April 2025

হাওড়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন

গার্লস প্রাউটিষ্টের হাওড়া জেলা শাখার উদ্যোগে গত ৮ই মার্চ হাওড়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়৷ গার্লস প্রাউটিষ্টের সদস্যারা মিছিল করে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ও বেশ কয়েক জায়গায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ পথ সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রীমতী ভারতী কুণ্ডু৷

হাওড়ায় পদার্পণ দিবস

হাওড়া জেলার রামরাজাতলা শঙ্কর মঠে ১৯৮১ সালের ১৫ই মার্চ মার্গগুরু দেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী চরণ চিহ্ণ দিয়ে পবিত্র করেছিলেন হাওড়ার মাটিকে৷ প্রতিবছর এই দিন হাওড়া রামরাজা তলায় সেই পবিত্র দিন স্মরণে পদার্পণ দিবস অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে রামরাজাতলা ইয়ূনিটে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায়ের পর মার্গগুরু দেবের সেই পবিত্র দিনের প্রবচন ‘প্রকৃত গুরু কে’ পাঠ করে শোণান ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷ মার্গগুরুদেব সম্পর্কে মনোজ্ঞ আলোচনা করেন মার্গের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী দাদা আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও ওইদিনে বাবার পদার্পণের বিষয় আলোচনা করেন তপন ভৌমিক, অবধ

আনন্দনগরে মেয়েদের টাইকাণ্ডো পরীক্ষা: আত্মরক্ষা ও আত্মগঠনের এক নতুন অধ্যায়

স্পিরিচুয়ালিস্টস স্পোর্টস অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চারস ক্লাব, আনন্দনগরের উদ্যোগে আনন্দমার্গ গার্লস চিলড্রেন্স হোম ও পার্শবর্তী গ্রামের মেয়েদের আত্মরক্ষা ও আত্মশক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক বিশেষ টাইকাণ্ডো প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে৷ আত্মনির্ভরশীলতা গড়ে তোলা ও সরকারি-বেসরকারি নিরাপত্তা বিভাগে কাজের সুযোগ প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ থেকে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে আনন্দমার্গ মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতি শনিবার ও রবিবার নিয়মিত টাইকাণ্ডো প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়৷ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন অবধূতিকা আনন্দ তপঃশিলা আচার্য৷

বাংলা দেশের ইতিহাস মুছতে চাইছে ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন চিন উড়ে গেলেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস৷ ২০২৪ আগষ্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধ মুজিবর রহমান সহ ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সব স্মৃতি ধবংস করা শুরু হয়৷ বঙ্গবন্ধুর ধানমাণ্ডির বাড়িও ভাঙচুর করা হয়৷

৭১-এর ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টাকে একই সুরে নিন্দা করেছে আওয়ামি লিগ ও বাংলাদেশ জাতীয় দল (বি.এন.পি)৷ সেখ হাসিনা অন্তবর্তী সরকারকে হায়নার সঙ্গে তুলনা করে বলেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস মুছতে চাইছে৷ তবে এই কাজ যারা করছে তারা কোনদিন সফল হবে না৷

ধর্মমত ও ধনতন্ত্রকে আশ্রয় করে দেশ বাঁচবে না

প্রাউটিষ্ট

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও দেশের মানুষ আর্থিক স্বনির্ভরতা পেলেন না৷ পুঁজিবাদ আশ্রিত রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ মানুষের আর্থিক বিকাশের লক্ষ্যে কোন বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে না৷ যে দলই যখনই শাসন ক্ষমতায় আসে পুঁজিবাদের স্বার্থ ও সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের উর্দ্ধে সব শ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণের কথা ভাবতে পারবে না৷ পুঁজিবাদের তোষণ ও দলীয় স্বার্থসিদ্ধিই শাসনের দিকদর্শন বলে সবদলই মেনে নিয়েছে৷

