November 2019

ছাত্র–ছাত্রাদের স্মরণ শক্তি বাড়ানোর উপায়

(১) Repeatation প্রয়োগ অর্থাৎ মুখস্থ করা বিষয় লেখা বা অন্যকে শোণানো

(২) পাঠ্য বিষয় এমন ভাবে পড়া যাতে কানও শুণতে পায়

(৩) অধীত (পাঠ্য বিষয় যা আয়ত্ত করা হয়েছে) বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ catch-word একটা ছন্দের মধ্যে সাজিয়ে নিয়ে মনে রাখা

(৪) প্রাক্–প্রত্যুষে যখন বাহ্যিক পরিবেশ শান্ত থাকে তখন অবশ্যই পড়ার অভ্যাস তৈরী করা

(৫) কয়েকটি আসন যেমন মৎস্যমুদ্রা, জ্ঞানাসন, শশঙ্গাসন অভ্যাস করা ঙ্মআচার্য শেখাবেনক্ষ

(৬) মাঝে মাঝে ক্ষ্রাহ্মী শাক, স্বল্প পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া 

(৭) শাঁখালুর রস প্রত্যহ পান করা

(৮) গুরুধ্যান৷ (দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য থেকে)

সহজ কাজ

বিভাংশু মাইতি

সমাজে মানুষ মারা

আজ যে হ’ল জল ভাত

বিবেক আর দেয় না বাধা

কাঁপে নাকো কারো হাত৷

নেতা মরে গুলি খেয়ে

কেউ বা মরে বাঁচতে গিয়ে

প্রেমিক-প্রেমিকা প্রাণ হারায়

একে অন্যের গলা দাবিয়ে৷

পার্কিংয়ের জায়গা নিয়ে

যোগানদারের বখরা নিয়ে

সম্পত্তির প্রলোভনে

নিমেশে আমরা লাশ ফেলি

মুখেতে মিথ্যা বাণী

সংহতির প্রেমের বুলি৷

হৃদয় কি আজ হারিয়েগেল

সভ্যতারই উগ্র সাজে

হিংসা আজ ছড়িয়ে গেল

দাবানলে সবার মাঝে৷

আসবে সুদিন আসবে

বিশ্বপ্রেমের রঙিন গোলাপ

ফুটবে আবার ফুটবে৷

দীপাবলীর ইতিবৃত্ত

রামদাস বিশ্বাস

কার্ত্তিকী অমাবস্যা ঘোরতর

তমিস্রাময় রাত্রি

দ্বীপ জ্বেলে যাই আমরা সবাই

যারা আলোকের পথযাত্রী৷

শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন না সেইদিন

রাজধানী দ্বারকা নগরীতে

শ্রীকৃষ্ণপত্নী সত্যভামা দেবী

বধিলেন তাঁকে সেই তিথিতে৷

পাপিষ্ঠ নরকাসুরকে বধি রাণী

আলোকে সাজালেন পুরী

সেই থেকে এল ধরাধামে দীপাবলী

সত্যভামার হাত ধরি৷

ভাইফোঁটা

জয়তী দেবনাথ (অষ্টম শ্রেণী)

দাদার কপালে দিলাম ফোঁটা

যম-দুয়ারে পড়ল কাঁটা৷ 

সারা জীবন থাকব সাথে

স্নেহ-প্রীতির বন্ধনেতে৷

দিনে রাতে থাকব মেতে

হাসি-খুশী আনন্দেতে৷

খুলতে পারে স্নেহের ডোর

নেইতো কিছুর এমন জোর৷

দুষ্টু দাদা গুড্ডু আমার

মিষ্টি বোনটি আমি যে তার৷

দুষ্টু-মিষ্টি খুনসুটি

যত পারি নেব লুটি৷

প্রিয় নরহরি স্মরণে

প্রভাত খাঁ

মানব সেবার ব্রতে রত প্রিয় নরহরি

হঠাৎ পাড়ি দিলে ইহলোক ছাড়ি

বাবার আদর্শ তুমি নিষ্ঠা সহকারে

পালন করে গেলে এ মর সংসারে৷

তুমি জানায়ে গেলে---আদর্শের তরে বাঁচো

আর আদর্শের তরে মর৷

ধন্য, ধন্য, ধন্য তুমি মার্গের সমাজে

অভিনব দৃষ্টান্ত রেখে গেলে আমাদের মাঝে৷

সবাই স্মরিবে তোমায় এই স্মরণীয় দিনে

ভক্তি আপ্লুতচিতে, অমর হয়ে যে

রবে ভক্ত ভগবানে৷

পল গুণে যায় আশায় আশায়

আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ অবধূত

মধ্যরাত্রি, ঘন অরণ্য, অন্ধকারের বুক চিরে যন্ত্রচালিত চার চাকা বিশিষ্ট ছোট ঘর দূরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে সমুখের পানে৷ যে দুটি বৈদ্যুতিক বাতি লাগানো সমুখে, তারআলো জোরালো নয়৷ তাই সমুখের বা পাশের দর্শকদের আবছা আবছা দেখাচ্ছে৷ শুধু কালো পীচের রাস্তাটা সামনের খানিকটা দেখা যাচ্ছে৷ পাকা ড্রাইভার না হলে এই আঁকাবাঁকা রাস্তায় ওই ক্ষীণ আলোতে এত দ্রুত বাসকে চালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব৷ মোট আমরা ৩০ জন যাত্রী৷ একবার ড্রাইভার ভাই জোরে চেঁচিয়ে বলল ওই চেকপোষ্টে পাহারা রত সৈনিকদেরকে৷ সবাই ঘুমিয়ে এপাশ-ওপাশ হচ্ছে, আমার যে কেন ঘুম নেই চোখে তা অজানা৷ সত্যি কি সুন্দর এই আলো আধারের আবছা আবছা জগৎ!

