প্রবন্ধ

‘কামময়’ কোষের পরিশোধনে ‘চরম নির্দেশ’-এর ভূমিকা

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

 

‘কামময়’ কোষের পরিশোধনের জন্য ‘চরম নির্দেশ’-এর কি ভূমিকা বা ‘চরম নির্দেশ’ কতখানি প্রেরণা দিতে পারে তা বুঝতে হ’লে সর্বপ্রথমে আমাদের ‘নৈতিকতা’ বাMorality সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান নিতে হবে৷ ‘ৰাৰা’ (শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী) বলেছেন--- সাধনার ভিত্তিভূমি হ’ল ‘নৈতিকতা’৷ এই নৈতিকতা ছাড়া অর্থাৎ নৈতিকতাকে এড়িয়ে বা বাদ দিয়ে সাধনার প্রথম ধাপ অর্থাৎ ঈশ্বর-প্রণিধানের প্রতি মনোনিবেশ করা অসম্ভব৷ সাধনামার্গে যাত্রা শুরু করার ঠিক এই প্রথম ক্ষণটিতেই সাধকের যে মানসিক সাম্যের প্রয়োজন সেটাকেই বলা হয় নৈতিকতা৷ Morality)

পাপশক্তিকে প্রতিহত করতে চাই আদর্শ মানুষ

প্রভাত খাঁ

আর একটা লোকসভা নির্বাচনের রনদামামা বেজে গেছে৷ ভারতবাসীর গর্ব তারা বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক৷ কিন্তু নির্বাচনী ময়দানে প্রচারে নেমে নেতাদের বাক্য ও অঙ্গভঙ্গীর কদর্যরূপ শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যায়৷ আসলে ধনকুবেরদের অর্থপুষ্ট নেতারা দুর্নীতিতে আকন্ঠ ডুবে আছে৷ এদের দ্বারা সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক কল্যাণ কখনই সম্ভব নয়৷ এর জন্যে চাই আদর্শ মানুষ৷ এই আলোচনার বিষয় তাই আদর্শ মানুষ, আদর্শ সমাজ৷ মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব৷ তারই উপর পরম পিতা দায়িত্ব দিয়েছেন সকলকে রক্ষার৷ তা না করে ধ্বংসে মেতেছে৷ তাই সভ্যতা আজ দিশাহীন অসভ্যতা রূপে সৃষ্টিকে বার বার পরিহাস করেই চলেছে৷ এই চরম সংকটে সেই সব মানুষ য

বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই গণতান্ত্রিক অর্থনীতির সার্থক রূপ

প্রবীর সরকার

দেশ পরিচালনা করা যদি সহজ হতো তাহলে কথাই ছিল না৷ সুগৃহকর্তা বা কর্ত্রী যদি না হয় তাহলে সে গৃহের কল্যাণ ও উন্নতি হয় না৷ ঠিক তেমনই রাষ্ট্রের প্রধান যদি সুশাসক না হয় তা হলে সেই রাষ্ট্র কখনোই উন্নতি করতে পারে না৷ আজ মনে পড়ে সেই অতীতের সুলতানী যুগের কথা৷ ভারত সম্রাট নাসিরুদ্দীনের বেগম রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেন তখন সম্রাটকে বেগম একজন দাসী রাখার প্রার্থনা জানান৷ তিনি কোরাণ নকল করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাই তাঁর পক্ষে দাসী রাখা সম্ভব নয়  বলে বেগমকে জানান৷ আর রাষ্ট্রের কোষাগারের অর্থ প্রজাদের৷ সেই অর্থ অযথা ব্যয় কারর অধিকার তাঁর নেই৷ এই বোধ যদি শাসকদের না থাকে তাহলে তো তাঁরা ধার করেই শাসন পরিচ

মাইক্রোবাইটা সম্পর্কে বিশেষ কয়েকটি কথা

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

‘মাইক্রোবাইটা-তত্ত্ব’ অনুযায়ী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কথা

১) মাইক্রোবাইটাম বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ অর্থাৎ প্রাণীনতার মূল উৎস হ’ল এই মাইক্রোবাইটাম৷ Microvitam is the source of life)

২) এই মাইক্রোবাইটামরা সর্বক্ষণ আমাদের মনকে ও শরীরকে প্রভাবিত করে চলেছে৷

৩) পজিটিভ মাইক্রোবাইটাম আমাদের শুভপথে চালিত করে৷ উদার মনোবৃত্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷ জ্ঞান, বিবেক, বৈরাগ্য এনে দেয় মানুষের মনে৷

৪) নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম নানান ধরণের রোগ সৃষ্টি করে, আর মানুষকে অসৎ পথে পরিচালিত করে৷

নির্বাচনী বণ্ড সম্বন্ধে দু’চার কথা

প্রভাত খাঁ

প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই একটি কথা ধান্দাবাজ ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পূজারীদের, যারা দলতন্ত্রের সমর্থক সেই রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবার উপরে গণতন্ত্রের নাগরিকগণ যাঁরা নির্বাচনে মত দান করবেন--- তাঁদের মতদান কে কলঙ্কিত করতে দলীয় শাসকগণ অসৎ উপায় নির্বাচন বন্ড নামে ধনীদের কাছ থেকে চোরা পথে চাঁদা নিয়ে বোটে সেই অর্থ দলীয় স্বার্থে খাটায় সেটা কি অসৎ পথ নয় তা কিন্তু সবাই বোঝে যে এটা অনৈতিক৷ তাই পবিত্র লোকসভায় সেই অন্যায় অনৈতিক নির্বাচনীবণ্ড নামে বিল পাশ করিয়ে কেবলমাত্র একটি বিশেষ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা আদায়ের পথ করে সেটা তারা পারে না--- যারা রাজনৈতিক দলের হয়ে লোকসভায় ও বিধানসভায় মোটামুটি জনপ্

কী খাচ্ছেন ভেবে দেখুন!

