প্রবন্ধ

ঋষি অরবিন্দ স্মরণে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

১৫ই আগষ্ট ১৯৪৭৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা তথাকথিত ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন তথা ভারতআত্মাকে খণ্ড–বিখণ্ড করার দিন আবার অপরদিকে বাঙলার বুকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ঋষি অরবিন্দের আবির্ভাব দিবস৷ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে দুই তাৎপর্য্যপূর্ণ ঘটনা৷

শ্রী অরবিন্দ জড়বাদী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আই.সি.এস. চাকরি পরিত্যাগ করে বৈপ্লবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতের মুক্তি সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করার এক বিরল দৃষ্টান্ত৷

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আর চবিবশের গণ অভ্যুত্থান -- এ দুইয়ের পার্থক্য কোথায়?

সুকুমার সরকার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আর চবিবশের গণ অভ্যত্থানকে আন্দোলনকারীরা সমার্থক বললেও, এ দুইয়ের মধ্যে অনেক ফারাক আছে৷ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালিদের সঙ্গে অবাঙালি শাসক-শোষকের লড়াই৷ চবিবশের গণ অভ্যত্থান বাঙালি শাসকের সঙ্গে বাঙালি বিক্ষোভকারীদের লড়াই৷ লড়াই একজন উন্নয়নকামী সরকার প্রধানের সঙ্গে উন্নয়ন বিরোধীদের লড়াই৷ চবিবশের গণ অভ্যত্থান যাঁর বিরুদ্ধে তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্থপতি মুক্তিযুদ্ধের হোতা শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা, যিনি নিজেও অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছিলেন আপোষহীন৷ তার সুফলও ফলেছে বাংলাদেশে৷ রাস্তাঘাট, সেতু, শিক্ষা, চাকরি সবেতেই গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ছাপ পড়েছে৷ অন্যদিক

দলতান্ত্রিক সরকার দেশকে কঠিন অবস্থায় এনেছে তাই নাগরিকগণ আরো সচেতন হোন

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে স্বদেশী শাসন চলছে এদেশে৷ যাঁরা শাসনে আছেন তাঁরা একাধিক দলতন্ত্রের ধারক ও বাহক৷ দলীয় রাজনীতিটাই হলো সেই গণতন্ত্রের নামে নানা মতাদর্শের নামাবলি গায়ে৷ নানা দলের জোটবদ্ধ সরকার আর স্বার্থের লড়ালড়ি আর খেয়োখেয়ীতে মত্ত৷ অন্যদিকে দেশবাসীর সিংহভাগ মানুষই চরম ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কেন্দ্রীভুত মারাত্মক শোষণের চরম যন্ত্রণায় কাতর! এ যেন আর দেখা যায় না! চরম মিথ্যাচারিতা আর দুর্নীতির আড়ৎ হয়ে দাঁড়িয়েছে খণ্ডিত ভারত যুক্তরাষ্ট্র! আজ জাতীয় সব দলই ধবংস হয়েছে বর্তমান দলগুলো তাদের খণ্ডিত অংশ নানা নামে হাজির!

হে বিশ্বকবি, লহ প্রণাম

পত্রিকা প্রিতিনিধি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমনই এক বিশ্ব বরেণ্য কবি যিনি পৃথিবীর দুটি মহান রাষ্ট্রের যথা ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা৷ এই জাতীয় সঙ্গীত রচিত হয় মহান বাংলা ভাষায়৷ কবি পৃথিবীর আলো দেখেছেন গত ১৮৬১ সালের ২৫শে বৈশাখ কলিকাতার ঠাকুর পরিবারে জোড়াসাঁকোর বাড়িতে৷ পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর আর মাতা ছিলেন সারদাদেবী৷

বহিরাগতের আগ্রাসন থেকে বাঙলাকে বাঁচাতে হবে

তপোময় বিশ্বাস

জনৈক ইউটিউবারের (পড়ুন ফুড ব্লগার) সমাজ মাধ্যমে আপলোড করা এক ব্লগিং ভিডিওতে তিনি বলছেন ‘বাঙলাতে বিহারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করলে সমস্যাটা কোথায়? সবাই খেটে খাওয়া মানুষ, প্রত্যেকের কাছে ভারতের নাগরিকত্ব রয়েছে৷’

খাদ্য, পানীয় জল ও জ্বালানীর অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে

