বিকশিত ভারত!

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বিশ্বগুরুর হাত ধরে ভারত সাফল্যের চূড়ায় চড়ছে৷ একটি সমীক্ষায় দবি করা হয়েছে দেশে ধনকুবেরদের সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে ১৩হাজার পার হয়েছে৷ আগামী পাঁচ বছরে সংখ্যাটা ২০ হাজারের কাছাকাছি যেতে পারে৷ ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে আরও বলা হয়েছে ভারতে ধনকুবেরদের সংখ্যা বৃদ্ধি বিশ্বে সবথেকে বেশী৷ এ হিসেব আকাশ পানে তাকিয়ে৷ তাতেও জল মিশ্রিত৷ ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ৷ তাই কোন দেশের সঙ্গে জনগোষ্ঠীর শতাংশের নিরিখে বিচার করলে প্রকৃত চিত্রটা ধরা পড়বে৷

মাটির দিকে তাকালেই সবকা বিকাশের অর্থনীতির বিপরীত চিত্রটাও ধরা পড়ে৷ দেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৪০ কোটি৷ তারমধ্যে ধনকুবেরদের সংখ্যা ১৩ হাজার৷ সেটা যদি বেড়ে ১৯হাজার হয়--- সেটাই কী সবকা সাথ- সবকা বিকাশ? এমনই প্রশ্ণ তুলছেন প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ৷ তাঁর অভিযোগ সরকার ভ্রান্ত যুক্তির ফাঁদে ফেলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে৷ শুধু ধনকুবেরদের নয়, গরীব মধ্যবিত্তের হেঁসেলের খবর রাখাটাও সরকারের দায়ীত্বের মধ্যেই পড়ে৷ সেই হিসেবের দিকে তাকালেই অর্থনীতির আসল চেহারাটা ধরা পড়বে৷

শ্রীখাঁ আর্থিক সংস্থা ইণ্ডিয়া রেটিংস অ্যাণ্ড রিসার্চের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন--- গরীব মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বাড়েনি, বাজারে ধনিক শ্রেণীর ব্যবহারের বিলাস দ্রব্যের চাহিদা বেড়েছে৷ তিনি বলেন--- চার চাকার গাড়ী বিক্রি বাড়লেও সাইকেল মটর বাইকের বিক্রি কমেছে৷ আবার রেলযাত্রী না বাড়লেও বিমানের যাত্রী সংখ্যায় বেড়েছে৷ অর্থনীতির এই চিত্র সবকা সাথ সবকা বিকাশের নয়৷ ধনিক শ্রেণীর বিলাসিতার বহর বাড়ছে সেইসঙ্গে দেশে ধনি দরিদ্র্যের মধ্যে ধনবৈষম্যও বাড়ছে৷ যখন ধনকুবেরদের আয় বাড়ছে তখন ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে গরীব, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তের আয় কমেছে৷

শ্রী খাঁ আরও বলেন--- জিডিপি বৃদ্ধি নিয়েও সরকার অসত্য প্রচার করছেন৷ ফলাও করে প্রচার হচ্ছে জিডিপির হিসেবে ভারত ব্রিটেনকে টপকে গেছে৷ এই হিসাবেও গরমিল আছে৷ আসল সত্যটা হলো ভারত ১৪০ কোটি জনতার দেশ, সেখানে ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৭কোটির কাছাকাছি৷ ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ৭ কোটি জনসংখ্যার দেশের থেকে জিডিপি বেশী এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু মাথাপিছু জিডিপির হিসেবে ভারত ব্রিটেন থেকে অনেক পিছনে৷ মাথাপিছু আয়েও ১৮৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪১তম৷ জি-২০ দেশগুলির মধ্যে ভারতের স্থান সবার নীচে৷

শ্রী খাঁর অভিযোগ জনগণের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে অচেতনতার সুযোগ নিয়ে সরকার দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে৷ অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র গোপন করছে৷ সংখ্যাতত্ত্বে জালিয়াতি করে দেশবাসীকে বোঝাতে চাইছে অর্থনীতির বিকাশ হচ্ছে৷