প্রবন্ধ

প্রতি বছর ৫০ লাখ লোক মারা যায় ধূমপানের কারণে

ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অর্গানাইজেশনের মতে নিকোটিন গ্রহণের কারণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ লোক মারা যায়৷ ডব্লিউ–এইচ–ও–র মতে ধূমপান বন্ধের ব্যাপারে কোন দেশের সরকার তেমন কড়াকড়ি করে না৷ মৃত্যুহারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে৷ সারা বিশ্বের মোট ধূমপায়ীর প্রায় ৯৫ শতাংশই কোন নিয়ম কানুনের ধার ধারে না৷ ধূমপান করে৷ এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই মৃত্যুহার গিয়ে দাঁড়াবে ৮০ লাখে৷ তাদের তথ্য থেকে আরো জানা যায়, সেকেণ্ড হ্যাণ্ড ধূমপান অর্থাৎ ধূমপানের ধোঁয়া থেকে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মারা যায় প্রায় ৬ লাখ লোক৷ ধূমপানের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যে ডব্লিউ–এইচ–ও ২০০৩ থেকে সারা বিশ্বের প্রায় ১৭০

মনে পড়ে

পথিক বর

১৯৪৩ সাল ৪ঠা জুলাই, সিঙ্গাপুরের ক্যাথে বিল্ডিং৷ চারিদিকে লোকে লোকারণ্য৷ প্রেক্ষাগৃহে তিল ধারণের স্থান নেই৷ আনন্দ উচ্ছ্বল মুখগুলো অপেক্ষা করছে কোনও একজনের জন্যে৷ এত ভীড়, এত কষ্ট তবু মুখে কারো কোনও বিরক্তির ছাপ নেই৷ সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছে আকাঙ্ক্ষিত মানুষটির জন্যে৷

রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণে সারা বিশ্ব আজ সংকটে, নব্যমানবতাবাদই মানবসমাজ ও  সৃষ্টিকে বাঁচাতে পারে

প্রভাত খাঁ

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্থাৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!

পলিটিক্যাল স্টেট নয়–সামাজিক অর্থনৈতিক  অঞ্চলই সমাধানের পথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাষ্ট্র শব্দটির সঙ্গে ভারতবর্ষের পরিচয় খুব বেশীদিনের নয়৷ বিদেশী বণিকের নানা আদব–কায়দার সঙ্গে রাষ্ট্র শব্দটি ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশ করে৷ ভারতীয় সভ্যতার মূলে ছিল সমাজ৷ ভারতবর্ষে অসংখ্য ছোট ছোট রাজ্য ছিল, তথাপি রাজার আইন অপেক্ষা সামাজিক বিধিনিষেধকে মানুষ অনেক ক্ষেশী মর্যাদা ও মান্যতা দিত৷ রাজার আইন মানুষ ভয়ে মানতো৷ কিন্তু সামাজিক বিধিকে মানুষ ঈশ্বরের বিধান বলেই বিশ্বাস করতো৷ যদিও ওই সব সামাজিক বিধিনিষেধের মধ্যে অনেক ভাবজড়তা ও কুসংস্কার ছিল৷ তথাপি ভারতীয় সমাজে ঐক্যের যে বাঁধন ছিল তা ওই সব সামাজিক বিধি–নিষেধের ডোরেই  বাঁধা ছিল৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ভাবাবেগই ভারতবর্ষকে একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর

জোট শরিকের ত্রিপুরা  ভাঙার ষড়যন্ত্র

আকাশ দেবনাথ

 ত্রিপুরা ঃ ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সরকারের শরিফ আই.পি.এফটি নেতারা ত্রিপ্রাল্যাণ্ডের দাবীতে অনড়৷  গত ২৮ শে আগষ্ট বিজেপি শাষিত জোট সরকারের শরিফ দল  আই.পি.এফ.টির নেতারা দিল্লী গিয়ে  ত্রিপ্রাল্যাণ্ডের দাবী জানিয়ে আসলেন৷ ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মঙ্গল দেববর্র্ম, আই পি এফটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জামাতিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

কেন্দ্রীয় উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী অর্জুন সিং মুণ্ডার সঙ্গে দেখা করে পাঁচ দফা দাবী সম্বলিত একটি দাবী সনদ পেশ করেন৷ ত্রিপ্র্যাল্যাণ্ড ঘটনের আন্দোলন উপজাতিদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন৷ অবিলম্বে এই দাবী পূরণের  জন্যে তাঁরা অর্জুন সিং মুণ্ডার কাছে আবেদন করেন৷

