সংবাদ দর্পণ

আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদান নিয়ে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৯ই এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত দর্শন, নব্য-মানবতাবাদ এবং আর্থ-সামাজিক তত্ত্বে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজির্ অবদান বিষয়েএক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এই আলোচনায় ‘দর্শন, নব্য-মানবতাবাদ ও আর্থ-সামাজিক তত্ত্বে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজির্ অবদান’ শীর্ষক আলোচনায় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷

এই অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রধান ড. ভবেশ জ্ঞান, ড. কল্যাণ ব্যানার্জি ও ড. দেবব্রত সাহা উপস্থিত ছিলেন৷

আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের তিনটি পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন৷ প্রথমে তিনি সর্র্বেচ্চ চেতনা ও কর্মক্ষম নীতির ধারণা ব্যাখ্যা করেন৷ তিনি মানবতাবাদ ও নব্যমানবতাবাদের সারমর্মও ব্যাখ্যা করেন৷ তিনি শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তিজির আর্থ-সামাজিক তত্ত্বের ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন৷ উক্ত অর্থনৈতিক তত্ত্বটির প্রাথমিক লক্ষ্য প্রতিটি মানুষের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির গ্যারান্টি যথা---খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা এছাড়া উদ্বৃত্ত সম্পদ মেধাবীদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত৷

চন্দননগরে আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১লা বৈশাখ চন্দননগর মহিলা পরিচালিত আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ স্থানীয় মার্গী ভাই-বোনদের উপস্থিতিতে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ আলোচনাসভার আয়োজন করেন স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দপূর্ণপ্রাণা আচার্যা৷

আনন্দমার্গের নিষ্ঠাবান সাধক ও ত্যাগব্রতী কর্মী আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত পরলোকে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫ই এপ্রিল আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সর্বত্যাগী কর্মী আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে সকাল ৮টা ৫মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ তাঁর দেহত্যাগের খবরে মার্গীমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত আদর্শ পরায়ণ নিষ্ঠাবান কর্মী ছিলেন৷ তিনি নিজেকে মার্গের আদর্শের প্রচারে ও মার্গের বহুবিধ কাজে সম্পূর্ণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনি মার্গের সকলের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন৷

১৯৭৯ সালে তিনি লৌকিক পরিবার ত্যাগ করে বৃহৎ বিশ্বপরিবারের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী কর্মীরূপে যোগ দেন৷ সেই দিন থেকে মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন৷ সাম্প্রতিক তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন৷ টাটা মেডিকেল সেন্টারে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷

তিনি মার্গের বিভিন্ন বিভাগে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন৷ যখনই যে কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন দক্ষতার সঙ্গে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷ ভারতের বাহিরেও তিনি মার্গের আদর্শের প্রচারে কাজ করেছেন৷ শেষ কয়েকবছর তিন দিল্লী সেক্টরের ধর্মপ্রচার সেক্রেটারী ছিলেন৷ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন৷ তার মতো আদর্শবান শৃঙ্খলা পরায়ণ ও ত্যাগব্রতী কর্মীর অকাল প্রয়াণে মিশনের সকলেই শোকাহত৷

স্মরণসভা ঃ গত ৮ই এপ্রিল তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে শোকস্তব্ধ পরিবেশে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত সভায় সর্বত্যাগী কর্মী ছাড়াও বহু আনন্দমার্গী ভাই-বোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ সকাল ১০টায় শোকসভা শুরু হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত, বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর সন্ন্যাসী, দাদা দিদি ও মার্গী ভাই বোনেরা অনেকে বাসুদেবানন্দদার কর্মজীবনে স্মৃতি তর্পন করে শ্রদ্ধা জানান৷ শোকবিহ্বল ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্যে স্মরণসভা শেষ হয়৷ আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত, আচার্য বিশুদ্ধাত্মানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা প্রমুখ স্মৃতি তর্পন করেন৷

চুঁচুড়ায় মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা বৈশাখ ১৪৩২ চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষক রণজিৎ দাস (বাবাই)-এর নব নির্মিত বাসভবনে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য মতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ও বাবাই স্যারের আত্মীয় পরিজন সকাল থেকেই তাঁর গৃহে সমবেত হন৷

