পাহাড়ী গ্রামে শিশুপুষ্টিতে স্বনির্ভরতার পরিকল্পনা

লেখক
পত্রিকা প্রতিনিধি

মিজোরামের লাওগতলাই জেলার জেলাশাসক শাশাঙ্খা আলার উদ্যোগে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন প্রত্যন্ত পাহাড়ী গ্রামের বিদ্যালয়ে দরিদ্র শিশু পুষ্টি রক্ষায় এক অভিনব প্রচেষ্টা ‘পুষ্টি উদ্যান’ নির্মাণ এক অন্যতম পদক্ষেপ৷ এখানকার বিদ্যালয়গুমলিতে জেলাশাসকের প্রচেষ্টায় এমনভাবে পুষ্টি উদ্যান প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে বিদ্যালয়ের নৈমিত্তিক কার্যক্রমে সপ্তাহে এক ঘণ্টা করে সময় বরাদ্দ করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রাদের বাগানের কাজের জন্য সময় রেখেছেন৷ তাতে শিশুরা নিজেরাই এই ‘পুষ্টি উদ্যান’-এর মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় আনাজপাতি, নানারকম ফল ফলাতে সক্ষম হবে৷  এতে সুবিধে হ’ল বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকলেও এইসব পাহাড়ী বিদ্যালয়গুলিতে পর্যাপ্ত জমি রয়েছে৷ খরচের মধ্যে কেবলমাত্র বীজ৷ প্রথম দফায় জেলায় ২১৩ বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে এই কার্যক্রম চালু হয়েছে৷ এর পরের স্তরে গবাদি পশুপালন, ইত্যাদিতে শিশুদের নিযুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে৷ জেলায় মোট ৭৭৬টি বিদ্যালয়ের পনেরো হাজারের বেশী ছাত্র-ছাত্রাকে  ‘নিজেদের পুষ্টি ও আহার’ সংগ্রহে স্বনির্ভর করে তোলা যায়৷

এই পুষ্টি উদ্যানের কাজে মাটি কোপানো থেকে শুরু করে গাছ পোঁতা, তাদের পরিচর্যা করে ফসল উৎপন্ন করা সবই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রারা নিজেরাই করবে৷ এই কাজে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হ’ল--- পুষ্টি উদ্যান প্রকল্পের এই প্রক্রিয়ায় ছাত্র-ছাত্রাদের যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম হলেও তারা এই কাজ থেকে কৃষি ও উদ্ভিদ বিদ্যায় হাতে-কলমে জ্ঞানার্জনের সুযোগ পাচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, ফসল ফলানোর আনন্দের সাথে সাথে নিজেরা টাটকা পুষ্টিকর জৈব শাকসব্জি গ্রহণ করতে সক্ষম হচ্ছে৷ এ কাজে তারা কৃষি দপ্তর ছাড়াও গ্রামপ্রধান ও অভিভাবকদের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ পাচ্ছে৷