প্রবন্ধ

অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শোষণ মুক্তির আন্দোলন জরুরী

প্রবীর সরকার

ভারত একটি দেশ নয়–ভারত যুক্তরাষ্ট্র৷ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রে ও রাজ্যে পৃথক রাজনৈতিক দল শাসন ক্ষমতায় থাকতে পারে৷ তাই যুক্ত রাস্ট্রীয় কাঠামোতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে অবশ্যই একটি সৌভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকাটা আবশ্যিক৷ আমাদের সংবিধানে অবশ্যই তার নির্দেশনা দেওয়া আছে৷ আজ পরিবর্ত্তনশীল জগতে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটছে৷ তাই কেন্দ্র–রাজ্যের সম্পর্ক, কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ও বিভিন্ন ব্যাপারে বিশেষ করে নোতুন নোতুন যেসব সমস্যার উদ্ভাবন হচ্ছে তার সমাধান কল্পে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিপূর্ণ পথকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে উভয় পক্ষকে৷

সমবায়ের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গণমুখী করতে হবে

প্রবীর সরকার

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করা হয়৷

আজ এই দুটিই উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যে নতুন ভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে

প্রভাত খাঁ

যদি গভীরভাবে চিন্তা করা যায় তাহলে অবাক হতে হয় এই বিশাল ভারত দীর্ঘ ৭৭ বছরের মধ্যে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে!

আদর্শ নেতা হতে গেলে কী প্রয়োজন

এইচ.এন. মাহাত

অতীতে ভারতের রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা একটি সঠিক আদর্শের মধ্যে দিয়ে চলার চেষ্টা করতো-সেটা ভুল বা ঠিক হোক৷ আমরা ভারতের স্বাধীনতায় আত্মবলিদানের মত সংগ্রামী বিপ্লবীদেরও দেখছি৷ আবার এই বিপ্লবীদের মধ্যেও মিরজাফর বা বিশ্বাসঘাতকেরও দেখেছি৷ এদের সংখ্যাটি খুবই নগণ্য ছিলো৷ আমরা প্রফুল্ল চাকী বা ক্ষুদিরামের মত কিশোর বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ দেখেছি তেমনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রেরণা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু’র মত নিষ্ঠাবান দেশভক্তি আমাদের কাছে অতিবিরল সম্পদ৷ তাই এইসব শ্রদ্ধাস্পদ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যষ্টিদের জীবনাদর্শই অনুসরণযোগ্য৷

আমার আচার্যদেব

সুভাষপ্রকাশ পাল

কাকুর সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার পর একবৎসর অতিক্রান্ত হয়েছে৷ একদিন হঠাৎ মীরবাজার কলেজ মেশে একটি কমবয়সী ছেলে এসে খবর দিল--- আমার যে কাকা সন্ন্যাসী হয়েছেন তিনি বিশেষ কাজে জগন্নাথ মন্দিরচকে অবস্থিত মেদিনীপুর আনন্দমার্গ স্কুলে এসেছেন৷ আমার সঙ্গে দেখা করতে চান, আমি সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে আনন্দমার্গ স্কুলে রবানা হলাম৷ ইতিমধ্যে নানা প্রয়োজন আমি বেশ কয়েকবার ঐ স্কুল তথা আশ্রমে গিয়েছি ও ওখানকার আশ্রমের অধ্যক্ষ আচার্য বিজয়ানন্দ অবধূতের সঙ্গে পরিচয় পূর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ হয়েছে৷ আশ্রমে পৌঁছেই দেখি গেরুয়া বসন পরিহিত গোঁফ-দাড়ি, জটাজুট সমন্বিত এক নবীন সন্ন্যাসী হাসিমুখে গেটের সামনে যেন আমারই আগমনের প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে আ

আমার বাঙলা

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর, খনিজ সম্পদ---প্রাকৃতিক সম্পদের একটা বড় ক্ষেত্র হচ্ছে খনিজ সম্পদ৷ খনিজ সম্পদে বৃহৎবঙ্গ বাঙালীস্তান বিপুলা, ঐশ্বর্যশালিনী---লোহা তামা, ম্যাঙ্গানিজ, জিপসাম,সীসা, ক্রোমাইট, ডলোমাইট, বক্সাইট, সোনা, রূপা, কয়লা, গ্রাফাইট, পেট্রোলিয়ম, গ্ল্যাস-স্যাণ্ড, লবণ , পটাসিয়ম , জিঙ্ক, ম্যাগ্ণেসাইট, জিরকণ, সিলিমাইট, ইউরেনিয়ম, থোরিয়ম, কায়োনাইট, চীনামাটি, এ্যাস্বেটস, ব্যারাইটা মাইকা, উলফ্রাম, কোয়ার্টজ , সোপষ্টোন , ফায়ার ক্লে, চুনাপাথর, কেওলিন সবই রয়েছে বৃহৎ বঙ্গে৷ বলাবাহুল্য, বঙ্গ-মহাভূমির মত একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে এতো খনিজের বিপুল ভাণ্ডার ভারতের অন্যান্য রাজ্য কেন, সারা বিশ্বেই কমই আছে৷

