সংবাদ দর্পণ

ডিট লেভেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩-২৪শে মার্চ’২৪ আনন্দনগর ‘বি’ ডিট লেভেল সেমিনার ডিমডিহা আনন্দমার্গ জাগৃতিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রশিক্ষক আচার্য সুরেশানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের উপর আলোচনা করেন৷

আনন্দনগরে সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গ হাইস্কুলঃ ২৩শে মার্চ’২৪ আনন্দনগর রোটাণ্ডায়(অডিটোরিয়াম) আনন্দমার্গ হাইস্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ সভাপতিত্ব করেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় ট্রেনিং সেক্রেটারী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ মূখ্য অতিথি ছিলেন পুরুলিয়ার সিধু-কানু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ লক্ষ্মীরাম গোপ৷ সম্মানীয় অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সিধু-কানু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার মাইতি, আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য কিষণ সিং সুদ, আনন্দনগর আনন্দমার্গ গুরুকুলের সচিব ও আনন্দনগরের নিজপুরসভার মূখ্য পুরুষ আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, আনন্দনগর রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গ হাইস্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত প্রারম্ভিক বক্তব্যে স্কুলের সার্বিক উন্নয়নের উপর বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন৷লেখা-পড়ায় উৎকর্ষতা, সাংস্কৃতিক, ক্যুইজ ও বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থানাধি কারীদের উৎসাহ প্রদান স্বরূপ পুরস্কৃত করা হয়৷ আনন্দমার্গ গুরুকুল আয়োজিত স্বর্গীয় শম্ভুনারায়ণ রায় স্মরণে পঞ্চম ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রাদের মেধান্বেষণ ও বৃত্তি পরীক্ষায় পঞ্চম শ্রেণীর প্রথম কুড়িজন ও নবম শ্রেণীর প্রথম দশজনকে সংশাপত্র ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়৷ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে ছাত্রদের মধ্যে থেকে কবিতা আবৃত্তি, প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাতসঙ্গীত আধারিত নৃত্য ও শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের গল্প অবলম্বনে নাটক পরিবেশন করা হয়৷ সম্মানীয় অতিথিদের মূল্যবান বক্তব্য সকলকে উৎসাহ ও উজ্জীবিত করে তোলে৷

আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের ঃ গত ২৫শে মার্চ’২৪ বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মধ্যআনন্দনগর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনন্দনগরের রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷ মূখ্য অতিথি ছিলেন আনন্দনগর আনন্দমার্গ হাইস্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত৷ সম্মানীয় অতিথিদের মধ্যে ছিলেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য কিষণসিং সুদ, আনন্দনগর আনন্দমার্গ গুরুকুলের সচিব ও আনন্দনগরের নিজ পুরসভার মূখ্য পুরুষ আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, আনন্দনগর মহিলা বিভাগের রেক্টর অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা ও আনন্দমার্গ গুরুকুলের বিদ্যাবিবেক শ্রীমতী প্রভাসুদ আচার্যা৷ আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য নিত্যনবীনানন্দ অবধূত প্রারম্ভিক বক্তব্যে স্কুলের সার্বিক উন্নয়নের উপর বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন৷ লেখা-পড়ায় উৎকর্ষতা, সাংস্কৃতিক, ক্যুইজ ও বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থানাধি কারীদের উৎসাহ প্রদান স্বরূপ পুরস্কৃত করা হয়৷ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে ছাত্রদের দ্বারা কবিতা আবৃত্তি, প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত আধারিত নৃত্য ও শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের নব্যমানতাবাদ তত্ত্ব অবলম্বনে ‘সবুজ দ্বীপের বাঁশি’ নাটক পরিবেশন করা হয়৷ সম্মানীয় অতিথিদের মূল্যবান বক্তব্য সকলকে উৎসাহ ও উজ্জীবিত করে তোলে৷

আনন্দনগরে দধিচী দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৫ই মার্চ দিনটিকে প্রতি বছর সারাবিশ্বের আনন্দমার্গীরা ‘দধিচী দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকেন৷ ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বয়স (১৯৫৫সালের ৯ই জানুয়ারি বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুর রেলওয়ে কোয়ার্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘‘আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ’’ প্রতিষ্ঠিত হয়) তখন সবেমাত্র বার বছর অতিক্রম করে তের বছরে প্রদার্পণ করেছে৷ ১৯৬২ সালের শেষের দিকে আনন্দমার্গ মিশনে সন্ন্যাসী প্রথার প্রচলন শুরু হয়৷ তখন মিশনের শৈশবাবস্থা অর্থাৎ পাঁচ বছর বয়স অতিক্রম করেনি৷ সংস্থার প্রতিষ্ঠিত জন্মলগ্ণ থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী, বিপথগামী, সুবিধাবাদী ও মানুষের রক্ত শোষকেরা আনন্দমার্গকে ধবংস ও উৎখাত করতে লেগে পড়ে৷ ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দনগরে কমিউনিষ্ট গুণ্ডারা (তখন পশ্চিমবঙ্গে যুক্তফ্রন্টের সরকার চলছিল---জ্যোতি বসু ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) পরিকল্পিতভাবে আনন্দমার্গ মিশনের কর্মীদের আক্রমণ করে ও নির্মমভাবে পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীকে হত্যা করে৷ দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারক তদানীন্তন স্থানীয় জয়পুর ব্লকের বিডিও অশোক চক্রবর্তী সহ মোট আঠারো জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ বিভিন্ন মেয়াদে দোষী সাব্যস্ত করেন ও শাস্তি প্রদান করেন৷

