April 2025

প্রিয়তম তুমি মোর

কৌশিক খাটুয়া

থাকো অবিকার নয় নিরাকার

উপলব্ধিতে তোমাকে চাই,

পঞ্চেন্দ্রিয়র ঊর্দ্ধলোকেতে

কৃপা করে লহ হৃদয়ে ঠাঁই৷

 

নিত্য নূতন তুমি সনাতন

অপরিণামদর্শী তোমাকে মানি,

অনু থেকে ধরা পরিচালনায়

অলক্ষ্যে রত তাহাও জানি৷

 

সব কাজে আছো ধরায় বিরাজো

সে’ কথা কাহারো অজানা নয়,

ছাড়িতে চাহিলে ছেড়ে নাহি যাও

 তবে কেন পাই অযথা ভয়!

 

রয়েছো আমার আবেগ উদ্বেগে

 শত ভাবনার মধ্য মনি,

হাসি-ক্রন্দনে প্রেম-বন্ধনে

অন্ধ বিবরে হীরকের খনি!

 

শত সমস্যা যবে বোঝা হয়

সুকুমার রায়ের কবিতা

 

(১)

চালায় যারা হিংসার পাঠশালা

শিখছে তারা সদাই বিদ্বেষের পালা৷

গড়ছে যারা মনমানি বিধান

জানেনা দিতে মানবতার মান৷

বর্বর অবোধের ভ্রান্ত পথ চলা

সৃষ্টির বুকে করে হিংসার খেলা৷

অধর্মের সে কোন উন্মাদি কলাকার

জানে না সমাজে শান্তি শিষ্টাচার৷

(২)

প্রভু মহাকালের যাত্রা তোমার

কেউ জানে না এ অনন্ত লীলার সার৷

সুখে দুঃখে রাত্রি দিনে আছো সবার সনে

বিশ্বভুবনে খেলিছো তোমারই ভূমামনে৷

সৃষ্টিস্থিতি লয় নিয়ে নাচ চিরকাল

তোমার মনেই বিধৃত ইহকাল পরকাল৷

(৩)

রামের আবাস

পত্রিকা প্রতিনিধি

এক বালককে তার মাস্টার মশাই শিখিয়েছিলেন বড়দের প্রণাম করতে হয়৷ সরলমতি বালক একদিন মায়ের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গিয়ে দেখে নদীর তীরে একটি বড় কুমির শুয়ে আছে৷ এত বড় কুমির দেখে বালকটি বললে---‘কুমির ভাই প্রণাম৷’

কুমির---‘তুমি আমায় প্রণাম করলে কেন? ’

বালকটি উত্তর দিলো---‘তুমি তো আমার চেয়ে অনেক বড় তাই তোমায় প্রণাম করলুম’৷

কুমির---‘দেখো আমার চেয়ে নদীটা অনেক বড়৷ এই নদীতে আমার মত আরও অনেক কুমির আছে, তুমি এই নদীটাকে প্রণাম করো’৷

বালক কুমিরের কথামতো নদীকে প্রণাম করলো৷

সার্বিক কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে অর্থনীতিকে বিকেন্দ্রিত পথে বিকশিত করতে হবে

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

দিশাহীন অর্থনীতি কলুসিত রাজনীতির প্রভাবে সামাজিক অর্থনৈতিক সংরচনা ভেঙে পড়েছে৷ ক্রমবর্ধমান বেকারীর জ্বালায় যুব সমাজ অস্থির৷ পুঁজিপতি নিয়ন্ত্রিত সরকার অক্ষম সমস্যার সমাধানে৷ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি জীবনদায়ী ঔষধের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারে হাহাকার পড়েছে৷ আর্থিক বিকাশের সব পথ রুদ্ধ৷

প্রাউটের দৃষ্টিতে সামগ্রিকভাবে মানব জাতির উন্নতি করতে হলে প্রথমেই মানুষের প্রাথমিক চাহিদাগুলি--- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে হবে প্রতিটি মানুষের জন্যে৷ মানুষের এই প্রাথমিক চাহিদার পূর্তি না হলে আর্থিক বিকাশ সম্ভব নয়৷

ভারতে দেশ সেবক নেই সবাই নেতা তাই জনমত কে ভয় পায়

প্রভাত খাঁ

সংবিধান ও আইন মতাবেক যদি আদালতে কোন মামলা রুজু হয় সেই মামলার রায় দানের আগে কেউই এমন কি যারা শাসনে আছে তাদেরও অধিকার নেই সেই বিষয়ে কোন নোতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার পরিবর্তন ঘটানো৷ সেটাই করে বসলো বর্ত্তমান কেন্দ্র সরকার৷ দেখা গেল বর্তমানে কেন্দ্রের দুর্বল ‘লেমডাক’ সরকাৱ এন.ডি.এ৷ বিজেপি ও দুটি বাহিরের দলকে সঙ্গে নিয়ে শাসনে এসেছে! সেই দল হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানীর অপেক্ষায় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অপেক্ষা না করে কমিশনার নিয়োগ করেন৷ কেন্দ্র সরকার একেবারে অসম্মানজনক ও অশোভন কাজ করে বসলেন! কেন এটা সরকার করলেন সচেতন প্রবীন নাগরিকদের এটা বড় প্রশ্ণ!

