আনন্দনগরে উৎপাদিত কাঁচকলা
আনন্দনগরের রুক্ষ ভূমিতে চেষ্টা করলে সবকিছু ফলানো সম্ভব৷ উমা নিবাস গার্ল ভলাণ্টিয়ার্স কম্পাউণ্ড বাগানে উৎপাদিত কাঁচকলা৷
আনন্দনগরের রুক্ষ ভূমিতে চেষ্টা করলে সবকিছু ফলানো সম্ভব৷ উমা নিবাস গার্ল ভলাণ্টিয়ার্স কম্পাউণ্ড বাগানে উৎপাদিত কাঁচকলা৷
বিগত কয়েক বছর থেকে প্রতিবছর আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণের প্রকল্প চলছে৷ মারামু ও গুড়িডি মৌজায় লক্ষ্য রয়েছে চল্লিশ হাজার স্থানীয় জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ রোপণ করা হবে৷ সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ার ফলে রোপণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেছে৷ আজ ১০ই আগষ্ট’২৪ থেকে গুড়িডি মৌজায় বৃক্ষরোপনের কাজ শুরু হয়েছে৷ গত বছর লাগানো চারাগাছ সুন্দরভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে৷
১০ই আগষ্ট’২৪ শনিবার রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সাল আনন্দনগরের পক্ষ থেকে আনন্দমার্গ হাইস্কুলে মাসিক ষ্টাডি সার্কেলের আয়োজন করা হয়৷ আলোচনার বিষয় ছিল সৃষ্টি চক্র৷ বিশ্বজগৎ সৃষ্টির রহস্য ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করেন আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷
সেপ্ঢেম্বর’২৪
(১) ৫ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- ডক্টর অমরনাথ চক্রবর্তী নক-আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে৷
(২) ৬ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- ‘‘কৌশিকী নৃত্য’’ দিবস আনন্দনগর ডায়োসিসের প্রাইমারী স্কুল, হাইস্কুল (বয়েজ ও গার্লস), শিশু সদনে কৌশিকী নৃত্যের উপযোগিতা নিয়ে আলোচনা, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পালিত হবে৷
(৩) ৭ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- আনন্দমার্গ গুরুকুল দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবছর আনন্দমার্গ হাইস্কুলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ এবছরেও অনুরূপভাবে পালিত হবে৷
(৪) ৭-৮ সেপ্ঢেম্বর’২৪--- টাটোয়ারা গ্রামের বার্ষিক অখণ্ড নাম সংকীর্তন বাবা নাম কেবলম মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছে৷ ৭ই সেপ্ঢেম্বর’২৪ টাটুয়ারা আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনে দুপুর ১২টায় কীর্তন শুভারম্ভ হবে৷
(৫) ৮ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- আনন্দনগর বকুল-বিতান আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গণে আনন্দনগর ডায়োসিসের প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে৷
(৬) ১১ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- ছটকা নিবাসী দিব্যেন্দু ও মৈত্রেয়ী মণ্ডলের একমাত্র পুত্র ও প্রথম সন্তান দেবপ্রিয় মণ্ডলের ৫ম জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে৷ এই উপলক্ষ্যে সকাল ৯-১২ পর্যন্ত অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে৷
(৭) ১১ই সেপ্ঢেম্বর’২৪---টাটুয়ারা নিবাসী শ্রী অশোক কুমারের বাসভবনে টাটুয়ারা ধর্মচক্র ইউনিটের পাক্ষিক অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে৷ কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত৷
(৮)১৪ই সেপ্ঢেম্বর’২৪---আনন্দমার্গ হাইস্কুলে প্রভাত সঙ্গীত দিবস উদযাপন ও সেই উপলক্ষ্যে ওইদিন ষ্টাডি সার্কেলর মাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে৷
(৯)১৫ই সেপ্ঢেম্বর’২৪ বাবা স্মৃতিসৌধে মাসিক তিনঘণ্টা সকাল ৯-১২টা পর্যন্ত অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান,বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহারের আয়োজন করা হয়েছে৷
(১০) ১৬ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- কুর্মিডি নিবাসী ভবেশ ও বন্দনা মাহাতোর প্রথম ও একমাত্র পুত্র সন্তানের আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধিমতে নামকরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে৷ এই উপলক্ষ্যে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে৷
(১১) ২১-২২ সেপ্ঢেম্বর’২৪--- অনূর্ধ-১৫ স্বর্গীয় শম্ভু নারায়ণ রায় নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে৷ ১-১-২০১০ তারিখের পর যাদের জন্ম হয়েছে তারাই ফুটবল ম্যাচে অংশ গ্রহণ করতে পারবে৷