 আনন্দনগরের প্রতিষ্ঠাকল্পে সেই সময় গুণ্ডাদের আক্রমণে আত্মবলিদান করে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা হলেন (ক) আচার্য অভেদানন্দ অবধূত (খ) আচার্য সচ্চিদানন্দ অবধূত (গ) আচার্য অবোধ কুমার ব্রহ্মচারী (ঘ) আচার্য প্রবোধ কুমার ব্রহ্মচারী (ঙ) আচার্য ভরত কুমার ব্রহ্মচারী৷

আনন্দমার্গে সব দধিচীদের স্মরণে প্রতি বছর ৫ই মার্চ ১২ ঘণ্টা(সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) নির্জলা উপবাস পালন করা হয়ে থাকে৷

আনন্দনগরেও এই দিনকে সব আশ্রমবাসীরা, শিশুসদনের ছেলে-মেয়েরা তথা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রারা নির্জলা উপবাসের মাধ্যমে দধিচী দিবস পালন করে থাকে ও নিম্নোক্ত অনুষ্ঠান সূচীর মাধ্যমে সম্মিলিত দধিচী দিবস পালিত হয়:

১) আনন্দনগর ‘পাওয়ার হাউস সভাঘরে’ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্ত্তন হয়৷ ২) কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান করা হয়৷ ৩) ঈশ্বর প্রণিধানশেষে মিলিত ভাবে নামকীর্ত্তন করে দধিচী পাহাড়ে যাওয়া হয়৷ ৪) দধিচী পাহাড়ে দধিচী বেদীতে পূষ্পার্ঘ্য প্রদান করা হয়৷ ৫) পূষ্পার্ঘ্য পর্বের পর প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান করা হয়৷ ৬) ৫ই মার্চ দধিচী দিবস উপলক্ষে সেই সময় গুরুদেবের দেওয়া নিম্নোক্ত শপথ বাক্য পাঠ করান বাংলায় আচার‌্য নারায়ণানন্দ অবধূত হিন্দি ও ইংরেজি আচার্য কিষণসিং সুদ৷ শপথ বাক্যঃ ‘যে পাপশক্তির ফলে এই পাঁচ ভাইয়ের হত্যা হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত সেই পাপশক্তির বিনাশ না করছি ততক্ষণ আমরা আরাম করবো না, আরাম করবো না, আরাম করবো না৷’ ৭) শপথ গ্রহণের পর স্মৃতি চারণ ও দধিচী দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়৷ ৮) তাৎপর্য ব্যাখ্যা শেষে লোয়ার হোষ্টেলে উপবাসকারীদের উপবাস ভঙ্গের জন্যে নেবুসর্বত ও খিচুড়ি বিতরণ করা হয়৷

বৃত্তি পরীক্ষা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৩রা মার্চ’২৪ স্বর্গীয় শম্ভু নারায়ণ রায় স্মৃতি পঞ্চম ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রাদের মেধা অন্বেষণ ও বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গ হাইস্কুলে৷ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী প্রথম পঞ্চম শ্রেণীর কুড়িজন ও নবম শ্রেণীর দশজনকে বৃত্তি ও সংশাপত্র গত ২২শে মার্চ’২৪ প্রদান করা হয়৷

আনন্দনগর ভ্রমণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৭-১০ই মার্চ’২৪ কলকাতা ও হুগলি জেলা থেকে দুটি গ্রুপে আনন্দমার্গের অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীগণ আনন্দনগর বেড়াতে আসেন৷ কলকাতা কেন্দ্রিক গ্রুপটি আনন্দমার্গ বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্রদের কবাডি প্রশিক্ষণ শুরু করেন৷ হুগলির পারিবারিক দলটি আমাদের শিশু সদনের ছেলে-মেয়েদের পৃথকভাবে মধ্যাহ্ণ ভোজনের আয়োজন করেন ও তাদের সঙ্গে মিলিত আহার করেন৷ এঁনারা আনন্দনগরের দর্শণীয় স্থান যথা নবচক্র গুহা, মৃত আগ্ণেয়গিরি, অস্থি পাহার, তন্ত্রপীঠ, প্রাচীন জৈনমন্দির, মাল্টা-মোসাম্বি বাগান, কাজুবাদাম বাগান, আম বাগান, জল বন্ধ প্রকল্প, শিশুসদন, উমা নিবাসের মহিলা বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন৷ আনন্দমার্গের সেবা ও বহুমুখী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অত্যন্ত খুশী হন৷

