August 2019

আমতায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৪ই জুলাই আমতা আনন্দমার্গ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী লক্ষ্মীকান্ত হাজরার বাসগৃহে বহু ভক্ত সমাগমে মনোরম আধ্যাত্মিক পরিবেশে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷

আনন্দনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২৭ ও ২৮শে জুলাই আনন্দনগর ডায়োসিসের ঘাগরা গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ মনের বহির্মুখী ভাবনাগুলোকে, মনের জড়াভিমুখী আকর্ষণকে অন্তর্মুখী করে পরমপুরুষের দিকে চালিত করার সহজতম উপায় হচ্ছে কীর্ত্তন করা৷ কীর্ত্তন করার অর্থই হচ্ছে উচ্চস্বরে ঈশ্বরের গুণগান করা৷ মানুষ যখন তার সকল ইন্দ্রিয়কে কীর্ত্তনের মাধ্যমে সেই একের দিকে ছুটিয়ে দেয় তখন পরমপুরুষও তার পরম ভক্তের কাছে এসে ধরা দেন৷ তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন---‘মদ্ভক্তা যত্র গায়ন্তী তত্র তিষ্ঠামি নারদ’---আমার ভক্তরা যেখানেই আমার নামগান করেন আমি সেখানেই অধিষ্ঠান করি৷

বাঙালী মহিলা সমাজের কোচবিহার জেলা সম্মেলন

কোচবিহার ঃ মহা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে গত ২১শে জুলাই কোচবিহারের খাগড়াবাড়ীতে বাঙালী মহিলা সমাজের জেলা সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হ’ল৷ অনুষ্ঠানে বাঙালী মহিলা সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রীমতী সাগরীকা পাল উপস্থিত ছিলেন৷

গরমে রোগ–ব্যাধি ও নানা সমস্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি

বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাংলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি

নয়াবসানের কথা

কোন জায়গায় নোতুন প্রজা বন্দোবস্ত হলে অর্থাৎ নোতুনভাবে প্রজা বসানো হলে সেই জায়গাগুলোর নামের শেষে ‘বসান’ যুক্ত হয়৷ যেমন–রাজাবসান, নবাববসান, মুকুন্দবসান, নুয়াবসান (অনেকে ভুল করে ‘নয়াবসান’ বলে থাকেন–সেটা ঠিক নয়৷ দক্ষিণী রাঢ়ী ও উত্তরী ওড়িয়ায় নোতুনকে ‘নুয়া’ বা ‘নোয়া’ বলা হয়৷ ‘নয়া’ হচ্ছে হিন্দী শব্দ৷ বিহারের ভাষায় ‘নয়া’র পর্যায়বাচক শব্দ হচ্ছে ‘নয়্কা’ বা ‘নব্কা’৷ মেদিনীপুর জেলার নোয়াগ্রাম শহরটিকে আজকাল অনেকে ভুল করে নয়াগ্রাম বলে থাকে)৷

রাখীবন্ধন

জয়তী দেবনাথ (অষ্টম শ্রেণী)

আজ সকালে রবির আলো

               যখন চোখে পড়ল,

হাওয়ার দোলায় প্রজাপতি

               পেখম মেলে উড়ল৷

পাখী তখন গুণগুনিয়ে

               মিষ্টি সুরে ডাকল,

চারিদিকে কেমন যেন

               নতুন সাজে সাজল৷

শুনতে পেলাম বলল তখন

               আমার হৃদয় স্পন্দন

হায়রে বোকা! ভুলে গেলি?