অমানবিক---অসাংবিধানিক

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ধর্ম নয়, কোন একটি ধর্মমত যখন রাজনীতির হাতিয়ার হয়, তখন সেই রাজনীতিতে রাষ্ট্রের কল্যাণ দূরে থাক, সামান্য মানবিকতার স্পর্শও থাকে না৷ ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা হয় না৷ স্বাধীন খণ্ডিত ভারতের জন্মই হয়েছে ধর্মমতাশ্রিত সাম্প্রদায়িক হানাহানির গর্ভে৷ সেই স্বাধীনতা কোটি কোটি মানুষের কাছে অভিশাপ স্বরূপ৷ স্বাধীনতার ৭৭ বছর অতিক্রম করেও ভারত সেই অভিশাপ থেকে মুক্ত হলো না৷ হওয়ার কথাও নয়৷ কারণ ধর্মমতাশ্রিত দুই সম্প্রদায়ের বাইরে আরও দুটি সম্প্রদায় ছিল৷ তারাই স্বাধীন ভারতের দুণ্ড-মুণ্ডের কর্তা---শাসক ও শোষক সম্প্রদায়৷ পরাধীন ভারতে রাজনীতির মঞ্চ থেকে সুভাষচন্দ্রের বেদনাদায়ক বিদায়ের পশ্চাতের ছিল এই সম

ভারতের দলতান্ত্রিক সরকারগুলো গণতন্ত্রের নামে জনগণকে শোষণ করে চলেছে

প্রভাত খাঁ

ভারত বিরাট দেশ তাই এই দেশের শাসকদের ও বিচারপতিদের যারা ন্যায় ও সত্যের পূজারী তাঁদের কর্ত্তব্য পালনে খুবই সচেতন থাকতে হবে৷ কোথাও ব্যষ্টিগত মতামত দান করাটা উচিত নয়৷ সর্বদাই দেশের সং্‌িবধান স্মরণ করে চলতে হয়৷ প্রবীন নাগরিক হিসাবে আমরা দেখেছি যে স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের এই নীতিগুলি তাঁরা যাঁরা উচ্চপদে আছেন তারা কঠোরভাবে মানতেন৷ কিন্তু বর্তমানে দেশ প্রায় ৭৭ বছর হলো যে দেশের সংবিধান বর্তমান তাঁদের অনেকের কোন কোন ক্ষেত্রে জনসভায় ব্যষ্টিগত মতামত দিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করে চলেছেন!

দুর্যোগের ঘনঘটা

সুভাষপ্রকাশ পাল

১৯৮৫ সালের আগষ্ট মাস, তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিবসু দলীয় কোন কাজে বিহারে গিয়েছেন৷ ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র৷ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা মারফৎ জানা গেল---আনন্দমার্গীরা নাকি জ্যোতিবাবুকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে৷ সৌভাগ্যক্রমে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সে যাত্রা তিনি রক্ষা পেয়েছেন, ব্যাপারটা আমাদের মত সাধরণ মার্গীদের কাছে দুর্র্বেধ্য ঠেকেছিল৷ কার এমন বুকের পাটা থাকতে পারে যে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যুহভেদ করে জ্যোতিবাবুর মত ব্যষ্টিকে হত্যা করতে যাবে৷ তাছাড়া তাদের উদ্দেশ্যটাই বা কী?

খ্রীষ্টান জব চার্ণকের হিন্দুস্ত্রী

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সেই ইংরেজ আমলের কথা৷ ১৭৮০ খ্রীষ্টাব্দের একটি সংবাদপত্র থেকে জানা যায়, ইংরেজরা এদেশীয় মেয়েদেরই রক্ষিতা হিসাবে রাখতো৷ ইউরোপীয় মেয়েদের রক্ষিতা করে রাখা সাহেব সমাজে ছিল নিষিদ্ধ৷

কিন্তু এই রক্ষিতাদের সাথে অনেক সাহেব ভালাবাসা ও বিবাহসূত্রে, আবদ্ধ হয়ে পারিবারিক সম্পর্কও গড়ে তুলেছিলেন৷ এদেশীয় হিন্দুরমনী বিয়ে করে রক্ষিতা নয়, তাদের রীতিমতো স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন৷