(১২) ২২শে সেপ্ঢেম্বর’২৪--- বিকাশ ও মধু গরাঞের দ্বিতীয় সন্তানের (কন্যা) লিমার নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠিত হবে৷ এই উপলক্ষ্যে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে৷ ।
(১৩) ২৪শে সেপ্ঢেম্বর’২৪--- শ্যামপুর ‘‘মাতৃস্নেহ’’ দিদিদের আশ্রমে বিশ্বশান্তি ও সকলের মঙ্গল কামনায় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড বিশেষ বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তন, মিলিত সাধনা, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছে৷
(১৪) ২৫শে সেপ্ঢেম্বর’২৪---টাটুয়ারা নিবাসী শ্রী অশোক কুমারের বাসভবনে টাটুয়ারা ধর্মচক্র ইউনিটের পাক্ষিক অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে৷ কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত৷
(১৫) ২৬শে সেপ্ঢেম্বর’২৪---সিংঘাঘরা সুভাষ মাহাতোর নবনির্মিত বাসভবনের গৃহপ্রবেশ আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে৷
(১৬) ৩০শে সেপ্ঢেম্বর’২৪---আনন্দনগরের সিংঘাঘরা নিবাসী সুভাষ ও চপলা মাহাতোর একমাত্র পুত্র তপনের সহিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের জলেশ্বর নিবাসী ভগীরথ ও আলতা বর্মনের দ্বিতীয় কন্যা পুষ্পিতার আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধিমতে বৈপ্লবিক শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত হবে জলেশ্বর বাসভবনে৷
১১ই আগষ্ট‘২৪ আনন্দনগরের দক্ষিণ প্রত্যন্তে তথাকথিত উপজাতি অধ্যুষিত ডামরুঘুটু গ্রামে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ শাখার উদ্যোগে বার্ষিক ১২ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্ত্তন শুভারম্ভ হয় সকাল ৬টায়৷ এই উপলক্ষ্যে মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷
দেশ জুড়ে বৃষ্টির আকাল৷ ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছেন দেশের জনগণ৷ ভাঁড়ারেও টান পড়েছে৷ এই আবহে দেশের ৭০০-রও বেশি বড় পশু হত্যার সিদ্ধান্ত নিল আফ্রিকার একটি দেশ৷ কথা হচ্ছে নামিবিয়ার৷ চলতি বছরে খরার সঙ্গে জুঝছে দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশ৷ বৃষ্টির অভাবে দেশ জুড়ে চাষবাসের হাল খারাপ৷ আর সেই কারণে দেশের শস্যের ভান্ডারও শেষের পথে৷ এই পরিস্থিতিতে নামিবিয়ার জনগণের একটা বড় অংশই দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারছেন না৷ গত মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জও জানিয়েছে যে, নামিবিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক খাদ্য সঙ্কটের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ পুরো বিষয়টি মাথায় রেখেই এ বার দেশের জীবজন্তুদের মেরে দেশবাসীর মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নামিবিয়া সরকার৷ সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে৷
নামিবিয়ার পরিবেশ, বন ও পর্যটন মন্ত্রক সোমবার ঘোষণা করেছে, খরাত্রাণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে ৭২৩টি প্রাণীর মাংস বিতরণ করবে তারা৷ দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য সঙ্কট মেটাতেই সরকার বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ করছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে৷ দক্ষিণ আফ্রিকা নামিবিয়ার সরকার যে বড় জীবজন্তু মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে হাতি, জলহস্তী, মহিষ থেকে শুরু করে জেব্রা, ইম্পালা৷ নামিবিয়ার পরিবেশ, বন ও পর্যটন মন্ত্রকের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘মন্ত্রকের তরফে ৩০টি জলহস্তী, ৬০টি মহিষ, ৫০টি ইমপালা (হরিণ জাতীয় প্রাণী), ১০০টি নীল ওয়াইল্ডারবিস্ট, ৩০০টি জেব্রা, ৮৩টি হাতি এবং ১০০টি ইল্যান্ড (হরিণ জাতীয় প্রাণী) মোট ৭২৩টি প্রাণীকে মারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ প্রাণীগুলিকে জাতীয় উদ্যান এবং আশপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে৷’’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘পেশাদার শিকারিদের এই বন্যপ্রাণীদের শিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত, মাঙ্গেত্তিতে বিভিন্ন প্রজাতির ১৫৭টি প্রাণী শিকার করা হয়েছে৷ এই প্রাণীগুলি থেকে মোট ৫৬,৮৭৫ কিলোগ্রাম মাংস সরবরাহ করা হয়েছে৷’’ বাকি প্রাণীগুলিকেও শীঘ্রই শিকার করে তাদের মাংস ক্ষুধার্ত দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নামিবিয়ার পরিবেশ মন্ত্রক৷ কিন্তু কেন এত ভয়ঙ্কর খরার মুখে পড়ল নামিবিয়া? