November 2019

ষ্টেট ব্যাঙ্কের ইকনমিক রিসার্চ ডিপার্টমেণ্টের সমীক্ষা: দেশের অর্থনীতির হাল আরও খারাপ হতে পারে

ষ্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইণ্ডিয়ার একটি সমীক্ষায় প্রকাশ ভারতের অর্থনীতির হাল আরও খারাপের দিকে যাবে৷ স্টেট ব্যাঙ্কের সমীক্ষা বিভাগ ইকনমিক রিসার্চ ডিপার্টমেণ্ট তাদের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ‘ইকোর্যাপ’ নামে একটি সমীক্ষা রিপোর্টপ্রকাশ করেছে৷ সেই রিপোর্ট থেকেই এই আশঙ্কার কথা জানা যায়৷

গত আট বছরে দেশে শিল্পের উৎপাদন অনেকটাই কমে গেছে৷ প্রায় তলানিতে বলা চলে৷ চলতি অর্থ বর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির আনুমানিক হার ৬.১ থেকে কমে ৫-এরও নীচে নেমে যেতে পারে৷ যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও স্টেট ব্যাঙ্কের আশা ছিল চলতি আর্থিক বর্ষে বৃদ্ধির হার ৬.১-এর নীচে নামবে না৷

অযোধ্যায় রামমন্দির

গত ৯ই নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ১৩৪ বছরের পুরোনো রামমন্দির-বাবরি মস্জিদ্ মামলার রায় ঘোষণা করেছে৷ এই রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির পুরোটাই অর্থাৎ ২.৭৭ একর তৎসংলগ্ণ ৬৭ একর জমির অধিকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরই দেওয়া হ’ল৷ মুসলিমদের পক্ষে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ওই জমির বাইরে ৫ একর জমি দিতে হবে৷ সেই জমিতে তারা মস্জিদ্ নির্মাণ করবে৷

রামলালার পক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রামমন্দির নির্মাণের জন্যে একটি বোর্ড অফ ট্রাষ্টি তৈরী করতে বলা হয়েছে৷

মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন

মহারাষ্ট্রে আপাতত বিজেপির সরকার গড়া হ’ল না৷ বিজেপি, শিবসেনা বা এনসিপি কেউ সরকার গড়তে না পারায় এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারী করা হয়েছে৷ তবে বিধানসভাকে জিইয়ে রাখা হয়েছে৷

বুলবুলের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি

সম্প্রতি সাইক্লোন বুলবুলের আঘাতে দুই ২৪ পরগণার সমুদ্র উপকুলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ সরকারী হিসেবে  রাজ্যে অন্ততঃ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ঘুর্ণীঝড় বিধবস্ত এলাকায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা ১০ লক্ষের ওপর৷ নষ্ট হয়েছে ২ লক্ষ ১৫ হাজার জমির ধান চাষ৷ ২ লক্ষের বেশী ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ৮৫০০ হেক্টর জমির সব্জি চাষ নষ্ট হয়েছে৷ ৬,০০০-এরও বেশী বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে৷

১৬ই নভেম্বরের সমাবেশ ঘিরে জেলায় জেলায় প্রচার তুঙ্গে

এন.আর.সির নামে বাঙালী বিতাড়নের প্রতিবাদে রানী রাসমনি রোডের সমাবেশ সফল করতে জেলায় জেলায় প্রচারে  নেবেছে ‘আমরা  বাঙালী’ কর্মীরা৷ উত্তরবঙ্গের  জেলাগুলিতে প্রচারে  নেতৃত্ব দিচ্ছে নিরোধ অধিকারী, খুশীরঞ্জন মন্ডল সুবোধ বর্মন, বাসুদেব সাহা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও  চলছে  ব্যাপক প্রচার অভিযান, সমাবেশে অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রতিনিধি আসবে৷

এদিকে পিছিয়ে নেই মহিলাসমাজও৷ গ্রাম শহরের  পাড়ায়  পাড়ায়  ঘুরে প্রচারে নেবেছে ১৬ই নভেম্বরের সমাবেশকে সফল করতে৷ মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে প্রচারে নেবেছেন সাগরিকা পাল, অনিতা চন্দ, বর্ণালী রায়, সোমা ভট্টাচার্য প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

পরিবেশ দূষণের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক দূষণ দূর করতে হবে

সত্যসন্ধ দেব

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে এমন অবস্থা যে দিল্লী থেকে মানুষ দলে দলে শহর ছাড়ছেন৷ রাস্তায় মাক্স পরা মানুষের ভিড়, স্কুল বন্ধ, বাচ্চা ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছে না৷ দিনের বেলাতেই চতুর্দিকে অন্ধকার৷ ধূলি ও ধোঁয়াতে ভরে গেছে বাতাস৷ শ্বাসকষ্টের রোগ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর ভিড়৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা দিল্লী, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা সরকারকে এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভৎর্সনা করেছেন৷ তারা বলছেন প্রতি বছর এমনই হচ্ছে৷ অথচ সরকারের  কোনও হেলদোল নেই৷ এই দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে এই সময় ফসলের অবশিষ্টাংশ (খড়) ক্ষেতেই ব্যাপকভাবে পুড়িয়ে ফেলা হচ্