প্রবীর সরকার

এই নদী মাতৃক রাজ্যে কেন এতো জলের অভাব–এই প্রশ্ণের উত্তর খুঁজতে বেশীদূর যাওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না৷ তাছাড়া এই পশ্চিমবঙ্গে এককালে কত যে খালবিল, বড় বড় পুষ্করিণী, হ্রদ ছিল তা বলার নয়৷ অতীত কালে রাজারা ও বড় বড় জমিদাররা পুণ্য কর্মের নামে জলাশয় খনন করে প্রজাদের জলের অভাব মিটিয়ে গেছেন৷ কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায় অনেক খাল বিল, নদী–নালা এমন কি পুষ্করিণী সংস্কারের অভাবে মজে গেছে৷ ফলে বৃষ্টির জল ধারণের ক্ষমতা ওই সব জলাশয়ের একেবারেই নেই৷ তাই ঈশ্বরের আশীর্বাদ স্বরূপ যে বৃষ্টিধারা বর্ষায় ও অন্য ঋতুতে বর্ষিত হয় তার অধিকাংশই সমুদ্রে গিয়ে মেশে৷ ফলে বর্ষার কয়েক মাস পরেই দারুণ জলের অভাব হয়৷ চাষাবাদের জল,

গণপিটুনি, গণহত্যা ও কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

আমাদের রাজ্যে ইদানিং বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে৷ তাতে কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ কোথাও ছেলেধরার গুজব রটিয়ে কোথাও বা আবার চোর সন্দেহে পেটানো হচ্ছে৷ ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা না করে নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, যা সত্যই উদ্বেগজনক৷ পুলিশ প্রশাসনের উপর অনাস্থার কারণে এ ধরনের আচরণ কতিপয় মানুষ করছে, নাকি

 রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কলুষিত করার জন্য কোনো চক্রান্ত চলছে রাজ্য প্রশাসনের তা ভালো ভাবে ভেবে দেখা দরকার৷

আমার বাঙলা

একর্ষি

প্রথম-পর্ব

প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত বাংলা ও বাঙালী গ্রন্থে লিখেছেন---‘‘আমরা পৃথিবীর--পৃথিবী আমাদের দেশ৷ আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোট গ্রহটা আছে, সেই পৃথিবীর এক কোণে বাঙালী নামে জনগোষ্ঠী আছে৷’’ পৃথিবীর সেই কোণটা আমার বাঙলা---বাঙালীস্তান৷ বাঙালীস্তানের কথা শোনাবো সবাইকে ডেকে ডেকে৷

আনন্দমার্গ এক ব্যতিক্রম

সুভাষ প্রকাশ পাল

পাঁশকুড়া ব্রাডলিবার্ট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রীবনমালি সামন্ত শুধু ছাত্রদরদী শিক্ষক ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন পরহিতৈষী সমাজসেবক৷ পাঁশকুড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের স্কুল, কলেজ, ক্লাব বা যে কোন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সদাহাস্যময়, মিতভাষী ও অকৃতদার বনমালিবাবুর ডাক পড়বেই৷ তাঁকে অতিথি হিসাবে পেলে সবাই খুশী হতেন৷ আনন্দমার্গের যে কোন অনুষ্ঠানে বিশেষ করে আনন্দমার্গ স্কুলগুলির বার্ষিক অনুষ্ঠানে জরুরী কোনরকম কারণ না থাকলে তাঁকে অবশ্যই পাওয়ার সুযোগ হত৷ স্কুলে এলেই আনন্দমার্গ প্রকাশিত বইগুলি সংগ্রহ করতেন, নুতন কোন বই প্রকাশিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি পাওয়ার জন্য অর্ডার দিতেন, যখনই সম

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

পত্রিকা প্রিতিনিধি

সমাজ, ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে বাঙলা একদিন উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করেছিল সেই বাঙলাতে আজ সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে৷ বাঙলার যুব সমাজের সামনে খোলা আছে দারিদ্র, বেকারী, অনাহার ও সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতা৷ একদিকে রক্তপিশাচ পুঁজিপতির দল রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষকে শোষণ করে দিন দিন স্ফীতকায় হয়ে উঠছে দুর্নীতি, কালোবাজারী ও মজুতদারিতে ছেয়ে গেছে জীবনের সর্বস্তর–অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতারা নোংরা দলীয় রাজনীতির পঙ্কিল আবর্ত্তে পতিত স্বার্থলোলুপতা, আদর্শভ্রষ্টতা ও ব্যভিচারে আজ বাঙলার নেতৃত্ব শক্তি কলুষিত ও বিপথগামী৷