প্রবন্ধ

কর্মীদের সংযত করুন খালেদা জিয়া

প্রভাত খাঁ

আজ সারা পৃথিবীটাই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে এক বিরাট পরিবার৷ কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্যে প্রায় সব দেশের ভাগ্য যাদের হাতে তারা যেন সবকিছু বুঝেও ক্ষমতার মোহে অহমিকার দাস হয়েই একদিকে যেমন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতেছে  আর  গণতন্ত্রের  গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে জড়িয়ে রাজনৈতিক ভণ্ডামীতে আত্মঘাতী কাজে মত্ত৷ তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এই পৃথিবীর  বুকে  যে এক বিরাট  ভূখণ্ড এশিয়ার  বুকে আছে সেই অতীতের, ভারতবর্ষ, তাকে সেই অহংকারে মত্ত হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইংরেজ নিজেদের স্বার্থে কুৎসিত সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ করে দুটো দল সেই কংগ্রেস ও মুসলীমলীগের দুই দল কে দুটো দেশ উপহার দিয়ে গেল৷ দেশভাগ  হলো বটে কিন্তু দু’দলের ঘৃ

সাধনা

দাদাঠাকুর

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা সবাই ছাত্র–ছাত্রা, প্রতিদিন তোমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ শিখতে পড়তে হয়৷ তোমরা কোন একটা পাঠ বার বার পড়, আবার কিছুক্ষণ পরে ভুলে যাও, তাই না বিদ্যালয়ের পড়া সহজে তোমাদের মনে থাকতে চায় না৷ অথচ যখন টেলিবিসনে কোনও কাহিনী দেখ বা কোনও গল্প শোন বা পড় তখন সেটা তোমাদের অনেকদিন মনে থাকে৷ কেন এমন হয় বলতে পার কি না, এর কারণ হলো তোমার মনের একাগ্রতা৷ যখন তুমি কোন কিছু মনোযোগের সঙ্গে পড়ো বা শোনো বা দেখো তখন সেটা তোমার মনে থাকে৷ কিন্তু যখন চঞ্চল মনে কোন কিছু পড়ো, দেখো বা শোনো তখন তা আর মনে থাকে না৷

আর কোনও উপধর্মের সংঘাত নয়, প্রাউটের পতাকা তলে এক হয়ে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের পথে চলতে হবে

প্রাউটিষ্ট

পৃথিবীর বুকে বহু মনীষী এসেছেন৷ তাঁদের মহান বাণীকে বিকৃত করে খণ্ড ক্ষুদ্র ব্যষ্টি স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু চালাক লোক নিজেদের সংকীর্ণ মতবাদকে তাঁদের বাণী হিসাবে চালিয়ে চলেছে৷ সেই কারণে নানা মতবাদে আজ পৃথিবী ভারাক্রান্ত হয়ে এক ভয়ংকর জ্বলন্ত অগ্ণিকুণ্ডের আকার ধারণ করেছে৷ সব কিছু যেন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ এই অগ্ণিগর্ভ অবস্থায় যিনি এলেন ও সমগ্র বিশ্বের মানুষ সহ জীবজন্তু, গাছপালাকে নোতুন করে অভয় বাণী দিয়ে গেলেন ও কিভাবে তারা সকলে সার্থকভাবে বিকশিত হবে তার পথ দেখিয়ে গেলেন তিনিই হলেন মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওরফে শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ তিনি ঘোষণা করলেন যে পৃথিব

বিভেদ ভুলে অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যে নতুন করে ভাবতে হবে

প্রভাত খাঁ

যদি গভীরভাবে চিন্তা করা যায় তাহলে অবাক হতে হয় এই বিশাল ভারত দীর্ঘ ৭৭ বছরের মধ্যে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে!

প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ মানে না, কোনরকম অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারও মানে না

পত্রিকা প্রতিনিধি

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু  মোটেই ঠিক নয়৷

আবার সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ কোথাও কোথাও ধর্মের নামে শিশুবলি পর্যন্ত হচ্ছে কিন্তু এগুলির কোনটাই প্রকৃত ধর্ম নয়৷ কোনরকম যুক্তিহীন, অমানবিক কার্যকলাপের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ থাকতে পারে না৷

