December 2020

প্রগতিশীল তত্ত্ব অনুসারে কৃষি সমস্যার সমাধান করতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতার পর ৭৩ বছর কেটে গেল৷ একটা দেশের পক্ষে সাবালোক হওয়ার জন্য ৭৩টা বছর অনেক বেশী৷ কিন্তু ভারত সামাজিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সবদিকেই এখনও নাবালোক--- হামাগুড়ি দিচ্ছে, সামাজিক ভেদ-বিদ্বেষ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক সংঘাত দেশকে অধঃপতনের শেষ সীমায় নিয়ে যাচ্ছে ৷ স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সরকারই সামাজিক শান্তি ও একতা রক্ষা করতে ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে কোন বলিষ্ঠ নীতি গ্রহণ করতে পারে নি৷ আসলে পুঁজিপতিদের অর্থেপুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো যে যখন ক্ষমতায় এসেছে সে তখন পুঁজিপতিদের তুষ্ট করেছে আর নিজের মতো করে  তুঘলকি শাসন চালিয়ে গেছে৷ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ধর্ম-সাহিত্য- সংসৃকতি-ভাষানীতি

ভক্তির সাহায্যে সর্বাত্মক জয়

কিছু মানুষ আছে যাদের মধ্যে এষণা আছে৷ কিন্তু তারা ঠিক পথ–নির্দেশনা পায়নি৷ তারা জানে যে, পরমপুরুষ তাদের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত, কিন্তু ঠিক ঠিক রাস্তা জানে না, সঠিক পথনির্দেশনা পায়নি৷ বই পড়ে সাধনা করা উচিত নয়, সাধনার জন্যে গুরু প্রয়োজন৷ বই পড়ে বা কারুর কাছে শুণে সাধনা করা বিপজ্জনকও কারণ এতে লক্ষ্য সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা তৈরী হয় না৷ কোন্ দিকে সে এগিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারে না৷ নৌকা চলছে, কিন্তু নৌকার যে চালক সে জানে না কোথায় যেতে হবে৷ তাহলে কী হবে? অযথা হয়রানি হবে৷ সে দুর্ঘটনারও শিকার হতে পারে৷

সামাজিক–অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ

সভ্যতার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে জেগেছিল শিল্প সৃষ্টির এষণা ও প্রেষণা৷ এষণাই প্রেষণাকে ডেকে আনে৷ সভ্যতার প্রথম ধাপে শিল্পমাত্রই ছিল কুটির শিল্প৷ নারী–পুরুষ–বালক–ব্ নির্বিশেষে সবাই শিল্প রচনায় হাত লাগাত৷ পরে দেখা গেল কিছু  শিল্প গ্রামে গ্রামে করা যায় না.....করতে হয় কিছু সংখ্যক গ্রাম নিয়ে৷ তা না হলে তাদের একদিকে যেমন বাজারের ঘাটতি পড়ে, অন্যদিকে তেমনি শিল্পীর সংখ্যাতেও অভাব দেখা দেয়৷ তখন মানুষ প্রথম শিল্পায়োগ বা কারখানায়* যেতে শুরু করল৷ এখানে প্রসঙ্গতঃ একটা কথা বলে’ রাখি৷ শিল্প যত বেশী কুটীর–শিল্প হয়, শিল্প যত বিকেন্দ্রীকৃত হয়, মানুষের সুবিধা তত বেশী৷ এতে যে শুধু আর্থিক সামর্

কেন্দ্রের কর্ষক স্বার্থবিরোধী কৃষি আইনের প্রতিবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কেন্দ্র পুঁজিপতিদের স্বার্থে কর্ষক (কৃষক) বিরোধী কৃষিবিল পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করেছে৷ তার প্রতিবাদে সারা দেশ আন্দোলনে উত্তাল৷ হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের চাষীরা দিল্লি অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে৷ ৮ই ডিসেম্বর কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে ভারত বন্ধ পালিত হ’ল

কিন্তু মোদি সরকার কর্ষকদের দাবী মানতে নারাজ৷ মোদিজী বলেই চলেছেন, তাঁরা চাষীদের শৃঙ্খলমুক্তির জন্যেই এই আইন পাশ  করিয়েছে৷ কী আছে এই আইনে? এই আইনের একটি দিক হ’ল---অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সংশোধন৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় আজ থেকে বহু বছর (১৮৬৫সালে)আগেই বর্ণপরিচয়, ২য়খণ্ড বইতে প্রথম পাঠের প্রথমেই কুবাক্য (কুকথা) প্রসঙ্গে লিখেছেন--- ‘‘কখনও কাহাকেও কুবাক্য কহিও না৷ কুবাক্য কহা বড় দোষ৷ যে কুবাক্য কহে কেহ তাহাকে দেখিতে পারে না৷ কুবাক্যই কুকথা৷ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বর্ণপরিচয় পড়েননি এমন বাঙালী হয়তো হাতে গোনা পাওয়া যাবে৷ তিনি বাংলা ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ছোটোদের মধ্যে নীতি শিক্ষা দেবার জন্যই এই ধরনের বাক্যগুলি বর্ণপরিচয়ে লিখে গেছেন৷ অনেকে এই শিক্ষাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করেছেন, আবার কেউ কেউ কেবল পড়ার জন্যই শুধু পড়ে গেছে৷ জীবনে এই শিক্ষাকে গ্রহণ করার প্রয়োজন বোধ করে নি৷ বাঙলায় রাজনীতির

