November 2019

শহরে ডেঙ্গীর প্রকোপ

কলিকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে এখনও ডেঙ্গীর প্রকোপ চলছে৷ বুধবার ভোর রাতে বাগুইআটির রুণু বিশ্বাস ডেঙ্গীতে আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান৷ মাত্র ১১ দিন আগে তিনি একটি শিশুকন্যার জন্ম দেন৷ ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান শিশুকন্যাটি সুস্থ আছে৷

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের জলপাইগুড়ি জেলার কর্মী সম্মেলন

গত ৩রা নভেম্বর প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের জলপাইগুড়ি জেলার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জলপাইগুড়ি আনন্দমার্গ সুকলে৷ জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে প্রায় শতাধিক সক্রিয় কর্মী এই সম্মেলনে যোগ দেন৷

অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের আবর্জনা সরিয়ে যুক্তিপুর্ণ আধ্যাত্মিকতাই প্রগতির পথে নিয়ে যাবে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

গঙ্গাসাগরে মকরসংক্রান্তির মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড়৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান থেকে কাতারে কাতারে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে, এমনকি সাগরপার থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ গঙ্গাসাগরে স্নান করতে এসেছেন৷ অনেকে সারা জীবন ধরে সঞ্চয় করে সেই সঞ্চিত অর্থ নিয়ে, অনেকে জমি–জমা গোরু–বাছুর বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে, অনেকে ধার কর্য করে গঙ্গাসাগরে এসেছেন সংক্রান্তির স্নান করতে৷

সমস্যার গভীরে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

এরাজ্যের হাজার হাজার মানুষ অন্য রাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্যে পাড়ি দিয়েছে৷ সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলার কুলঙ্গায়ের পাঁচজন কশ্মীরে আপেল বাগানে কাজ করতে গিয়ে জঙ্গীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে৷ এ সংবাদ আমাদের মর্মাহত করেছে৷ এর আগেও মহারাষ্ট্রে, কর্ণাটকে, রাজস্থানে, পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক নির্যাতিত হয়েছে, ওই সমস্ত রাজ্যের স্থানীয় মানুষের রোষের শিকার হতে হয়েছে৷ ফলে কোন কোন সময় আতঙ্কিত হয়ে বাঙালী শ্রমিকরা স্বরাজ্যে পাড়ি দিয়েছে৷ কিন্তু যেহেতু স্বস্থানে কর্মসংস্থানের উপায় নেই, তাই বাধ্য হয়ে কাজের জন্যে ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দেওয়া বন্ধ হয়নি৷ বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে দেখেছি প্রায়ই গ্রামাঞ্চল থেকে বেকার যুবকরা অন্য রা

জম্মু-কশ্মীর ও লাদাককে এক সূত্রে বেঁধে রাখা হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সুদৃঢ় হ’ত

নিরপেক্ষ

বর্তমান যুগে সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রনেতা ও নেত্রীদের স্মরণে রাখা অত্যন্ত জরুরী তা হ’ল এই ভূমণ্ডলে বড় বড় প্রাণী জীবন সংগ্রামে বাঁচবে না, কারণ তাদের থাকা ও খাওয়ার সংকট দেখা দিয়েছে৷ তাই জঙ্গলের হাতি লোকালয়ে এসে মৃত্যুবরণ করছে৷ ঠিক তার পাশাপাশি ছোট ছোট দেশ বাঁচবে না যদি তারা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ না হয়৷

অর্বাচীনে ভরে গেছে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলি

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে আমরা এক মারাত্মক  পরিস্থিতির  মধ্যে  হাজির হয়েছি৷ সেটা  বেশ বোঝা যায় বর্তমানে রাজনৈতিক , সামাজিক, অর্থনৈতিক  দিক থেকে চরম বিপর্যয়ের  মধ্যে দেশ অবস্থান করছে৷

কেন্দ্রের গুজরাটী প্রীতি---ক্ষুব্ধ আমরা বাঙালী

নির্লজ্জ প্রাদেশিকতায় মত্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ জয়েণ্ট এণ্টার্ন্স পরীক্ষায় আগামী বছর থেকে ইংরাজী হিন্দীর সঙ্গে শুধুমাত্র গুজরাটীকে অন্তর্ভুক্ত করায় এইভাবেই ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুল রায়৷ তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসমুক্ত ভারত চান৷ কিন্তু কংগ্রেসের সব অপকর্মের দুই গুজরাটী পাণ্ডার তিনি বড় ভক্ত৷ আগামী বছর জয়েণ্ট এণ্টার্ন্স-এ বাংলা অন্তর্ভুক্ত না হলে আমরা বাঙালী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে৷ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ সমগ্র বাঙালী জাতীকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান জানান৷

আদালতের রায় অমান্য করে রবীন্দ্র সরোবরে তাণ্ডবের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’

রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত সরোবরে আদালতের নিষেধ অমান্য করে যেভাবে পুলিশ প্রশাসনের সামনে তালা ভেঙ্গে ছট পূজা হ’ল তার তীব্র প্রতিবাদ করেন আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ৷ শ্রী দাশ বলেন---আমরা বাঙালী কোন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়৷ যে যার মত ধর্মাচরণ করতেই পারে৷ কিন্তু ভিন্ রাজ্য থেকে পেটের দায়ে বাঙলায় এসে বাঙলার কৃষ্টি-সংসৃকতির ওপর আঘাত হানবে এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ শুধু তালা ভাঙ্গাই নয়, কয়েক হাজার লোকের পূজো সামগ্রীসরোবরেব জলকে দূষিত করে৷ পরিণতিতে মাছ, কচ্ছপ প্রভৃতি জলজ প্রাণী মরতে শুরু করেছে৷

ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বাঙালী যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মহারাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন বীরভূম জেলার কুইটা গ্রামের বাসিন্দা পঁচিশ বছরের যুবক আকেবর আলি৷ ৩রা নভেম্বর সন্ধ্যায় তার মৃতদেহ ফিরে আসে গ্রামের বাড়ীতে৷ আকেবর আলি একটি ঠিকাদার সংস্থার হয়ে মহারাষ্ট্রের পুনেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন৷ ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের৷ কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ বা কীভাবে মারা গিয়েছেন সে সব কিছু জানানো হয়নি৷ শনিবার ২রা নভেম্বর বাড়ীতে ফোন করে জানানো হয় গত বৃহস্পতিবার কাজ করতে গিয়ে আকেবর মারা গিয়েছেন৷ প্রায় একমাস আগে আকেবর পুনে গিয়েছিলেন৷ তার বাবা অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন৷