               আজ যে রাখীবন্ধন৷

আজকের এই আনন্দটার

               সীমা তো আর নাইরে,

চারিদিকে রঙের মেলা

               আজকে রাখী তাইরে৷

দাদার হাতে আনন্দে আজ

মোদের জন্মভূমি

স্বস্তিকা মণ্ডল (ষষ্ঠ শ্রেণী)

ভারত মোদের জন্মভূমি

               ভারত মোদের দেশ

এই ভূমিতে জন্ম মোদের

               এই ভূমিতে শেষ৷

এই দেশেরই খাই গো হাওয়া

               এই দেশেরই জল,

এই মাটিণই বক্ষে ফলে

               ফল ও ফসল৷

এই দেশেরই সবুজ ঘাস

               রাঙা মাটির পথে,

শরৎ আসে উৎসবে মেতে

               শিউলি কাশের সাথে৷

সবার সেরা এ দেশ জানি

               সবার সাথে থাকি,

আমার প্রিয় দেশ-জননী

               কিছুতে নেই ফাঁকি৷

আবেদন

ভবেশ কুমার বসাক

বর্ষা তুমি আসবে বলে

চাষীরা অপেক্ষায়

তোমার কথা ভেবেই আকাশ

মেঘের প্রতীক্ষায়৷

বর্ষা তোমার দেরী কেন

শুকিয়ে গেছে বালি,

অনেক শিশুই দেয়নি জানো

প্রথম হাততালি?

গাঁয়ের বধূ মেঘের ডাকে

আকাশ পানে চায়,

এ বছরে এখনও তুমি

এলেনা হায় হায়!

ক্ষেতের পাশে বীজতলাটা

দেখে কষ্ট হয়

সবার জন্যে বৃষ্টি আনুক

আনন্দ-অক্ষয়৷

বৃষ্টি তুমি সময়মত

এসো প্রতিবার

পরিমিত জলটি দিয়ে

প্রাণ বাঁচিও সবার৷

অঝোর ধারায় যেথায় নামো

ভাসাও কতকিছু,

জল থই-থই হয় যে সবই

জাত কি কারো আছে?

ক্রীতূকন্ঞ্চক্রীতক৷ প্রাচীনকালে পৃথিবীর সব দেশে কিছু এমন সংখ্যক দুঃস্থ লোক ছিলেন বা থাকতেন যাঁদের জীবিকা ছিল সন্তান বিক্রী করা৷ পুত্র সন্তান বা কন্যা সন্তান দুই–ই তাঁরা বিক্রয় করতেন৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের অর্থ তাই কেনা পুত্র বা ক্রীত পুত্র অর্থাৎ পোষ্যপুত্রও হয়৷ তেমনি আবার ক্রীতদাসও(গোলাম, ইংরেজীতে ত্রপ্ত্ত্র্লন্দ্ব) হয়৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গরূপ ‘ক্রীতকী’৷ ‘ক্রীতক’ শব্দের অর্থ নিজের কন্যার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া নিজ–জামাতা বা ঘরজামাইও হয়৷ বলা বাহুল্য এই সকল ঘরজামাই–এর অবস্থা ছিল ক্রীতদাসেরও অধম৷ রাঢ়ের প্রাচীন গানে আছে–‘‘ঘরজামাইয়ে শ্বশুরবাড়ী মেগের লাথি খায়’’, অথবা–

শতবর্ষে ইষ্টবেঙ্গলের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন

একশ’ বছরে পা দিল কলকাতার ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব৷ গত রবিবার এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মেতে উঠেছিলেন লাল-হলুদের সদস্য-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও বহু গুণীজনেরা৷ উপস্থিত ছিলেন এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সুরেশ চন্দ্র চৌধুরীর পুত্র অমরেশ চৌধুরী, কন্যা সঞ্জনা চৌধুরী সহ বহু ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ৷ কুমোরটুলির পার্ক থেকে ময়দান পর্যন্ত বিশাল মিছিল লাল-হলুদের ছড়াছড়ি৷ পূজোর আগেই এ যেন তিলোত্তমা বোধন হ’ল একশ’ ঢাকের সুরেলা বাজনায়৷ বেশ কয়েক প্রজন্মের এই মিলনমেলা সত্যিকারের উৎসবের রূপ নিয়েছে৷ শুধু কলকাতায় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশেও এদিন ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ পালন করার খবর পাওয়া গে