আমতায় অখণ্ড কীর্ত্তন
গত ১৪ই জুলাই আমতা আনন্দমার্গ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী লক্ষ্মীকান্ত হাজরার বাসগৃহে বহু ভক্ত সমাগমে মনোরম আধ্যাত্মিক পরিবেশে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷
গত ১৪ই জুলাই আমতা আনন্দমার্গ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী লক্ষ্মীকান্ত হাজরার বাসগৃহে বহু ভক্ত সমাগমে মনোরম আধ্যাত্মিক পরিবেশে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷
গত ২৭ ও ২৮শে জুলাই আনন্দনগর ডায়োসিসের ঘাগরা গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ মনের বহির্মুখী ভাবনাগুলোকে, মনের জড়াভিমুখী আকর্ষণকে অন্তর্মুখী করে পরমপুরুষের দিকে চালিত করার সহজতম উপায় হচ্ছে কীর্ত্তন করা৷ কীর্ত্তন করার অর্থই হচ্ছে উচ্চস্বরে ঈশ্বরের গুণগান করা৷ মানুষ যখন তার সকল ইন্দ্রিয়কে কীর্ত্তনের মাধ্যমে সেই একের দিকে ছুটিয়ে দেয় তখন পরমপুরুষও তার পরম ভক্তের কাছে এসে ধরা দেন৷ তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন---‘মদ্ভক্তা যত্র গায়ন্তী তত্র তিষ্ঠামি নারদ’---আমার ভক্তরা যেখানেই আমার নামগান করেন আমি সেখানেই অধিষ্ঠান করি৷
কোচবিহার ঃ মহা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে গত ২১শে জুলাই কোচবিহারের খাগড়াবাড়ীতে বাঙালী মহিলা সমাজের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ অনুষ্ঠানে বাঙালী মহিলা সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রীমতী সাগরীকা পাল উপস্থিত ছিলেন৷
বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাংলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি
কোন জায়গায় নোতুন প্রজা বন্দোবস্ত হলে অর্থাৎ নোতুনভাবে প্রজা বসানো হলে সেই জায়গাগুলোর নামের শেষে ‘বসান’ যুক্ত হয়৷ যেমন–রাজাবসান, নবাববসান, মুকুন্দবসান, নুয়াবসান (অনেকে ভুল করে ‘নয়াবসান’ বলে থাকেন–সেটা ঠিক নয়৷ দক্ষিণী রাঢ়ী ও উত্তরী ওড়িয়ায় নোতুনকে ‘নুয়া’ বা ‘নোয়া’ বলা হয়৷ ‘নয়া’ হচ্ছে হিন্দী শব্দ৷ বিহারের ভাষায় ‘নয়া’র পর্যায়বাচক শব্দ হচ্ছে ‘নয়্কা’ বা ‘নব্কা’৷ মেদিনীপুর জেলার নোয়াগ্রাম শহরটিকে আজকাল অনেকে ভুল করে নয়াগ্রাম বলে থাকে)৷
আজ সকালে রবির আলো
যখন চোখে পড়ল,
হাওয়ার দোলায় প্রজাপতি
পেখম মেলে উড়ল৷
পাখী তখন গুণগুনিয়ে
মিষ্টি সুরে ডাকল,
চারিদিকে কেমন যেন
নতুন সাজে সাজল৷
শুনতে পেলাম বলল তখন
আমার হৃদয় স্পন্দন
হায়রে বোকা! ভুলে গেলি?
আজ যে রাখীবন্ধন৷
আজকের এই আনন্দটার
সীমা তো আর নাইরে,
চারিদিকে রঙের মেলা
আজকে রাখী তাইরে৷
দাদার হাতে আনন্দে আজ
ভারত মোদের জন্মভূমি
ভারত মোদের দেশ
এই ভূমিতে জন্ম মোদের
এই ভূমিতে শেষ৷
এই দেশেরই খাই গো হাওয়া
এই দেশেরই জল,
এই মাটিণই বক্ষে ফলে
ফল ও ফসল৷
এই দেশেরই সবুজ ঘাস
রাঙা মাটির পথে,
শরৎ আসে উৎসবে মেতে
শিউলি কাশের সাথে৷
সবার সেরা এ দেশ জানি
সবার সাথে থাকি,
আমার প্রিয় দেশ-জননী
কিছুতে নেই ফাঁকি৷
বর্ষা তুমি আসবে বলে
চাষীরা অপেক্ষায়
তোমার কথা ভেবেই আকাশ
মেঘের প্রতীক্ষায়৷
বর্ষা তোমার দেরী কেন
শুকিয়ে গেছে বালি,
অনেক শিশুই দেয়নি জানো
প্রথম হাততালি?
গাঁয়ের বধূ মেঘের ডাকে
আকাশ পানে চায়,
এ বছরে এখনও তুমি
এলেনা হায় হায়!
ক্ষেতের পাশে বীজতলাটা
দেখে কষ্ট হয়
সবার জন্যে বৃষ্টি আনুক
আনন্দ-অক্ষয়৷
বৃষ্টি তুমি সময়মত
এসো প্রতিবার
পরিমিত জলটি দিয়ে
প্রাণ বাঁচিও সবার৷
অঝোর ধারায় যেথায় নামো
ভাসাও কতকিছু,
জল থই-থই হয় যে সবই
ক্রীতূকন্ঞ্চক্রীতক৷ প্রাচীনকালে পৃথিবীর সব দেশে কিছু এমন সংখ্যক দুঃস্থ লোক ছিলেন বা থাকতেন যাঁদের জীবিকা ছিল সন্তান বিক্রী করা৷ পুত্র সন্তান বা কন্যা সন্তান দুই–ই তাঁরা বিক্রয় করতেন৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের অর্থ তাই কেনা পুত্র বা ক্রীত পুত্র অর্থাৎ পোষ্যপুত্রও হয়৷ তেমনি আবার ক্রীতদাসও(গোলাম, ইংরেজীতে ত্রপ্ত্ত্র্লন্দ্ব) হয়৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গরূপ ‘ক্রীতকী’৷ ‘ক্রীতক’ শব্দের অর্থ নিজের কন্যার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া নিজ–জামাতা বা ঘরজামাইও হয়৷ বলা বাহুল্য এই সকল ঘরজামাই–এর অবস্থা ছিল ক্রীতদাসেরও অধম৷ রাঢ়ের প্রাচীন গানে আছে–‘‘ঘরজামাইয়ে শ্বশুরবাড়ী মেগের লাথি খায়’’, অথবা–
একশ’ বছরে পা দিল কলকাতার ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব৷ গত রবিবার এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মেতে উঠেছিলেন লাল-হলুদের সদস্য-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও বহু গুণীজনেরা৷ উপস্থিত ছিলেন এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সুরেশ চন্দ্র চৌধুরীর পুত্র অমরেশ চৌধুরী, কন্যা সঞ্জনা চৌধুরী সহ বহু ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ৷ কুমোরটুলির পার্ক থেকে ময়দান পর্যন্ত বিশাল মিছিল লাল-হলুদের ছড়াছড়ি৷ পূজোর আগেই এ যেন তিলোত্তমা বোধন হ’ল একশ’ ঢাকের সুরেলা বাজনায়৷ বেশ কয়েক প্রজন্মের এই মিলনমেলা সত্যিকারের উৎসবের রূপ নিয়েছে৷ শুধু কলকাতায় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশেও এদিন ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ পালন করার খবর পাওয়া গে