প্রবন্ধ

পাঁশকুড়ায় মহিলা পরিচালিত আনন্দমার্গ স্কুল

সুভাষপ্রকাশ পাল

১৯৮২ সালের সেপ্ঢেম্বর মাস৷ আনন্দমার্গ সংঘটনের প্রাণ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী কিছুদিন দেওঘর আনন্দমার্গ আশ্রমে অবস্থান করছেন৷ ১৪ই সেপ্ঢেম্বর থেকে গান দিতে শুরু করেছেন, যা প্রভাত সঙ্গীত নামে পরিচিতি লাভ করেছে৷ গান রচনা করেছেন বললাম না৷ কেননা তাঁর দেওয়া ৫০১৮টি গানের কোন ভাব আসতে তিনি গুন গুন করে গাইতেন আর তাঁর পাশে যারা সর্বক্ষণের কর্মীরা তা লিখে নিতেন, সুরটা মনে রাখতে হত, পরে গুরুদেবকে তা শুনিয়ে প্রয়োজনে ভুল শুধরে নিয়ে সেগুলির স্বরলিপি তৈরী করা হত৷ ওই সময় কোলকাতা থেকে প্রতিদিনই কোন না কোন মার্গী বা সন্ন্যাসীকে গুরুদেবের কাছে যেতে হত৷ সঙ্গে নিয়ে যেতে হত গুরুর জন্য আনন্দনগর থেকে আনীত বিশুদ্ধ পান

বর্তমান ভারতে সার্বিক শোষণ–মুক্তির আন্দোলন জরুরী

প্রবীর সরকার

বর্তমান ভারতের গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্টীয় শাসন ব্যবস্থা দীর্ঘ ৭৭ বছরে দেশের কোটি কোটি হতভাগ্য নাগরিকদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন যোগাতে, লজ্জা নিবারণের কাপড় যোগাতে, রোগে সামান্যতম ওষুধ, মাথা গোঁজার ঘর আর নূ্যনতম শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে সক্ষম হয়নি৷ প্রায় সব রাজনৈতিক দল মুখে যাই বলুক না কেন এরা প্রায় সবাই সেই ধনতন্ত্রের সেবক–পুঁজিবাদীদের সেবা দাসে পরিণত হয়েই দেশের সর্বনাশ করে চলেছে৷

সারা দেশের কিছু ধনী কৌশলে শোষণ করছে আর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় করে তুলছে৷ যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদেরই সঙ্গে হাত মিলিয়ে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে দেশকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷

পরিবেশ ভাবনা

পত্রিকা প্রিতিনিধি

পরিবেশ দূষণ এবার মাত্রা ছাড়াচ্ছে৷ দিল্লীতে দূষণের জেরে স্কুল বন্ধ রাখতে হচ্ছে৷ এই দূষণ কিন্তু একদিনে হয়নি৷ মানুষের সীমাহীন লোভ, বিজ্ঞানের লাগামছাড়া অগ্রগতি পরিবেশের কথা কখনও ভাবেনি৷ আজ অবস্থা মানুষের আয়ত্বের বাইরে চলে যাওয়ায় দূষণ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে৷ এতদিন শুধু মানুষ শুধু মানুষের কথা ভেবেছে৷ মানুষ তার নিজের প্রয়োজন পূর্ত্তি করতে প্রকৃতির ওপর হামলে পড়েছে, প্রাকৃতিক সম্পদ অবাধে লুন্ঠন করেছে, নিকট ভবিষ্যতের কথাও ভেবে দেখেনি৷ তারই বিষময় ফল আজ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে৷

বিপন্ন ভারতীয় গণতন্ত্র রাজনীতিতে সৎনীতিবাদী মানুষের অভাব

প্রবীর সরকার

শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার ব্যপারে গণতন্ত্রকে রাজনীতিতে মন্দের ভালো বলা হয়৷ কিন্তু প্রশ্ণ হ’ল যদি দেশের নাগরিকগণ শিক্ষিত, যুক্তিবাদী সবার উপরে আত্মনির্ভরশীল না হয়, তাদের নূ্যনতম পাঁচটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান না থাকে তা হলে তারা প্রতিনিধি–নির্বাচনট্ কি ঠিক মতো করতে পারে আর যারা নির্বাচনে দাঁড়াবে তাদের মধ্যে যদি নৈতিকতা, সেবা, ত্যাগের মনোভাব না থাকে তা হলে সেই সম্পূর্ণ নির্বাচনটাই প্রহসনে পরিণত হবে৷