কলকাতার কাহিনী

ইণ্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ইংরেজরা যখন এই দেশ দখল করেন তখন কলকাতা ছিল সুন্দরবনের উত্তর প্রত্যন্ত অংশ৷ মারাঠা আক্রমণের হাত থেকে কলকাতাকে বাঁচানোর জন্যে ইংরেজরা কলকাতার উত্তর–পূর্ব দিকে একটা খাল কেটেছিলেন যা ‘মারাঠা ডিচ্’ নামে পরিচিত৷ এই মারাঠা ডিচের সঙ্গে টলী সাহেব আদি গঙ্গাকে সংযুক্ত করে দেন৷ প্রাচীনকালে এই আদি গঙ্গা ছিল গঙ্গার মূল প্রবাহ ও সে বহে চলত বারুইপুরের মহাপ্রভুডাঙ্গার পাশ দিয়ে ছত্রশালের দিকে৷ মহাপ্রভু খড়দায় ভাগীরথীকে ডান হাতে রেখে বারুইপুরে বর্তমান মহাপ্রভুডাঙ্গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ছত্রশালের কাছে গঙ্গা পার হয়ে পৌঁছুতেন শ্যামপুর৷ তারপর গোপীবল্লভপুরের পথ ধরে যেতেন পুরীর দিকে৷ এই টলী সাহেবের নামেই খালের এই

জীবনের জন্যে বৃক্ষায়ন জরুরী

পত্রিকা প্রিতিনিধি

ইতিহাসের শুরু থেকেই জীবজগতে গাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷ বিশ্বের অধিকাংশ প্রজাতির প্রাণীর জন্যে গাছ খাদ্য যোগাচ্ছে, এদেরকে আশ্রয় ও ছায়া দিচ্ছে৷ বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১০ মিলিয়ন জাতের গাছ রয়েছে৷ স্থলে ও জলে সর্বত্রই এরা গজিয়ে উঠছে, বংশবিস্তার করছে৷ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এদের অবস্থান সীমাহীন৷ গাছবিহীন পরিবেশে জীবন প্রায় অসম্ভব, দুর্বিষহ৷ গাছ আবহাওয়াকে বিশুদ্ধ রাখে, শান্ত রাখে৷ দিনের বেলা গাছ আলোক সংশ্লেষণ করে৷ তখন যারা কার্বন–ডাই–ক্সাইড প্রতিনিয়ত নির্গত করে বাতাসকে দুষিত করছে, তার অধিকাংশই গ্রহণ করছে গাছপালা৷ এর পরিবর্তে মানুষের অ

গণতন্ত্রে সকলের জন্যে সব দরজা খোলা থাকাটাই সকলের কাম্য

প্রবীর সরকার

প্রশাসনিক ব্যর্থতা বিশেষ কোন মন্ত্রীর হয় না৷ যেহেতু যৌথ দায়িত্ব থাকে ক্যাবিনেটের তাই নিয়ম হিসাবে ব্যর্থতা বা সার্থকতার দাবিদার হয় সরকার সামগ্রিকভাবে৷ বর্তমানে যে চরম দ্রব্যমূূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে সারা দেশে, যে চরম বেকার সমস্যায় সারা দেশ ধুঁকছে, আইন–শৃঙ্খলার যে অবনতি, উগ্রপন্থী কার্য চরমে উঠেছে, এর জন্যে মূল দায়িত্ব বর্তায় সরকারের ওপর৷ এর জন্যে বিশেষ কোন মন্ত্রী দায়ী থাকেন না৷ কেন্দ্রে ও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে মন্ত্রী কাজ করে থাকেন৷ তাই সব ব্যাপারে সরকারই দায়ী হন৷ গণতন্ত্রে সেবার সুযোগ পাবে দেশের সকল মানুষ৷ এ ব্যাপারে জাতপাত, নারী–পুরুষ, বিভিন্ন ধর্মমতের বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানু

ধনকুবের মিঃ ট্রাম্প শোষক বন্ধু নয় ভারতের এটা স্মরণে রেখে চলা উচিত

প্রভাত খাঁ

বর্তমান বিশ্বের যে অর্থনৈতিক অবস্থা সেটি মূলতঃ আশাপ্রদ নয়৷ সব দেশগুলিই যেন সার্বিক উন্নয়নে ব্যর্থ৷ আমেরিকা নাকি সবচেয়ে ধনী দেশ সে দেশের বর্তমান শাসক প্রধান মিঃট্রাম্প তো ঘোষনাই করেছেন যে দেশ ঋণে আক্রান্ত ও ঘাটতি দেশ! তাই তাঁর মূল কাজ হলো নতুন আমদানীর শুল্ক নীতি সারা পৃথিবীতে যারা সে দেশের সঙ্গে কারবার করবে তিনি ১৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ যে দেশের অর্থমূল্য আমদানী কর বসাবেই৷ তাছাড়া যদি যে দেশ বাণিজ্য করতে আসে সে দেশের সঙ্গে তারা যে কর বসাবে তার প্রেক্ষিতে আমেরিকাও কর বসাবে পুনরায়৷ তাছাড়া তাদের ডলারের অর্থমূল্যটাই হবে হিসাবের কেন্দ্রবিন্দু৷