July 2019

বাঙালীর দুঃখ মোচন হয়নি কেন জবাব চাই, জবাব কই?

ভবেশ বসাক

সময়ের স্রোতে বয়ে গেছে কত কিছু! সুখ-দুঃখের জীবন তরীতে আমরা বাঙালীরা শুধু দিয়েই গেলাম৷ পিছন ফিরে তাকালে স্পষ্ট হয়  কত শত ঘটনা৷ বাঙালী জাতি নিঃস্বার্থভাবে সেবা করে গেছে সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে৷ নিজ ভূমিতে স্থান দিয়েছে অন্য অনেক জাতিকে, অন্নহীনকে অন্ন দিয়েছে, গৃহহীনকে স্থান দিয়েছেন নিজ গৃহে৷ লক্ষ্য সকলকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বেঁচে থাকা৷ 

আনন্দমার্গীয়  বিধিতে বৈপ্লবিক  বিবাহ

গত ১১ই জুলাই আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র অনুযায়ী কলিকাতার ক্ষুদিরাম পল্লীর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী সুশীল মণ্ডল ও শ্রীমতী কাজল মণ্ডলের পুত্র শ্রীমান সুশান্ত মণ্ডলের সঙ্গে কলিকাতা, ঠাকুরপুকুর নিবাসী শ্রী সুদীপ দত্ত ও  শ্রীমতী শ্রীপিয়া দত্তের কন্যা কল্যাণীয়া প্রিয়ংবদা দত্তের শুভবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷

বিবাহানুষ্ঠানে পাত্রপক্ষে পৌরোহিত্য করেন আচার্য বোধিসত্তানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা৷ বিবাহানুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন শ্রীমতী সুনন্দা সাহা ও অন্যান্য আনন্দমার্গীরা৷

অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রীদীপেশ পাল৷

মনে পড়ে

মন্ত্র আনন্দ

আলিপুর সেন্ট্রাল জেল, ৭ই জুলাই, ১৯৩১

বউদি,

এইমাত্র তোমার চিঠিখানা পাইলাম৷ আমার জীবন কাহিনী জানাইবার সুযোগ হইল না৷ কী-ই বা জানাই বলোতো? আমার সকল কথাই তো তোমাদের বুকে চিরকাল আঁকা থাকিবে৷ তুচ্ছ কালির আঁচড় কি তাহাকে আরও উজ্জ্বল করিয়া তুলিতে পারিবে? আমার যত অপরাধ ক্ষমা করিবে৷ এ জন্মের মত বিদায়৷    তোমার ঠাকুরপো

বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙ্গার অভিযোগ অভিযুক্ত জামিনমুক্ত

বিদ্যাসাগরের মূর্ত্তি ভাঙ্গার অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা রাকেশ সিং গত ১০ই জুলাই জামিনে মুক্তি পেল৷ আদালতের নির্দেশ অভিযুক্তকে সপ্তাহে একদিন করে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে৷

‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভা

কলিকাতা, ঃ জুলাই ঃ গত ৪ঠা জুলাই বৃহস্পতিবার ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২ নং বল্লভ ষ্ট্রীটে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীর প্রতিনিধিদের সাথে প্রায় ৪ ঘণ্টা আলোচনা সভা সংঘটিত হয়৷ উক্ত প্রতিনিধিদের প্রধান আগ্রহ ছিল ‘বাঙালীস্তান’৷ তাঁদের আলোচনার মূল প্রশ্ণ ছিল বাঙালীদের নিজস্ব বাসভূমিকে একত্রিত করে বাঙালীস্তান কীভাবে বাস্তবে রূপ নেবে৷ এর সঙ্গে ‘প্রাউট’ দর্শন নিয়েও আলোচনা হয়৷ কারণ ‘আমরা বাঙালী’ ‘প্রাউট’ দর্শনের ওপর আধারিত৷

রক্ষকই যেখানে ভক্ষক

আমরা চোর, ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশের ওপর ভরসা করি৷ সাধারণের রক্ষক তারাই৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে উঠেছে৷ গত ৪ঠা জুলাই নদীয়ার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবলু নাথ সঙ্গে প্রায় এক লক্ষ টাকা, ৩৫০ গ্রাম সোনা নিয়ে কলকাতার বহুবাজার সোনাপট্টিতে এসেছিলেন৷ তখন দুপুর বারোটা৷ নিজেদের পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে একজন টাটা সুমো থেকে নেমে এসে বাবলু নাথকে জোর করে টাটা সুমোতে তুলে নিয়ে দ্রুত এয়ারপোর্টের দিকে চলে যায়৷ সেখানে বাবলু নাথকে ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে সমস্ত টাকা, সোনা এমনকি তাঁর হাতের আঙটিটাও কেড়ে নিয়ে পালায়৷

রেজ্জাক মোল্লার ছেলের বিরুদ্ধে তিন লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল

তিন লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল রেজ্জাক মোল্লার ছেলের বিরুদ্ধে৷ রেজ্জাক পুত্র মুস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে কে. এল. টি. থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভাঙ্গড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ দুই দলীয় কর্মী৷

পরলোকে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী মাণিক ঘাঁটি

পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আসানসোলের দামোদর গ্রামের বাসিন্দা জনপ্রিয় আনন্দমার্গী শ্রী মাণিক ঘাঁটি গত ১৮ই জুন ইহলোক ত্যাগ করে পরমপিতার কোলে চিরশান্তি লাভ করেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর৷ তিনি একজন সক্রিয় আনন্দমার্গী ছিলেন৷ বিশেষ করে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মার্গের যে কোনও অনুষ্ঠানে ও যে কোনও সেবামূলক কাজে মাণিকবাবুর সগৌরব উপস্থিতি সকলের কাছে অতিরিক্ত উৎসাহ ও প্রেরণাদায়ক ছিল৷ দীর্ঘকায় ধুতি-পাঞ্জাবী পরিহিত আপাদমস্তক বাঙালী সদাহাস্যময় মাণিকবাবুকে মার্গের আর কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যাবে না৷ একথা ভাবতে খুবই কষ্ট হচ্ছে---জানালেন এলাকার বিশিষ্ট মার্গীরা৷

সমাজ রূপ পক্ষীর দু’টি ডানা

সত্যসন্ধ দেব

সমাজ রূপ পক্ষীর দু’টি ডানা৷ এই দু’টি  ডানার  মধ্যে একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ তাই সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,  নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকৃত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন  স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

বাঁশপাতাও তার ঔষধীয় গুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তৃণ বর্গের সবচেয়ে বৃহৎ প্রজাতি হচ্ছে বাঁশ৷ জাওল বাঁশ, মুঠি বাঁশ, মূলী বাঁশ, তলতা বাঁশ, পলকা বাঁশ–এরা সবাই অতি দীর্ঘকায় তৃণ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সেই সকল বৃহৎ তৃণকে বাঁশ বলি যাদের ফুল–বীজ হোক না হোক, পাশ থেকে কোঁড় বের হয়, ঝুড়ি তৈরী হয় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেতরটা থাকে ফাঁপা৷ সাধারণতঃ যে সকল বাঁশ বেশী দীর্ঘকায় হয় তারা বেশী ফাঁপা৷ যে সকল বাঁশেরা ছোট (এই ধরনের বাঁশ থেকেই লাঠি তৈরী হয়) তারা আকারে অতি বৃহৎ হয় না–ওজনে হয় ভারী৷ গাছগুলিও লোহার মত শক্ত৷