April 2025

হাওড়া শ্যামপুরে সেমিনার

গত ১লা মার্চ হাওড়া জেলার শ্যামপুর ব্লকের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় সুলতানপুর আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সেমিনারে মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন বকুলচন্দ্র রায়৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনে তন্ত্র সাধনা ও চতুবর্গ ও ভক্তি বিষয়ে প্রাঞ্জল ভাষায় আলোচনা করেন৷ উপস্থিত সকলেই গভীর মনোযোগ সহকারে আলোচনা শোণেন৷ সেমিনারের আয়োজক ছিলেন স্বতন্ত্র বৈতালিক ও অপর্ণা বৈতালিক৷ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন গৌরাঙ্গ প্রামাণিক অকুমার মাইতি, অমর চ্যাটার্জী মণিকা ঘোড়ুই, তুলিকা ঘোড়ুই, মধুমিতা কোলে, অঞ্জনা সাহা ও অবধূতিকা আনন্দরসধ্যানা আচার্যা৷ অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

হাওড়া জেলার মৌড়ীগ্রাম নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীশ্যামাপদ মণ্ডলের স্ত্রী বিজলী মণ্ডলের মাতৃদেবী শেফালী মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয় গত ২রা মার্চ মৌড়ীগ্রাম বাসভবনে৷ মৃত্যুর সময় শেফালী মণ্ডলের বয়স হয়ছিল ৮৫ বছর৷

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর ভাবগম্ভীর পরিবেশে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ উপস্থিত ছিলেন মহাব্রত ব্রহ্মচারী৷ ব্রহ্মচারীনি রঞ্জিতা আচার্যা অবধূতিকা আনন্দরসধ্যানা আচার্যা সুব্রত সাহা, বকুলচন্দ্র রায়, সুশান্ত শীল প্রমুখ৷

চিৎমুতে অষ্টাদশতম বাৎসরিক নাম-সংকীর্ত্তনের মহোৎসব সম্পন্ন

গত ৮-৯ মার্চ ২০২৫, চিৎমু আনন্দমার্গ সেন্ট্রাল জাগৃতিতে আয়োজিত হলো বাৎসরিক অষ্টাদশতম ২৪-ঘণ্টার অখণ্ড ’বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন৷ এ মহতী আয়োজনে প্রভাত সঙ্গীত, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণসেবার মতো পবিত্র কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল৷

মার্গ বিধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান

১লা মার্চ’’২৫ চিৎমু নিবাসী শ্রীমতী মালতি গরাঞ আমাদের ত্যাগ করে অজানার দেশে পাড়ি দিয়েছেন৷ ১০ই মার্চ তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় আনন্দমার্গে চর‌্যাচর‌্য বিধানুযায়ী শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিন ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান,স্বাধ্যায় শেষে আনন্দমার্গ শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়৷

শিশুর নামকরণ ও অন্নপ্রাশন

৩০শে মার্চ ২০২৫, চিৎমু নিবাসী শ্রী বিকাশ গরাঞ ও শ্রীমতী কলাবতীর জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রী গগণ গরাঞ ও শ্রীমতী দীপিকা দেবীর কনিষ্ঠ পুত্র সন্তানের শুভ নামকরণ ও অন্নপ্রাশন আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধান অনুসারে পরম উৎসাহে অনুষ্ঠিত হয়৷

এই মহতী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছয় ঘণ্টাব্যাপী অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন, সমবেত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়৷ সকলের সম্মিলিত শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদের মধ্য দিয়ে নবাগত শিশুর নামকরণ করা হয় রাজদীপ৷

অগ্ণিসংযোগের ষড়যন্ত্র প্রকৃতির বিরুদ্ধে নির্মম আঘাত!

প্রকৃতির বুকে অগ্ণিসংযোগ করে নির্বিচারে ধবংসযজ্ঞ চালিয়ে দুষৃকতকারীরা উদ্দাম উল্লাসে মত্ত, অথচ তারা বুঝতে অক্ষম যে, এই সর্বনাশা আগুনের গ্রাস থেকে তারাও রেহাই পাবে না৷ জীবজন্তু, পশুপাখি, প্রকৃতি ও মানবসমাজকে চরম দুর্যোগের মুখে ঠেলে দিয়ে তারা নিজেদের অস্তিত্বকেও বিপন্ন করে তুলছে৷

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব

২২শে মার্চ ২০২৫, মধ্য আনন্দনগরের আনন্দমার্গ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অপার উদ্দীপনা ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে রোটাণ্ডা অডিটোরিয়ামে সুসম্পন্ন হয়েছে৷ এদিন গ্রামের শিশু-কিশোরদের সৃজনশীল প্রতিভার এক অপূর্ব প্রকাশ ঘটেছিল৷ নৃত্য, সঙ্গীত, ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, ও শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘ধর্মের জয়’ শীর্ষক গল্প অবলম্বনে পরিবেশিত নাটক দর্শকদের মুগ্দ করেছে৷ নবীন প্রজন্মের নির্মল উচ্ছ্বাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ও সৃজনশীলতার এক অনন্য সম্মিলনে মুখরিত হয়েছিল পুরো অনুষ্ঠানস্থল৷

আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণের মহাযজ্ঞ: সবুজ স্বপ্ণের প্রস্তুতি

আনন্দনগরের সবুজায়নের শুভ সূচনা হয় ২০২১ সালে, অস্থি পাহাড়ে প্রথম বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে৷ সেই অভিযাত্রা প্রতিবছরই এগিয়ে চলেছে এক নতুন মাত্রায়৷ ২০২৪ সালে পঞ্চাশ হাজার চারাগাছ রোপিত হয়েছে, আর ২০২৫ সালে এক লক্ষ বৃক্ষরোপণের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য ইতোমধ্যে দেড় লক্ষ চারাগাছ প্রস্তুতির কাজ চলছে৷

দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

১২ই মার্চ ২০২৫, আচার‌্য বিষ্ণুকৃপানন্দ অবধূতজীর সহযোগিতায় উত্তর আনন্দনগরের পিরি গ্রামে ২৬টি দুঃস্থ আদিবাসী পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি আটা, ১ কেজি মুগডাল, ১ লিটার সর্ষের তেল ও ১ কেজি সয়াবিন বড়ি প্রদান করা হয়৷

এছাড়াও, আনন্দমার্গ শিশুসদনের শিশুদের পুষ্টির কথা বিবেচনা করে ১০ কেজি মুগডাল, ১০ কেজি সয়াবিন বড়ি ও ২ কার্টুন বিস্কুট প্রদান করা হয়৷ এই মহতী উদ্যোগটি উপস্থিত সকলের মধ্যে আন্তরিকতার সঞ্চার ঘটায়৷

আনন্দমার্গে বসন্তোৎসবের বর্ণিল উদযাপন

১৪ই মার্চ ২০২৫, আনন্দমার্গে বসন্তোৎসব উদযাপিত হলো এক অপূর্ব ভক্তিময় পরিবেশে৷ দধীচি স্মৃতি হোষ্টেলে আয়োজিত এ উৎসবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টার অখণ্ড ’বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়, যা সমগ্র পরিবেশকে এক অনন্য ভাবগম্ভীরতায় ভরিয়ে তোলে৷

নাম-সংকীর্তন শেষে অনুষ্ঠিত হয় মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও বসন্তোৎসবের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা৷ ভক্তদের হৃদয়ে নবজাগরণ সৃষ্টি করে এই আলোচনা, যা বসন্তের নবপ্রাণ সঞ্চারের মতোই প্রেরণাদায়ক হয়ে ওঠে৷