দিব্যপ্রকাশানন্দজীর্ শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২১শে মার্চ’২৪ আচার্য দিব্যপ্রকাশানন্দ অবধূত আমাদের ছেড়ে অমৃতলোকে চলে যান৷ ২৯শে মার্চ’২৪ শুক্রবার তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় শ্রদ্ধাঞ্জলী ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ প্রত্যন্ত আনন্দনগরের কৌষিকী জুনিয়র হাইস্কুলে৷ এখানেই তাঁর কর্মস্থল ছিল৷ ভক্তিমূলক প্রভাতসঙ্গীত, ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান ও স্বাধ্যায় শেষে সমাজ কল্যাণে তাঁর অবদান নিয়ে স্মৃতিচারণ করা হয়৷ মৃত্যুর পূর্বে দিব্যপ্রকাশানন্দজী কৌষিকী জুনিয়র হাইস্কুল ক্যাম্পাসে ধর্মচক্রের জন্যে দ্বিতলে একটি ভবন নির্মাণ শুরু করেছিলেন৷ গত ২০শে ফেব্রুয়ারী’২৪ ওই ভবনের ছাদ ঢালাই হয়েছিল৷

তাঁর গুণমুগ্দ দীক্ষা ভ্রাতাগণ দৃঢ়সংকল্প গ্রহণ করেন যে ‘‘তাঁর নির্মিত ভবনটির অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার৷’’ আর সম্মিলিতভাবে ওই ভবনটির নাম রাখা হয়েছে ‘আচার্য দিব্যপ্রকাশানন্দ অবধূত’ ভবন৷

মেয়েদের টাইকাণ্ডো পরীক্ষা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গ শিশুসদন ও গ্রামের মেয়েদের আত্মসুরক্ষা ও আত্মবল অর্জন, সরকারী-বেসরকারী ও সুরক্ষা বিভাগে কর্ম সুযোগের লক্ষ্যে গত বছর ১১ই মার্চ’ ২৩ আনন্দমার্গ মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের দ্বারা সপ্তাহে শণি ও রবিবার দুইদিন নিয়মিত টাইকাণ্ডো অনুশীলন করা হয়ে আসছে৷ পরিচালনায় রয়েছেন অবধূতিকা আনন্দ তপঃশিলা আচার্য৷ গত ১৬ই মার্চ’২৪ পরীক্ষার মাধ্যমে সকলে ‘ইয়েলো বেল্টে’ উন্নীত হয়েছে৷

মেধান্বেষণ ও বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩রা মার্চ’২৪ স্বর্গীয় শম্ভু নারায়ণ রায় স্মৃতি পঞ্চম ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রাদের মেধা অন্বেষণ ও বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পঞ্চম শ্রেণীর মেধাবী প্রথম কুড়িজন ও নবম শ্রেণীর মেধাবী দশজনের নাম, রোল নম্বর, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশিত করা হয়েছে৷

আনন্দনগরে প্রাক্তন ছাত্রের উপস্থিতি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগর আনন্দমার্গ হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র শ্রী সুভাশিষ মণ্ডল ১৯৯৭ সালে ভর্ত্তি হয় ও ২০০৩ সালে এই স্কুল থেকেই মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্যে কলকাতা যায়৷ এখন সে সরকারী ডাক্তার৷ মেডিসিনে এমডি৷ কলকাতায় পোষ্টিং৷ ধর্ম পত্নী বনি হাজরাকে নিয়ে ১১-১৪ই মার্চ’২৪ আনন্দনগর ঘুরে-বেড়ায়৷ আনন্দনগরের সেই পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে অর্থাৎ যে হোষ্টেলে থাকত, হাইস্কুলে পড়ত তখনকার ও এখনকার পরিবেশ পর্যালোচনা করে৷ তাছাড়া আনন্দনগরের প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান, বহুমুখী সেবা-কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলি দেখে৷

আধ্যাত্মিক আন্দোলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কয়েক বছর আগেও আনন্দনগরে কয়েকটি জায়গায় ছাড়া অখণ্ড নাম-সংকীর্ত্তন হতো না৷ এখনতো কীর্ত্তনের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না৷ ছুটির দিনে কোন না কোনো অনুষ্ঠান থাকেই৷ বিশেষ করে যেখানে একবার কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়ে থাকে ওরা প্রায় প্রত্যেকেই ওই কীর্ত্তনকে বাৎসরিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করতে চায়৷ তাছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আনন্দমার্গের অনুগামী না হয়েও কীর্ত্তন করতে এগিয়ে আসছেন৷ ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য ও আধ্যাত্মিক তরঙ্গ সকলকে আন্দোলিত ও উদ্বেলিত করে তোলে৷ আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন আনন্দনগরে কোথাও না কোথাও সংগঠিত কীর্ত্তন হোক৷ কীর্ত্তনের প্রভাবে সকলের কল্যাণ হোক, সকলের মধ্যে শুভ-ভাবনার উদয় হোক৷

১৭ই মার্চ’২৪ জিওদারু গ্রামের সম্মিলিত প্রয়াসে ছয় ঘণ্টার নাম সংকীর্ত্তন, নগর কীর্ত্তন, তত্ত্বসভা, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷ প্রতি মাসে তৃতীয় রবিবার হিসেবে বাবা স্মৃতি শৌধে তিন ঘণ্টা নাম-সংকীর্ত্তন ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