শিলচরে ভাষা দিবস পালন: অসমে ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক

সংবাদদাতা
শিলচর থেকে, ঋষিকেশ দে
সময়

গত ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার শপথ নিয়ে গোটা বিশ্বের সাথে শিলচরেও দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করে ভাষা আইন সুরক্ষা সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি৷ এ উপলক্ষ্যে শিলচরের রাঙ্গিরখাড়িস্থিত ভাষা শহীদ বেদীর পাদদেশ থেকে একটি পদযাত্রা বিকেল চারটে নাগাদ শুরু করে হাসপাতাল রোড, অম্বিকাপট্টি, প্রেমতলা, শিলংপট্টি হয়ে গান্ধীবাগের ভাষা শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পৌঁছায়৷ পদযাত্রার সূচনা করেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও সমিতির সভাপতি ড. তপোধীর ভট্টাচার্য৷ পদযাত্রার শেষে বক্তব্য রাখেন সমিতির অন্যতম সহ-সভাপতি ও আমরা বাঙালীর রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ, তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ডা. এম শান্তি কুমার সিংহ, নির্মল কুমার দাস, ডা, অজয় রায়, সঞ্জীব রায়, বি.ডি. এফ দলের সভাপতি প্রদীপ দত্ত রায়, রিপন দাস, আদিমা মজুমদার, গৌর চন্দ্র দাস প্রমুখ৷ পদযাত্রায় যোগদান করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অরুণ দত্ত মজুমদার, পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী, এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)---

 দলের জেলা সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী, সিপি আই এম এর প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তপোজ্যোতি ভট্টাচার্য, প্রাক্তন পুরপ্রধান তমাল কান্তি বনিক, হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন এর পক্ষে শিহাব উদ্দিন আহমেদ, লুৎফর রহমান বড়ভূইয়া, সমিতির সব সভাপতি কিশোর ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল ভট্টাচার্য, অরিন্দম দেব, মাধব ঘোষ, প্রশান্ত ভট্টাচার্য, তমোজিৎ সাহা, অভিজিৎ পাল, মধুসূদন কর, জয়দীপ ভট্টাচার্য, খাদেজা বেগম লস্কর প্রমুখ৷ এদিন মিছিলে এ আই ডি এস ও  এ আই ডি ওয়াই ও, এ আই এম এস এস,  বি.ডি. এস এফ সহ বিভিন্ন সংঘটনের সদস্যরা গান্ধীবাগের  সামনে বক্তব্য রাখেন৷ বক্তব্য চলাকালে বক্তারা বলেন মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম গৌরবজ্জ্বল দিন মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে৷ পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি উর্দু ভাষাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে যে ঐতিহাসিক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল তাতে আব্দুল, সালাম, বরকত, রফিক, জববার সহ অসংখ্য ভাষা সেনানী বুকের রক্ত ঢেলে মাতৃভাষার মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চক্রান্তকে রুখে দিয়েছিল৷ ১৯৬১, ১৯৭২,১৯৮৬ সালে অসমের উগ্র প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির কুচক্রান্তে অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে তার বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলনে কমলা, সুনীল, জগন,যীশু সহ ১৪টি তাজা প্রাণের আত্মবলিদানে রক্ষা পেয়েছিল মাতৃভাষার মর্যাদা৷ উনারা এও বলেন যে বর্তমানে অসম সরকারের ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন সংঘটিত করতে হবে৷