন তা আই এম এফের মত নয়, কৃষ্ণমূর্ত্তি ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর মত ব্যক্ত করেছেন৷ আই এম এফের বিভিন্ন দেশে ২৪জন ডিরেক্টর আছেন৷ তাঁরা নিজেদের মত করে বিবৃতি দিতে পারেন৷ জুলি কোজ্যাক আরও জানান আই এম এফ এখনও মনে করে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশই থাকবে৷ টাইম ম্যাগাজিনের ওই নিবন্ধে ভারতের আর্থিক চিত্র তুলে ধরে বলা হয় বেসরকারী ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কমছে, ভোগ ব্যয় ১০ বছরে সবচেয়ে কম, গৃহস্থের সঞ্চয়ের হার গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে কম, অপরদিকে ঋণের হার বেশী, ব্যাঙ্কগুলি পুঁজির সঙ্কটে ভুগছে, আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশ আমলের থেকেও বেশী, ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি কমছে, মোদির বিকাশমান অর্থনীতি এই চিত্র তুলে ধরেছে টাইম ম্যাগাজিন৷ ভারত ৫ লক্ষ কোটির অর্থনীতিতে পৌঁছাবে---বিজেপি নেতাদের এই দাবীকে অসার প্রমাণ করতেই টাইম ম্যাগাজিনের এই নিবন্ধ৷