ফুটবলে বাঙালী ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে কেন?

বাঙলায় বাঙালীর অস্তিত্ব বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজ বিপন্ন৷ খেলাধূলার ক্ষেত্রে ফুটবলে বলকাতার দলগুলি একসময় সারা ভারতে তো বটেই পৃথিবীতে এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছিল৷ ভারতীয় ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করত একঝাঁক বাঙালী তরুণ৷ ফুটবল পাগল বাঙালী আজ প্রতি পদে পদে বাঙলার ফুটবলের স্বর্ণযুগের স্মৃতিচারণ করে সান্ত্বনা পাওয়ার চেষ্টা করছে৷ সেই গোষ্ঠ পাল, চুনী গোস্বামী, প্রদীপ ব্যানাজী, সুভাষ ভৌমিক, অমল দত্ত প্রমুখ ফুটবলের রথী-মহারথীদের কীর্তির কাছে বর্তমান বাঙালী ফুটবলারদের কৃতিত্ব যেন হাতির সামনে সামান্য মুষিকের লাফালাফি বলেই মনে হচ্ছে৷

চার পদকের শিরোপা থাকা সত্ত্বেও বাঙালী সন্তানের অন্ন সংকট

পুষ্টিকর খাবার জোগানোর জোগাড় করতে পারছেন না বাবা-মা৷ ফলে, প্রত্যেক দিন পাঁচ-ছয়ঘন্টার প্রশিক্ষণের পর এশীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে চার-চারটি পদক জেতা সাঁতারুর জোটে শুধুই রুটি-তরকারি৷ বাংলার কোথাও আন্তর্জাতিক সুইমিং পুলে সাঁতার  কাটার সুযোগ নেই৷ বালি গ্রামাঞ্চলের  ঘোলা জলে সাঁতার কাটতে গিয়ে  সমস্যা হচ্ছে প্রতিনিয়ত৷ ঠিকমতো এগোনো যায় না, সেখানে অনুশীলন করেই দেশের  সেরা হয়েছেন জুনিয়র বিভাগে৷ সামনে কোনও  জাতীয় শিবির নেই৷ ফলে আন্তর্জাতিক কোচের কাছে শিক্ষা নেওয়া ও সুইমিং পুলে প্রশিক্ষণের সুযোগ নেই৷  রাজ্য সংস্থার কর্তাদের  কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি৷ ফলে চূড়ান্ত উপেক্ষা আর অবহেলার জেরে  শেষ হয়ে যেতে বসেছে

সর্বনাশের খাদের কিনারায় বাঙালী --- মারের ওপর মাথা তুলে দাঁড়াতে ১৬ই নভেম্বর মহামিছিলের ডাক আমরা বাঙালীর

আগামী ১৬ই নভেম্বর কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দিল আমরা বাঙালী৷ হাওড়া, শিয়ালদহ দুই প্রান্ত থেকে দুটি মিছিল বের হয়ে দুপুর ১২টায় ধর্মতলায় রাণী রাসমণি রোডে জমায়েত হবে৷ সংঘটনের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রীবকুল রায় জানান এন. আর. সি. ও হিন্দী আগ্রাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট বাঙালী আজ নিজ ভূমে পরবাসী৷ এভাবে বেশিদিন চলতে দেওয়া যায় না৷ বাঙালীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে৷ বাঙালী যদি এখনই সব সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ না হয় তবে অচিরেই বাঙালী একটি লুপ্তপ্রায় জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবে৷

‘এনেছিলে সাথে করে মৃতুহীন প্রাণ’

পথিক বর

‘‘তোমরা মনে কোরোনা যে, আজ এই আদালতেই এ মামলার শেষ৷ মানব ইতিহাসের বিরাট বিচারালয়েও এই মামলার শুনানী চলবে চিরকাল৷

একদিন যখন তোমাদের সমস্ত বিচার-বিতর্ক নীরব হয়ে যাবে, যখন আজকের এই আন্দোলন ও উত্তেজনার কোনও চিহ্ণই অবশিষ্ট থাকবে না এবং আজ যিনি আসামী হয়ে তোমাদের সামনে দাঁড়িয়েছেন, তিনিও পৃথিবী থেকে চলে যাবেন, সেদিন সেই অনাগত যুগের মানুষ এই অরবিন্দকেই স্মরণ করবে, দেশপ্রেমের কবি বলে৷ মানবতার উপাসক বলে সমগ্র পৃথিবী তাকেই  দেবে সেদিন পুষ্পাঞ্জলী৷

আজ যে বাণী প্রচারের জন্য তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন, সেদিন সেই বাণীর তরঙ্গ দেশ-দেশান্তরের মানুষের অন্তরে মহাভাবের প্রতিধবনী জাগিয়ে তুলবে৷’’