সকাল ৯-৩০ মিনিটে মার্গীয় বিধিতে গৃহ প্রবেশ করেন বাবাই স্যারের মাতা পিতা, আত্মীয় পরিজন ও মার্গী ভাইবোনেরা৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ এরপর সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২-৩০ মি পর্যন্ত প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিবেশনে অংশগ্রহণ করেন মার্গী ভাই বোনের কীর্ত্তন মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায় এর পর মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাবাই সার ও তার মা বাবা৷ এরপর প্রবীন আনন্দমার্গী স্নেহময় দত্ত বাংলা নববর্ষে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রচনা থেকে পাঠ করে শোণান৷ কীর্ত্তন ও নববর্ষ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন স্নেহময় দত্ত, স্কুলের শিক্ষক মানস মণ্ডল প্রমুখ৷

হাওড়ায় প্রাউট সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৮ ও ৯ই মার্চ হাওড়া জেলায় রাণীহাটি আনন্দমার্গ আশ্রমে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউট বিষয়ে এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রাউট কি ও কেন ও প্রাউট কিভাবে বর্তমান অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করবে ও পুঁজিবাদী শোষণের বিনাশ ঘটিয়ে বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা রূপায়ন করে প্রতিটি মানুষের হাতে জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির আর্থিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত ও শ্রীবকুলচন্দ্র রায়৷

নদীয়ায় সেকেন্ড ডায়োসিস লেবেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হল কৃষ্ণনগরে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৭,৮ ও ৯ই মার্চ ২০২৫ প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন আনন্দমার্গী দাদা- দিদি, ভাই---বোনের উপস্থিতিতে কৃষ্ণনগর মোমিন পার্কস্থিত আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনে ৭,৮ ও ৯ই মার্চ ২০২৫ শুক্র রবিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সারাদিন ব্যাপী সাফল্যের সঙ্গে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ শুক্রবার তিন ঘন্টা ব্যাপী মানবমিুর মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম অখন্ড সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপুজা ও স্বাধ্যায়ের পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি তথা সেমিনারের প্রধান প্রশিক্ষক (সম্পাদক- ‘‘নোতুন পৃথিবী’’) আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও নদীয়াভুক্তির ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷ উক্ত বিশিষ্ঠ অতিথিদ্বয় সেমিনারের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ঠ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন৷ এরপর কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত উক্ত বিশিষ্ঠ অতিথিদ্বয় সহ উপস্থিত সেমিনারে উপস্থিত প্রতিনিধিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন৷

দুপুরের মিলিত আহারের পরে মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ তিনদিনব্যাপী এই সেমিনারে আরও দুজন প্রশিক্ষক উপস্থিত ছিলেনআনন্দমার্গ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য৷ জেনারেল ট্রেনিং সেক্রেটারী প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত ও আনন্দমার্গ ইয়ূনিভার্সাল রিলিফ টিমের--(এল) সেক্টোরিয়াল সেক্রেটারী (দিল্লি সেক্টর) অবধূতিকা আনন্দ রসধারা আচার্যা৷ উভয়েরই আলোচনা ছিল যথেষ্ঠ মূল্যবান৷এছাড়া প্রতিদিন মার্গের নিয়মানুসারে গুরুসকাশ, পাঞ্চজন্য সকাল সন্ধ্যা প্রভাত সঙ্গীত, সামুহিক কীর্তন ও ঈশ্বর প্রণিধান হয়৷ সেমিনার আলোচ্য বিষয় ছিল--- (১)তন্ত্র ও সাধনা৷ (২) চতুরবর্গও ভক্তি৷ (৩) প্রাউটের অর্থনীতি- ব্যবস্থার কয়েকটি বৈশিষ্ঠ৷ (৪) আমাদের সমাজ শাস্ত্র৷

অগ্ণিসংযোগের ষড়যন্ত্র প্রকৃতির বিরুদ্ধে নির্মম আঘাত!