প্রাউটের দৃষ্টিতে বিশ্বায়নই একমাত্র পথ

প্রবীর সরকার

মানুষই পারে স্রষ্টার সৃষ্টিকে সার্থক করতে কিন্তু সেই কাজটি করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে ও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে৷ এই মহান কর্মের বাস্তবায়নের বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিপূর্ণ পথ নির্দ্দেশনা দিয়েছেন প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার৷

আঞ্চলিকতার পথ ধরে বিশ্বায়নের পথে এগুতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবসমাজকে৷

প্রথমেই বলতে বাধ্য হচ্ছি এই যে বিশ্বায়ন এটা হলো এক মহান প্রচেষ্টা যেখানে সকলে এক হয়ে চলার প্রয়াসে রত থাকবে৷

বাঙলা ভালো নাই

সাক্ষীগোপাল দেব

ওপার বাংলা কেমন আছো?

এপার ভালো নাই,

ভায়ে ভায়ে বেশতো ছিলাম

(আজ) ভিন্ন ভিন্ন ঠাঁয়৷

বাংলা মায়ের কোল ছাড়া আজ

থাকি দূরে দূরে

কেন হলাম ছন্নছাড়া---

কেন গো ভবঘুরে৷

নদী, পাহাড় সবই ছিল

ছিল সাগর ঝর্ণা,

শস্য শ্যামলীমায় ভরা

মা ছিল সম্পূর্ণা৷

কোথায় গেল সে সব সুদিন

গোলাভরা ধান,

পুকুরভরা মাছের খেলা

বরজভরা পান৷

হায়রে কারা করল এমন

দেশের সর্বনাশ,

ঘর থাকতেও ঘর হারিয়ে

দেশান্তরে বাস৷

আর কতকাল রইবে ঘুমে

বাংলার সন্তান,

ফুল ফোটে তোমার তরে

কৌশিক খাটুয়া

কত শত কুঁড়ি ফুল হয়ে ফুটে

 কত ফুল যায় ঝরে,

ফুল ফুটে শুধু ঝরিবার তরে

 যা’ ছিল উজাড় করে৷

সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি

 সৃষ্ট সকল ফুল,

রূপে গুনে তার মুগ্দ জগত

 নাই তার সমতুল৷

কল্যাণকর কাজে নিয়োজিত

তোমার সেবায় হাসে দুর্গত,

তুষ্ট তারা, যারা নিপীড়িত

বিশ্ববিধাতা তাই এত প্রীত!

 যা’’ কিছু তোমার আছে বৈভব

 বিধির চরণে দিলে অকাতরে

এক শুভদিনে মাহেন্দ্রক্ষণে

ঠাঁই পরমপিতার স্নেহময় ক্রোরে,

 মানব জনম সার্থক করে!

সাজানো পৃথিবী মিলন মেলা

সবাই প্রিয়জন নয় অবহেলা,

গাজনের গপ্পো

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

শিব নাকি শ্রাবণ মাসে জন্মেছিলেন৷ আর বিয়ে করেছিলেন চৈত্র মাসের শেষের দিকে৷ বিয়ে হয়েছিল নীল চণ্ডিকার সঙ্গে৷ তাই চৈত্রমাসের শেষে হিন্দু নারীরা নীলের উপোস করে৷ আর তার সঙ্গে গাজন উৎসব শুরু হয়৷ শিবের বিয়ে উপলক্ষে সন্ন্যাসীরা ছিলেন বরযাত্রী৷ বরযাত্রীরা মাঝে মাঝে গর্জন করতেন৷ সেই গর্জন থেকে ‘গাজন’ শব্দের উৎপত্তি৷

না, শিবের বিয়ে নীল চণ্ডিকার সঙ্গে হয়নি৷ শিবের বিয়ে প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি বলেছেন---‘সেকালে বহু বিবাহের প্রচলন ছিল৷ শিবেরও তিন স্ত্রী ছিলেন৷ আর্যকন্যা পার্বতী, অনার্য কন্যা কালী, আর মঙ্গোলীয় কন্যা গঙ্গা৷’ (তন্ত্রই সাধনা সাধনাই তন্ত্র)