November 2019

‘আনন্দমার্গে চর্যাচর্য’  বিধিতে বিবাহ অনুষ্ঠান

গত ১৮ই নবেম্বর হাওড়া জেলার কুশবেড়িয়া নিবাসী স্বর্গীয় শ্রীহারাধন প্রামাণিক ও শ্রীমতি প্রতিমা প্রামাণিকের পুত্র সৌরভ প্রামাণিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন হাওড়া বাসুদেবপুর নিবাসী শ্রীপ্রণবকুমার করণ ও শ্রীমতী মায়া করণের কন্যা শ্রীমা করণের সঙ্গে৷

মার্গী বিধিতে অনুষ্ঠিত এই বিবাহ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা, তাঁকে তবলায় সঙ্গত করেন আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত৷ এরপর প্রভাতসঙ্গীত পরিবেশন করেন আচার্য চিরাগতানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ পূর্ণপ্রাণা আচার্যা৷

চিত্রসেনপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

মানুষের সঙ্গে পরমপুরুষের সম্পর্ক বৈয়ষ্টিক৷ সেই বৈয়ষ্টিক সম্পর্ক নিবিড় করে পরমপুরুষকে কাছে পাওয়ার সহজতম উপায় হ’ল নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর নাম-গান করা, কীর্ত্তন করা৷ তাই ১৯৭০ সালে আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ‘বাবানাম কেবলম্’ অষ্টাক্ষরী মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন প্রবর্তন করেন৷ সেই থেকে মার্গীরা দুই বেলা সাধনার সময় ছাড়াও নানা সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন করে থাকেন৷

আনন্দমার্গ স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আগামী ৯ই ডিসেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা নাদনঘাট নওপাড়া আনন্দমার্গ স্কুলের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় বকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান সঈদুল ইসলাম ও আরো অনেক বিশিষ্ট জন৷ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করছেন স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ প্রীতিসুধা আচার্যা ও আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের নওপাড়া শাখা সচিব শ্রীপ্রকাশ সাহা৷ সবারে করি আহ্বান৷

মদালসা ও গন্ধর্ববিবাহ

‘গন্ধর্ব’ শব্দটি যদি পুংলিঙ্গে ব্যবহূত হয় (গন্ধর্বঃ) তার মানে হয় গন্ধর্ব অর্থাৎ নৃত্যে গীতে বাদ্যে দক্ষ এক প্রকারের দেবযোনি যা’ তেজ, মরুৎ আর ব্যোম এই তিনটি তত্ত্বে তৈরী অর্থাৎ যাতে ক্ষিতি ও অপ্ তত্ত্ব নেই, আর ক্ষিতি ও অপ্ তত্ত্ব না থাকায় সাধারণভাবে তা’ পরিদৃশ্য নয়৷ গন্ধর্ব–প্রেষিত ধ্বনি, রাগাত্মিকা অভিব্যক্তি শ্রুতিগ্রাহ্য, অনুভব্য কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় দৃশ্য নয়৷ মনকে নিজের ক্ষিতি, অপ্ তত্ত্ব থেকে বিচ্যুত করে সম্পূর্ণতঃ ঔর্ধ্বদৈহিক ভাবে নিষিক্ত করতে পারলে তবেই তা’ মানসলোকে দৃশ্য৷

গন্ধর্ব একটি দেবযোনি যা’ কতকটা অপ্সরা পর্যায়ভুক্ত৷

সর্দিগর্মীর নিরাময় চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরক্ষৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ (হ’ল) চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেবু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে)  অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢেলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেবুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী (গরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়া) প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ক্ষেলের শরক্ষৎ, আমপোড়ার শরক্

মধু সম্পর্কে আধুনিক বিজ্ঞান

আয়ুর্বেদাচার্য

টনসিলের ব্যাধিতে মধু

টনসিলের  ব্যাধিতের মধু উপকারী৷ মিষ্টি আপেলের রসের সাথে ২/৩ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বারে  বারে (৪/৫ বার) সেবন করলে টনসিলের ব্যথা হ্রাস পায় আর তার স্ফীত আকারও কমে ছোট হয়ে আসে৷

