November 2019

এন আর সি-র  অজুহাতে বাঙালী বিতাড়ন রুখতে ধর্মতলার সভা থেকে গণ আন্দোলনের ডাক ‘আমরা বাঙালী’র

এন আর সি-র অজুহাতে বাঙালী বিতাড়নের চক্রান্ত, রাজ্যে হিন্দীর আগ্রাসন,  রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলিকে পশ্চিমী পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া, কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালী বিদ্বেষী আচরণের প্রতিবাদে ১৬ই নভেম্বর ধর্মতলার রাণী রাসমণি রোডে ‘আমরা বাঙালী’ বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিল৷

ঝাড়খণ্ডেপ্রথম দফায় পাঁচ প্রার্থী ‘আমরা বাঙালী’র

রাঢ় বাঙলার অংশ ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ‘আমরা বাঙালী’ পাঁচজন প্রার্থী দিল৷ বাঙালী সংখ্যাগরিষ্ঠ ঝাড়খণ্ডে বাংলা ভাষা ও বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ‘আমরা বাঙালী’ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে৷ যে পাঁচ কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী দিয়েছে---খরসোঁয়া জেনারেল কেন্দ্রে জয়মোহন সর্দার, যুগশুলাই জেনারেল কেন্দ্রে মোহনলাল রজক, টাটানগর জেনারেল কেন্দ্রে গার্গী রায় বিশ্বাস, বহরাগড়া জেনারেল কেন্দ্রে কৃষ্ণচন্দ্র জানা ও ইচাগড় জেনারেল কেন্দ্রে ব্যাসদেব মাহাত৷

বিশ্বৈকতাবাদ দ্বারা ধর্মের প্রতিষ্ঠা

পরমসত্তা যখন প্রকৃতির বন্ধন থেকে মুক্ত, সেই অবস্থা হচ্ছে নির্গুণ আর বন্ধনযুক্ত পরমসত্তা সগুণ৷ সগুণেও আছে দু’টি বিভাগ–একটা তার রূপময় অস্তিত্ব আর অন্যটি অরূপ৷

মানুষের মধ্যে যে বুদ্ধি, বোধি, আমি–বোধ ঢ–ন্দ্রন্দ্বন্দ্বপ্তনু ইত্যাদি আছে এরা সব অরূপ৷ সেই রকম সগুণ ব্রহ্মেরও বুদ্ধি, বোধি ও আমি–বোধ অরূপ৷ সেইজন্যে সেগুলির কোনটাই আমরা দেখতে পাই না৷

উন্নয়ন পরিকল্পনা

প্রাচীন পৃথিবীতে  রাষ্ট্রিক ও বৈবসায়িক লেনদেনে প্রচলিত ছিল স্বর্ণমান৷ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বিত্তমান (bullion)  ছিল স্বর্ণের৷ তবে কোন কোন দেশে রৌপ্যও ছিল৷ যে সকল দেশে স্বর্ণমান ছিল তারা কেউ কেউ রৌপ্য বিত্তমানকে স্বীকৃতি দিত, কেউ বা দিত না৷ স্বর্ণমানের দেশ রৌপ্য–মানকে স্বীকৃতি না দিলে বিত্তমানগত তারতম্যের দরুণ মুদ্রাগত লেনদেন সম্ভব ছিল না৷ তাই সেই সকল দেশের মধ্যে বিনিময় বাণিজ্য (barter trade)চলত৷

‘‘কুরঙ্গ বদলে লবঙ্গ নিব, কুমকুম বদলে চুয়া,

গাছফল বদলে জাইফল পাব, বহেড়ার বদলে গুবা৷’’

এন আর সি ঃ সমস্ত বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধ হোন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

