প্রবন্ধ

কেন নিরামিষ ভোজন করা বাঞ্ছনীয়

পূর্ণানন্দ রায়

ইংরাজীতে একটা প্রবাদ বাক্য আছে,‘‘If wealth is lost, nothing is lost, is health is lost something is lost, if character is lost, everything is lost’’ অর্থাৎ ধনসম্পত্তি হারালে কিছু ক্ষতি নাই, স্বাস্থ্য হারালে কিছু হারাল, কিন্তু চরিত্র হারালে সবই গেল৷ স্বামী বিবেকানন্দের মূল মন্ত্র ছিল---‘তোরা চরিত্রবান হ৷’

যোগ একদিবসের জন্যে নয়, সমগ্র জীবনের সুদৃঢ় ভিত্তি

মোহন সরকার

এক কথায় যোগ শরীর, মন ও আত্মার বিকাশের পথ৷ শরীরের বিকাশ মানে হ’ল শরীরের সমস্ত সম্ভাবনার সদব্যবহার করা, সোজা কথায় শরীরকে সর্বদা সুস্থ রাখা৷ যোগ মূলত আধ্যাত্মিক৷ যোগ মানে জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগ, মনের সঙ্গে আত্মার সংযোগ৷ তাই যোগী বলতে গেলে তাঁদের বোঝায় যারা উচ্চতম আধ্যাত্মিক মার্গে রয়েছে, যাঁদের আত্মোপলব্ধি হয়েছে, তবে উচ্চ আধ্যাত্মিক মার্গে উঠতে গেলে শরীরটাকেও সুস্থ রাখতে হবে, তাই যোগ সাধনায় শরীরকে সুস্থ রাখার জন্যে বিভিন্ন যোগাসনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ রোগ হলে তো ভালভাবে সাধনা করা সম্ভব নয়, তাই রোগ যাতে না হয় তার জন্যেই  এই ব্যবস্থা৷ যেমন, নিয়মিত কিছু কিছু আসন অভ্যাস করলে ও নিয়মমতো চললে শর

ভারত গৌরব  ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়, ভারতের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ও বরনীয় নাম৷ তিনি ছিলেন গণদেবতার  পূজারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী বিদ্যার্থী, যসস্যী চিকিৎসা বিজ্ঞানী, যোগ্য অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ও কলকাতা কর্পোরেশনের অল্ডারম্যান ও মেয়র  বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য, চিকিৎসক, সমাজ সেবক, শিক্ষাবিদ ও সফল মুখ্যমন্ত্রী৷ এককথায় তিনি এক কিংবদন্তি  ব্যাষ্টিত্ব, যাঁকে নিয়ে আমাদের গর্বের অন্ত নেই৷ তাঁর চারিত্রিক গুণাবলী আমাদের প্রতিনিয়ত  বিস্মিত, প্রাণিত ও উজ্জীবিত করে৷

ফেসবুক, ওয়াটসআপ, ইন্টারনেট ঃ মানস-অর্থনৈতিক শোষণের  নব ছলাকলা

সুকুমার সরকার

একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপদ পুঁজিবাদের মানস-অর্থনৈতিক শোষণ৷ এর সূক্ষ্ম জাল এমনভাবে বিস্তৃত, যা সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে  পুঁজিবাদ বিরোধী কমিউনিষ্ট, ধর্মমতের ধবজাধারী মোল্লা, পাদ্রি, পুরোহিতেরা পর্যন্ত এর জালে জড়িয়ে যাচ্ছে৷ মোল্লা, পাদ্রি, পুরোহিতেরা তো চিরকালই জেনে বা না জেনে স্বার্থান্বেষীদের সমর্থন করে চলে৷ প্রশ্ণ আসতে  পারে, কমিউনিষ্টরা পুঁজিবাদীদের  ক্ষপ্পরে পড়লো কী করে?--- এটা আসলে পুঁজিবাদীদের মানস-অর্থনৈতিক শোষণের কৌশল৷

ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভাঙার অশনি সংকেত

মুসাফির

এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর ২০শে জুন প্রথম অধিবেশনে শাসক বিজেপি দলের তৈরী করা ভাষণ পাঠ করেন রাষ্ট্রপতি প্রথাগতভাবে৷ এতে বিগত সরকারের কাজের ফিরিস্তি পাঠ করে বিজয়ী সদস্যদের জ্ঞাত করেন৷

দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যবোধ ও নব্যমানবতাবাদ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

দায়িত্ব ও কর্তব্য এই দুইটি ছোট শব্দ ব্যষ্টি জীবন, সমাজজীবন রাষ্ট্র তথা বিশ্বের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই দুটি ভাব জাগ্রত থাকলে ব্যষ্টি বা সমষ্টি যে কোন পর্যায়েই চরম উন্নতি সাধন সম্ভব, আবার এগুলির অভাবে ভয়ঙ্কর পরিণামও অনিবার্য৷ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের ঘটনাপ্রবাহ, এমনকি সমগ্র বিশ্বের অশান্ত পরিস্থিতির জন্যেও এই দুইটি বিষয়ের প্রতি অবহেলা বা অবমাননা বহুলাংশে দায়ী৷

অবিলম্বে জলের অপচয় বন্ধ করুন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজ থেকে বহু বছর আগে প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তিনটে জিনিস অপচয় করতে বারণ করেছিলেন৷ কোন জিনিষের অপচয় তিনি পছন্দ করতেন না৷ কিন্তু বিশেষ করে তিনটি জিনিসের কথা তিনি বলেছেন, জল, জ্বালানি, বিদ্যুৎ৷ তিনি এও বলেছেন--- এমন একটা দিন আসবে যেদিন মানুষ জল খেয়ে মরবে,  না খেয়েও মরবে৷ জল এমন একটা জিনিস যার অভাবে শুধু মানুষ নয়, পশুপক্ষী, তরুলতা কারো পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়৷ মানুষের সীমাহীন লোভ, প্রাকৃতিক সম্পদের অবাধ লুন্ঠন, ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহার মানুষের সামনে এই বিপদ ডেকে এনেছে৷ এখন হয়তো সময় আছে, মানুষ যদি সচেতন হয় রাষ্ট্রের পরিচালক বিজ্ঞানী, সমাজবিদ, বিজ্ঞানী সকলের মিলি

‘দধি’ মাইক্রোবাইটামে ভরপুর, মানবদেহালয়ের প্রকৃতিদত্ত ঝাড়ুদার

যোগাচার্য

পৃথিবীর নানা ক্ষুদ্র বৃহৎ মানব সমাজে যত ধরণের খাদ্য ও পানীয় বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠীদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তাতে মানুষ নামক জাতিটিকে প্রায় সর্বভুক আখ্যা দেওয়া যায়৷ কিন্তু এত অজস্র রকমের প্রাচুর্যে গড়া মানুষের খাদ্য ভাণ্ডারের মধ্যে এত ধরণের বৈচিত্র্য, এত রকমের প্রোটিন–ভিটামিন–সল্,  মিনারেলস শ্রেণীর খাদ্য ও পানীয় থাকা সত্ত্বেও একটি মাত্র খাদ্য বস্তুকে শ্রদ্ধেয় শ্রী পি. আর.

যোগ এক দিবসের জন্যে নয়, সমগ্র জীবনের সুদৃঢ় ভিত্তি

মোহন সরকার

(দ্বিতীয় পর্ব)

‘যোগ’ হচ্ছে কী? না---জীবন গড়ার সাধনা, আত্মবিকাশের সাধনা৷ ‘একটা কলি অর্থাৎ কুঁড়ি থেকে ফুলের বিকাশ ঘটে, ওই কুঁড়ির মধ্যে যে রূপ, বর্ণ, গন্ধের সম্ভাবনা রয়েছে তা পরিস্ফুট হয়৷ একটা ছোট্ট বটবৃক্ষের বীজের মধ্যে একটা বিশাল বটবৃক্ষের সম্ভাবনা থাকে৷ তেমনি মানুষের মধ্যে অনন্ত শক্তি ও গুণের সম্ভাবনা রয়েছে৷ যথাযথ পরিচর্যার দ্বারা এই শক্তি ও গুণগুলির প্রকাশ ঘটাতে হয়৷