মহাবিজ্ঞানী প্রভাতরঞ্জন সরকারের আবিষৃকত ‘মাইক্রোবাইটাম  ও মাইক্রোবাইটাম সাধনা

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

বিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- চিত্তানু (ectoplasm) ও বিদ্যুতানুর (electron) মাঝামাঝি অবস্থানে  এক অতিসূক্ষ্ম সত্তা আছে৷ আবিষ্কারক এই সত্তার নাম দিয়েছেন ‘মাইক্রোবাইটাম’৷ অর্থাৎ ভাব (Abstract) জড়ের (matter) মধ্যবর্তীস্থানে  মাইক্রোবাইটাম অবস্থান করছে৷ এদের প্রাণীন ও ভাবসত্তার মত অস্তিত্ব রক্ষা, মৃত্যু ও সংখ্যা বৃদ্ধি হয়৷ বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ হ’ল এই মাইক্রোবাইটাম৷ এরাই গ্রহ, উপগ্রহে ও বিভিন্ন  নক্ষত্রে প্রাণীনতার আদি বাহক৷ এরাই বিভিন্ন জ্যোতিষ্কে অজস্র দেহ-সংরচনা ও মানস-সংরচনা করে চলেছে৷ দেহ ও মনের মধ্যে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব  ওতোপ্রোতভাবে জড়িত৷ দেহ ও মনের মধ্যে  পজেটিভ মাইক্রোবাই

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (potentiality)

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

অজস্র বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশ আমাদের মাতৃভূমি এই ভারতবর্ষ৷ ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, জাতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাত্রবর্ণ, সামাজিক রীতিনীতি, কৃষ্টি সংস্কৃতি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত মানুষের বাস এই বিশাল দেশে৷ কশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত এই দেশ ভূসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ,  প্রাণী ও মানবসম্পদে সমৃদ্ধ৷ এছাড়া রয়েছে জলবায়ু, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশগত বিভিন্নতা৷ এত বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতা সত্ত্বেও  সমগ্র দেশ মিলনের ঐতিহ্যে মৈত্রীর বাঁধনে একসূত্রে গাঁথা৷ এই দেশের মহান আধ্যাত্মিকতার আদর্শ, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্র্চ, ভারতবাসীগণের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সুদূঢ় অতীতকাল থেকেই বিভিন্ন দেশের মানুষ

দুর্নীতি-বৈষম্য-মন্দা দেশ চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে  প্রাউটের পথেই পরিত্রাণ

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সাল

দুর্নীতির জালে রাষ্ট্র জড়িত৷ অর্থনৈতিক মন্দা চরম আকার ধারণ করেছে৷ সরকার স্বীকার না করলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, নীতি আয়োগের আর্থিক সংস্থার শীর্ষকর্তারা আর গোপন করছে না৷ তাঁরা খোলাখুলিই স্বীকার করছেন অর্থনৈতিক অবস্থার বেসামাল দশা৷ স্তাকব অর্থনীতিবিদরা সরকারের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলালেও বেহাল দশা বুঝে অনেকেই পদ ছেলে চলে যাচ্ছেন৷ শিল্প সংস্থাগুলির নাভিঃশ্বাস উঠেছে৷ কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে বহু পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছে৷

অর্থনীতির বেহাল দশা---সঙ্কটে নাকাল কেন্দ্র

পথিকবর

উগ্র জাতীয়তাবাদকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে দ্বিতীয় মোদি সরকার৷ স্বদেশীয়ানায় এতটাই উন্মত্ত ছিল যে কোনোরকম বিরুদ্ধ সমালোচনা হলেই তাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ কোনো বিরোধী নেতা-নেত্রীকেই রেহাই দেওয়া হয়নি৷

উগ্রজাতীয়তাবাদ যেমন সংসদীয় রাজনীতিতে জয়ের হাতিয়ার তেমনি  ফ্যাসিষ্ট পঁুজিপতিদেরও শোষণের যন্ত্র এই উগ্র জাতীয়তাবাদ৷ কিন্তু জনগণকে ভাত কাপড়ের যোগান দিতে একেবারেই অকর্মন্য৷