জয় শ্রীরাম নিয়ে

সংবাদদাতা
বীরেশ্বর মাইতি
সময়

সাম্প্রতিককালে ভারতীয় রাজনীতিতে  সর্বাপেক্ষা  চর্চিত  বিষয়টি হচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’৷ বেশ কিছুদিন  আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বঙ্গের রাজনীতিতে বিতর্ক আরো দানা বেঁধেছে৷ এখানেই শেষ নয়, এরই জেরে নব নির্র্বচিত সাংসদরা শপথ  গ্রহণের  সময়  সংসদের মধ্যেও স্লোগানের  জোয়ার এনেছেন৷

বিষয়টি যদি  এই জায়গায়  থেমে থাকতো তাহলে কাগজ কলম নিয়ে দু কলম লেখার  চেষ্টা করতাম না৷ আমি, আপনি , আমরা সবাই  ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছি যে সারা ভারতবর্ষের  শহর, গ্রাম নির্বিশেষে একদল নীতিহীন, আদর্শহীন মানুষ, সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্পে দীক্ষিত  হয়ে  কীভাবে সাধারণ , নিরপরাধ  মানুষের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে৷ ‘জয় শ্রী রাম’ না বলার কারণে  হোক বা কাউকে জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলাতে চেয়ে মানুষের  জীবন পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে৷

একুশ শতকের পৃথিবীতে এই ঘটনা আজও কেন  ঘটে?  ভারতবর্ষের মতো  দেশে যেখানে  ‘সর্বধর্মমতসমন্ব্’ ও ‘পরমত সহিষ্ণুতার’ আদর্শে আবহমান কাল ধরে চলে  আসছে  সেই দেশের  মাটিতে কিনা কাউকে  মেরে ফেলা হবে ‘জয় শ্রীরাম’ না বলার অপরাধে৷ আমরা কোথায় বাস করছি ! এই ভারতবর্ষ আমরা চাই না৷ আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতির  পরিণাম কি আসলে এই!

এখনো পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা  ক্রমাগত ঘটে চলেছে  আর প্রশাসনও নির্বিকার  রয়েছে৷ কীভাবে  এই সংকীর্ণমনা  গোঁড়া মানুষদের শাস্তি  বা বিচার হবে জানি না৷

আমরা তো সাধারণ মানুষ৷ আমাদের ঢাল নেই, তরোয়াল নেই৷ আমরা  শুধু খবরের কাগজে, টি.ভির  টকশোতে  খবর গিলে গিলে খাবো৷ আর পায়চারী করতে করতে নিজেকে প্রশ্ণ করবো --- কী হচ্ছে এসব৷’’

অথচ আমার আপনার মতো  সাধারণ  মানুষের  ভোটেই  এদের --- নেতা -নেত্রীদের আমরা সিংহাসনে  বসিয়েছি৷  এরাই হলো আসল অপরাধী৷ এরাই  আগুনে  ঘি ঢালার  কাজটা  করে৷ নিজের নিজের  দলের অন্ধ অনুগামীদের  আগুন নিয়ে খেলতে  উৎসাহিত করে৷ দলের কর্মীদের  লেলিয়ে দেয় সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে  পড়তে৷