সম্পাদকীয়

ভারতবর্ষ---সংহতি কোন পথে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দেশটার নাম ভারতবর্ষ৷ ভারত শব্দটার উৎপত্তি নিয়ে বিতর্ক আছে৷ কেউ কেউ বলেন ভরত নামে এক রাজার নাম থেকে ভারত নামটা এসেছে৷ তবে অনেকে এটা মানতে চান না৷ তাদের যুক্তি ভরত নামের রাজা তো ভারতের রাজা ছিলেন, অর্থাৎ ভরত রাজা হওয়ার আগে থেকে দেশটার নাম ভারতবর্ষ৷ তাই ভরত নামের রাজার নাম থেকে ভারতবর্ষ নাম হয়েছে এটা যুক্তিযুক্ত নয়৷ এই মতের পক্ষে যারা তাঁরা কোন ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণ তুলে ধরতে পারেনি৷

শিক্ষার সংকট

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানব সমাজের সঙ্গে শিক্ষার গভীর সম্পর্ক৷ শিক্ষককে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড৷ পক্ষান্তরে বলা যায় শিক্ষাই সমাজের মেরুদণ্ড৷ মানুষকে মানুষ করে গড়তে হলে উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন৷ প্রশ্ণ উঠতে পারে মানব শরীর নিয়ে যে জন্মায় সে তো মানুষই৷ মানুষকে আবার মানুষ হতে হবে কেন?

বাংলা শিক্ষা ও বাংলা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে অনিহা কেন?

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

 সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিউইয়র্ক শহরের ৬০টি নির্বাচন কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে বাংলা স্থান পেয়েছে৷ নিউইয়র্ক শহরে প্রায় ২০০-এর মত ভাষার মানুষ বাস করেন৷ বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা ১লাখেরও বেশী৷ নিউইয়র্কের বোর্ড অব ইলেকশনের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জে. রায়ান জানান আইন মেনেই বাংলা ভাষাকে ব্যালটে স্থান দেওয়া হয়েছে৷ এশিয়ার চারটে ভাষা ব্যালটে স্থান পেয়েছে৷ সেই চারটে ভাষার একটি বাংলা৷

সামাজিক অবক্ষয় ঃ সমাধানের পথ কী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি আর.জি.করের মর্মান্তিক ঘটনা সমাজে একটা নাড়া দিয়ে ছিল৷ মানুষ হয়তো সজাগ সচেতন হচ্ছে৷  কিন্তু  পেছন থেকে ক্ষমতা হারানো একটি রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে সেই আন্দোলনকে বিপথে চালিত করে৷

বঞ্চিত বাঙলা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বাঙলার প্রতি বঞ্চনার বহর দিন দিন বাড়ছে৷ দিল্লির মসনদে শাসক পরিবর্তন হলেও বাঙলার প্রতি দিল্লির বৈষম্যমূলক আচরণের কোন পরিবর্তন হয়নে৷ বাম আমলেও এই একই অভিযোগে সংসদে সরব হতো বাম সাংসদরা৷ নরেন মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ঘটিত হওয়ার পর অনেকে ভেবে ছিল এবার বুঝি বাঙলার প্রতি দিল্লির দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে৷ কিন্তু এই জায়গায় নেহেরু থেকে নরেন্দ্রমোদি সরকারী নীতির কোন পরিবর্তন হয়নি৷ ১০০দিনের কাজ, গ্রামীন আবাস যোজনা, গ্রামীন সড়ক যোজনা–বঞ্চনার তালিকা আর দীর্ঘ না করেও বলা যায় পূর্বতন সব সরকারের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে গত ১২ বছরে মোদি জমানার বঞ্চনা৷

মহাপ্রয়াণ দিবসের শপথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২১শে অক্টোবর৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস৷ ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর তিনি স্থূল শরীর ত্যাগ করেছিলেন৷ তাই স্থূল দেহগত বিচারে এটা তাঁর মহাপ্রয়াণ দিবস৷ কিন্তু সূক্ষ্ম বিচারে তথা আধ্যাত্মিক বিচারে তাঁর মহাপ্রয়াণের প্রশ্ণই ওঠে না৷ আধ্যাত্মিক বিচারে তিনি শাশ্বত চৈতন্য সত্তা–পরম আনন্দঘন সত্তা৷ তা তাঁর ভক্ত সাধকেরা সর্বদাই অনুভব করেন–মনকে আধ্যাত্মিক স্তরে উন্নীত করে’৷ তাঁরা অনুভব করেন, তিনি সবার অন্তর্লোকে সদা আনন্দমূর্ত্তিরূপে বিরাজিত৷

চাই যোগ্য নেতৃত্ব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রযন্ত্র গণতন্ত্রের মুখোশে দানবীয় রূপ নিয়েছে৷ নির্দয় শোষণের শিকার সাধারণ মানুষ, প্রতিবাদের কন্ঠরুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, মানব সমাজের সার্বিক বিকাশের পথ বন্ধ৷ পুঁজিবাদের অর্থে পালিত রাজনৈতিক দলের নেতারাও পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষায় ব্যস্ত৷ শোষণ ও নিপীড়নে জর্জরিত মানুষের দিকে তাকাবার সময় নেই৷

মানুষের সাংবিধানিক অধিকার

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও একটি স্বাধীন দেশের মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলো না৷ ধনকুবেরদের শোষণে জর্জরিত ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের দমন-পীড়নে স্বাধীন দেশের নাগরিক সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও অর্জন করতে পারলো না৷

সীমাহীন অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক বিভাজন ও রাজনৈতিক সংঘাতে প্রতিনিয়ত পদদলিত হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার৷ পরিতাপের বিষয় এই যে শাসক দলের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদতে এগুলি হয়ে চলেছে৷ অথচ শাসক দলেরই প্রধান দায়িত্ব সংবিধানের অঙ্গীকারগুলি পালন করা৷ মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা৷

প্রগতির পথকে বাধা মুক্ত করতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বর্তমানে দেশজুড়ে চুরি–ছিনতাই, সমাজের ওপরের স্তর থেকে নীচু স্তর পর্যন্ত দুর্নীতি, প্রতারণা, ব্যভিচার – সর্বত্র এই যে অপরাধ প্রবণতা তা শান্তিপ্রিয় সমাজ হিতৈষী মানুষের চরম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কীভাবে সমাজের মানুষের এই অপরাধ প্রবণতা রোধ করা যায় এ নিয়ে অনেকে অনেক গবেষণা করছেন – কিন্তু কোনোকিছু স্থির করতে পারছেন না৷ অনেকে জিজ্ঞেস করছেন – এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য কী সেই উত্তর দিতেই এবারের সম্পাদকীয়ের অবতারণা৷

‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’--- এ আহ্বান কোন মধ্য রাতের অন্ধকারে অসার আন্দোলনের আকুতি নয়, তমসাবৃত নিশীথের কালো যবনিকা ভেদ করে আলোর ঝরণাধারার পানে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঐকান্তিক এষণা, আশাহত ব্যথিত মনের আন্তরিক আকুতি৷

মানব সমাজের পরতে পরতে আজ দারিদ্র, শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়নের সকরুণ চিত্র৷ অর্থনৈতিক বৈষম্য, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে৷ অপর দিকে নগ্ণ চলচ্চিত্র, অশ্লীল সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষকে নৈতিক অধোগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে শোষকের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র৷ নিরীহ সাধারণ মানুষ আজ সর্বগ্রাসী নররূপী দানবের করুণার পাত্র হয়ে কায়ক্লেশে জীবন যাপন করছে৷