নির্ভয় হও

কখনও এই পরিস্থিতি আসতে পারে তুমি বিরাট শক্তিশালী সত্তার কাছে পৌঁছে গেছ, যাকে তুমি খুব ভয় পাও৷ এই যে শক্তিশালী সত্তা, তার শক্তি বা তার সাহস আসছে কোথা থেকে? সেও তোমার পিতার কাছে থেকেই আসছে৷ নিজের শক্তি বলে কারোর কিছু আছে কি? না, তা নেই৷ খাদ্য, হাওয়া, জল, মাটি ইত্যাদি দ্বারা পরমপিতা শক্তি প্রদান করেন৷ ধর, এক বিরাট শক্তিশালী পালোয়ান– সেটা কি তার নিজের শক্তি? না, তা নয়৷ সে শক্তি তোমার পরমপিতার৷ তাই তার থেকে তুমি ভয় কেন পাবে?

বিজ্ঞান হোক সেবা ও কল্যাণের জন্যে

প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই অর্থাৎ আনুমানিক দশ লক্ষ বছর আগে– পৃথিবীতে মানবজাতি আসার ঊষালগ্ণ থেকেই–বিজ্ঞানের সঙ্গে মানুষের জীবন অচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত৷ যতদিন পর্যন্ত একজন মানুষও থাকবে ততদিন বিজ্ঞানের যুগ থাকবে৷

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সর্বাত্মক জয়লাভের ইচ্ছা মানুষের মধ্যে আদিম ও অনন্ত প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয়–জীবনের সকল ক্ষেত্রে ছোট হয়ে বাঁচাটা মানুষের পক্ষে অভাবনীয়৷ অনন্তকাল ধরে’ প্রকৃতির আজ্ঞাবহ ভৃত্য হিসেবে বাঁধাধরা পথে চলার ধারণা কোনদিনই তার মনঃপুত নয়৷ যেহেতু তাকে টিকে থাকতে হয় আপাতঃ প্রতিকূল স্থূল জগতে, তাই তমোগুণী প্রকৃতিকে জয় করতে গিয়েই উদ্ভব হয়েছেScience বা ভৌতিক বিজ্ঞানের৷

ঘুমন্ত বাঘ জেগে ওঠার অপেক্ষায়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে তৈরী হওয়া ন্যাশনাল টেষ্ট এজেন্সী (এন.টি.এ)-র নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এখন থেকে জয়েণ্ট এণ্টার্ন্স পরীক্ষায় প্রশ্ণোত্তরের মাধ্যম হবে হিন্দী, ইংরাজী ও গুজরাতি৷ এতদিন কেবল হিন্দী ও ইংরাজীতে জয়েণ্ট এন্টার্ন্স পরীক্ষা দিতে হ’ত৷ তাতে স্বাভাবিকভাবে বাংলাভাষী সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাভাষীদের প্রবল আপত্তি ছিল৷ হিন্দী ভাষীরা তাদের মাতৃভাষায় (যদিও ভারতবর্ষের কোনও জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা হিন্দী নয়, তবে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে কিছু জনগোষ্ঠী তাদের মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে হিন্দীকেই মাতৃভাষা করে নিয়েছে) পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেত৷ কিন্তু অন্যান্য ভাষাভাষীরা সে সুযোগ পেত না

এদেশে কি সত্যিই গণতন্ত্র বেঁচে আছে

প্রভাত খাঁ

৭২ বছর ধরে এই যুক্তরাষ্ট্রে চলছে  নামকেওয়াস্তে  গণতন্ত্র (?)  পশ্চিমী শক্তি ইংরেজ সরকার সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে সেই অখণ্ড  ভারবর্ষকে  টুকরো টুকরো করে  চিরকালের মতো এই বিরাট দেশকে অভিশপ্ত করেই রেখে গেছে৷ আর এখানে যারা শাসনের নামে লাঠি  ঘোরাচ্ছে তারা কেউই প্রকৃত দেশসেবক নয় নয়, কারণ  প্রকৃত দেশসেবক হলে জননী স্বরূপা এই দেশমাতাকে  কখনো টুকরো টুকরো করে রক্তাক্ত করত না৷ প্রকৃত দেশসেবকগণ, যাঁরা আজও  জীবিত আছেন তাঁরা দেশের  বর্ত্তমান পরিস্থিতি দেখে অত্যন্ত মর্মাহত৷ দেশের পূর্ণ স্বাধীনতার  জন্য তাঁরা একদিন সংগ্রাম  করেছেন৷ কিন্তু চক্রান্ত কারীরা চিরকালের  মতো এদেশে আগুণ জ্বালিয়ে  রাখতে জঘন্য সাম্প্র