July 2019

২০১৯-এর বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় মেনে নিতে পারছেন না ক্ষুব্ধ জন্টি রোডস্

চলমান বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্স দেখে দুঃখ পেয়েছেন সেই দেশের খ্যাতনামা প্রাক্তন খেলোয়াড় জণ্টি রোডস৷ কারণ শ্রীলঙ্কা  ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়  ছাড়া আর কোনও সাফল্য সাউথ আফ্রিকারএই দলটি অর্জন করতে পারেনি৷ বিশ্বসেরা হবার মত ছাপ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ডুপ্লেসির দল৷

এর কারণ কী? এ প্রশ্ণের উত্তর দিতে গিয়ে অসহিষ্ণু জণ্টি জানালেন দল নির্বাচনটাই ঠিক হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার৷ ডেভিলিয়ার্সের মত খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে এই দল গড়াতে ক্ষুব্ধ দক্ষ ফিল্ডার জণ্টি রোডস৷

মধ্যযুগীয় বর্বরতা

ধর্মের বেনামীতে যে মধ্যযুগীয় কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও বহুক্ষেত্রে বর্বরতা আজও  চলছে, তারই প্রমাণ মিলল সাম্প্রতিক সংবাদে প্রকাশিত অসমের একটি ঘটনায়৷

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি

অসমে প্রায় ৫০ লক্ষ বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার ব্যবস্থা হচ্ছে!

অসমে নাগরিকপঞ্জি উন্নীতকরণের নামে এমন এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে, যার ফলে তথাকথিত আইনী প্যাঁচে প্রায়  পঞ্চাশ লক্ষ বাঙালীর  নাম নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়াটা  প্রায় পাকাপোক্ত৷ তালিকা থেকে নূতন করে এক লক্ষ দুইহাজার  নাম বাদ দিয়ে, পুনরায় আবেদনের কথা বলা হচ্ছে৷ গত ২৬ শে জুনের এই বাদপড়া তালিকার পূর্বে চল্লিশ লক্ষ আট হাজার নাম বাদ পড়েছে৷ সর্বমোট বর্তমানে একচল্লিশ লক্ষ দশ হাজার লোকের নাম তালিকা থেকে বাদ  পড়েছে৷ আমরা আশংকা  করছি ৫০ লক্ষ বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করা হবে৷

জয় শ্রীরাম নিয়ে

সাম্প্রতিককালে ভারতীয় রাজনীতিতে  সর্বাপেক্ষা  চর্চিত  বিষয়টি হচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’৷ বেশ কিছুদিন  আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বঙ্গের রাজনীতিতে বিতর্ক আরো দানা বেঁধেছে৷ এখানেই শেষ নয়, এরই জেরে নব নির্র্বচিত সাংসদরা শপথ  গ্রহণের  সময়  সংসদের মধ্যেও স্লোগানের  জোয়ার এনেছেন৷

কেন্দ্রের বর্তমান দিশাহীন আয়-ব্যয়মাতৃকা (বাজেট) কোনও আশার আলো তুলে ধরতে পারেনি

প্রভাত খাঁ

এটি দেশের এক অপরিচ্ছন্ন ঘাটতি আয়-ব্যয়মাত্রিকা (বাজেট), যা কোটি কোটি মানুষের জীবনে কোনও আর্থিক উন্নয়নের দিশা দেখাতে পারবে না, কারণ এই আয়-ব্যয় মাত্রিকা  দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের কোনও পরিচ্ছন্ন দিশার সন্ধান দিতে পারেনি৷ এতে চরমভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে, নারী না পুরুষ কে বাজেট পেশ করলেন সেটা বড় কথা নয়, এই বাজেটে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি দুই টাকা করে তাতে সর্বক্ষেত্রে আরও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েই গেল৷

 ঈশ্বর সম্প্রাপ্তি একমাত্র লক্ষ্য

মানুষ সাধনা করে ঈশ্বর প্রাপ্তির জন্য৷ এখন ঈশ্বর সম্প্রাপ্তিটা কেমন জিনিস? –না, নিজের সত্তাটা, নিজের অস্তিত্ববোধটা পরমপুরুষে মিলিয়ে দেওয়া৷ এই মিলিয়ে দেওয়ার উপায়টা কী? সাধনার দ্বারা নিজেকে, নিজের সমগ্র সত্তাবোধকে পরমপুরুষের কাছে নিয়ে যাওয়া ও এর সঙ্গে সঙ্গে আর কী করা?

পৃথিবীর জলসম্পদের সংরক্ষণ

শুরুতে পৃথিবী গ্রহে বিরাজ করত চরম নীরবতা–কোনো জীবিত সত্তাতো ছিলই না, এমনকি গাছপালাও জন্মায়নি৷ লক্ষ কোটি বছর ধরে এই অবস্থা চলেছিল৷ তারপর পৃথিবী অনেক ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলে উপযুক্ত ভাবে তৈরী হ’ল৷ এরপরে এক স্তরে পৃথিবীর বুকে নেবে এল বৃষ্টিধারা, শুরু হ’ল ঝড়ঝঞ্ঝা৷ এইভাবে ক্রম–পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে জীবনের উদ্ভব হ’ল৷ বৃষ্টির ফলেই কার্বণ পরমাণুতে প্রাণশক্তি সঞ্চারিত হ’ল৷ কার্বণ পরমাণু–সমন্বিত প্রোটোপ্লাজমিক সংঘর্ষ–সমিতি জন্ম দিল এই প্রাণ শক্তির৷

বাঙলার প্রতি কোনও অবহেলা চলবে না

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সম্প্রতি ভারতের শীর্ষ আদালত নির্দেশ জারী করেছে যে, এখন থেকে সুপ্রিম কোর্টের রায়  ইংরেজী ও হিন্দী সহ তেলেগু, মারাঠি, কন্নড়, ওড়িয়া ও অসমিয়া ভাষাতেও মিলবে৷ এই মোট ৭টি ভাষাতে সুুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিস্ময়জনক৷ দেশের শীর্ষ আদালত অন্ততঃ দেশের সমস্ত ভাষাভাষীদের  প্রতি নিরপেক্ষভাবে আচরণ করবে৷ এটাই আমরা আশা করব৷ সমস্ত নিরপেক্ষ বিচারশীল মানুষও এই আশা করে৷ কিন্তু অসমীয়া, ওড়িয়া  প্রভৃতি  আঞ্চলিক ভাষাতে সুপ্রিম কোর্টের  রায় দেওয়া হবে, অথচ ১৩ কোটি বাঙালীর মাতৃভাষা  বাংলাতে তা দেওয়া হবে না৷ অথচ, রাষ্ট্রসংঘেও যে ভাষায়  বত্তৃণতা দেওয়া যায়, যে ভাষাকে  রাষ্ট্রসংঘ পৃথিবীর মধুরতম  ভাষা হিসেবে  স্বীকৃতি  দিয়েছে,

জল চাই আরও জল চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রকৃতির নির্মম পরিহাস!  মানুষের  সীমাহীন লোভের পরিণতি! প্রকৃতিকে জয় করার বিজ্ঞানের  ব্যর্থ প্রচেষ্টা !  পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল,সেই পৃথিবীর মানুষ জলের জন্য হাহাকার  করছে৷ কোথাও এক বুক জলে দাঁড়িয়ে মানুষ  এক ফোঁটা জলের জন্যে হাহাকার করছে৷ কোথাও রুক্ষ্ম-শুক্ষ মরুভূমিতে মানুষ এক বিন্দু জলের জন্যে বুক চাপড়াচ্ছে৷  জল থেকেও জল নেই অবস্থা!