সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
আজকের স্বাধীন ভারতের নিত্যদিনের ঘটনা দুটি৷ (এক) মহিলা, কিশোরী ও শিশু কন্যাদের ওপর পাশবিক হেনস্তা৷ (দুই) ডোমেষ্টিক ভায়োলেন্স৷ এই উপদ্রবদুটি গোটা দেশব্যাপী এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিরূপে অবস্থান করছে৷ শুধু তাই নয়–বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় জ্যামিতিক হারে ওই শক্তিমানরা তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছে৷ তাই পত্র পত্রিকা ও বৈদ্যুতিন মিডিয়ার স্যুইচ ওপেন করলেই উক্ত খবর দুটি থাকবেই৷ তাই ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যে ভারতের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ যেন পাগলা ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসেছে৷ এর শেষ কোথায় তা কারও জানা নেই৷
ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক শোষণই হ’ল সব ব্যর্থতার মূল কারণ৷ মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষ কোন মতাদর্শের ধার ধারে না৷ তারা দু’মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে চায়৷ সেই স্থানে যদি শোষণ ও বঞ্চনা হয় তাহলে তারা অবশ্যই রুখে দাঁড়ায়৷ দেশে দেশে শোষণের ছলাকলার পরিবর্ত্তন ঘটিয়ে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিশ্ব কব্জা করেছে৷ এমনকি যারা ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সময়ে বড় বড় কথা বলে জনগণকে নিজেদের দিকে টেনে এনেছিল, শেষে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা তাদের ওই ধনতন্ত্রের অক্টোপাশের বন্ধনেই আবদ্ধ করে ফেলে৷ তাই রাশিয়া ও চীন সেই ধনতন্ত্রেরই পায়ে ফুল দেয়৷ আর চীন মিথ্যাচারিতা করে কমিউনি
বর্তমান সমাজে যে সার্বিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে তাকে মোকাবিলা করতে হবে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবেই৷ তা না করে যদি কেবল পৃথক পৃথক ভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিবাদ ও মিছিল করা হয় তাতে কাজের কাজ হবে না৷ গোটা দেশে বিদেশী ইংরেজের শোষণের বিরুদ্ধে যে ঐক্যবদ্ধ তীব্র আন্দোলন হয়েছিল সেই আন্দোলনের ফলে ইংরেজ শোষক বুঝে নেয় যে তাদের শোষণ আর চলবে না৷ তারা চিন্তা করতে থাকে কি ভাবে প্রতিবাদী শক্তিকে প্রতিহত করবে৷ কিন্তু এমনই একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ফলে যাতে ইংরেজ বাধ্য হয় এদেশ ছেড়ে যেতে৷ কিন্তু তারা রেখে যায় তাদের এজেন্টদের৷ সেই এজেন্টরাই আজ দীর্ঘ ৭৭ বছর দেশ স্বাধ
ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের মূলতঃ সূত্রপাত হয়েছিল সিপাই বিদ্রোহ থেকে৷ এছাড়াও ছোটোখাটো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তার আগে হলেও সাংঘাতিকভাবে জনমানসে তা দানা বাঁধেনি৷ তাই তাকে স্বাধীনতার আন্দোলন বলে ধরা হোতো না, যেমন চুয়ার বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, রানী রাসমণির নদীর মাছ ধরা নিয়ে জল কর বিদ্রোহ ইত্যাদি৷ ১৮৫৭ সালে সিপাই বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিলো কলকাতার ব্যারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে লাহোর সেনা ছাউনি পর্যন্ত প্রায় শতাধিক সেনা ছাউনিতে৷ ভারতীয় ব্রিটিশ বিরোধী সেনাদল ব্রিটিশ সেনাদের উপর একই সময়ে গুলি বর্ষনের মাধ্যমে আক্রমণ শুরু করে৷ এর ফল স্বরূপ পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর সেনা হতাহত হয়৷ এর মূল প্রেরণা ছিলেন একজন অর্দ
আমার এই দীন দুয়ারে
তোমার নিত্য আসা-যাওয়া
তবু কেন অশ্রু-ধারে
আকুল-ব্যাকুল পথ চাওয়া৷
বুঝিনা যে তোমার মরম
বিশ্বজুড়ে অপার লীলা
তোমার ভাবে বিভোর এ মন
দিবানিশি সারা বেলা৷৷
সংবাদে প্রকাশ ভারতে ১৩কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করছে৷ দারিদ্রসীমার ওপরে যাদের ধরা হয় সেখানেও ফাঁকি আছে৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীত অর্থনীতিতে সমাজে আর্থিক বৈষম্য থাকবেই৷ কিন্তু ভারতে সেই বৈষম্য আসমান জমিন ফারাক৷ তাই দারিদ্রসীমার ওপরের মানুষও খুব সুখে নেই৷ আর্থিক বৈষম্য দুর করতে হলে বর্তমান কেন্দ্রীত অর্থনীতির খোলনলচে পাল্টে সমাজের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে আর্থিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে৷
পৃথিবীর বুকে বহু মনীষী এসেছেন৷ তাঁদের মহান বাণীকে বিকৃত করে খণ্ড ক্ষুদ্র ব্যষ্টি স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু চালাক লোক নিজেদের সংকীর্ণ মতবাদকে তাঁদের বাণী হিসাবে চালিয়ে চলেছে৷ সেই কারণে নানা মতবাদে আজ পৃথিবী ভারাক্রান্ত হয়ে এক ভয়ংকর জ্বলন্ত অগ্ণিকুণ্ডের আকার ধারণ করেছে৷ সব কিছু যেন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ এই অগ্ণিগর্ভ অবস্থায় যিনি এলেন ও সমগ্র বিশ্বের মানুষ সহ জীবজন্তু, গাছপালাকে নোতুন করে অভয় বাণী দিয়ে গেলেন ও কিভাবে তারা সকলে সার্থকভাবে বিকশিত হবে তার পথ দেখিয়ে গেলেন তিনিই হলেন মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওরফে পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ তিনি ঘোষণা করলেন যে প
ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা বিভিন্ন ধর্মমতের বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্র্থৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷ এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!
যদিও পরমপুরুষ কালের পরিধির বাইরে তবুও তিনি যদি কালের গণ্ডিতে আবদ্ধ হন, তখন আমরা নোতুন কিছু পাই কি? পরমপুরুষ দেশ বা পাত্রেরও বাইরে কিন্তু এদের সংস্পর্শে তিনি যদি এসে গেলেন তাহলে কী হতে পারে?