প্রবন্ধ

এন.আর.সি এর মতো কালাকানুন বিদেশী সমস্যা সমাধানের পথ নয়

মুশাফির

বর্তমানে মানুষের সমাজ অনেক বড়ো হয়ে গেছে৷ অনেক ছোট বড় জনগোষ্ঠীর সমাজ মিলে মিশে এক হয়ে গেছে৷ সংকীর্ণ জাতপাত আজ মানুষের সমাজকে টুকরো টুকরো  করে রাখতে পারবে না৷  পৃথিবী হয়ে গেছে  আজ একটা বৃহৎ পরিবার৷ তাই আজ মানব  সমাজ এক ও অবিভাজ্য৷

আজকের  রাষ্ট্রগুলি কিন্তু সেই পুরাতন চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলছে৷  ভারত বিরাট একটি ভূখণ্ডে অবস্থান করছে৷ বহুভাষাভাষীর মানুষ এখানে  বাস করছে৷ নানা ধর্মমতে  তারা বিশ্বাসী৷ তাই ভারতের  যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা হবে উদার ও মানবিক মূল্য বোধের পীঠস্থান৷ তাই রবি ঠাকুর বলতেন

‘‘দেবে আর নেবে, মেলাবে মিলিবে যাবে না ফিরে,

কৃষিজাত পণ্যকে শিল্পে রূপান্তরিত করার কাজে সমবায়কে গুরুত্ব দাও

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে সাধারণ জনগণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে একেবারে  পঙ্গু হয়ে পড়েছে৷ তাদের দিকে  কি কেন্দ্র আর কি রাজ্যগুলির নজর নেই৷ রাজনৈতিক দলগুলো সদাসর্বদা ব্যাস্ত কি করে  কেবল গদী সামলানো যায়৷ আজ এই রাজ্য তথা ভারতের অন্য রাজ্যগুলির বিশেষ করে  লক্ষ লক্ষ যে  গ্রাম রয়েছে সেই গ্রামের কৃষি উৎপাদিত শস্যকে কাঁচামাল হিসাবে না দেখে কৃষিজাত পণ্যকে শিল্পজাত পণ্যে রূপান্তরিত করে গ্রামগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নে মন দেওয়া উচিত৷

আনন্দমার্গী ও শ্রাবণী পূর্ণিমা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

আনন্দমার্গের সাধনা,

আনন্দমার্গীদের জীবন ও শ্রাবণী পূর্ণিমা---একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত৷ বস্তুতঃ শ্রাবণী পূর্ণিমার পূণ্যলগ্ণেই আনন্দমার্গ সাধনার সুত্রপাত৷ ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমার পবিত্র সন্ধ্যায় সদ্গুরুর কৃপায় পৃথিবী নামক গ্রহের মানব মনে যে বীজমন্ত্র প্রথম নিষিক্ত হয়েছিল, আজ তা বিশ্বের ১৮২ টি দেশে লক্ষ লক্ষ আনন্দমার্গীর অন্তরের গভীরে পল্লবিত, পুষ্পিত হয়ে পরম মুক্তির মহা মন্ত্রে উত্তরিত--- জড়ত্বের অন্ধ তমসার বাঁধন ছিঁড়ে ভূমাচৈতন্যের অনন্ত আলোকঝর্ণাধারার পথের দিশারী৷

শ্রাবণী পূর্ণিমা–আত্মজ্যোতিতে প্রতিষ্ঠিত হও

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’–আত্মার মুক্তি ও জগতের কল্যাণ–এই মহান আদর্শকে সামনে রেখে আনন্দমার্গ প্রচারক সঙঘ তার শাখা–প্রশাখা ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের দেশে–দেশে৷ ধর্ম ও কর্মের সমন্বয়ে এই সুমহান আদর্শকে রূপ দিতে আনন্দমার্গ গড়ে তুলেছে বিশ্বের সর্বত্র অসংখ্য আদর্শ সুক্ল, শিশু সদন, ত্রাণ কেন্দ্র, সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মাষ্টার ইয়ূনিট সহ বহু সেবা ও উন্নয়ন প্রকল্প৷ যাঁর আশীর্বাদ ও প্রেরণা নিয়ে আনন্দমার্গ অত্যল্পকালের মধ্যেই বিশ্ব সংঘটন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছে তিনি হলেন সেই সংঘটনেরই জনক ও গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷

