অমর ২১ শে          

লেখক
একর্ষি

২১শে ফেব্রুয়ারী৷ বাংলা ভাষা শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ অমর ভাষা- শহীদদের জানাই শতকোটি প্রণাম৷ দিনটা বঙ্গভাষী হিসেবে আত্মসমীক্ষার তথা নিজেকে ও বাঙলাকে নোতুন করে জানার দিন৷ কখনই ভোলা যায়না--- হিন্দুয়ানি, মুসলমানি, খ্রীষ্টানি, বৌদ্ধী ইত্যাদি বাঙলার মাটির দান নয়, বাঙালীর রক্তের নয়৷ বাঙালীর একটা স্বতন্ত্র জীবনধর্ম আছে৷ এ ধর্ম সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পূর্ণতার পথে চলা৷ বাংলা ভাষা, অধ্যাত্ম বেদীপীঠে বিকচিত সমুন্নত সংস্কৃতি, চিরায়ত স্বয়ম্ভর অর্থনৈতিক বুনিয়াদ তার সঞ্জীবনী শক্তি ও প্রেষণা, অস্তিত্বের প্রাণ ভোমরা৷ অথচ তা এখন বিপন্নতার রাহুগ্রাসে, অস্তিত্বের সংকটের ভয়াল গহ্বরে৷ বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির ওপর ওপারে এখনও চলছে আরবীয়-সেমেটিকীয় আগ্রাসন, এপারে আর্যবর্তীয় আগ্রাসন৷ রক্তে রাঙা ২১শের অনুসরণের শপথেই ২১শে ফেব্রুয়ারী উদ্যাপনের তথা অমর শহীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের যোগ্য স্মারণী ও সরণী৷ নির্বাচিত হবেন৷ ভুক্তি প্রধান নিজের পছন্দমত লোকদের নিয়ে ভুক্তি কমিটি তৈরী করবেন৷ সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন-১৫ থেকে উর্দ্ধতম ২৫জন৷ বিভিন্ন ট্রেডের ৬ জন ভুক্তি প্রধান থাকবেন বিপি(ডি), বিপি(এস) বিপি(ইউ) বিপি (এসডি) বিপি(জিপি), বিপি(এস.ডি.এল)৷ বাকিরা সচিব পর্যায়ের সদস্য বা সদস্যা হবেন৷ যথা অর্থসচিব, শিক্ষা সচিব, সাংস্কৃতিক সচিব,সমবায় সচিব, নারী কল্যাণ বিভাগ সচিব, গার্লস ভলেন্টিয়ার্স সচিব ইত্যাদি৷ ভুক্তিপ্রধান কমিটির সদস্যদের সহযোগিতা নিয়ে মার্গের আদর্শ প্রচারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন৷ সাধারণভাবে ভুক্তি পর্যায়ে ISMUB বিভাগের সকলরকম কাজ যেমন পরিদর্শন, সেমিনার, আন্দোলন, উপযোগ ও বিভিন্ন বোর্ড ঘটন--- তার জন্যে ভুক্তিপ্রধান দায়ী থাকবেন৷ এমন কি ভুক্তির ছোট খাট দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তির দায়িত্বও ভুক্তি প্রধানের হাতে৷ ৰাৰা মজা করে বলতেন ভুক্তিপ্রধান আমার লোকাল গার্জেন৷

১৯৭৭ সালে ৰাৰা ভুক্তি প্রধান নির্বাচনের কর্মসূচী দেন৷ সেই থেকে অদ্যাবধি তিন বৎসর অন্তর ভুক্তিপ্রধান নির্বাচন হয়ে আসছে৷ অবিভক্ত মেদিনীপুরের প্রথম ভুক্তি প্রধান হন শ্রীরমেন্দ্রনাথ মাইতি৷ পরে শ্রী অসিত দত্ত ওই পদের দায়িত্ব সামলেছেন৷ এরপর ভুক্তি প্রধান হন শ্রী সুধাংশু সাউ৷ তিনবছর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কোন কারণে তিনি পদত্যাগ করেন৷ জেলার মার্গীদের অনুরোধে শ্রী আশিস মণ্ডল অবশিষ্ট সময়ের জন্যে ভুক্তি প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণে রাজী হলেন৷ দেখতে দেখতে তিন বছর পূর্ণ হল৷ পুনরায় ভুক্তিপ্রধান নির্বাচনের দিনক্ষণ ও নিয়মাবলী ঘোষণা হ’ল৷ সেই নির্বাচনে ভুক্তিপ্রধানের দায়িত্ব মার্গীরা আমার ওপর তুলে দিলেন৷ যদিও আমার সঙ্গে আরও দুইজন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন৷ মেদিনীপুর জেলা বিভক্ত হওয়ায় পূর্বমেদিনীপুর জেলাতেও ভুক্তিপ্রধানের দায়িত্ব কয়েকটি পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছি৷ আমি জেলার মার্গীভাইবোন ও সংঘ কর্ত্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আমার শিক্ষকতার চাকরির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৰাৰার কাজ যথার্থভাবে করার চেষ্টা করে গেছি৷

আমার ব্যষ্টিগত অনুভূতি---ভুক্তিপ্রধানের এত কাজের চাপ যে ২৪ ঘন্টা সময় দিলেও তা করে শেষ করা যাবে না৷ ঘর সংসারে ও নিজের শিক্ষকতার চাকরি বাঁচিয়ে যতটা করা সম্ভব করার চেষ্টা করেছি৷ কিন্তু এতে আত্মতুষ্টির কোন অবকাশ নেই৷ ৰাৰার আদর্শ রূপায়নে এখনও অনেক কাজ বাকী আছে৷ পরবর্তী ভুক্তিপ্রধানরা তাঁদের ভক্তি ও তারুণ্য শক্তি দিয়ে সংধের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সে বিশ্বাস আমার আছে৷