গত ১৬ই নবেম্বর ধর্মতলায় এন আর সি-র নামে কেন্দ্রের বাঙালী বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’র প্রতিবাদ সভায় অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর সহ বাঙালীস্তানের অর্থাৎ সমস্ত বাঙালী অধূ্যষিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা তাদের তীব্র বিক্ষোভ প্রকাশ করলেন৷ প্রতিটি বক্তাই যুক্তি ও তথ্য সহকারে তুলে ধরলেন, এই এন আর সি আসলে বাঙালী বিরোধী এক গভীর ও সুদীর্ঘ ষড়যন্ত্রের অঙ্গ৷ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে চলেছেন, এন আর সি আসলে বিদেশী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্ণিত করে তাদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া৷ এই বলে তাঁরা এন আর সি-র পক্ষে জনমত তৈরী করতে চাইছেন৷ কিন্তু বাস্তবে অসমে এন আর সির নামে কি হচ্ছে একটু নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা যাক

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এন.আর.সির সংকীর্ণতা রুখে বিশ্বৈকতার জাগরণে এগিয়ে চলো

প্রভাত খাঁ

আমাদের অতিপ্রিয় পৃথিবীর অপর নামই হলো বসুন্ধরা৷ তিনি সবদিক থেকে সম্পদ ও ঐশ্বর্য্যশালিনী৷ মহান স্রষ্টার এই যে সৃষ্ট বিশ্ব তা তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর সৃষ্টিকে সব দিক থেকে পরিপূর্ণ করে তুলতেই৷ আর তাঁর সৃষ্টির শ্রেষ্টতম জীব হলো মানুষ৷ সেই মানুষ এই বসুন্ধরাকে একদিকে যেমন ভোগ করবে তার পাশাপাশি তাকে রক্ষা করবে যাতে অন্যান্য তাঁর সৃষ্ট জীবজন্তু গাছপালাও এই পৃথিবীর বুকে সুরক্ষিত হয়ে সকলকে সেবা দিয়ে যেতে পারে৷

আন্দোলনে বাঙালী ঃ একটি প্রতিবেদন

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ১৬ই নবেম্বর ২০১৯ কলিকাতার বুকে বাঙালী জনগোষ্ঠীর এক বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল৷ সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সংগ্রাম-আন্দোলনের পীঠস্থান কলিকাতায় এই বাঙালী সমাবেশ মূলতঃ বাঙলা ও বাঙালীর আত্মমর্যাদা রক্ষার সমাবেশ, বাঙলা ও বাঙালীর অবদমন, নিপীড়ন, বঞ্চনা, শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার সমাবেশ৷ আমরা সকলেই জানি, অসমে এন.আর.সি.-র নামে প্রায় ঊণিশ লক্ষ বাঙালীকে বে-নাগরিক, ডি-ভোটার করে দেশছাড়া করার এক সুগভীর চক্রান্ত চলেছে৷ আর যদি তাদের দেশছাড়া করা সম্ভব না হয় তবে ডিটেনশন ক্যাম্প নামক সরকারী জেলখানা বা কষাইখানায় বন্দী করে, সমস্ত নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, অত্যাচার নির্যাতন ও মানসিক যন্ত্রণায় বিদ্ধ

নৈহাটীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আগামী ৮ই ডিসেম্বর রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যসোশিয়েশনের নৈহাটী ও কাঁকিনাড়া শাখার যৌথ উদ্যোগে প্রভাত সঙ্গীতের সাইত্রিশ বছর পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে৷ বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হবে৷ সবারে করি আহ্বান

অসমে এন আর সি : অসন্তুষ্ট অসম সরকার

অসমে এন আর সি বাতিলের দাবী জানাল অগপ, বিজেপি জোট সরকার৷ অর্থমন্ত্রী বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা এন আর সি-র প্রাক্তন আহ্বায়ক প্রতীক হাজেলার তীব্র সমালোচনা করে সাংবাদিকদের কাছে বলেন অসম সরকার  হাজেলার প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জীর তালিকার সঙ্গে একমত নয়৷ এই তালিকা যথাযথভাবে তৈরী হয়নি৷ তাই দল ও অসম সরকার এই নাগরিকপঞ্জীর তালিকা বাতিল করতে অমিত শাহের কাছে আবেদন করেছে৷