অর্থনৈতিক শোষণমুক্তির পথ হ’ল সমবায় আন্দোলন

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে অতি পুরাতন শব্দ সমবায়ের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতাটা উঠে আসছে পত্রপত্রিকাতে৷ উপনিষদের সেই ‘সংগচ্ছধ্বং’–এর মধ্যেই নিহীত আছে সমবায়৷ কথা প্রসঙ্গে বলতেই হয়–এক সময়ে এদেশে ‘সোণার বাংলা’ কথাটা খুবই প্রচলিত ছিল৷ যখন সাত সমুদ্র তের নদীর পার হতে এদেশে ইংরেজ বণিকরা আসেনি, যখন সারা বাঙলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামই স্বয়ং সম্পূর্ণ ছিল সব দিক থেকে৷ তখন গ্রামের জনসাধারণকে কোন কিছুর জন্যে বাইরের দিকে তাকাতে হত না বা নির্ভরশীল হতে হত না৷ বড় বড় পরিবারগুলি ছিল একান্নবর্ত্তী পরিবার৷ সেই পরিবারের যা যা প্রয়োজন তারা তা কুটির শিল্পের মাধ্যমেই পূরণ করে নিত৷ ক্ষেত খামারে যা ফসল উঠতো তার দ্বারা ও কুটির শিল্পের মধ্য দ

কলকাতা মেট্রোয় আক্রান্ত বাংলা

তপোময় বিশ্বাস

‘‘ইন্ডিয়া কা ল্যাঙ্গুয়েজ হিন্দী হ্যায়, তুমি হিন্দী জানো না!! তুমি কি বাংলাদেশী?’’

মাতৃভূমি খোদ কলকাতায় বহিরাগত এক অবাঙালীর মুখ থেকে বাঙালীকে শুনতে হচ্ছে ইন্ডিয়ায় থাকো হিন্দী জানো না! এটা বাংলাদেশ নয়, এখানে হিন্দী শিখতেই হবে! সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখে গোটা দেশের বাঙালী সমাজ হতবাক, স্তম্ভিত৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা মেট্রোতে বাংলায় কথা বলায় হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী দৌরাত্ম্যে এভাবে এক বাঙালী তরুণীকে হেনস্থার শিকার হতে হওয়ার ভাইরাল হওয়া ভিডিও আমাদের প্রসূপ্ত চেতনাবোধ কি জাগাতে পেরেছে?

স্বৈরাচারী দলতন্ত্রের হাত থেকে দেশ বাঁচাবার দায় সচেতন নাগরিকদেরই

প্রভাত খাঁ

আজ সেই বাঙলার অতীতের কবি রঙ্গলালকে মনে পড়ছে৷ তিনি বলেন---

‘‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়গো কে বাঁচিতে চায়,

দাসত্ব শৃঙ্খলা বলো কে বাঁধিবে পায় বলো কে বাঁধিতে পায়৷’’

এক দেশ এক নির্বাচন —যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানবে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

-- আগামী লোকসভা অধিবেশনেই এক দেশ এক নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে৷ হিন্দুত্বের ধবজাধারীরা হয়তো ভাবছেন---একবার একদেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে পারলে হিন্দু রাষ্ট্র ঘটনে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যাবে৷ বাস্তবে কিন্তু বিপরীতটাও হতে পারে৷ প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---সরকারের ভিমরতি ধরেছে৷ দেশের সামনে অনেক সমস্যা---খাদ্যপণ্যের বাজারদর গৃহস্থের নাগালের বাইরে৷ আর্থিক সংস্থাগুলি জানাচ্ছে বিশেষ করে শহর ও শহরতলিতে খাদ্যপণের বিক্রি কমেছে৷ এরসঙ্গে রয়েছে নেট দুনিয়ার প্রভাবে সামাজিক অবক্ষয়, ছাত্র-যুব সমাজ বিপথগামী, দেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে, সরকারের এসব নিয়ে কোন চিন্তা

সামনে ‘ষোলোই ডিসেম্বর’---কী করবে বাংলাদেশ?

সুকুমার রা

আর কযেকদিন পরেই ‘ষোলোই ডিসেম্বর’৷ বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা দিবস’৷ ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের পর থেকে ঘটা করে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে বাংলাদেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের হাইকমিশন অফিসগুলোতে৷ এবারে বাংলাদেশ কী করবে? কেননা, গত জুলাই-আগষ্ট (২০২৪) মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এক অপ্রীতিকর ঘটনাকে বাংলাদেশের মৌলবাদী দল এবং সংস্থাগুলি এবং কেয়ারটেকার সরকার ‘পাঁচই আগষ্ট’কে দ্বিতীয় স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ সেক্ষেত্রে কী ‘ষোলোই ডিসেম্বর’ স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে, নাকি ‘পাঁচই আগষ্ট’ গণভ্যুত্থানের দিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হবে?