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রকৃতির বুকে অগ্ণিসংযোগ করে নির্বিচারে ধবংসযজ্ঞ চালিয়ে দুষৃকতকারীরা উদ্দাম উল্লাসে মত্ত, অথচ তারা বুঝতে অক্ষম যে, এই সর্বনাশা আগুনের গ্রাস থেকে তারাও রেহাই পাবে না৷ জীবজন্তু, পশুপাখি, প্রকৃতি ও মানবসমাজকে চরম দুর্যোগের মুখে ঠেলে দিয়ে তারা নিজেদের অস্তিত্বকেও বিপন্ন করে তুলছে৷

গত সন্ধ্যায়(২৯শে মার্চ’২৫), আনুমানিক ছয়টার সময়, দক্ষিণ আনন্দনগরে প্রস্তাবিত আনন্দমার্গ গুরুকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কার্যালয় ’’চক্রধুরি’’র পূর্বদিকে সংলগ্ণ বনভূমিতে দুষৃকতকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্ণিসংযোগ করে৷ গ্রীষ্মের শুষ্ক পরিবেশে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, সৃষ্টি হয় চরম আতঙ্ক৷ সংবাদ পেয়ে বনবিভাগের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে৷

উল্লেখ্য, ঠিক পাশেই আমাদের পরিবেশ সংবর্ধন কানন, যেখানে কয়েক শতাধিক ময়ূরের আবাসভূমি ও বিচরণক্ষেত্র৷ পরমপুরুষের কৃপায় সেই আশঙ্কা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে৷ কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, মাত্র দুই মাসের মধ্যে আনন্দনগর ডায়োসিসের চরগালি-পগরো মৌজায় একবার আর চিৎমু মৌজায় তিনবার ও বাগলতা মৌজায় একবার মোট পাঁচবার একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে৷ এই ধবংসাত্মক হীন কর্মকাণ্ড কি বন্ধ করা সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব, যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়৷ প্রশাসন, পুলিশ ও বনবিভাগকে আরও সক্রিয় ও আন্তরিকভাবে এই অপরাধ রুখতে হবে আর প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ বর্তমানে প্রতিটি গ্রামে সিভিক ভলান্টিয়ার্স রয়েছে, তাদেরও এই দায়িত্ব নিতে হবে৷

প্রতিটি পঞ্চায়েতে ডিআইবি District Intelligence Bureau)-র প্রতিনিধি পোষ্টিং আছে, তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে৷ গ্রামে গ্রামে ভিআরপি Village Resource Person)-দের নিযুক্ত করা হয়েছে, তাদেরও সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা কর্মসূত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের মাধ্যমেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা যেতে পারে৷

সর্র্বেপরি, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে৷ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রাদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে৷ গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে৷ এ এক গভীর সামাজিক সংকট৷ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই কেবল এই বিধবংসী প্রবণতা রোধ করা সম্ভব৷ প্রকৃতিকে রক্ষা করো, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হোক

অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৪ই মার্চ হাওড়া জেলার শ্যামপুরের সুলতানপুর আনন্দমার্গ স্কুলে আবেগঘন আধ্যাত্মিক পরিবেশে বসন্ত উৎসব পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ৬ ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় পাঠের পর উপস্থিত সকলে প্রথমে মার্গগুরুর প্রতিকৃতিতে আবির অর্পন করে তারপর নিজেদের মধ্যে আবির খেলায় মেতে ওঠে৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন সুশান্ত শীল ও স্বতন্ত্র বৈতালিক৷

ভি এস এস ও গার্লস ভলান্টিয়ারের যৌথ উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ শিব ধ্যানা আচার্যার আমন্ত্রনে ভি.এস.এস ও গার্লস ভলান্টিয়ার নদীয়া জেলা শাখার সচিবদ্বয় ডাঃ বিবেকজ্যোতি সরকার ও সহযোগি শ্রীমতী তনুকা সরকারের উদ্যোগে সকাল ১০টা থেকে সারাদিন ব্যাপী মেডিক্যাল ক্যাম্পে শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে রোগ নির্ণয় করা ওষুধ দেওয়া হয়৷ স্থানীয় অধিবাসীবৃন্দ এব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসা পরিচালকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২২শে মার্চ ২০২৫, মধ্য আনন্দনগরের আনন্দমার্গ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অপার উদ্দীপনা ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে রোটাণ্ডা অডিটোরিয়ামে সুসম্পন্ন হয়েছে৷ এদিন গ্রামের শিশু-কিশোরদের সৃজনশীল প্রতিভার এক অপূর্ব প্রকাশ ঘটেছিল৷ নৃত্য, সঙ্গীত, ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, ও শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘ধর্মের জয়’ শীর্ষক গল্প অবলম্বনে পরিবেশিত নাটক দর্শকদের মুগ্দ করেছে৷ নবীন প্রজন্মের নির্মল উচ্ছ্বাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ও সৃজনশীলতার এক অনন্য সম্মিলনে মুখরিত হয়েছিল পুরো অনুষ্ঠানস্থল৷