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ এল নিনো৷ প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম হল, দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল থেকে উষ্ণ সমুদ্রের জল পশ্চিমে সরে গিয়ে কেন্দ্রীভূত হয় এশিয়া-অস্ট্রেলিয়া উপকূলের কাছে৷ এর উল্টো প্রক্রিয়াটাই ‘এল নিনো’৷ এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের যে অংশের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকার কথা, সেটি উষ্ণ হতে শুরু করে৷ সমুদ্রের সেই অতিরিক্ত তাপ নির্গত হয় সমুদ্রপৃষ্ঠের বাতাসে৷ তার জেরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে থাকে৷ অর্থাৎ, এল নিনো হলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়বে, আবার এল নিনো দুর্বল হলে কমবে উষ্ণায়নও৷ কিন্তু এ বছর সেখানেই উল্টো পথে হেঁটেছে প্রকৃতি৷ আর তারই প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ৬ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের উপর৷ যার ফলে এলাকার পর এলাকা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে৷ নিশ্চিহ্ণ হয়ে গিয়েছে ক্ষেতের ফসল৷ ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া খরা চাষাবাদের পাশাপাশি প্রভাব ফেলেছে গবাদি পশুর উৎপাদনেও৷ যার ফলে খাদ্যের চরম ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে৷ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতিরও৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকার দেশগুলিতে এত ভয়াবহ খরা দেখা যায়নি৷ উল্লেখ্য, শুধু নামিবিয়া নয়, ভয়াবহ খরার প্রকোপে পড়েছে জিম্বাবোয়ে, জাম্বিয়া এবং মালাউই-সহ আফ্রিকার অনেক দেশই৷ সম্প্রতি আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য জিম্বাবোয়ের রাজধানী হারারেতে বৈঠকে বসেছিলেন আফ্রিকার ১৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা৷ সেখানেও খাদ্য সঙ্কটের বিষয়টি তীব্র ভাবে উঠে আসে৷
উড়িষ্যায় লাগাতার বাঙালী নির্যাতন বন্ধের দাবীতে গত ২৯শে আগস্ট ২০২৪ কলকাতার ‘উৎকল ভবনে’ স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন, উড়িষ্যা রাজ্যে নতুন করে বাঙালী খেদাও চক্রান্ত শুরু হয়েছে৷ উড়িষ্যায় কর্মরত বাঙালী শ্রমিকদের বৈধ আধার ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে ‘বাংলাদেশ’ মিথ্যে তকমা দেখে তাদের ওপর আক্রমণ হেনে উড়িষ্যা ছাড়ার হুমকি দেয় দুষৃকতিকারীরা৷ উড়িষ্যার সঙ্গে বাঙলার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, প্রচুর উড়িষ্যাবাসী বাঙলায় থেকে কর্ম নির্বাহ করেন, আমরা তো তাদের ওপর আক্রমণ হানি না!! বরঞ্চ আমরা তাদের ভাতৃস্নেহে কাছে টেনে নি,সুখ-দুঃখ বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকি৷ উড়িষ্যায় চলতে থাকা বাঙালী বিদ্বেষী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ও বাঙালী খেদাও অভিযান বন্ধের দাবিতে ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা উড়িষ্যায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি দেন ও উৎকল ভবনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়, উড়িষ্যায় একটি বাঙালীকেও বাংলাদেশী তকমা দিয়ে নির্যাতন-বিতাড়ন করা যাবে না৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ প্রমুখ৷
১লা সেপ্ঢেম্বর’ ২০২৪,রবিবার শ্যামবাজার সমাজ ভবনে ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠনের কলকাতা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শতাধিক সদস্য-সদস্যার উপস্থিতিতে৷ এই সম্মেলনের শুরুতেই প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেন সম্মেলনের সভাপতি বিশিষ্ট প্রাউটিস্ট ভবতোষ বণিক প্রধান অতিথি জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সম্মেলনের আহ্বায়ক ও বিশেষ অতিথি তপোময় বিশ্বাস,প্রা ক্তন কলকাতা জেলা সচিব হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সচিব অনিতা চন্দ, সুশীল জানা, সুদীপ দাশগুপ্ত, শ্রাবণী বসাক সহ জেলার নেতৃত্ব৷ সম্মেলনের মঞ্চটি নামাঙ্কিত করা হয় ‘আমরা বাঙালী’র আন্দোলনের