ডাক্তারবাবু

সমগ্র বাংলায় সস্তার খাবারের দোকান চলছে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার৷ অথচ মানুষ আগে–পিছে বিবেচনা না করে এই বিষই প্রতিদিন তৃপ্তি সহকারে খেয়ে চলেছে৷ কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এই মারণ রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্য প্রতিরোধের দায় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে চুপ কতে বসে আছে৷ এই চুপ করে বসে থাকার অর্থ নির্বোধ মানুষদেরকে তিলে তিলে মৃত্যু পথে ঠেলে দেওয়া৷ যেমন ফুটপাত বা ছোট খাট খাবার হোটেল কাম দোকানে দেখবেন, আমিষ ঝোলতো বটেই, এমনকি আলুর দম রান্না করে ছোট আলমারিতে সামনে সাজিয়ে রেখেছে৷ এই সকল তরকারীর অতি সুন্দর লাল রং দেখে মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হয়৷ কিন্তু এই খাবার যে মানব তথা প্রাণীর দেহের জন্যে ক্ষত

সন্ত্রাসবাদ

শ্রী রত্নেন্দু দাস

সন্ত্রাসবাদের সমস্যা আজ এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্বে এবং তা ধবংস করার কথাও অনেকে বলেন, কিন্তু প্রশ্ণ হচ্ছে এর কারণ কি বা কেনই বা মানুষ এ পথ বেছে নেয়? যদি আমরা গভীর দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখি তবে দেখতে পাই এর প্রধান কারণ যেমন রয়েছে পুঁজিবাদ ঠিক তেমনি বেকার সমস্যাও৷ এখন কথা হচ্ছে যেহেতু অনেকেই বলেন সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্ম হয় না, প্রশ্ণ হচ্ছে তাও কি ঠিক? না তা ঠিক কেন কেননা সন্ত্রাসবাদের আরেকটি কারণ হচ্ছে ভাবজড়তাবাদী দর্শন বাdogmatic philosophy.

সঙ্গীত ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

সঙ্গীতের অভিস্ফুরন ঘটে বিশুদ্ধ চক্র হ’তে৷ এই চক্র আকাশতত্ত্বকে বা বোমতত্ত্বকে অর্থাৎ বাক্‌যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ আমরা জানি যে, ‘ভাব’ ভাষায় রূপান্তরিত হ’য়ে বাকযন্ত্রের মাধ্যমে বাকস্ফুরন বা শ্রুতিগোচরা হয়৷ এই শ্রুতিগোচরা আবাজই হ’ল ধবনি sound) এই বিশুদ্ধচক্রে আছে ১৬টি বৃত্তি৷ এদের মধ্যে ধবনি সংক্রান্ত বৃত্তি হ’ল ৭টি৷ এই ৭টি বৃত্তি হ’ল (১) ষড়জ, (২) ঋষভ (৩) গান্ধার (৪) মধ্যম (৫) পঞ্চম (৬) ধৈবত (৭) নিষাদ৷ এই সাতটি বৃত্তি সাতটি পশুপক্ষীর নিজস্ব ধবনি৷ যত সঙ্গীত তৈরী হয়েছে সব সঙ্গীতের মূল সুর সপ্তক (সা,রে,গা,মা,পা,ধা,নি)৷ এই সুর সপ্তক Permutation) ও Combination) হ’য়ে নানান ধরণের রাগ, রাগিনীর সৃষ্টি

আগামী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে

প্রভাত খাঁ

দেশে ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে৷ তাতে সব রাজনৈতিক দল যারা যা শক্তি তাই নিয়ে লড়ার জন্য প্রস্তুত৷ সবাই পরীক্ষায় বসে যে সব প্রার্থী তাদের আশা করে যেন তেন প্রকারে পাশ করতেই হবে৷ সেটা অন্যায় পথে হোক বা ন্যায় পথে হোক৷ এটা হলো চিরকালের একটা হওয়ার পদ্ধতি৷ তাই যারা বোটারতারা হলেন মূলতর ভাগ্যবিধাতা সেখানে কোন বাচ বিচার নেই৷ তারা সব বুঝে দেখে ও শুনে যাদের নাম ঠিক দেবেন তারাই জয়ী বলে ঘোষিত হবে৷ এব্যাপারে একটা কথা বার বার মনে আসছে তা হলো বোট দান কেন্দ্রে যারা বোট নিতে ও দিতে আসবে তারা ঠিকঠাক ব্যবস্থা যাতে বোটা দেবার বুথগুলিতে তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি একটা কথা তো হলো বোটারদের একটা দায়িত

ধ্রুপদী ভাষার নামে নূতন করে শোষণ বন্ধ করুণ!

জহরলাল সাহা

যা এখন শোনা যায় তাতে মনে হয় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বাঙালী ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক স্তরে অর্থাৎ পঞ্চমশ্রেণী পাশের পর আর বাঙলায় পড়াশোনা করতে পারবে না৷ নূতন শিক্ষানীতি তো তা-ই বলে৷