ক্রিকেটে ভারত এখন সারা বিশ্বে যে কোনও দলের কাছে যথেষ্ট শক্তিশালী দল হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে গেছে৷ সাম্প্রতিক অতীতে খুব কম ম্যাচেই পরাজয় হয়েছে ভারতের৷ বিশ্ব ক্রিকেটে এক সম্মানীয় স্থানে রয়েছে টীম ইণ্ডিয়া৷
বিগত বিশ্বকাপে ভারত ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দলে কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়কে সুযোগ দিয়েছেন৷ আগামী দিনে টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য তৈরী হচ্ছে ভারতীয় দল৷ সে দিকে লক্ষ্য রেখেই বাঙলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়েছে৷ অধিনায়ক বিরাট কোহলি ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে বিশ্রাম দিয়ে সম্ভাবনাময় তরুণদের দিয়ে বাঙলাদেশের বিরুদ্ধে তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলল ভারত৷ প্রথম ম্যাচটিতে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত শর্মার বিধবংসী ব্যাটিং বাঙলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে ফেলে৷ রোহিতের কাঁধে ভর করেই ভারত সিরিজ ১-১ করে৷ তৃতীয় ম্যাচটিতে ভারতের তরুণ ব্রিগেডের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ রেখেছিল বাঙলাদেশ৷ প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২০ ওভারে ১৭৪ রান তোলে৷ গত ম্যাচের নায়ক রোহিত ২ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দররা ভাল ব্যাট করে দলকে সম্মানজনক স্কোর প্রদান করে৷ বাঙলাদেশী ব্যাটসম্যানদের সামনে তখন বুমরা, ভুবনেশ্বর, মহম্মদ সামিহীন বোলাররা৷ খলিল, দীপক চাহালদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জই ছিল৷ এই পরিস্থিতিকে কিভাবে সামাল দেয় ভারতের এই তরুণ বোলাররা নিজেদের ঠিক ভাবে মেলে ধরতে পারেন কিনা সেই পরীক্ষাই হয়ে গেল নাগপুরের দিন রাতের এই ম্যাচটিতে৷ টি-২০-র ম্যাচে শুরুটা খুব ভাল হয়নি বাঙলাদেশের৷ একসময় পরপর দুই বলে দু’টি উইকেটও পড়ে যায়৷ কিন্তু এরপরই ম্যাচের রাশ ঘুরিয়ে দেয় বাঙলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান৷ লিটন দাস, মহম্মদ নায়িম ৮১ রানের একটি বিধবংসী ইনিংস খেলেন৷ এই নায়িমই ম্যাচটিকে বাঙলাদেশের পক্ষে প্রায় নিয়েই গিয়েছিলেন৷ কিন্তু ভারতের দীপক চাহারের ২০ বলে ৬টি উইকেট খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়৷
এই ম্যাচে দীপক চাহার ৬টি উইকেট নেন৷ তিনি হ্যাটট্রিকও করেছেন৷ মাত্র ৭ রান দিয়ে তিনি একমাত্র ভারতীয় হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন৷ এই সিরিজে ভারতের অনেক নিয়মিত খেলোয়াড় অংশ নেননি৷ তাতে টিম ইণ্ডিয়ার পারফরমেন্সে কোনও প্রভাব পড়েনি৷ এর থেকে প্রমাণ হয় যে রিজার্ভ বেঞ্চ যথেষ্ট শক্তিশালী ভারতের৷ শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্জ যে দলের সে দল যে কতটা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে তার প্রমাণ দিল ভারত৷ আগামী দিনে ভারত যে বিশ্বের যে-কোন দলের কাছে যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা অনেক ক্রিকেম বোদ্ধাই স্বীকার করছেন৷