গত ২৭ ও ২৮শে জুলাই আনন্দনগর ডায়োসিসের ঘাগরা গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ মনের বহির্মুখী ভাবনাগুলোকে, মনের জড়াভিমুখী আকর্ষণকে অন্তর্মুখী করে পরমপুরুষের দিকে চালিত করার সহজতম উপায় হচ্ছে কীর্ত্তন করা৷ কীর্ত্তন করার অর্থই হচ্ছে উচ্চস্বরে ঈশ্বরের গুণগান করা৷ মানুষ যখন তার সকল ইন্দ্রিয়কে কীর্ত্তনের মাধ্যমে সেই একের দিকে ছুটিয়ে দেয় তখন পরমপুরুষও তার পরম ভক্তের কাছে এসে ধরা দেন৷ তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন---‘মদ্ভক্তা যত্র গায়ন্তী তত্র তিষ্ঠামি নারদ’---আমার ভক্তরা যেখানেই আমার নামগান করেন আমি সেখানেই অধিষ্ঠান করি৷
পরমারাধ্য বাবা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাই দিলেন অষ্টাক্ষরী মহানাম মন্ত্র---বাবা নাম কেবলম৷ আনন্দনগর ঘাগরা গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক ভক্তের সমাগমে ২৪ ঘণ্টা বাবানাম কেবলম মহানাম মন্ত্রে মুখরিত হয়ে ওঠে৷ ঘাগরা গ্রাম নিবাসী শ্রী ধারাপদ মাহাতর গৃহের সম্মুখে এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন ও সাধনা শেষে স্বাধ্যায় পাঠ করেন আচার্য প্রজ্ঞাধীশানন্দ অবধূত৷ বাবানাম কেবলম কীর্ত্তন মহিমা ও আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও আচার্য মোহনানন্দ অবধূত৷