পেট গরম হলে, মল পরিষ্কার না হলে অনেক সময় মুখে জিহ্বায় অনেকের ঘা হয়৷ মধু খেলে শরীরের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে আর মুখের ঘা ঠিক হয়ে যায়৷

সাবধান–যাঁরা মাছ খান, তাঁদের জন্যে দুঃসংবাদ

বাজারের পটোল–মূলো–কফিকে যেমন রঙে  ডুবিয়ে দোকানে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা যায়, তেমনি মাছকেও সতেজ রাখতে অনেক মাছ ব্যবসায়ী ফরম্যাডিহাইড নামে এক রাসায়নিকে ডোবান৷ মহানগরী কলকাতার বাজারেও এই ফরম্যালডিহাইড এমনই এক রাসায়নিক দ্রব্য যা খাদ্যের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে চোখ, কান, নাক জ্বালা করে শ্বাসনালীর কষ্ট  থেকে শুরু, ক্যানসারের মত মারাত্মক রোগ ডেকে আনতে পারে৷ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর মুকুল চক্রবর্ত্তী স্বীকার করেছেন যে মাছ সতেজ রাখতে মাছ ব্যবসায়ীরা এই ফরম্যালডিহাইড ব্যবহার করে থাকে৷ এটা নূতন কথা নয়৷ অনেকে এজন্যে পটাসিয়াম পারমাঙ্গানেটও ব্যবহার করেন৷ তবে এস

কান্না ফুরিয়ে গেছে

রামদাস বিশ্বাস

কান্না ফুরিয়ে গেছে শেষ হয়ে গেছে

দু’টি চোখ ভরা জল৷

মায়া মরিচীকা শুধু এই দু’টি চোখে

করে টলমল৷৷

শাওনে কালো মেঘ না যদি থাকত

শারদে শাদা মেঘের কে ছবি আঁকত

সবুজ সবুজ মাঠ ছিল বলে,

কৃষাণী পৌষে তোলে সোণালী ফসল৷৷

বেদনার পারিজাত অরূপ রতন

রেখেছি পান্না-হীরে-চুনীর মতন

এই ব্যথা এই বুকে না যদি থাকত

তোমার মধুর স্মৃতি কে মনে রাখত

সম্পদে বিপদে আঁধার আকাশ ভরা

তোমার স্মৃতি তারা করে ঝলমল৷৷

প্রভাত-সূচনা

ঋষিতা দে

তোমার ছোঁয়ায় প্রভাত-সূচনা

               গেয়ে ওঠে গান পাখী

মনের হরষে শাখায় শাখায়

               শুরু করে ডাকাডাকি৷

তোমার ছোঁয়ায় নিশা অবসান

               ঘুচে যায় সব কালো৷

দিক্-দিগন্তে জেগে ওঠে ওই

               প্রভাত রবির আলো৷

তোমার ছোঁয়ায় মনেরও হরষে

               ফুল দল সব হাসে

কীট-পতঙ্গ-পশুপক্ষীরা সবে

               একে অপরকে ভালবাসে৷

ঘাসের ওপর শিশির বিন্দু

               মিষ্টিমধুর হাওয়া

প্রভাত রঙ্গে প্রভাতরঞ্জন

               তোমাকেই কাছে পাওয়া৷

বাটারব্রেড একদিন চকিত চক্কোত্তিকে বললেন---

‘‘জানো চক্কোত্তি, আমার জীবনের ওপর দিয়ে দু’টো  বড় বড় ঝড় বয়ে গেছে৷ একটা  কমেডির (মিলনান্ত নাটক)  মলয় পবন , আর একটা  ট্র্যাজেডির (বিয়োগান্ত নাটক) সাইক্লোন৷

চকিত চক্কোত্তি বললে--- বল, বল, শুনি, শুনি৷ আ-হা-হা , না শুনেই  তোমার ট্র্যাজেডির  জন্যে  দুঃখ হচ্ছে৷ আর কমেডির  জন্যে  তোমাকে অভিনন্দন  জানাতে সাধ যাচ্ছে৷ বল, বল, শুনি শুনি৷