নব আদর্শে---সবে হোক উজ্জীবিত

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

মনুষ্য জাতির ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই কোন মহাপুরুষ, মনীষী, সমাজ সংস্কারক, নূতনের বার্তাবহ মানুষের কল্যাণে, নিপীড়িত মানবতার সংকট মোচনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, জ্ঞানের আলোকবর্ত্তিকা ঊধের্ব তুলে ধরেছেন তখনই অন্ধকারের পিশাচেরা, ভাবজড়তার ধবজাধারীরা নিজেদের সর্বনাশের আতঙ্কে যূথবদ্ধভাবে তার বিরোধিতা করেছে, চক্রান্ত করেছে---এমনকি ছলে-বলে-কৌশলে তাদের হত্যার ষড়যন্ত্রও করেছে৷ প্রাচীন যুগের সেই সদাশিবের সময় থেকেই একই ধারাপ্রবাহ বয়ে চলেছে৷ পাহাড়ে-পর্বতে ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকা মানুষজনকে এক সূত্রে গেঁথে, বিবাহ ব্যবস্থার প্রচলন করে’ মানব সমাজকে একটা বিধিবদ্ধ রূপ

বঙ্গীয় নোতুন প্রজন্মের বুদ্ধির মুক্তির অপেক্ষায় আমরা

সঞ্জীব বিশ্বাস

সংসদীয় গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রে লোকসভাই হচ্ছে দেশের আয়না স্বরূপ৷ কারণ এই প্রতিষ্ঠানেই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজ্যগুলির উন্নতি–বনতির খতিয়ান পাওয়া যায়৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় লোকসভা নামক প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আর এই প্রতিষ্ঠানেই সাংসদরা নিজ নিজ রাজ্যের দাবী সনদ পেশ ও তা আদায়ের কাজটি করে থাকেন৷ কিন্তু লজ্জার বিষয় এই যে, দেশের সংসদীয় আবহে বঙ্গজ সাংসদরা কোনদিনই লোকসভার যথাযথ ব্যবহার করতে পারেননি৷ তাই প্রশ্ণ আসছে দেশের অনেক রাজ্যের সাংসদরা (রাজ্যের) দাবী আদায়ে সমর্থ হলেও বঙ্গজরা তা পারছেন না কেন পরিবর্তে দর্শক হিসাবে লোকসভার কার্যক্রম অবলোকন করা ছাড়া বিশেষ কোন ভূমিকায় তাদের উপস্থিতি অ

কুম্ভীরাশ্রু নয়, সত্যিকারের প্রতিকারের ব্যবস্থা করুন!

সুকুমার সরকার

গত ৫ই আগষ্ট ২০২৪, বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করার আগে-পরে বাংলাদেশে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রধান আঁচ এসে পড়েছে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর৷ শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের নেতা-মন্ত্রীদের ওপরও আঘাত এসেছে৷ কিন্তু তা রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয়৷ কিন্তু হিন্দুদের ওপর যে আঘাত এসেছে তা বিরুদ্ধ ধর্মমতীয় সেন্টিমেন্ট থেকে৷ এটা বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলিম সেন্টিমেন্টের ধর্মমতীয় সহজাত প্রবৃত্তি বললে ভুল হবে না৷

পাঁশকুড়ায় মহিলা পরিচালিত আনন্দমার্গ স্কুল

সুভাষপ্রকাশ পাল

১৯৮২ সালের সেপ্ঢেম্বর মাস৷ আনন্দমার্গ সংঘটনের প্রাণ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী কিছুদিন দেওঘর আনন্দমার্গ আশ্রমে অবস্থান করছেন৷ ১৪ই সেপ্ঢেম্বর থেকে গান দিতে শুরু করেছেন, যা প্রভাত সঙ্গীত নামে পরিচিতি লাভ করেছে৷ গান রচনা করেছেন বললাম না৷ কেননা তাঁর দেওয়া ৫০১৮টি গানের কোন ভাব আসতে তিনি গুন গুন করে গাইতেন আর তাঁর পাশে যারা সর্বক্ষণের কর্মীরা তা লিখে নিতেন, সুরটা মনে রাখতে হত, পরে গুরুদেবকে তা শুনিয়ে প্রয়োজনে ভুল শুধরে নিয়ে সেগুলির স্বরলিপি তৈরী করা হত৷ ওই সময় কোলকাতা থেকে প্রতিদিনই কোন না কোন মার্গী বা সন্ন্যাসীকে গুরুদেবের কাছে যেতে হত৷ সঙ্গে নিয়ে যেতে হত গুরুর জন্য আনন্দনগর থেকে আনীত বিশুদ্ধ পান