বাইশে শ্রাবণ---‘উড়িছে আলোর কণিকা’

পথিক বর

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ী, ২২শে শ্রাবণ ১৩৪৮৷ সূর্য তখন মধ্য গগণে, ধরণীর কোলে তার তেজোদীপ্ত মহিমা ছড়িয়ে বিরাজ করছে৷ কিন্তু জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ীতে তখন বাংলার গৌরব রবি অস্তমিত৷ শোকে বিষাদমগ্ণ ঠাকুরবাড়ী, বিষাদমগ্ণ মহানগরী কোলকাতা৷ সেই বিষাদের ছায়া ক্রমে গ্রাস করল বাংলা, ভারত তথা গোটা বিশ্বকে৷ বিশ্বকবি আর এ বিশ্বে নেই৷

ভয়ঙ্কর ফ্যাসিষ্ট শোষণের শিকার বাংলা

মনোজ দেব

মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন---শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে৷ শোষণের সঠিক সংজ্ঞা একমাত্র প্রাউটের দৃষ্টিকোণ থেকেই পাওয়া যায়৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়---একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অবস্থিত তথাকার জনগোষ্ঠীর দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশকে স্তম্ভিত করে, ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শ্রম ও মানসিক সম্পদের অবাধ লুণ্ঠনই হ’ল শোষণ৷

গরমে রোগ–ব্যাধি ও নানা সমস্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি

বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাংলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি

পাহাড়ী গ্রামে শিশুপুষ্টিতে স্বনির্ভরতার পরিকল্পনা

পত্রিকা প্রতিনিধি

মিজোরামের লাওগতলাই জেলার জেলাশাসক শাশাঙ্খা আলার উদ্যোগে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন প্রত্যন্ত পাহাড়ী গ্রামের বিদ্যালয়ে দরিদ্র শিশু পুষ্টি রক্ষায় এক অভিনব প্রচেষ্টা ‘পুষ্টি উদ্যান’ নির্মাণ এক অন্যতম পদক্ষেপ৷ এখানকার বিদ্যালয়গুমলিতে জেলাশাসকের প্রচেষ্টায় এমনভাবে পুষ্টি উদ্যান প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে বিদ্যালয়ের নৈমিত্তিক কার্যক্রমে সপ্তাহে এক ঘণ্টা করে সময় বরাদ্দ করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রাদের বাগানের কাজের জন্য সময় রেখেছেন৷ তাতে শিশুরা নিজেরাই এই ‘পুষ্টি উদ্যান’-এর মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় আনাজপাতি, নানারকম ফল ফলাতে সক্ষম হবে৷  এতে সুবিধে হ’ল বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকলেও এইসব পাহাড়ী বিদ্যালয়গুল

ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রাবণী পূর্ণিমার গুরুত্ব

বিশেষ প্রতিনিধি

মানব ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে, এই তাৎপর্যকে অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলে সমস্ত মানব সমাজের কল্যাণ৷

দেশের হাল দেখেই বোঝা যায় বুদ্ধির বহর, তাই বুদ্ধির লড়াইটা আর যেন না বাড়ে

মুশাফির

দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী এবার সরব হয়েছেন৷ তারই প্রমাণ পাওয়া গেল দুটি চিঠির মাধ্যমে৷ একটি চিঠি দেওয়া হয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে৷ যার শিরোণাম---‘রাম ভজনার জেরে দেশে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরী হয়েছে৷’ ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর স্বাক্ষর করা এই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়৷ এই চিঠির প্রত্যুত্তর দিতে আর একটি খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়৷ এতে স্বাক্ষর ছিল ৬১ জন বুদ্ধিজীবীর৷ গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিকগণ যে কোন বিষয়ে তাদের মতামত দিতেই পারেন৷ এ ব্যাপারে বুদ্ধিজীবীদেরই এগিয়ে আসতে হয়৷ সাধারণ মানুষ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকাতেই পরিস্থিতিটা বুঝতে চেষ্টা করে৷ কিন্তু এখানে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকাতেই জনগণ ব