April 2025

ওরা দু’পায়ে দলে, মরণ শঙ্কারে, সবারে ডেকে গেল শিকল ঝংকারে

মনোজ দেব

১৮ই এপ্রিল ১৯৩০-বাঙলার সশস্ত্র বিপ্লবের ইতিহাসে রক্তের অক্ষরে লেখা একটি দিন৷ না, সভা-সমিতিতে জ্বালাময়ী বত্তৃণতা দিয়ে নেতা হওয়ার জন্যে নয়, মাতৃভূমির মুক্তির জন্যে আত্মত্যাগের এক দুর্লভ ইতিহাস৷ সাম্রাজ্যবাদী অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসককে যোগ্য জবাব দিতে বাঙলার ঘরে ঘরে তখন নবজীবনের সাড়া৷ একতরফা মার খাওয়ার দিন শেষ৷ সাম্রাজ্যবাদী বিদেশী শাসককে এবার যোগ্য জবাব দিতে হবে৷ পরাধীনতার যন্ত্রণা জাগিয়ে তোলে বাঙলার সুপ্ত যৌবনকে৷ নেতৃত্বের লোভে নয়, দেশের জন্যে স্বাধীনতার জন্যে আত্মত্যাগের, জীবন উৎসর্গের প্রতিদ্বন্দ্বিতা---‘আগে কে বা প্রাণ করিবেক দান, তারই লাগি কাড়

শৈব বাঙলায় বহিরাগত বিকৃত সংস্কৃতি বাঙলায় হিংস্র সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তি

প্রাউটিষ্ট

বাংলার কৃষ্টি সভ্যতা সংস্কৃতি আজ চরম সংকটের সম্মুখে৷ বাংলা সালের শেষ মাসের শেষ দিন৷ বছরের এই সময়টা বাংলা উত্তাল থাকে শিবের গাজনে৷ গর্জন শব্দ থেকে গাজন শব্দটা এসেছে৷ বছরের এই সময়টা বাঙলার সাধারণ মানুষ চৈত্র গাজনে মেতে থাকে, কিন্তু এবার নববর্ষের ক’দিন আগে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র হাতে রাম রাম (বিকৃত হয়ে কানে বাজছিল ভাম ভাম) চিৎকারে যে লুম্পেন নাচ চলল তা একথায় বলা যায়, বাংলা ভাষা সংস্কৃতির উপর গণধর্ষণ৷ অবাক লাগল যারা এই নৃত্য করল তারা অধিকাংশই ভিনরাজ্যের,দাঁড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল মূলতঃ বাংলা ভাষী মানুষ৷

বিদ্বেষ বিষে জর্জরিত রাজনীতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

একজন প্রাক্তন আর এস এস নেতা বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন আর এস এস ও বিজেপি দলটা চরম বাঙালী বিদ্বেষী৷ দিল্লির ক্ষমতায় মোদি বসার পর থেকে বিজেপির বাঙালী বিদ্বেষী চরিত্রে আর কোন রাখ-ঢাক নেই, দিন দিন নগ্ণ হয়ে পড়ছে৷ এমন কি যদি কোন দিন বিজেপির স্বপ্ণের হিন্দু রাষ্ট্র গঠিত হয়, সে রাষ্ট্রে হিন্দু বাঙালীরও স্থান হবে না৷

সাম্প্রদায়িকতা বিনাশের ও আর্থিক মুক্তির পথ প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক বিশাল দেশ৷ এর প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৫২১টির অধিক পঞ্চায়েত আছে৷ আর প্রায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০টিরও অধিক গ্রাম আছে৷ সেই অনুপাতে বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক পরিবেশ এক নয়, মরুভূমি, পার্বত্য এলাকা, অসমানতা, সমতলভূমি, বনাঞ্চল, উর্বর, অনুর্বর ভূমি আছে৷ বিভিন্ন এলাকার নানা প্রাকৃতিক কারণে নানা ধরণের বনজ, কৃষিজ, খনিজ সম্পদ আছে৷ নানা ভাষাভাষীর ভাইবোনেরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কালাতিপাত করেন৷ প্রতিটি পঞ্চায়েত ও গ্রামকে আর্থিক দিক থেকে স্বয়ংভর করে’ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কংগ্রেসী আমলে ব্লক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়৷ আঞ্চলিক ভিত্তিতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত পরিকল্পনাকে যদি জোর দেওয়া হয় তাহলে ম