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন চাই

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষের মাটিতে পশ্চিমী বণিকগণ ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসেন সেই প্রাচীনকালে মুঘল আমলে৷ তারা এদেশে এসে বুঝে ছিল৷ যে এদেশের মুসলমান শাসকগণ যতটা না দক্ষ শাসক তার চেয়ে বেশী ব্যষ্টিগত ভোগ বিলাসে মত্ত ছিলেন আর রাজকর্মচারীরা ছিলেন শাসকদের স্তাবক৷ তাঁদের হাত করতে পারলে শাসকগণকে পরোক্ষভাবে হাত করা যায়৷ তাই পশ্চিমী বণিকগণ বিশেষ করে ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানী খুবই ধূর্ত্তের সঙ্গে এদেশে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যায় ও রাজশক্তি কব্জা করার কূটচালে নেমে পড়ে ধীরে ধীরে৷ তাই রাজপরিবারের যাঁরা প্রভাবশালী কর্মচারী তাঁদের হাত করে রাজশক্তি অধিকার করতে কাজে নেমে পড়ে৷ তাই দেখা গেল ইংরেজ বণিকগণ ফরাসী বণিকদের চেয়ে অধিকতর ছলচাতু

কর্ষক আন্দোলনের সমর্থনে বাঙালী কর্ষক সমাজ

আগরতলা ঃ বাঙালী কর্ষক সমাজের ত্রিপুরা রাজ্যসচিব শ্রী বিমল দাস ৭ই ডিসেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, জনস্বার্থ বিরোধী কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে বাঙালী কর্ষক সমাজ আন্দোলন করে চলেছে৷ আমরা ৮ই ডিসেম্বরের ভারত বন্ধকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি৷ তিনি বলেন নূতন কৃষি আইনের মাধ্যমে কর্ষকদের স্বাধীনতা হরণ করে পুঁজিপতি শোষণের পথ প্রশস্ত করবে৷ পুঁজিপতিরা নিজেদের পছন্দের শস্য উৎপাদনে কর্ষকদের বাধ্য করবে৷ কর্ষকদের ওপর নবরূপে নীলকর সাহেবের অত্যাচার শুরু হবে৷

বন্ধে সমর্থন অসম ‘আমরা বাঙালী’র

গত ৬ই ডিসেম্বর ‘আমরা বাঙালী’র অসম রাজ্য সচিব সাধনপুরকায়স্থ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান---ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার সংখ্যাতত্ত্বকে সামনে রেখে রাজশক্তিকে ব্যবহার করে একটার পর একটা জনবিরোধী আইন তৈরী করে ভারতের ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক ও সামাজিক, অর্থনৈতিক ভারসাম্যকে ভূলুন্ঠিত করে চলেছে৷ তার মধ্যে অন্যতম কৃষিবিল ও অত্যাবশ্যকীয় বিল৷ এই বিলটি কৃষক ও সাধারণ নাগরিকদের পরিপন্থী৷ এই বিলের আইনে পরিণত হওয়ায় বাজারে সকল দ্রব্যে মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে বাইরে চলে গেছে৷ সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে৷ এই বিলটি কৃষকদের হাতে কৃষি জমির অধিকার থাকলেও শশ্য ক্রয় বা বিক্রয়ের কোন নিয়ন্ত্র

পাঁশকুড়ায় নারী অভ্যুদয়ের সূচনা হল

গত ৫ই ডিসেম্বর শনিবার পাঁশকুড়া পুরসভার অন্তর্গত ৩নং ওয়ার্ডে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে  আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের মহিলা বিভাগ (সুরানানকার ইয়ূনিট) দ্বারা পরিচালিত ‘নারী অভূ্যদয়ের শুভ সূচনা হল, এই প্রতিষ্ঠানে দুঃস্থ মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে টেলারিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন সংঘের নারী কল্যাণ বিভাগের কেন্দ্রীয় প্রধান অবধূতিকা আনন্দ বিশাখা আচার্যা, প্রধান অতিথির  আসন অলংকৃত করেন অবধূতিকা আনন্দ উৎপলা আচার্যা, বিশেষ অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন শ্রী মানস কুমার দাস, শিক্ষারত্ন শিক্ষক --- ব্রাডলিবার্ট হাইসুকল, শ্রী মানস কালসার, ভূক্তিপ্রধান, পূর্বমেদিনীপুর ও শ্রী

মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

গত ৫ই ডিসেম্বর শনিবার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী মনোজ ঘোষের হোটেল এ্যাণ্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের সল্টলেক সেক্টর ১-এ নূতন ভবনের গৃহপ্রবেশ মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত কীর্ত্তন মিলিত সাধনার পর গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য সুভধ্যানানন্দ অবধূত, অনুষ্ঠান শেষে আনন্দমার্গ দর্শন ও সমাজ শাস্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরে মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