অন্যতম অকুতোভয়ী সৈনিক প্রয়াত শ্যামল বিশ্বাসের নামে৷ প্রাক্তন সচিবের প্রতিবেদন পাঠ, কেন্দ্রীয় ও জেলা প্রতিনিধিদের বক্তব্যের পর সর্বসম্মতিক্রমে ১৭জন সদস্য-সদস্যা বিশিষ্ট ‘আমরা বাঙালী’র কলকাতা জেলা কমিটি ঘটন করা হয়৷ ওই ১৭ জন সদস্যের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে কলকাতার জেলা সচিব হন শ্রী সুদীপ দাশগুপ্ত মহাশয়৷ অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত করতে ত্রিলোক মণ্ডল, স্বপন সাহা, প্রকাশ সাহা, কালীপদ পোঁড়ে সহ যাঁদের সহযোগিতা রয়েছে সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায় সম্মেলনের আহ্বায়ক তপোময় বিশ্বাস৷
গত ৩০,৩১শে আগষ্ট ও ১লা সেপ্ঢেম্বর টাটানগরে বিরসানগর আনন্দমার্গ স্কুলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনদিনের এই সেমিনারে ৩০শে আগষ্ট সকালে ৯টা-১২টা তিন ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর অপরাহ্ণে সেমিনারের শুভ সূচনা করেন প্রশিক্ষক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ এরপর স্থানীয় বিশিষ্ট আনন্দমার্গী আচার্য আশীষদেব বর্তমান বিশ্বে আনন্দমার্গের প্রয়োজন ও ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন৷ তিনদিনের আলোচনা সভায় আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও আচার্য কৃষ্ণপ্রসূনানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনা করেন৷ ১লা সেপ্ঢেম্বর সকালে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা টাটানগর শহর পরিক্রমা করে৷ তিনদিনের সেমিনারে টাটা ডায়োসিসের শতাধিক মার্গী ভাই-বোন উপস্থিত ছিলেন৷ সমস্ত অনুষ্ঠান সুচারুরূপে সম্পন্ন করেন ডায়োসিস সচিব আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত৷ তাঁকে সহযোগিতা করেন টাটানগরের ডি.এস.এল সুশীল মাহাত প্রমুখ৷
বনগাঁয় সেমিনার --- গত ৩১শে আগষ্ট ও ১লা সেপ্ঢেম্বর উঃ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুলেও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এখানে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্র্য, শতাধিক মার্গী ভাই-বোন সেমিনারে যোগ দিয়ে ছিলেন৷
হাওড়া সেমিনার--- গত ৩১শে আগষ্ট ও ১লা সেপ্ঢেম্বর হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া ডিটের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় বাগনান চালিধাউরিয়া আনন্দমার্গ স্কুলে৷ এখানে প্রশিক্ষক ছিলেন শ্রী অমিয় পাত্র৷ সহযোগিতায় ছিলেন শ্রী বকুলচন্দ্র রায়, আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত, মদন দেব প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন ভদ্রেশ্বর অধিকারী, অবধূতিকা আনন্দ রসধ্যানা আচার্যা প্রমুখ৷ অনুষ্ঠান সফল করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন চাঁদমোহন পাল, মায়া বর, ভারতী কুণ্ডু, দীপ্তি বিশ্বাস৷ সমগ্র অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা৷
জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অফ সায়েন্স (জে এস.পি.এস) বিকল্প শক্তির উৎস খুঁজতে গবেষণার জন্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা ১১জন গবেষককে বেছে নিয়েছে৷ এই ১১জনের মধ্যে স্থান পেয়েছেন বাঙলার সন্তান পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম রায়েরপাড়ার বাসিন্দা শুভ্রজ্যোতি ঘোষ, বয়স ২৭ বছর৷ বাবা সুভাষচন্দ্র ঘোষ ও মা পার্বতী ঘোষ৷ ২০১৯ সালে এম.এস.সি পাশের পর নেট ও গেট পাশ করে গুয়াহাটি আই.আই.টি থেকে পি.এইচ.ডি করেন৷
বিজ্ঞান যেমন নিত্যনূতন দ্রব্য মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে তেমনি শক্তির চাহিদাও বাড়ছে৷ জীবাশ্ম জ্বালানির ভাণ্ডারও ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে৷ তাই বিকল্প শক্তি উৎপাদনের দিকে নজর দিচ্ছে জাপানের এই সংস্থা--- জে.এস.পি.এস৷ শক্তি নিয়ে গবেষণার জন্যে জাপানের সংস্থাটি সারা বিশ্বের সেরা ১১জন গবেষককে নির্বাচন করেছে৷ ওই ১১ জনের মধ্যেই আছেন শুভ্রজ্যোতি ঘোষ৷ এই গবেষক দল মূলতঃ জল ও বাতাসের মধ্যে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে শক্তি উৎপাদনের নূতন উৎস তৈরীর কাজ করবেন৷ এই কাজে সফল হলে যেমন বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান কমবে ও বায়ু দুষণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে৷