ধূমপান অতি বিপজ্জনক

যোগাচার্য্য

ধূমপান করা যে কত বিপজ্জনক তা শুনে ধূমপায়ীরা আঁতকে উঠবেন৷ ব্রিটেনের রয়েল কলেজ অব্ ফিজিসিয়ান্স্ (Britain's Royal College of Physicians) ধূমপানের কুফল সম্বন্ধে যে সকল সত্য উদ্ঘাটিত করেছেন তা সত্যিই উদ্বেগজনক৷

ধূমপানের বহু মারাত্মক রোগের বহুল প্রমাণ এইসব রিপোর্টে দেখান হয়েছে৷ যেমন ঃ ফুসফুসে ক্যানসাব, হূদরো, ব্রঙ্কাইটিস্(Broncuitis) অর্থাৎ শ্বাসনালীর ঝিল্লীর প্রদাহজনিত রোগ বা কফ্ রোগ, পরিপাক যন্ত্রের বিভিন্ন রকম রোগ (যেমন ঃ পরিপাকযন্ত্রে ঘা(Peptic ulcer) ইত্যাদি৷

নববর্ষের শপথ

কৌশিক খাটুয়া

শুধু আত্ম মোক্ষ নয়কো কাম্য

ভেদাভেদ হীন সমাজে সাম্য

 গড়িতে এসেছি আজ,

জগদহিতার্থে যাহা করণীয়

মরন সেথায় হোক বরণীয়

 রণং দেহি সাজ!

আর ঘুম নয়, হোক জাগরণ

স্থিতিশীল হয় যেন আমরন

পূব দিগন্তে নবীন সূর্যোদয়,

 সুষ্ঠু সমাজ গড়িবার দায়

 সৎ মানুষের পর বর্তায়

মাথার উপর স্রষ্টার বরাভয়৷

শোষন মূক্ত মানব সমাজ

ভ্রাতৃপ্রীতির স্থায়ী বিরাজ

 অনুশাসনের ধারাগুলি

 পায় যেন মান্যতা,

কোমলে কঠোরে হৃদয়ে সুপ্ত

 মানবিক উদারতা!

বুদ্ধির জগতে বোধির জগতে

 মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব,

নব অভিযান

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বিষাক্ত কন্টকপথে পণ করে’ প্রাণ

শুরু হলো আমাদের নব অভিযান৷

মান নেই, খ্যাতি নেই,

নেই সমর্থন---আছে জ্বালা,

আছে ব্যঙ্গ ---সহস্র বন্ধন৷

শুভ কাজে যত শুনি তিক্ত অপবাদ

অট্ট হেসে তত পাই রোমাঞ্চের স্বাদ!

ড্রাগনেরা ঘিরে আছে প্রগতির পথ

সংগ্রামে প্রস্তুত আছি---নিলাম শপথ৷

জীবন-সংকটে কভু হটবোনা পিছে,

পেয়েছি অভ্রান্ত পথ মৃত্যুভয় মিছে!

মাঝপথে যদি নামে দুর্র্যেগের রাতি,

যদি ওঠে ক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝা নাহি রয় সাথী

আমাদের অভিযান থামবে না তবু---

তিলে তিলে দেবো প্রাণ

দমবো না কভু৷৷

জীবন দায়ী ঔষধ, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, আতঙ্ক উচ্ছাস আবেগের আড়ালে মধ্যবিত্তের ঘাড়ে কোপ

কেন্দ্রীয় সরকার জীবনদায়ী ঔষধের মূল্য এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়েছে৷ এবার অকস্মাৎ গ্যাসের দাম সিলিণ্ডার প্রতি ৫০ টাকা বাড়ানো হলো৷ শাক সবজির দাম কিছুটা কম থাকায় মধ্যবিত্তের হেঁসেলে যে স্বস্তি ছিল তাও এবার বিলীন হলো৷

আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদান নিয়ে সেমিনার

গত ৯ই এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত দর্শন, নব্য-মানবতাবাদ এবং আর্থ-সামাজিক তত্ত্বে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজির্ অবদান বিষয়েএক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এই আলোচনায় ‘দর্শন, নব্য-মানবতাবাদ ও আর্থ-সামাজিক তত্ত্বে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজির্ অবদান’ শীর্ষক আলোচনায় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷

আনন্দমার্গের নিষ্ঠাবান সাধক ও ত্যাগব্রতী কর্মী আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত পরলোকে

গত ৫ই এপ্রিল আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সর্বত্যাগী কর্মী আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে সকাল ৮টা ৫মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ তাঁর দেহত্যাগের খবরে মার্গীমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত আদর্শ পরায়ণ নিষ্ঠাবান কর্মী ছিলেন৷ তিনি নিজেকে মার্গের আদর্শের প্রচারে ও মার্গের বহুবিধ কাজে সম্পূর্ণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনি মার্গের সকলের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন৷